কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ( বর্তমানে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। কমলাপুর স্টেশন ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। এটি ঢাকার সাথে বাংলাদেশের অন্য জায়গার মধ্যে যোগাযোগের জন্য খুব গুরুত্বপুর্ন টার্মিনাল। এছাড়া এটি অত্যাধুনিক ভবন যার নকশা করেছেন মার্কিন স্থপতি রবার্ট বাউগি। রেলওয়ে স্টেশনটি মতিঝিলের উত্তর–পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে এবং চালু হয় ১৯৬৯ সালে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন | |
![]() কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন | |
অবস্থান | ঢাকা![]() |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′৫৫″ উত্তর ৯০°২৫′৩৪″ পূর্ব |
লাইন (সমূহ) | নারায়ণগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ ঘাট লাইন |
প্ল্যাটফর্ম | ৮ |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরণ | মানক |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ইতিহাস | |
চালু | জানুয়ারি, ১৯৬৯ |
অবস্থান | |
ইতিহাস

ভারত ভাগের পূর্বে ফুলবাড়ীয়ায় একটি মাত্র রেলওয়ে স্টেশন ছিল। বাংলা বিভক্তীকরণের পর ঢাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহরে রূপান্তরিত হয়। তাই ১৯৬০ এর দশকে ফুলবাড়িয়া, ঢাকার একমাত্র রেলস্টেশনের সম্প্রসারনের উদ্দেশ্যে কমলাপুর রেলস্টেশন স্থাপনা গড়ে তোলে । সদ্যপ্রতিষ্ঠিত বুয়েটের আমেরিকান শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে এই সম্প্রসারন সাধিত হয়।[1]
অবস্থান

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনটি মতিঝিলের কাছে দক্ষিণ কমলাপুরে অবস্থিত। কমলাপুর স্টেশন একটি বিশাল অঞ্চল নিয়ে অবস্থিত। কমলাপুর তিন রাস্তার মাথার দক্ষিণ দিকে হাতের বাম পাশে অবস্থিত।[2]
বর্তমান অবস্থা

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দৈনিক ৫০টি ট্রেন বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। দিন রাত সব সবসময় এখানে মানুষের যাতায়াত থাকে। যাত্রীদের সেবাদানের জন্য কমলাপুর স্টেশনে শতাধিক এবং বিভিন্ন বিভাগে বহুসংখ্যক কর্মচারি কর্মরত। এরপরও নানা সমস্যায় জর্জরিত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। যাত্রী বেড়েছে বহুগুণ। কমলাপুর স্টেশনের প্লাটফর্ম এর দৈর্ঘ্য ৯১৮.৪ মিটার।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এর বর্তমান জায়গাটি ছিল বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। লোকজনের বসবাস ছিল না। নিচু জমি ভরাট করে মানুষ গড়ে তুলতে থাকে বসতি। পূর্ব দিকের মানুষ মতিঝিল আসা-যাওয়া করে এ রেল লাইনের ওপর দিয়ে। রেল রাস্তা পারাপারের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রেল লাইনের ওপর গড়ে তোলা হয় ওভারব্রিজ। বাংলাদেশের এটাই সর্ববৃহৎ রেল ওভারব্রিজ। তবে সেই ওভারব্রিজের সৌন্দর্য আর নেই। বর্তমানে বর্ধিত আকারে রিমডেলিংয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার কাজ চলছে।[3]
তথ্যসূত্র
- "কমলাপুর রেলস্টেশন স্থানান্তর করা হলে যানজট বৃদ্ধি পাবে"। মে ১০, ২০১৪। ৯ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৬।
- "কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন"। জুলাই ২২, ২০১৫। মার্চ ২৬, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৩, ২০১৬।
- "কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন (ঢাকা)"। জুলাই ২২, ২০১৫।