চোর চক্রবর্তীর ঢিবি

চোর চক্রবর্তীর ঢিবি বা চোর চক্রবর্তীর দুর্গ বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন মাটির দুর্গ। এটি মূলত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন দুর্গ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা[1] ১৯৬৮ সালে উৎখননের কাজ শুরু হয়।

চোর চক্রবর্তীর ঢিবি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলারংপুর জেলা
অবস্থান
অবস্থানবিরামপুর উপজেলা
রাজ্যরংপুর বিভাগ

স্থান

চরকাই রেলক্রসিং অতিক্রম করে এক কিলোমিটার পুবে যেতে হয়। রাস্তার দুপাশে আছে শালবন, ছোট বড় অনেক জলাশয়।

বিবরণ

এই স্থাপনাটি রাস্তা থেকে এক মিটার উঁচু। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই ঢীবির আয়তন প্রায় ১০৫মি.× ৯০ মি.। ঢিবির দক্ষিণ দিক ঘেঁষে পরিখা আছে। পুর্ব-পশ্চিমের পরিখার আয়তন প্রায় ১৩৬ মি. × ১২ মি। পশ্চিমের পরিখার আয়তন ১৫০ মি. × ২১ মি.। উত্তর দিকে দুই বিঘা জমির উপর একটি প্রাচীন পুকুর আছে। এর আশে পাশে অনেক পরিখা খনন করা হয়েছে। পাশে জনবসতি গড়ে ওঠেছে।

ইতিহাস

কিংবদন্তী অনুসারে, এক ব্রাহ্মণ, চুরি বিদ্যায় পারদর্শি তার ছেলেকে চুরি থেকে বিরত রাখতে ছেলেকে একটি পাত্রে ছাই ও মুদ্রা দিয়ে পরীক্ষা নিয়েছিল। শর্ত ছিল, মুখে ছাই না লাগিয়ে মুদ্রাটি বের করে আনতে হবে। ব্রাক্ষণের ছেলে এটাতে জিতে যায় ও চুরি অব্যহত রাখে। চুরির টাকা থেকে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে। একবার মগধের রাজ্যে চুরি করতে গিয়ে সৈন্যদের তাড়া খেয়ে নিজের প্রাসাদে ঢুকে তোরণ লাগিয়ে দেয়। সৈন্যরা চোর কই বলে চিৎকার করতে থাকে। তখন থেকে চরকাই নাম হয়।[2]

আরো পড়ুন

তথ্যসূত্র

  1. "প্রত্নস্হলের তালিকা"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। www.archaeology.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
  2. আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া লেখক; ঝিনুক প্রকাশনী; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ২০১০; পৃষ্ঠা- ৮৫-৮৮, ISBN 984- 70112-0112-0
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.