টাঙ্গাইল-৮
টাঙ্গাইল-৮ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৩৭নং আসন।
টাঙ্গাইল-৮ | |
---|---|
জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচনী এলাকা | |
![]() | |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
নির্বাচকমণ্ডলী | ৩,৪৬,৬৪৫ (২০১৮)[1] |
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা | |
সৃষ্ট | ১৯৭৩ |
দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
বর্তমান সাংসদ | জোয়াহেরুল ইসলাম |
সীমানা
টাঙ্গাইল-৮ আসনটি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলা ও সখিপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত।[2]
নির্বাচিত সাংসদ
নির্বাচন | সদস্য | দল | |
---|---|---|---|
১৯৭৩ | ফজলুর রহমান ফারুক | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[3] | |
১৯৭৯ | মোরশেদ আলী খান পন্নী | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল[4] | |
১৯৮৬ | শওকত মোমেন শাহজাহান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[5] | |
১৯৮৮ | মোরশেদ আলী খান পন্নী | জাতীয় পার্টি[6][7] | |
১৯৯১ | হুমায়ূন খান পন্নী | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | |
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | হুমায়ুন খান পান্নী | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | |
জুন ১৯৯৬ | আবদুল কাদের সিদ্দিকী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
১৯৯৯ উপ-নির্বাচন | শওকত মোমেন শাহজাহান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০০১ | আবদুল কাদের সিদ্দিকী | কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | |
২০০৮ | শওকত মোমেন শাহজাহান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০১৪ | শওকত মোমেন শাহজাহান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০১৪ উপ-নির্বাচন | অনুপম শাহজাহান জয় | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০১৮ | জোয়াহেরুল ইসলাম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
নির্বাচন
২০১০-এর দশকে নির্বাচন
২০১৪ নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে শওকত মোমেন শাহজাহান মৃত্যুবরণ করেন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে তার ছেলে অনুপম শাহজাহান জয় নির্বাচিত হন।[8]
বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে শওকত মোমেন শাহজাহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[9]
২০০০-এর দশকে নির্বাচন
সাধারণ নির্বাচন ২০০৮: টাঙ্গাইল-৮[10][11] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
আওয়ামী লীগ | শওকত মোমেন শাহজাহান | ১৩৪,৬২৬ | ৫৬.০ | +২৭.১ | ||
বিএনপি | আহমেদ আজম খান | ৬৫,৫২১ | ২৭.২ | +০.১ | ||
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | আবদুল কাদের সিদ্দিকী | ৩৮,৭৭৫ | ১৬.১ | -২৬.৬ | ||
জেএসডি | শফিউল আলম | ৭৫৬ | ০.৩ | প্র/না | ||
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি | শাহিদুজ্জামান লাল মিয়া | ৫৬৭ | ০.২ | প্র/না | ||
এলডিপি | শেখ ফারুকুজ্জামান | ২৯৩ | ০.১ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৬৯,১০৫ | ২৮.৭ | +১৪.৯ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ২৪০,৫৩৮ | ৮৮.৮ | +১৭.৮ | |||
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে | ||||||
সাধারণ নির্বাচন ২০০১: টাঙ্গাইল-৮[12] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ | আবদুল কাদের সিদ্দিকী | ৮০,৫৫৮ | ৪২.৭ | |||
আওয়ামী লীগ | আবদুস সালাম খান | ৫৪,৫০৫ | ২৮.৯ | |||
বিএনপি | আহমেদ আজম খান | ৫১,১৩৫ | ২৭.১ | |||
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | রেজাউল করিম | ১,৩০৬ | ০.৭ | |||
স্বতন্ত্র | নাসির উদ্দিন | ৮৭৭ | ০.৫ | |||
জেপি (মঞ্জু) | নীলফামার ইয়াসমিন | ৩৫১ | ০.২ | |||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ২৬,০৫৩ | ১৩.৮ | ||||
ভোটার উপস্থিতি | ১৮৮,৭৩২ | ৭১.০ | ||||
আওয়ামী লীগ থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অর্জন করে | ||||||
১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন
১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে দলের সঙ্গে মতবিরোধ হলে আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়।[13] তিনি তখন সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন,[14] ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নভেম্বর ১৯৯৯ সালের উপ-নির্বাচনে দাড়ান। উপ-নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন।[15]
সাধারণ নির্বাচন জুন ১৯৯৬: টাঙ্গাইল-৮[12] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
আওয়ামী লীগ | আবদুল কাদের সিদ্দিকী | ১০০,৩০৩ | ৬২.৬ | +১৭.১ | ||
বিএনপি | কামরুজ্জামান খান | ৩৫,৩৪৩ | ২২.১ | -২৫.২ | ||
জাতীয় পার্টি (এ) | শাহ খালেদ রেজা | ২০,৪৮৫ | ১২.৮ | +৭.৯ | ||
জামায়াতে ইসলামী | খন্দকার আবদুর রাজ্জাক | ২,৫৮২ | ১.৬ | প্র/না | ||
ফ্রিডম পার্টি | এ বাসেদ | ৮৮৫ | ০.৬ | প্র/না | ||
জাকের পার্টি | সোহরাব আলী | ৩৬৩ | ০.২ | -০.১ | ||
গণফোরাম | এরশাদুল হক বুলবুল | ১৬৮ | ০.১ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৬৪,৬৯০ | ৪০.৪ | +৩৮.৬ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১৬০,১২৯ | ৭৮.৪ | +২৩.৬ | |||
বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে | ||||||
সাধারণ নির্বাচন ১৯৯১: টাঙ্গাইল-৮[12] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
বিএনপি | হুমায়ূন খান পন্নী | ৬১,৩৯৬ | ৪৭.৩ | |||
আওয়ামী লীগ | আবদুল কাদের সিদ্দিকী | ৫৯,০৮৯ | ৪৫.৫ | |||
জাতীয় পার্টি (এ) | মোরশেদ আলী খান পন্নী | ৬,৩০৯ | ৪.৯ | |||
জেএসডি (সিরাজ) | আবুল হাশেম | ১,৫৬২ | ১.২ | |||
জাতীয় যুক্তফ্রন্ট | আশরাফ আলী | ৫৫৮ | ০.৪ | |||
জাকের পার্টি | আবদুল্লাহ মিয়া | ৩২২ | ০.৩ | |||
জেএসডি | এ সামাদ | ২৭১ | ০.২ | |||
এনডিপি | খন্দকার রুহুল আমিন সেলিম | ২৩৩ | ০.২ | |||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ২,৩০৭ | ১.৮ | ||||
ভোটার উপস্থিতি | ১২৯,৭৪০ | ৫৪.৮ | ||||
জাতীয় পার্টি (এ) থেকে বিএনপি অর্জন করে | ||||||
তথ্যসূত্র
- এমরান হোসাইন শেখ (১০ অক্টোবর ২০১৮)। "কোন আসনে কত ভোটার"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (PDF)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫।
- "১ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (PDF)। বাংলাদেশ সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "২য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (PDF)। বাংলাদেশ সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "৩য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (PDF)। বাংলাদেশ সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "৪র্থ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (PDF)। বাংলাদেশ সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "সংশোধনী"। দৈনিক যুগান্তর। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
- "টাঙ্গাইল-৮ আসনে আ'লীগের অনুপম বিজয়ী"। www.banglanews24.com। ১৬ এপ্রিল ২০১৪। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "১৫৩ আসনে জয়ী যারা"। দৈনিক সমকাল। ৪ জানুয়ারি ২০১৪। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন" (PDF)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ২৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৮।
- "মনোনয়ন জমাদানের তালিকা"। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"। ভোট মনিটর নেটওয়ার্ক (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "বড় ভাইয়ের আসনে প্রার্থী হচ্ছেন কাদের সিদ্দিকী"। Bhorer Kagoj। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- "Bangladesh: Rebel MP's resignation will not affect party: Hasina" [বাংলাদেশ: বিদ্রোহী সাংসদের পদত্যাগ দলকে প্রভাবিত করবে না: হাসিনা]। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯।
- আখতার, মুহাম্মদ ইয়াহিয়া (২০০১)। Electoral Corruption in Bangladesh [বাংলাদেশে নির্বাচনী দুর্নীতি] (ইংরেজি ভাষায়)। আশগেট। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 0-7546-1628-2।
বহিঃসংযোগ
- সেফোস "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" (ইংরেজি)