লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদ

লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদ বা লালদিঘি মসজিদ রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।[1] মসজিদটি বদরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘি নামক স্থানে অবস্থিত বলে একে স্থানের নামেই নামকরণ করা হয়েছে।

লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদ
লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদ
স্থানীয় নাম
ইংরেজি: লালদিঘি মসজিদ
লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদ প্রবেশ পথ
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানবদরগঞ্জ উপজেলা
অঞ্চলরংপুর জেলা
পরিচালকবর্গবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-F-55-9

ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনামলে সর্বপ্রথম মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে স্থানটিকে পরিষ্কার করে ও মসজিদটি সংস্কার করে সেটি স্থানীয়রা ব্যবহার করতে শুরু করে। মসজিদটি আবিষ্কারের সময় সেখানে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি বলে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায় না। তবে কিংবদন্তী অনুসারে জনৈক দিলওয়ার খান মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে মসজিদটির মূল দরজার উপরের অংশে একটি দাগ দেখে ধারণা করা হয় সেখানে খুব সম্ভবত মসজিদটির নাম ও নির্মাণফলক বসানো ছিলো যদিও সেটি পাওয়া যায়নি।

লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদের ভিতরের সৌন্দর্য

অবকাঠামো

লালদিঘি মসজিদটি পুরুটাই একটি বেদীর উপর বসানো। বেদী বা মঞ্চটির উচ্চতা ১ মিটার। এক মিটার বেদীর অর্ধেকটা জুড়ে রয়েছে মসজিদ ও বাকী অর্ধাংশ আযান দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হত বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। মসজিদটির সামনে রয়েছে বড় একটি প্রবেশপথ। মসজিদের অংশে থেকে বেদীর অপর অংশে পৌছানোর জন্য রয়েছে একটি সিঁড়ি। মসজিদটি তৈরির সময় এতে ইট ও চুনসুড়কি ব্যবহার করা হয়েছে। কাছেই রয়েছে ছোট একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর।

মসজিদটিতে মোট নয়টি গম্বুজ রয়েছে যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৯.৪৫ মিটার। মসজিদটির উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দেওয়া মোট তিনটি করে ৯টি প্রবেশ পথ রয়েছে। প্রত্যেক দেওয়ালের মাঝের প্রবেশপথটি অপর দুটি থেকে কিছুটা বড় আকৃতির। মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব যারমধ্যে কেন্দ্রীয় মেহরাবটি অপর দুটির চেয়ে বড় আকৃতির।

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.