কুড়িগ্রাম-২
কুড়িগ্রাম-২ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি কুড়িগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৬নং আসন।
কুড়িগ্রাম-২ | |
---|---|
জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচনী এলাকা | |
![]() | |
জেলা | কুড়িগ্রাম জেলা |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
নির্বাচকমণ্ডলী | ৪,৯৩,৩৩৬ (২০১৮)[1] |
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা | |
সৃষ্ট | ১৯৮৪ |
দল | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) |
বর্তমান সাংসদ | পনির উদ্দিন আহমেদ |
সীমানা
কুড়িগ্রাম-২ আসনটি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা, ফুলবাড়ি উপজেলা ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত।[2]
নির্বাচিত সাংসদ
নির্বাচন | সদস্য | দল | |
---|---|---|---|
১৯৮৬ | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | জাতীয় পার্টি[3] | |
১৯৮৮ | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | জাতীয় পার্টি[4] | |
১৯৯১ | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | জাতীয় পার্টি | |
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | মোঃ উমর ফারুক | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল | |
জুন ১৯৯৬ | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | জাতীয় পার্টি | |
২০০১ | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | |
২০০৮ | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) | |
২০০৯ উপ-নির্বাচন | জাফর আলী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
২০১৪ | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) | |
২০১৮ | পনির উদ্দিন আহমেদ | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) |
নির্বাচন
২০১০-এর দশকে নির্বাচন
বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[5]
২০০০-এর দশকে নির্বাচন
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তিনটি আসনে দাড়ান: রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-২ ও ঢাকা-১৭। সবগুলি আসনে জয়ী হবার পর, তিনি ঢাকা-১৭ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন; এর ফলে বাকী দুই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এপ্রিল ২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাফর আলী নির্বাচিত হন।[6]
Kurigram-2 by-election, 2009[7] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
আওয়ামী লীগ | জাফর আলী | ১৪০,৭৪৮ | ৬৫.৯ | প্র/না | ||
জাতীয় পার্টি (এ) | গোলাম হাবিব দুলাল | ৪৬,৬১৯ | ২১.৮ | -৫০.৯ | ||
ইসলামী আন্দোলন | মো: মুস্তাফিজুর রহমান | ১৩,৪৩৯ | ৬.৩ | -২.২ | ||
বিএনপি | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | ১২,৯১৫ | ৬.০ | -১২.২ | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৯৪,১২৯ | ৪৪.০ | -১০.৬ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ২১৩,৭২১ | ৬৪.৩ | -২২.৪ | |||
জাতীয় পার্টি (এ) থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে | ||||||
সাধারণ নির্বাচন ২০০৮: কুড়িগ্রাম-২[8][9] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
জাতীয় পার্টি (এ) | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ | ২০৯,৫০৫ | ৭২.৭ | প্র/না | ||
বিএনপি | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | ৫২,৩৭৪ | ১৮.২ | +১২.০ | ||
ইসলামী আন্দোলন | মো: মুস্তাফিজুর রহমান | ২৪,৩৭২ | ৮.৫ | প্র/না | ||
বাসদ | জাহেদুল হক মিলু | ৯৭১ | ০.৩ | প্র/না | ||
এলডিপি | সুলতান আহমেদ | ৬০৫ | ০.২ | প্র/না | ||
বিকল্পধারা | ভুদেব চক্রবর্তী | ২৫৯ | ০.১ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১৫৭,১৩১ | ৫৪.৬ | +৪৮.০ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ২৮৮,০৩২ | ৮৬.৭ | +১৩.৭ | |||
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে জাতীয় পার্টি (এ) অর্জন করে | ||||||
সাধারণ নির্বাচন ২০০১: কুড়িগ্রাম-২[10] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | ১২৩,৮৮৬ | ৪৯.৯ | প্র/না | ||
আওয়ামী লীগ | আমসা আমিন | ১০৭,৩৯৮ | ৪৩.৩ | +৫.১ | ||
বিএনপি | মো: লুৎফর রহমান | ১৫,৫০৮ | ৬.২ | -৪.৩ | ||
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-খালেকুজ্জামান) | জাহেদুল হক মিলু | ১,১২০ | ০.৫ | প্র/না | ||
স্বতন্ত্র | মো: মতিয়ার রহমান | ৩৬৩ | ০.১ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১৬,৪৮৮ | ৬.৬ | +১.৮ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ২৪৮,২৭৫ | ৭৩.০ | +০.৪ | |||
জাতীয় পার্টি (এ) থেকে ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অর্জন করে | ||||||
১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন
সাধারণ নির্বাচন জুন ১৯৯৬: কুড়িগ্রাম-২[10] | |||||
---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
জাতীয় পার্টি (এ) | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | ৮২,১৫৮ | ৪৩.০ | +০.৮ | |
আওয়ামী লীগ | জাফর আলী | ৭২,৯৬২ | ৩৮.২ | +৬.৬ | |
বিএনপি | একেএম মাইদুল ইসলাম | ২০,০১৯ | ১০.৫ | +৩.৯ | |
জামায়াতে ইসলামী | আ ন ম সোলেমান | ৭,৭১৯ | ৪.০ | -৫.৫ | |
ইসলামী ঐক্য জোট | মো: আব্দুল গনি | ৬,৬৭০ | ৩.৫ | +০.২ | |
জাকের পার্টি | মো: সিরাজুল ইসলাম | ৭৫১ | ০.৪ | -০.৫ | |
স্বতন্ত্র | এ এম এম সামসুদ্দিন মিয়া | ৩৫৩ | ০.২ | প্র/না | |
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (খালেকুজ্জামান) | জাহেদুল হক মিলু | ৩০৫ | ০.২ | -০.৩ | |
গণফোরাম | সানালাল বকসি | ১৭৩ | ০.১ | প্র/না | |
স্বতন্ত্র | ভুদেব চক্রবর্তী | ১২২ | ০.১ | প্র/না | |
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৯,১৯৬ | ৪.৮ | -৫.৮ | ||
ভোটার উপস্থিতি | ১৯১,২৩২ | ৭২.৬ | +২২.১ | ||
জাতীয় পার্টি (এ) নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে | |||||
সাধারণ নির্বাচন ১৯৯১: কুড়িগ্রাম-২[10] | |||||
---|---|---|---|---|---|
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
জাতীয় পার্টি (এ) | তাজুল ইসলাম চৌধুরী | ৫৯,০৪৯ | ৪২.২ | ||
আওয়ামী লীগ | জাফর আলী | ৪৪,১৮১ | ৩১.৬ | ||
জামায়াতে ইসলামী | মো: সুলাইমান আলী | ১৩,২৮৪ | ৯.৫ | ||
বিএনপি | মো: আব্দুস সালাম | ৯,১৭৬ | ৬.৬ | ||
ইসলামী ঐক্য জোট | মো: জাকারিয়া | ৪,৬৪৬ | ৩.৩ | ||
জাসদ | মো: আনসার আলী | ৩,০০০ | ২.১ | ||
বাংলাদেশ জনতা পার্টি | এ কে এম সামসুদ্দোহা | ২,৭২০ | ১.৯ | ||
জাকের পার্টি | মো: কেরাম আলী | ১,২৫৮ | ০.৯ | ||
স্বতন্ত্র | গোলাম মোর্শেদ | ৭৪১ | ০.৫ | ||
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (খালেকুজ্জামান) | শুধাংশু চক্রবর্তী | ৭২২ | ০.৫ | ||
জেএসডি | মোত্লেবর রহমান | ৪৩১ | ০.৩ | ||
কমিউনিস্ট পার্টি | হারুন অর রশিদ লাল | ৪১৬ | ০.৩ | ||
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মাতিন) | সৈয়দা গুলরুখ মহল সিরাজি | ১৩৮ | ০.১ | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১৪,৮৬৮ | ১০.৬ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১৩৯,৭৬২ | ৫০.৫ | |||
জাতীয় পার্টি (এ) নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে | |||||
তথ্যসূত্র
- এমরান হোসাইন শেখ (১০ অক্টোবর ২০১৮)। "কোন আসনে কত ভোটার"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (PDF)। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫।
- "৩য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (PDF)। বাংলাদেশ সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "৪র্থ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (PDF)। বাংলাদেশ সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "১৫৩ আসনে জয়ী যারা"। দৈনিক সমকাল। ৪ জানুয়ারি ২০১৪। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "কুড়িগ্রামের সংসদীয় ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভোটের মাঠে"। দৈনিক সকালের কাগজ। সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- পরিসংখ্যান প্রতিবেদন ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন [Statistics Report 9th Parliament Election] (PDF)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পৃষ্ঠা 323।
- "৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন" (PDF)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ২৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৮।
- "মনোনয়ন জমাদানের তালিকা"। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"। ভোট মনিটর নেটওয়ার্ক (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
- সেফোস "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" (ইংরেজি)
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.