প্যারা হরিণ
নাত্রিণী হরিণ, প্যারা হরিণ, পারা হরিণ বা বরা হরিণ (ইংরেজি: Hog Deer) (বৈজ্ঞানিক নাম: Hyelaphus porcinus বা Axis porcinus) দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ জুড়ে বিস্তৃত পটভূমিতে থাকা একটি তুলনামূলকভাবে ছোট প্রজাতির হরিণ। বাংলাদেশের ১৯৭৪[2] ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[3]
প্যারা হরিণ (Hog Deer | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | Artiodactyla |
পরিবার: | Cervidae |
উপপরিবার: | Cervinae |
গণ: | Hyelaphus |
প্রজাতি: | H. porcinus |
দ্বিপদী নাম | |
Hyelaphus porcinus Zimmermann, 1780 | |
Subspecies | |
H. p. annamiticus |
শ্ৰেণীবিভাজন
প্যারা হরিণের বৈজ্ঞানিক নামকরণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এদের একটি বৈজ্ঞানিক নাম Axis porcinus, যা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আধুনিক গবেষণা মত প্রকাশ করেছে যে প্যারা হরিণ মূলত Hyelaphus গণের অন্তর্গত একটি প্রাণী।[1]
প্যারা হরিণের দু'টি উপ-প্ৰজাতি পাওয়া যায়-
- Hyelaphus porcinus porcinus প্ৰধানত পাকিস্তান, উত্তর ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, চীনের কিছু অংশ আর সমগ্ৰ থাইল্যান্ড জুড়ে বিস্তৃত হয়ে আছে।
- Hyelaphus porcinus annamiticus-এই উপ-প্ৰজাতিটি থাইল্যান্ড আর ইন্দোনেশিয়াতে পাওয়া যায়।
আবাসস্থল

পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় অববাহিকা, নেপালের তরাই অঞ্চল ও দক্ষিণ ভুটানের দুটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্যারা হরিণের দেখা মেলে। ভারতে, বিশেষত উত্তর ভারতের তরাই তৃণভূমিতে এদের দেখা যায়। পশ্চিমে পাঞ্জাব থেকে শুরু করে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও জাতীয় উদ্যান এদের আবাসস্থল। পশ্চিমবঙ্গের গোরুমারায় ১০০-২০০টি ও জলদাপাড়ায় কিছুসংখ্যক প্যারা হরিণ রয়েছে।[1] বাংলাদেশের সুন্দরবন ও সিলেট থেকে প্যারা হরিণ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে এরা খুব কমসংখ্যায় টিকে আছে।[4] ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে ৮টি প্যারা হরিণ রয়েছে।[5][6]
এছাড়া চীনের ইউনান প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল, মিয়ানমার, লাওস ও ভিয়েতনামে প্যারা হরিণ থাকতে পারে। কম্বোডিয়ায় এরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে ধারণা করা হলেও ২০০৬ সালে এদের আবার দেখা যায়। থাইল্যান্ডে ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্যারা হরিণ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এখানে নতুন করে এদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রে প্যারা হরিণ ছাড়া হয়েছে।[1]
তথ্যসূত্ৰ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে প্যারা হরিণ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- Timmins, R.J., Duckworth, J.W., Samba Kumar, N., Anwarul Islam, Md., Sagar Baral, H., Long, B. & Maxwell, A. (2008). Axis porcinus. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 8 April 2009. Database entry includes a brief justification of why this species is of endangered.
- জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: স্তন্যপায়ী, খণ্ড: ২৭ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৭৯-১৮১।
- বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৭
- , ৪ শতাধিক বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম চবি!, দৈনিক সমকাল.
- ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ মার্চ ২০১২ তারিখে, সু-সংবাদ : নির্বংশ হচ্ছে না প্যারা হরিণ : এখন সাত সদস্যের পরিবার, সাতকানিয়া ব্লগ.কম.
- , Elephant and Park Research Project, Dulahazara Safari Park: Ecological importance, recreational value and conservation, Norwegian University of Science and Technology.