বিভাগীয় কমিশনার

বিভাগীয় কমিশনার বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদাধিকারী। বিভাগের প্রধান প্রশাসনিক ও রাজস্ব কর্মকর্তা। তিনি তার অধীনস্থ বিভাগের সকল বিভাগীয় অফিসের সমন্বয় সাধন করেন। বিভাগীয় কমিশনারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তার অধীনস্থ বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকদের রাজস্ব, উন্নয়ন ও প্রশাসন সংক্রান্ত কাজের তদারকি করা।

ইতিহাস

বিভাগীয় কমিশনার পদটি সৃষ্টি হয় ১৮২৯ সালে। ঐ সময় অনুভূত হয় যে, বিভাগীয় রাজস্ব প্রশাসনে কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই। এছাড়া বিচারব্যবস্থা ও রাজস্ব পদ্ধতির কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং তত্ত্বাবধানেরও অভাব পরিলক্ষিত হয়। এরকম পরিস্থিতি থেকেই পরবর্তীকালে রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে তার পরিবর্তে কমিশনারের পদ সৃষ্টি করা হয়।[1]

নিয়োগ

মাঠ প্রশাসনে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন সিনিয়র যুগ্মসচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রদান করা হয়।

সাধারণ দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • বিভাগাধীন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কার্যক্রম তদারকি ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান, পরিদর্শন, বদলি এবং পদায়ন করা
  • বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতি মাসে টাস্ক ফোর্স সভা, বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা সভা, বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলন, বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভা এবং ত্রৈমাসিকভাবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী গণের সভায় সভাপতিত্ব করা
  • রাজস্ব মামলা, নামজারি মামলার আপিলেট কর্তৃপক্ষ হিসেবে এ সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি করা
  • তিনি পদাধিকার বলে বিভাগীয় নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতি। এ বোর্ড তার কার্যালয়, ডিআইজি’র কার্যালয়, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, বিভাগাধীন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তৃতীয় এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন।[2]
  • পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) ১৮৬১ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.