নীলফামারী-২
নীলফামারী-২ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি নীলফামারী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সংসদের ১৩তম এবং জেলার ২য় সংসদীয় আসন। এ আসনের বতর্মান সংসদ সদস্য হলেন আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নুর, তিনি ২০০১ থেকে তৃতীয় বারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
নীলফামারী-২ | |
---|---|
জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচনী এলাকা | |
![]() | |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
নির্বাচকমণ্ডলী | ৩,১১,৬৯৯ (২০১৮)[1] |
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা | |
সৃষ্ট | ১৯৮৪ |
দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
বর্তমান সাংসদ | আসাদুজ্জামান নূর |
সীমানা
নীলফামারী-২ আসনটি নীলফামারী জেলার নীলফামারী সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত।[2]
ইতিহাস
নীলফামারী-২ আসনটি ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়, যখন বৃহত্তর রংপুর জেলাকে ভেঙে পাঁচটি জেলায় (নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা) ভাগ করা হয়েছিল।
নির্বাচিত সাংসদ
নির্বাচন | সাংসদ | রাজনৈতিক দল | |
---|---|---|---|
১৯৮৬ | দেওয়ান নুরুন্নবী | জাতীয় পার্টি[3][4] | |
১৯৯১ | মোঃ সামছুদ্দোহা | বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি | |
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | দেওয়ান নুরুন্নবী | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | |
জুন ১৯৯৬ | আহসান আহমেদ | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) | |
২০০১ | আসাদুজ্জামান নূর | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০০৮ | আসাদুজ্জামান নূর | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০১৪ | আসাদুজ্জামান নূর | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০১৮ | আসাদুজ্জামান নূর | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
নির্বাচনী ফলাফল
২০১০-এর দশকে
২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদলগুলো নির্বাচন বয়কট করলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহজোট একক নির্বাচন করে, ফলে আসাদুজ্জামান নূর পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।[5]
২০০০-এর দশকে
সাধারণ নির্বাচন ২০০৮: নীলফামারী-২[6] | |||||
---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
আওয়ামী লীগ | আসাদুজ্জামান নূর | ১৩৫,৬২৬ | ৬১.৬ | +২৩.৫ | |
জামায়াতে ইসলামী | মনিরুজ্জামান মিন্টু | ৮২,৩২৪ | ৩৭.৪ | +১.৫ | |
ইসলামী আন্দোলন | মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক | ২,১৯৮ | ১.০ | N/A | |
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৫৩,৩০২ | ২৪.২ | +২২.০ | ||
ভোটার উপস্থিতি | ২২০,১৪৮ | ৯০.৭ | +৭.৩ | ||
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে | |||||
সাধারণ নির্বাচন ২০০১: নীলফামারী-২[7] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
আওয়ামী লীগ | আসাদুজ্জামান নূর | ৬৯,৯৬০ | ৩৮.১ | +৫.১ | ||
জামায়াতে ইসলামী | আব্দুল লতিফ | ৬৫,৮৩৫ | ৩৫.৯ | +১২.০ | ||
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | জয়নাল আবেদিন | ৪১,২২৭ | ২২.৫ | N/A | ||
জেপি (মঞ্জু) | আহসান আহমেদ | ৫,৮০৬ | ৩.২ | N/A | ||
স্বতন্ত্র | মোছাঃ মনছুরা বেগম | ৪৬৭ | ০.৩ | N/A | ||
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | মোঃ আতাউর রহমান | ২৮২ | ০.২ | N/A | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৪,১২৫ | ২.২ | -১.৯ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১৮৩,৫৭৭ | ৮৩.৪ | +৬.৪ | |||
জাতীয় পার্টি (এ) থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে | ||||||
১৯৯০-এর দশকে
সাধারণ নির্বাচন জুন ১৯৯৬: নীলফামারী-২[7] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
জাতীয় পার্টি (এ) | আহসান আহমেদ | ৪৪,৯৯৯ | ৩৩.৩ | +৯.৪ | ||
আওয়ামী লীগ | জয়নাল আবেদিন | ৪৪,৫৬০ | ৩৩.০ | N/A | ||
জামায়াতে ইসলামী | আব্দুল লতিফ | ৩২,২৭৮ | ২৩.৯ | -৪.৮ | ||
বিএনপি | দেওয়ান নুরুন্নবী | ১১,৬১৫ | ৮.৬ | -৩.৮ | ||
ইসলামী ঐক্য জোট | মোঃ আব্দুস সাত্তার | ৯৫৯ | ০.৭ | N/A | ||
জাতীয় বিপ্লবী ফ্রন্ট | আ.ক.ম. জাকারিয়া শেখ | ৬৩১ | ০.৫ | N/A | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৪৩৯ | ০.৩ | -৪.৫ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১৩৫,০৪২ | ৭৭.০ | +১৪.১ | |||
কমিউনিস্ট পার্টি থেকে জাতীয় পার্টি (এ) অর্জন করে | ||||||
সাধারণ নির্বাচন ১৯৯১: নীলফামারী-২[7] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
কমিউনিস্ট পার্টি | মোঃ সামছুদ্দোহা | ৩৫,২১৬ | ৩৩.৫ | |||
জামায়াতে ইসলামী | আব্দুল লতিফ | ৩০,১৫৪ | ২৮.৭ | |||
জাতীয় পার্টি (এ) | দেওয়ান নুরুন্নবী | ২৫,১২৫ | ২৩.৯ | |||
বিএনপি | আহসান আহমেদ | ১৩,০১৩ | ১২.৪ | |||
জেএসডি | মোঃ আমিনুল ইসলাম | ৬২৯ | ০.৬ | |||
জাকের পার্টি | মোঃ ফজলুল হক | ৪৭৪ | ০.৫ | |||
এনডিপি | সৈয়দ মোঃ ইসমাইল | ১৬৮ | ০.২ | |||
স্বতন্ত্র | কাজী আমিনুল হক | ১৬৬ | ০.২ | |||
বাংলাদেশ মুসলিম লীশ (কাদের) | কাজী আশফাক হোসেন | ১৫৩ | ০.১ | |||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৫,০৬২ | ৪.৮ | ||||
ভোটার উপস্থিতি | ১০৫,০৯৮ | ৬২.৯ | ||||
জাতীয় পার্টি (এ) থেকে কমিউনিস্ট পার্টি অর্জন করে | ||||||
টীকা
- এমরান হোসাইন শেখ (১০ অক্টোবর ২০১৮)। "কোন আসনে কত ভোটার"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (PDF)। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫।
- "List of 3rd Parliament Members" (PDF)। Bangladesh Parliament। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "List of 4th Parliament Members" (PDF)। Bangladesh Parliament। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- Zakaria, Mohammad (১৪ ডিসেম্বর ২০১৩)। "The number now goes up to 151"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮।
- "Nomination submission List"। Bangladesh Election Commission। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"। Vote Monitor Networks। ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
- সেফোস "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" (ইংরেজি)
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.