সংরক্ষণ অবস্থা

কোন একদল জীব পৃথিবীতে কি হারে বেঁচে আছে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা তাদের সংরক্ষণ অবস্থার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সাধারণত প্রজাতিকে একক ধরে সংরক্ষণ অবস্থা বিচার করা হয়। কেবলমাত্র জীবের মোট সংখ্যা বিবেচনায় এনে তাদের সংরক্ষণ অবস্থা বিচার করা হয় না। সময়ের সাথে সাথে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাসের হার, সফল প্রজননের হার, জীবনধারণের জন্য হুমকিসমূহ ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচনায় আনা হয়।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সংরক্ষণ অবস্থা প্রকাশ করার জন্য আইইউসিএন বিপদগ্রস্ত প্রজাতিসমূহের লাল তালিকা একটি জনপ্রিয় ও স্বীকৃত তালিকা। প্রক্রিয়াটিতে বিপদগ্রস্ত প্রজাতিসমূহকে বিপদগ্রস্ততার মাত্রার ভিত্তিতে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে: মহাবিপন্ন, বিপন্ন এবং সংকটাপন্ন। বিলুপ্ত ও বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত প্রজাতিগুলোও এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। যেসব প্রজাতির বিপদগ্রস্ততার হার কম তাদেরকে প্রায়-বিপদগ্রস্তন্যূনতম বিপদগ্রস্ত এই দুই শ্রেণীতে ফেলা হয়েছে।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.