লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের আয়তন ১৪৭৮ একর (৫.৯৮ বর্গ কিলোমিটার)।[1] এটি চকরিয়া উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন।

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ১২,৮০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬,৮০০ জন এবং মহিলা ৬,০০০ জন।[2]

চকরিয়া উপজেলার মধ্যভাগে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের অবস্থান। চকরিয়া উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের পশ্চিমে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন, দক্ষিণে চকরিয়া পৌরসভা, পূর্বে কাকারা ইউনিয়ন এবং উত্তরে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন অবস্থিত।

লক্ষ্যারচর এক সময় চর এলাকা ছিল। সে সময় লক্ষ্মী নামক এক লোক এ এলাকায় এসে বসবাস করে। তাকে আঞ্চলিক ভাষায় লক্ষ্যা নামে ডাকা হত। সে অনুসারে এ এলাকার নাম হয় লক্ষ্যারচর।[2]

লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন চকরিয়া উপজেলার আওতাধীন ৯নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম চকরিয়া থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৯৪নং নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-১ এর অংশ। এটি লক্ষ্যারচর মৌজা নিয়েই গঠিত।[2]

ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:

[3]

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৪০.৮১%।[1] এ ইউনিয়নে ১টি ফাজিল মাদ্রাসা, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[2]

মাদ্রাসা

• আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা

[4]

মাধ্যমিক বিদ্যালয়

• লক্ষ্যারচর উচ্চ বিদ্যালয়

[5]

প্রাথমিক বিদ্যালয়

• আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
• উত্তর লক্ষ্যারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
• লক্ষ্যারচর মণ্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

[6]

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে ৩৩টি মসজিদ রয়েছে।[2]

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে মাতামুহুরী নদী ও বড় মাতামুহুরী নদী।[7]

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের প্রধান হাট/বাজার হল ছিকলঘাট বাজার।[8]

• মাতামুহুরী নদী

[9]

• আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন; বীর মুক্তিযোদ্ধা।
• আলহাজ্ব রফিক আহমদ চৌধুরী; প্রতিষ্ঠাতা, চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা।[10]

• বর্তমান চেয়ারম্যান: গোলাম মোস্তফা কাইছার[11]

• চকরিয়া উপজেলা
• চকরিয়া থানা
• কক্সবাজার জেলা