চৈতা নদী
চৈতা নদী[1] ইছামতি নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে গাইঘাটায় যমুনা নদীতে মিলিত হয়ছে। নদীর দৈর্ঘ্য ৪০ কিমি। নদীটি বর্তমানে উৎস মুখে ইছামতি নদী থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে এছাড়া নদীটিতে পলি জমে নদীর স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। চৈতা নদীর কিছু স্থানে নদী গর্ভে চাষাবাদ চলছে এবং নদীর পাড় ভেঙ্গে, গতিপথ রুদ্ধ করে মাছের ভেড়ি নির্মাণ ও মাছ চাষ হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে নদী গর্ভে গবাদিপশুর খাবার প্রচুর পাওয়া যায়। এই নদী খোঁড়ার সময় কিনারমাঠ গ্রামে কুমীর এর চোয়াল পাওয়া গেছে।এই নদীটির সঙ্গে গাইঘাটা এলাকার আর একটি গুরুত্বপূর্ন চালুন্দিয়া নদী যুক্ত রয়েছে।
চৈতা নদী | |
---|---|
![]() খড়ুয়া রাজাপুরে চৈতা নদী | |
দেশ | ![]() |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
মোহনা | যমুনা নদী গাইঘাটা, উত্তর ২৪ পরগণা |
নদী ব্যবস্থা | গঙ্গা নদী ব্যবস্থা |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
দৈর্ঘ্য | ৪০ কিমি |

নদীর প্রবাহ
চৈতা নদীটি গঙ্গা নদী ব্যবস্থার অন্তর্গত। নদীটি মোট ৪০ কিলোমিটার অতিক্রম করে গাইঘাটায় যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটি প্রবাহ পথে গোপালনগর, টালিখোলা, ক্ষেদাইতলা, চৈতাপাড়া,খড়ুয়া রাজাপুর, কিনারমাঠ,রামপুর প্রভৃতি গ্রাম অতিক্রম করেছে। এই সমস্ত গ্রামের নদীর তীরবর্তী জমির কৃষি কাজ নদীর সঙ্গে যুক্ত। নদীটির প্রবাহে গাইঘাটা থেকে খড়ুয়া রাজাপুর গ্রামের উত্তর অংশ পর্যন্ত জোয়ার ভাটার প্রভাব দেখা যায়।
বন্যা
নদীটি প্রতি বছর অববাহিকা এলাকায় বর্ষার সময় বন্যার সৃষ্টি করে। নদীটিতে প্রচুর পলি জমার কারনে বন্যার সৃষ্টি হয়। ২০০০ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এক ভয়ঙ্কর বন্যা হয়। এই বন্যা এই এতদাঞ্চলের মানুষের কাছে ২০০০ সালের বন্যা নামে পরিচিত। ২০১০ ও ২০১৫ সালেও নদীটির দুই কূল প্লাবিত হয়েছিল। প্রতি বছর নদীর জলের প্লাবনে জমির ফসল নষ্ট হয়। বর্তমানে নদীটি সংস্কারের দাবি উঠেছে।
জীববৈচিত্র্য
মিষ্টি জলের মাছ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে, যেমন- শোল, ল্যাটা, মাগুর, শিঙি, কই, নয়না, পাকাল, গ্রাসকার্প, রুই, মৃগেল, কুচে,পুটি,খলসে, ইত্যাদি। এছাড়া জলচর পাখি যেমন- বক, পানকৌরি, শামুকখোল, বুনোহাস পাওয়া যায়। এই নদী সংলগ্ন বিল এ শীতকালে পরিযাই পাখি আসে।
তথ্যসূত্র
- "বিষমুক্ত জল দেবেকে,প্রশ্ন মানুষের"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৪-০৮-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে চৈতা নদী সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |