রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ বিহার। এই বিহারকে কেন্দ্র করে এক সময় এ অঞ্চলে বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। মৌর্য বংশের তৃতীয় সম্রাট অশোক এটি স্থাপন করেন। অনেকের কাছে এটি রামকোট বৌদ্ধ বিহার নামেও পরিচিত।[1]
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার রামু, কক্সবাজার | |
---|---|
![]() বিহারের প্রবেশ পথ | |
তথ্য | |
সম্প্রদায় | বৌদ্ধ ধর্ম |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক |
অবস্থান
রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত।[2]
ইতিহাস
খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে প্রাচীন আরাকানের ধন্যবতী (ধাঁঈয়াওয়াদি) নগরের রাজা মহাচন্দ্র সুরিয়ার আমন্ত্রণে গৌতম বুদ্ধ তার শিষ্যদের নিয়ে তৎকালীন সমতটের চৈতগ্রামের (বর্তমান চট্টগ্রাম) উপর দিয়ে ধন্যবতী নগরে যাওয়ার পথে এই স্থানে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেছিলেন। তখন তার প্রধান সেবক আনন্দ স্থবিরকে উদ্দেশ্য করে ভবিষ্যত বাণী করে বলেন, “হে আনন্দ! পশ্চিম সমুদ্রের পূর্ব তীরে রম্যবতি (রম্মাওয়াদি) নগরের পর্বত শীর্ষে আমার বক্ষাস্থি স্থাপিত হবে, তখন এর নাম হবে রাং (বুদ্ধের বুকের অস্থি) কূট (স্থান)।[3] সম্রাট অশোক বুদ্ধের ৪৫ বছর ব্যাপী ৮৪ হাজার ধর্মবানীকে বুদ্ধ জ্ঞানের প্রতীকরূপে বুদ্ধের অস্থি সংযোজিত ৮৪ হাজার চৈত্য স্থাপন করেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম রামুর এ চৈত্যটি। পরবর্তিতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০৮ অব্দে আরাকান রাজা চন্দ্রজ্যোতি (চেঁদি রাজা) কর্তৃক বুদ্ধের উক্ত বক্ষাস্থি সাদা পাথরের ৬ ফিট উঁচু বুদ্ধবিম্বের মাথায় সংযোজিত করে বুদ্ধবিম্বটি স্থাপন করেন। সময়ের বিবর্তনে রাংকূটের অস্তিত্ব বিলীন হল হয়ে যায়। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীলংকান পুরোহিত জগৎ জ্যোতি মহাস্থবির রামকোট বৌদ্ধ বিহারটি সংস্কার পূর্বক পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেন।[2]
তথ্যসূত্র
- "কক্সবাজার জেলা"। http। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৬।
- "কালের সাক্ষী রাংকুট বিহার"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৭।
- পালি ত্রিপিটকের “দাঠাবংসো” গ্রন্থের ১০৮-১২২ পৃষ্ঠা এবং “ধাঁঈয়াওইয়াদি রাজোওয়াইং” গ্রন্থের ৪৬-৮৮ পৃষ্ঠা ও খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকের গ্রীক ভাষায় লিখিত “Geography of Ptolemy” নামক গ্রন্থের বর্ণনা অনুসারে।
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |