ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি ধর্ম-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল। ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামেই নিবন্ধিত দলটি। এর নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা। এই দলটির বর্তমান প্রধান হচ্ছেন সৈয়দ রেজাউল করীম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ | |
---|---|
![]() | |
নেতা | রেজাউল করীম |
প্রতিষ্ঠাতা | ফজলুল করীম |
স্লোগান | "শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই" |
প্রতিষ্ঠা | ১৩ মার্চ ১৯৮৭ |
সদর দপ্তর |
|
ছাত্র শাখা | ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন |
যুব শাখা | ইসলামী যুব আন্দোলন |
মতাদর্শ | ইসলামী রাজনীতি |
রাজনৈতিক অবস্থান | ডানপন্থী |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয় সংসদের আসন | ০ / ৩০০
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
![]() | |
ওয়েবসাইট | |
www |
![]() |
---|
এই নিবন্ধটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার ধারাবাহিকের অংশ |
নির্বাহী বিভাগ |
রাজনৈতিক দল |
বৈদেশিক সম্পর্ক |
|
ইতিহাস
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৮৭ সালে ১৩ মার্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।[1][2] সর্বপ্রথম এই সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে আত্মপ্রকাশ করে। তৎকালীন সময়ে সংগঠনটি আমির নির্বাচিত হন মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিষ্টার কোরবান আলী।
বর্তমানে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে আছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এবং যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনে এটি ৩৪ নম্বর নিবন্ধনভুক্ত দল।[3] বাগেরহাট, খুলনা ও বরিশালে তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।[4]
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- উদ্দেশ্য: দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন।
- লক্ষ্য: প্রচলিত জাহেলী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খেলাফতে রাশেদা নমুনায় বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা।[1]
সাংগঠনিক কাঠামো
কেন্দ্রীয় কাঠামোঃ
- ক. একজন আমীর
- খ. মজলিসে সাদারাত (প্রেসিডিয়াম)
- গ. মজলিসে শুরা (পরামর্শ পরিষদ)
- ঘ. মজলিসে আমেলা (কার্যনির্বাহী পরিষদ)[1]
নির্বাচন
১৯৯১ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের হয়ে মিনার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল দলটি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সর্বমোট ১১ হাজার ১৫৯টি ভোট পায় দলটি। ২০০১ সালে জোট বেঁধে জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২৩টি আসনে নির্বাচন করে । ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬৬ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৯টি ভোট পায় যা ছিল মোট ভোটের ১.০৫%।[3][4][5]
একাদশ জাতীয় নির্বাচন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের সর্বোচ্চ মনোনয়ন দেওয়া দল হিসেবে বিবেচিত হয়। দলটি ৩০০ টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে। একটি মাত্র আসনে আইনি জটিলতার কারনে তাদের একজন প্রার্থী’র মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।[6]
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন
২০১৫ সালে ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের হিসাবে তারা তৃতীয় অবস্থানে ছিল। ২০১৬ সালের নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তারা তৃতীয় অবস্থানে ছিল। ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তৃতীয় এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা চতুর্থ হয়। এছাড়া একই বছর রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ দিয়ে তিন সিটিতে নির্বাচন বর্জন করেছিল তারা। [3][4]
সহযোগী সংগঠন
- ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন
- ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন
- ইসলামী যুব আন্দোলন
- ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
- উলামা মাশায়েখ পরিষদ
- ইসলামী আইনজীবি পরিষদ
- জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
- ইসলামী সাংস্কৃতিক জোট
কর্মকান্ড
হজ ও মুহম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় আবদুল লতিফের শাস্তি দাবি করে তারা[7]। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল পল্টনে দলের কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক মতবিনিময় সভায় গ্রীক মূর্তির সাথে সাথে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহারও অপসারণের দাবি জানানো হয়।[8]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পরিচিতি"। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮।
- "তিন সিটির ভোটযুদ্ধেও থাকবে ইসলামী আন্দোলন"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮।
- "একা হাঁটছে ইসলামী আন্দোলন"। পরিবর্তন.কম। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮।
- "Islami Andolon Bangladesh: Who are they and what do they stand for?"। dhakatribune.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮।
- "সংসদ নির্বাচন ২০১৮: ইসলামপন্থী দলগুলো কে কোথায় নির্বাচন করছে"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮।
- "আমরা বর্তমানে দেশের ৩ নম্বর দল: চরমোনাই পীর"। যুগান্তর। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "Islamist party demands punishment for Latif Siddique"। bdnews24। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮।
- "প্রধান বিচারপতিরও অপসারণ হবে: চরমোনাই পীর"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৬ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮।