বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রধান প্রতিষ্ঠান। আইনসভায় প্রণীত আইনের আলোকে মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে এবং সম্পাদিত কার্যাবলীর জন্য সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংসদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে অনিয়ন্ত্রণীয় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা ন্যস্ত করেছে বলে সমালোচনা রয়েছে।[1]
![]() |
---|
এই নিবন্ধটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার ধারাবাহিকের অংশ |
নির্বাহী বিভাগ |
রাজনৈতিক দল |
বৈদেশিক সম্পর্ক |
|
বাংলাদেশের বিশতম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যতীত মন্ত্রিসভার পূর্ণ মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী হলেন ৩ জন।[2][3] ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করে। ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যগণ শপথ নেন।
মন্ত্রিসভা
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা সংক্রান্ত বিধিমালা রয়েছে।
“ | প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তত্বে এই সংবিধান-অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হইবে। মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন। সরকারের সকল নির্বাহী ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতির নামে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ করা হইবে। রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত আদেশসমূহ ও অন্যান্য চুক্তিপত্র কিরূপে সত্যায়িত বা প্রমাণীকৃত হইবে, রাষ্ট্রপতি তাহা বিধিসমূহ-দ্বারা নির্ধারণ করিবেন এবং অনুরূপভাবে সত্যায়িত বা প্রমাণীকৃত কোন আদেশ বা চুক্তিপত্র যথাযথভাবে প্রণীত বা সম্পাদিত হয় নাই বলিয়া তাহার বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। রাষ্ট্রপতি সরকারী কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করিবেন। | ” |
— চতুর্থ ভাগ, ২য় পরিচ্ছেদ: প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা (অনুচ্ছেদ ৫৫, দফা ১-৬), বাংলাদেশের সংবিধান[4] |
মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের মর্যাদাক্রম নিম্নলিখিত,
- মন্ত্রী বা পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী: মন্ত্রীসভার সদস্য; একটি মন্ত্রণালয়ের কার্যনির্বাহক।
- প্রতিমন্ত্রী (মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে): নিম্নপদস্থ মন্ত্রী; একটি মন্ত্রণালয়ের কার্যনির্বাহক।
- প্রতিমন্ত্রী: নিম্নপদস্থ মন্ত্রী; একটি মন্ত্রণালয়ের কার্যনির্বাহক মন্ত্রীর নিকট দায়বদ্ধ।
- উপমন্ত্রী: সর্বাধিক নিম্নপদস্থ মন্ত্রী; একটি মন্ত্রণালয়ের কার্যনির্বাহক মন্ত্রী কিংবা কার্যনির্বাহক প্রতিমন্ত্রীর নিকট দায়বদ্ধ।
মন্ত্রিসভার সদস্যগণ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীগণের বাইরে বাংলাদেশ সরকারের ‘রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬’-এর ৩(বি)১ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য হবার যোগ্য এমন যেকোন ব্যক্তিকে তার উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারেন। উপদেষ্টাগণ সাধারণ মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন। ৭ জানুয়ারি সরকারের শপথ নেওয়ার দিন থেকে উপদেষ্টাদের নিয়োগ কার্যকরা ধরা হয়েছে।[5]
- রাজনৈতিক দল
- টেকনোক্র্যাট কোটা
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "নির্বাহী - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৫।
- "কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন (পুরো তালিকা)"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- "নতুন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী হচ্ছেন যারা"। ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- "প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন"। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯।