ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক (যা ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক[1] নামেও পরিচিত) ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত একটি সাফারি পার্ক, যেখানে পশুপাখি মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে। এটি বাংলাদেশের প্রথম সাফারি পার্ক।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক | |
---|---|
![]() ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক | |
বাংলাদেশে অবস্থান | |
অবস্থান | চকোরিয়া উপজেলা, কক্সবাজার জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ |
আয়তন | ৬০০ হেক্টর |
স্থাপিত | ১৯৯৯ |
কর্তৃপক্ষ | বাংলাদেশ বন বিভাগ |
বিবরণ
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে,কক্সবাজার জেলা সদরের দক্ষিণ বন বিভাগের ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লকে অবস্থিত। মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এই পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সাফারি পার্কটি ৬০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।[2]
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ককে কেউ কেউ সাফারি পার্ক বলতে রাজি নন, কারণ এখানে প্রাকৃতিক অবকাঠামোর বদলে অত্যাধুনিক ও কৃত্রিম অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বেশি।[3]
বাংলাদেশ বন বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, এই পার্কটিতে বছরে প্রায় ১,০০,০০০ পর্যটক ভ্রমণ আসেন, এবং পার্কের প্রবেশ মূল্য ৳৫০ (পঞ্চাশ টাকা)।
প্রাণীবৈচিত্র্য
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে বাঘ, সিংহ, হাতি, ভালুক, গয়াল, কুমির, জলহস্তী, মায়া হরিণ, সম্বর হরিণ, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ প্রভৃতি প্রাণীও রয়েছে।[1] এই পার্কে স্বাদুপানির কুমির যেমন আছে, তেমনি আছে লোনা পানির কুমির।[3] এছাড়াও ২০১৭ থেকে এ পার্কে তৈরী করা হয়েছে কৃত্রিম আফ্রিকান সাফারি যেখানে আফ্রিকান প্রাণী হিসেবে রয়েছে জেব্রা ও ওয়াইল্ড বিস্ট।
তথ্যসূত্র
- রিদওয়ান আক্রাম. “বনে জঙ্গলে” (প্রিন্ট), ২৫ জানুয়ারি ২০১০ খ্রিস্টাব্দ, পৃ. ৮। মার্চ ১৮, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সংগৃহীত।
- শেখ রোকন. “চিড়িয়াখানা গড়ার পিছনে স্বপ্ন থাকতে হয় ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে” (ওয়েবপেইজ), ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ খ্রিস্টাব্দ। মার্চ ১৮, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সংগৃহীত। (বাংলা)
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |