সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় অবস্থিত একটি জংশন স্টেশন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। এ জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী এবং আন্তঃনগর, মেইল, সাধারণ মেইল, মালামাল গাড়িসহ প্রায় ৩০টি ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে।

সান্তাহার
বাংলাদেশ রেলওয়ের জংশন স্টেশন
অবস্থানসান্তাহার, আদমদীঘি, বগুড়া
 বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪°৪৮′২৬″ উত্তর ৮৮°৫৯′১০″ পূর্ব
মালিকানাধীনবাংলাদেশ রেলওয়ে
লাইন (সমূহ)চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন, সান্তাহার-কাউনিয়া লাইন
প্ল্যাটফর্ম
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
ইতিহাস
চালু১৮৭৮
অবস্থান

অবিভক্ত ভারতের উত্তরবঙ্গ ও আসাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে সান্তাহারকে সংযুক্ত করে পূর্বদিকে বগুড়া হয়ে দিনাজপুর, রংপুরলালমনিরহাটে যাওয়ার জন্য আগের রেললাইনের (ব্রডগেজ) সাথে আরও একটি রেললাইন (মিটারগেজ) নির্মিত হলে ‘সান্তাহার স্টেশন’ সান্তাহার জংশন স্টেশনে পরিণত হয়।[1]

ইতিহাস

১৮৭৮ সাল থেকে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে রেলপথে যাওয়ার জন্য দুইবার পথ ভাঙতে হত। প্রথমবার পূর্ববাংলার রাজ্য রেলপথ ধরে কলকাতা স্টেশন (পরবর্তীতে শিয়ালদহ নামে নামকরণ করা হয়) থেকে যাত্রা শুরু করে পদ্মা নদীর দক্ষিণ তীরের দামুকদিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৮৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হত, তারপর ফেরিতে করে নদীর পার হয়ে ভ্রমণ যাত্রার দ্বিতীয়টি শুরু হত। তখন উত্তরবঙ্গ রেলপথের ৩৩৬ কিলোমিটার মিটার গেজ লাইনটি পদ্মার উত্তর তীরের সারাঘাটকে শিলিগুড়ির সাথে সংযুক্ত করেছিল।[2] সেই সময় সান্তাহার রেল স্টেশন হিসেবে চালু হয়।

১৮৯৯-১৯০০ সালে, ব্রহ্মপুত্র-সুলতানপুর রেলওয়ে কোম্পানী যমুনার পশ্চিম তীরে সান্তাহার ও ফুলছড়ির মধ্যে একটি মিটার গেজ রেলপথ তৈরি করে।[3]

কলকাতা-শিলিগুড়ি মূল লাইনটি পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি নির্মাণাধীন অবস্থায়, শাকোল-সান্তাহার বিভাগটিকে ১৯১০-১৯১৪ সালের মধ্যে রূপান্তরিত করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১৯১৫ সালে চালু হয় এবং সান্তাহার-পার্বতীপুর বিভাগটিকে ১৯২৪ সালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়।[3]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "সমস্যা জর্জরিত সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন"ittefaq.com.bd
  2. "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri"আইআরএফসিএ। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯
  3. "Brief History"। বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.