রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) (English: Rangpur Metropolitan Police) হল বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিভাগ, যারা রংপুর মহানগরীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব পালন করে থাকে। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে এর যাত্রা শুরু হয়।[1]

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
সংক্ষেপণআরপিএমপি
Logo of the রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ.
সংস্থা পরিদর্শন
গঠিতসেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আইনি ব্যক্তিত্ববেসরকারি: সরকারি সংস্থা
অধিকারভুক্ত অঞ্চলের কাঠামো
অভিযানের অধিক্ষেত্র*শহর of রংপুর in the মেট্রোপলিটন অঞ্চল of রংপুর, বাংলাদেশ
আকার২৩৯.৭২ বর্গ কিলোমিটার
উপকরণের গঠনরংপুর মহানগর পুলিশ বিল-২০১৮
সাধারণ প্রকৃতি
  • আইন কার্যকরীকরণ
  • স্থানীয় বেসামরিক পুলিশ
অপারেশনাল কাঠামো
প্রধান কার্যালয়রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর,ধাপ, রংপুর (অস্থায়ী কার্যালয়)।
সংস্থা কার্যকরীমোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, পুলিশ কমিশনার
উর্ধ্বস্থ সংস্থাবাংলাদেশ পুলিশ
ওয়েবসাইট
https://www.rpmp.gov.bd
পাদটীকা
* বিভাগীয় সংস্থা: Division of the country, over which the agency has usual operational jurisdiction.

ইতিহাস

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে রংপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১২ সালের ২৮ জুলাই রংপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করা হয়। তখন থেকেই রংপুরের জন্য আলাদা মহানগর পুলিশ সংস্থা তৈরীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর আরপিএমপি আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রংপুর মহানগর পুলিশ বিল-২০১৮ উত্থাপন করেন এবং তা কণ্ঠভোটে পাশ হয়। সবশেষে ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মহানগর পুলিশের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন।[1]

আয়তন ও অবকাঠামো

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ২০৩ বর্গ কিলোমিটার হলেও ২৩৯.৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আরপিএমপি’র কার্যক্রম শুরু করা হয়। মূলত মাহিগঞ্জ থানা ও হারাগাছ থানার অধীনে বেশ কিক্সহু ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রংপুরের বুড়িহাট রোডে প্রায় তিন একর জমির ওপর তিন তলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে আরপিএমপি পুলিশ লাইন্স চালু করা হয়েছে। এছাড়া ধাপ ফাঁড়ির জন্য নির্মিত দোতলা ভবনে কমিশনার ও দুইজন উপ-কমিশনারের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।[2]

থানা

রংপুর মহানগর পুলিশ ৬টি থানা নিয়ে গঠিত।[3]

কোতয়ালি থানা

কোতয়ালি থানা নিম্নোক্ত এলাকা নিয়ে গঠিতঃ কেল্লাবন্দ (আংশিক), ভগি (আংশিক), নিশবেতগঞ্জ, ধাপ, চিকলীভাটা, রাঁধাবল্লভ, কাচারী বাজার, ইঞ্জিনিয়ার পাড়া, সেনপাড়া, গুপ্তপাড়া, শালবন, জুম্মাপাড়া, কামালকাছনা, বাহারকাছনা, নুরপুর, তেঁতুলতলা, চামড়াপট্টি, আলমনগর, বাবুপাড়া (আংশিক), বাবুখাঁ, গনেশপুর দোলাপাড়া, কলেজপাড়া (আংশিক), সাতগাড়া, পীরজাবাদ, রামপুরা, ভগিবালাপাড়া, মুন্সিপাড়া, কেরানীপাড়া, গুড়াতিপাড়া, মুলাটোল, ইসলামপুর, নীলকন্ঠ, পান্ডারদিঘী (আংশিক), রবার্টসন্সগঞ্জ, দেওডোবা (আংশিক), বিনোদপুর (আংশিক), রংপুর সদরের চন্দনপাট ইউনিয়ন, সদ্য পুষ্করণী ইউনিয়ন ও বদরগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়ন।[3]

পরশুরাম থানা

পরশুরাম থানা নিম্নোক্ত এলাকা নিয়ে গঠিতঃ কুবারু, চব্বিশ হাজারী, পান্ডারদিঘী (আংশিক), হারাটি, খটখটিয়া, কায়দাহারা, আরাজি পশুয়ারী, আমাশু কুকরুল, কুকরুল, বালাকুয়ার, বিনোদ জলছত্র, পরশুরাম, আটিয়াটারী, নওহাটি কাছনা, বাহার কাছনা ও চওরারহাট।[3]

তাজহাট থানা

তাজহাট থানা নিম্নোক্ত এলাকা নিয়ে গঠিতঃ কেডিসি রোড, খেরবাড়ি, বাবুপাড়া (আংশিক), তাজহাট, পাটবাড়ি, আশরতপুর, পার্কের মোড়, লালবাগ, বড় রংপুর, তালুক ধর্মদাস, তালুক তামপাট, নগরমীরগঞ্জ, খোর্দ্দ তামপাট, খোর্দ্দ রংপুর, কলেজপাড়া, দর্শনা, ঘাঘটপাড়া, আক্কেলপুর, বিনোদপুর (আংশিক), মানজাই, কিসামত বিষু, নাজিরদিঘর, পানবাড়ি, আরাজি দাস, শেখপাড়া, মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়ন ও রানীপুকুর ইউনিয়ন।[3]

মাহিগঞ্জ থানা

মাহিগঞ্জ থানা নিম্নোক্ত এলাকা নিয়ে গঠিতঃ মাহিগঞ্জ, ধুমখাটিয়া, ডিমলা, নাছনিয়া, দহিগঞ্জ, বীরভদ্র বালাটারী, দেওয়ানটুলি, দেওয়ানটুলি ফতেপুর, সাতমাথা, আরাজি মন খামার, মহিন্দ্রা, তালুকবকশি, রাজুখাঁ, আজিজুল্লাহ, হোসেন নগর, তালুক রঘু, মেকুরা, নব্দিগঞ্জ, পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়ন ও পারুল ইউনিয়ন।[3]

হারাগাছ থানা

হারাগাছ থানা নিম্নোক্ত এলাকা নিয়ে গঠিতঃ বেনুঘাট, জমচড়া, গুলালবুদাই, বুদাই, কার্তিক, চানকুঠি, চব্বিশ হাজারী (আংশিক), আরাজি গুলালবুদাই, তপোধন, মহব্বতখাঁ, চিলমন, বধুকমলা, সাহেবগঞ্জ, কাছনা, বীরচরণ, মহাদেব, রামগোবিন্দ (আংশিক), কাউনিয়ার সারাই ইউনিয়ন ও হারাগাছ পৌরসভা।[3]

হাজীরহাট থানা

হাজীরহাট থানা নিম্নোক্ত এলাকা নিয়ে গঠিতঃ মৌলভী পাড়া, হাজীরহাট, কুঠিয়াল পাড়া, বারঘরিয়া, হরিরাম পিরোজ, মনোহর, অভিরাম, শেখটারী, গোয়ালু, নিয়ামত (আংশিক), পান্ডারদিঘী (আংশিক), উত্তম রনচন্ডি (পাগলাপীর), চক ইসবপুর, নজিরের হাট, কামদেবপুর, পঞ্চিম, গিলাবাড়ি, পূর্ভ গিলাবাড়ি, জগদিশপুর, বকতিয়ারপুর, বিন্নাটারী, কেরানীরহাট, ভবানীপুর, রাধাকৃষ্ণ পুর গোপিনাথপুর (আংশিক), রংপুর সদরের হরিদেবপুর ইউনিয়ন, মমিনপুর ইউণিয়ন ও গঙ্গাচড়ার খলেয়া ইউনয়ন।[3]

জনবল

রংপুর মহানগর পুলিশে একজন কমিশনার, একজন অতিরিক্ত কমিশনার, দুইজন উপকমিশনার, ছয় জন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার, বারো জন সহকারী কমিশনার, ২০ জন ইস্পেক্টর, ১২০ জন এসআই ও ৭৫০ জন কনস্টেবলসহ ১১৮৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। আরএমপির নিজস্ব ৪৭ টি যানবাহন দিয়ে গোটা এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড চলবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা ১২৩ এ নেওয়া হবে।[4]

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.