রংপুর এক্সপ্রেস
রংপুর এক্সপ্রেস হল বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন, যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের রাজধানী রংপুরের মধ্যে চলাচল করে। এ ট্রেনটি ২০১১ সালে চালু হয়। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি। ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ রবিবার চলাচল করে না।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
শেষ | রংপুর রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৪০৫ কিলোমিটার (২৫২ মাইল)[1] |
যাত্রার গড় সময় | ১০ ঘণ্টা |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭৭১ / ৭৭২ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি, নন-এসি, শোভন, সুলভ |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | ১১ |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ mm (3 ft 3 3⁄8 in) |
ইতিহাস
২০১১ সালের ২০ মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন রংপুর সফরকালে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে একটি নতুন ট্রেন চালু প্রতিশ্রুতি দেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক ২১ আগস্ট ২০১১ সালে রংপুর এক্সপ্রেস চালু হয়।[2] ২০১৯ সালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী একইসাথে লালমনি এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের পুরাতন বগি বাদ দিয়ে নতুন বগি সংযোজনের উদ্বোধন করেন।[3]
রুট ও বিরতিস্থান
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৭১ ০৯:০০ এ ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রওনা করে ১৯:০০ এ রংপুর পৌঁছায়। ট্রেন নং ৭৭২ ২০:০০ এ রংপুর থেকে কমলাপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা করে ভোর ০৬:০৫ এ ঢাকায় পৌঁছে। স্টপেজ সমূহ :-
- রংপুর
- কাউনিয়া
- পীরগাছা
- বামনডাংগা
- নলডাঙ্গা
- গাইবান্ধা
- বোনারপাড়া
- সোনাতলা
- বগুড়া
- সান্তাহার জংশন
- নাটোর
- চাটমোহর
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, সেতু পশ্চিম
- বিমানবন্দর
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
তথ্যসূত্র
- "ঢাকা-রংপুর রেলপথে ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে"। www.dailyinqilab.com। দৈনিক ইনকিলাব। ১৪ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭।
- "'রংপুর এক্সপ্রেস' চালু হচ্ছে আজ"। prothom-alo.com। প্রথম আলো। ২১ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭।
- "রেলকে লাভজনক করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯।