রংপুর সিটি কর্পোরেশন
রংপুর সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের রংপুরের স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং দেশের দশম সিটি করপোরেশন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর তারিখে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) বিল, ২০০৯-এর মাধ্যমে রংপুর পৌরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | এক কক্ষ |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৮ জুন ২০১২ |
নেতৃত্ব | |
মেয়র | মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টি |
নির্বাচন | |
ভোটদান ব্যবস্থা | এফপিটিপি |
সর্বশেষ নির্বাচন | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭[1] |
ওয়েবসাইট | |
www |
ইতিহাস
১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ মে ৫০.৫৬ বর্গকিলোমিটারের রংপুর পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন রংপুরের তৎকালীন কালেক্টর ই জি গ্লোজিয়ার। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে ডিমলার জমিদার রাজা জানকীবল্লভ সেন রংপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও অ্যাডভোকেট মাহাতাব উদ্দিন খান, মোহাম্মদ আফজাল, মুক্তিযোদ্ধা অপিল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এমপি শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, কাজী মো. জুননুন পর্যায়ক্রমে একাধিকবার এ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবশেষ পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন একেএম আব্দুর রউফ মানিক।
১৮৯২ সালে জমিদারের দানকৃত বাগানবাড়ির জমিতে গড়ে তোলা হয় রংপুর পৌর ভবন। ১৯৮৬ সালে রংপুর পৌরসভাকে 'ক' শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। এ পৌরসভাকে তখন ৫০ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারিত করা হয়েছিল।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ লেনের রাস্তার কাজ হয় রংপুরের প্রবেশদ্বার মডার্নমোড় থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত মহাসড়ক এবং সাথে সাথে মেইন শহরের রাস্তাকেও ৪ লেনে উন্নীত করেন শরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু।
প্রশাসনিক তথ্যাদি
রংপুর সিটি করপোরেশনের আয়তন ২০৩.৬৩ বর্গকিলোমিটার। এই আয়তনের মধ্যে রংপুর সদরের ১০টি, কাউনিয়া সারাই ও পীরগাছার কল্যাণীসহ ১২টি ইউনিয়ন মিলে ১১২টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পূর্ণাঙ্গ ও ৫টি আংশিক রয়েছে। তবে ক্যান্টনমেন্টকে সিটি করপোরেশনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩ টি। রংপুর সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হয় ২০ ডিসেম্বর, ২০১২ সালে।