লালমনি এক্সপ্রেস

লালমনি এক্সপ্রেস হল বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন, যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট জেলার মধ্যে চলাচল করে। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ট্রেনগুলোর একটি। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে লালমনির এক্সপ্রেস জনপ্রিয় ট্রেনগুলির একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। ট্রেনটি লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, নাটোরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরকে ঢাকার সাথে সংযুক্ত করে। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণের ট্রেনগুলির মধ্যে একটি।

লালমনি এক্সপ্রেস
সান্তাহার রেল স্টেশনে লালমনি এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনআন্তঃনগর ট্রেন
অবস্থাপরিচালনা হয়
স্থানবাংলাদেশ
প্রথম পরিষেবা মার্চ ২০০৪ (2004-03-07)
বর্তমান পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
ওয়েবসাইটhttp://www.railway.gov.bd/
যাত্রাপথ
শুরুকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি১৬
শেষলালমিরহাট রেলওয়ে স্টেশন
ভ্রমণ দূরত্ব৪০৫ কিলোমিটার (২৫২ মাইল)[1]
যাত্রার গড় সময়১০ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
পরিষেবার হারসপ্তাহে ৬ দিন
রেল নং৭৫১/৭৫২
যাত্রাপথের সেবা
শ্রেণীএসি, নন-এসি, শোভন, সুলভ
আসন বিন্যাসহ্যাঁ
ঘুমানোর ব্যবস্থাহ্যাঁ
খাদ্য সুবিধাহ্যাঁ
কারিগরি
গাড়িসম্ভার
  • এক ১৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিক
  • তিন চেয়ারের কামরা
  • চার ইকোনমির কামরা
  • এক এসি কেবিন কামরা
  • একটি এসিহীন কেবিন কামরা
  • এক জেনারেটর গাড়ী
  • একটি খাবার গাড়ি
  • দুইটি গার্ড ব্রেক

ইতিহাস

লালমোনি এক্সপ্রেস ৭ মার্চ ২০০৪ সালে চালু হয়। যাওয়ার জন্য এই ট্রেনের বরাদ্দকৃত নম্বর ৭৫১ ও আসার জন্য ৭৫২। এটিকে লালমনিরহাট ও ঢাকার মধ্যকার আন্তঃ-নগর ট্রেন হিসাবে এটি চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে অন্যান্য শহরগুলিতেও থামে। যাত্রী চাহিদার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগ এই ট্রেনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।এই ট্রেন মিটারগেজ লাইনে চলমান একটি দ্রুতগামী আন্তঃনগর ট্রেন এবং লাল-সবুজ আধুনিক পিটি ইনকা নির্মিত ১৪টি বগী নিয়ে ঢাকা-লালমনিরহাট জেলার মধ্য এখন চলাচল করে।বর্তমানে আধুনিক ট্রেনগুলোর মধ্য একটি লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি

বাহন

বর্তমানে ট্রেনটিতে ১৪টি ভ্যাকুয়াম ব্রেকযুক্ত কোচ রয়েছে। বিপুল যাত্রী চাহিদা সত্ত্বেও, ট্রেন চালু হবার পরে থেকে ট্রেনটিতে নতুন কোন কোচ যুক্ত হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়ে বাতাসযুক্ত ব্রেক ব্যবস্থা চালু করে নিকটবর্তী ভবিষ্যতে কোচগুলি হালনাগাদ করার কথা ভাবছে। ২০১৯ সালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী একইসাথে লালমনি এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের পুরাতন বগি বাদ দিয়ে নতুন বগি সংযোজনের উদ্বোধন করেন।[2]

লোকমোটিভ

লালমনি এক্সপ্রেস সাধারণত বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্লাস ২৯০০ ইঞ্জিনটি দ্বারা চালানো হয়। এই ট্রেনটি ভ্যাকুয়াম ব্রেক লোকোমোটিভ দিয়েও চালানো যায়।

যাত্রাপথ ও বিরতি স্থল

এটি প্রতিদিন সকাল ৯টা ৪০মিনিটে লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, পৌছে রাত ৯টা ০৫মিনিটে ও ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি আবার রাত ১০টা ১০মিনিটে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে সকাল ৮টা ২০মিনিটে লালমনিরহাট স্টেশনে পৌছে।

  • কাউনিয়া
  • পীরগাছা
  • বামনডাঙ্গা
  • গাইবান্ধা
  • বোনারপাড়া
  • সোনাতলা
  • বগুড়া
  • সান্তাহার
  • নাটোর
  • আজিম নগর
  • ঈশ্বরদী বাইপাস
  • বড়াল সেতু
  • উল্লাপাড়া
  • শহীদ এম মনসুর আলী
  • বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম
  • বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব
  • টাঙ্গাইল
  • জয়দেবপুর
  • ঢাকা বিমানবন্দর
  • কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন,ঢাকা

তথ্যসূত্র

  1. "ঢাকা-রংপুর রেলপথে ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে"www.dailyinqilab.com। দৈনিক ইনকিলাব। ১৪ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭
  2. "রেলকে লাভজনক করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.