মৌর্য্য সাম্রাজ্য

মৌর্য্য সাম্রাজ্য (সংস্কৃত: मौर्यसाम्राज्यम्) প্রাচীন ভারতে লৌহ যুগের একটি বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য ছিল। মৌর্য্য রাজবংশ দ্বারা শাসিত এই সাম্রাজ্য ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বদিকে সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমতলভূমিতে অবস্থিত মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র[1][2]

মৌর্য্য সাম্রাজ্য
मौर्यसाम्राज्यम्

 

 

খ্রিঃপূঃ 321–খ্রিঃপূঃ 187
 

 

 

অবস্থান
মৌর্য্য সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তার
রাজধানী পাটলিপুত্র
ভাষাসমূহ প্রাচীন ভারতীয় ভাষাসমূহ (যেমন মাগধী প্রাকৃত, সংস্কৃত)
ধর্ম হিন্দু ধর্ম
বৌদ্ধ ধর্ম
জৈন ধর্ম
আজীবিক
সরকার রাজতন্ত্র
সম্রাট
 -  খ্রিঃপূঃ ৩২০-২৯৮ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য
 - খ্রিঃপূঃ ২৯৮-২৭২ বিন্দুসার
 - খ্রিঃপূঃ ২৬৮-২৩২ অশোক
 - খ্রিঃপূঃ ২৩২-২২৪ দশরথ
 - খ্রিঃপূঃ ২২৪-২১৫ সম্প্রতি
 - খ্রিঃপূঃ ২১৫-২০২ শালিশুক
 - খ্রিঃপূঃ ২০২-১৯৫ দেববর্মণ
 - খ্রিঃপূঃ ১৯৫-১৮৭ শতধনবান
 - খ্রিঃপূঃ ১৮৭-১৮৫ বৃহদ্রথ
ঐতিহাসিক যুগ প্রাচীন ইতিহাস
 - সংস্থাপিত খ্রিঃপূঃ 321
 - ভাঙ্গিয়া দেত্তয়া হয়েছে খ্রিঃপূঃ 187
আয়তন ৫০,০০,০০০ বর্গ কি.মি. (১৯,৩০,৫১১ বর্গ মাইল)
মুদ্রা Panas
বর্তমানে অংশ  আফগানিস্তান
 বাংলাদেশ
 ভুটান
 ভারত
 ইরান
   নেপাল
 পাকিস্তান
সতর্কীকরণ: "common_name" জন্য উল্লিখিত মান নয়।|- style="font-size: 85%;" সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয়
ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস

দক্ষিণ এশিয়া
প্রস্তর যুগ৭০,০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব
মেহেরগড়• ৭০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব
হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব
হরপ্পা সংস্কৃতি১৭০০-১৩০০খ্রীষ্টপূর্ব
বৈদিক যুগ১৫০০-৫০০খ্রীষ্টপূর্ব
লৌহ যুগ১২০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব
• ষোড়শ মহাজনপদ• ৭০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব
মগধ সাম্রাজ্য• ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব
মৌর্য সাম্রাজ্য• ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব
মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব
চোল সাম্রাজ্য• ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব
সাতবাহন সাম্রাজ্য• ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব
কুষাণ সাম্রাজ্য• ৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ
গুপ্ত সাম্রাজ্য• ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ
পাল সাম্রাজ্য• ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ
রাষ্ট্রকুট• ৭৫৩-৯৮২
ইসলামের ভারত বিজয়
• সুলতানী আমল• ১২০৬-১৫৯৬
• দিল্লি সালতানাত• ১২০৬-১৫২৬
দাক্ষিনাত্যের সুলতান• ১৪৯০-১৫৯৬
হৈসল সাম্রাজ্য১০৪০-১৩৪৬
কাকতীয় সাম্রাজ্য১০৮৩-১৩২৩
আহমন সাম্রাজ্য১২২৮-১৮২৬
বিজয়নগর সাম্রাজ্য১৩৩৬-১৬৪৬
মুঘল সাম্রাজ্য১৫২৬-১৮৫৮
মারাঠা সাম্রাজ্য১৬৭৪-১৮১৮
শিখ রাষ্ট্র১৭১৬-১৮৪৯
শিখ সাম্রাজ্য১৭৯৯-১৮৪৯
ব্রিটিশ ভারত১৮৫৮–১৯৪৭
ভারত ভাগ১৯৪৭–বর্তমান
জাতীয় ইতিহাস
বাংলাদেশভুটানভারত
মালদ্বীপনেপালপাকিস্তানশ্রীলংকা
আঞ্চলিক ইতিহাস
আসামবেলুচিস্তানবঙ্গ
হিমাচল প্রদেশউড়িষ্যাপাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ
পাঞ্জাবদক্ষিণ ভারততিব্বত
বিশেষায়িত ইতিহাস
টঙ্কনরাজবংশঅর্থনীতি ভারততত্ত্ব
ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাসসাহিত্যনৌসেনা
সেনাবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসময়রেখা

মৌর্য্য সাম্রাজ্য তৎকালীন যুগের অন্ততম বৃহত্তম সাম্রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হত, শুধু তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় সাম্রাজ্য কখনো তৈরী হয়নি।[3][4] ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য নন্দ রাজবংশ উচ্ছেদ করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং তারপর মহান আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর পশ্চাৎ অপসারণের সুযোগে নিজ সামরিক শক্তিবলে মধ্য ও পশ্চিম ভারতের আঞ্চলিক রাজ্যগুলিকে জয় করে বিরাট সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ৩১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যেই গ্রীক সত্রপগুলিকে পরাজিত করে মৌর্য্য সাম্রাজ্য সম্পূর্ণ উত্তর-পশ্চিম ভারত জুড়ে বিস্তৃত হয়।[5] বর্তমান যুগের মানচিত্রের নিরিখে এই সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয়, পূর্বে অাসাম, পশ্চিমে বালুচিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।[5] চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যবিন্দুসার এই সাম্রাজ্যকে দক্ষিণ ভারতে বিস্তৃত করেন এবং অশোক কলিঙ্গ রাজ্য জয় করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেন। অশোকের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে মগধে শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান ঘটে।

ইতিহাস

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের এবং চাণক্যের


চাণক্য তক্ষশীলার[6] ব্রাহ্মণ[7] আচার্য্য[8] এবং বিষ্ণুর উপাসক ছিলেন।.[9] চাণক্যের সহায়তায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য একটি সুবিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রবাদানুসারে, মগধ শাসনকারী নন্দ রাজবংশের সম্রাট ধননন্দ দ্বারা অপমানিত হয়ে চাণক্য নন্দ সাম্রাজ্য ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করেন।[10] চন্দ্রগুপ্তকথা নামক গ্রন্থানুসারে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যচাণক্যের সেনাবাহিনী প্রথমদিকে নন্দ সাম্রাজ্যের কর্তৃক পরাজিত হয়। কিন্তু চন্দ্রগুপ্ত এরপর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ধননন্দ ও তার সেনাপতি ভদ্রশালাকে পরাজিত করতে সক্ষম হন এবং অবশেষে পাটলিপুত্র নগরী অবরোধ করে ৩২১ খ্রিটপূর্বাব্দে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে নন্দ সাম্রাজ্য অধিকার করেন।[11] বিশাখদত্ত রচিত মুদ্রারাক্ষস নামক সংস্কৃত নাটকে চাণক্যের কূটনৈতিক বুদ্ধির সহায়তায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের শাসন প্রতিষ্ঠার ঘটনা বর্ণিত রয়েছে।

৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহান আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পরে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য তার সাম্রাজ্যের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত ম্যাসিডনীয় সত্রপ রাজ্যগুলির দিকে নজর দেন। তিনি পশ্চিম পাঞ্জাব ও সিন্ধু নদ উপত্যকা অঞ্চলের শাসক ইউদেমোসপাইথনের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন বলে মনে করা হয়।[nb 1] আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর ব্যাক্ট্রিয়াসিন্ধু নদ পর্যন্ত তার সাম্রাজ্যের পূর্বদিকের অংশ সেনাপতি প্রথম সেলেউকোস নিকাতোরের অধিকারে আসে। ৩০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এই সংঘর্ষের সঠিক বর্ণনা পাওয়া যায় না, কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত হয়ে প্রথম সেলেউকোস নিকাতোর তাকে আরাকোশিয়া, গেদ্রোসিয়াপারোপামিসাদাই ইত্যাদি সিন্ধু নদের পশ্চিমদিকের বিশাল[13][14] অঞ্চল সমর্পণ করতে[15] এবং নিজ কন্যাকে তার সাথে বিবাহ দিতে বাধ্য হন।[nb 2] চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তির পর প্রথম সেলেউকোস নিকাতোর পশ্চিমদিকে প্রথম আন্তিগোনোস মোনোফথালমোসের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন।[nb 3] চন্দ্রগুপ্ত প্রথম সেলেউকোস নিকাতোরকে ৫০০টি যুদ্ধ-হস্তী দিয়ে সহায়তা করেন।[15][17][18], যা ইপসাসের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে তাকে জয়লাভে সহায়তা করে।

এরপর চন্দ্রগুপ্ত দক্ষিণ ভারতের দিকে অগ্রসর হন। তিনি বিন্ধ্য পর্বত পেরিয়ে দাক্ষিণাত্য মালভূমির সিংহভাগ দখল করতে সক্ষম হন। এর ফলে কলিঙ্গ ও দাক্ষিণাত্যের অল্পকিছু অংশ বাদে সমগ্র ভারত মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত হয়।[11] সঙ্গম সাহিত্যের বিখ্যাত তামিল কবি মমুলনার মৌর্য্য সেনাবাহিনী দ্বারা দাক্ষিণাত্য আক্রমণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।[19]

বিন্দুসার

২৯৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের স্বেচ্ছা অবসরের পর তার পুত্র বিন্দুসার মাত্র বাইশ বছর বয়সে সিংহাসন লাভ করেন। বিন্দুসার মৌর্য্য সাম্রাজ্যকে তিনি দক্ষিণ দিকে আরো প্রসারিত করেন এবং কলিঙ্গ, চের, পাণ্ড্য ও চোল রাজ্য ব্যতিরেকে সমগ্র দক্ষিণ ভারত ছাড়াও উত্তর ভারতের সমগ্র অংশ তার করায়ত্ত হয়। তার রাজত্বকালে তক্ষশীলার অধিবাসীরা দুইবার বিদ্রোহ করেন কিন্তু বিন্দুসারের পক্ষে তা দমন করা সম্ভব হয়নি।

অশোক

২৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিন্দুসারের মৃত্যু হলে উত্তরাধিকারের প্রশ্নে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বিন্দুসার তার অপর পুত্র সুসীমকে উত্তরাধিকারী হিসেবে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুসীমকে উগ্র ও অহঙ্কারী চরিত্রের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে বিন্দুসারের মন্ত্রীরা তার অপর পুত্র অশোককে সমর্থন করেন।[20] রাধাগুপ্ত নামক এক মন্ত্রী অশোকের সিংহাসনলাভের পক্ষে প্রধান সহায়ক হয়ে ওঠেন এবং পরবর্তীকালে তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অশোক শঠতা করে সুসীমকে একটি জ্বলন্ত কয়লা ভর্তি গর্তে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন। দীপবংশমহাবংশ গ্রন্থানুসারে, বীতাশোক নামক একজন ভাইকে ছেড়ে অশোক বাকি নিরানব্বইজন ভাইকে হত্যা করেন, কিন্ত এখনো পর্য্যন্ত এই ঘটনার কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পিতার মৃত্যুর তিন বছর পরে তিনি মৌর্য্য সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন।

সিংহাসনে আরোহণ করে অশোক পরবর্তী আট বছর তার সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে শুরু করে দাক্ষিণাত্যের কিছু অংশ বাদ দিয়ে সমগ্র ভারতবর্ষ তার করায়ত্ত হয়।[21] তার রাজত্বকালের অষ্টম বর্ষে তিনি কলিঙ্গ আক্রমণ করেন। এই ভয়াবহ যুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ মানুষ নিহত হন এবং দেড় লক্ষ মানুষ নির্বাসিত হন।[22][23] অশোকের ত্রয়োদশ শিলালিপিতে বর্ণিত হয়েছে যে কলিঙ্গের যুদ্ধে প্রচুর মানুষের মৃত্যু ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের অপরিসীম কষ্ট লক্ষ্য করে অশোক দুঃখে ও অনুশোচনায় দগ্ধ হন।[23][24][25] এই ভয়ানক যুদ্ধের কুফল লক্ষ্য করে যুদ্ধপ্রিয় অশোক একজন শান্তিকামী ও প্রজাদরদী সম্রাট এবং বৌদ্ধ ধর্মের একজন পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হন। অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় শুধুমাত্র মৌর্য্য সাম্রাজ্য নয়, এশিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারিত হয়।[26] তার পুত্র মহিন্দ ও কন্যা সংঘমিত্রা সিংহলে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন।[27]

পতন

অশোকের মৃত্যুর পরবর্তী পঞ্চাশ বছর দশরথ, সম্প্রতি, শালিশুক, দেববর্মণ, শতধনবানবৃহদ্রথ এই ছয় জন সম্রাটের রাজত্বকালে মৌর্য্য সাম্রাজ্য দুর্বল হতে থাকে। শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ নিজ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ কর্তৃক নিহত হওয়ার পর, মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পতন এবং শুঙ্গ সাম্রাজ্যের সূচনা ঘটে।[28]:২৪, ২৫

পাদটীকা

  1. India, after the death of Alexander, had assassinated his prefects, as if shaking the burden of servitude. The author of this liberation was Sandracottos, but he had transformed liberation in servitude after victory, since, after taking the throne, he himself oppressed the very people he has liberated from foreign domination[12]
  2. Always lying in wait for the neighboring nations, strong in arms and persuasive in council, he acquired Mesopotamia, Armenia, 'Seleucid' Cappadocia, Persis, Parthia, Bactria, Arabia, Tapouria, Sogdia, Arachosia, Hyrcania, and other adjacent peoples that had been subdued by Alexander, as far as the river Indus, so that the boundaries of his empire were the most extensive in Asia after that of Alexander. The whole region from Phrygia to the Indus was subject to Seleucus. He crossed the Indus and waged war with Sandrocottus [Maurya], king of the Indians, who dwelt on the banks of that stream, until they came to an understanding with each other and contracted a marriage relationship. Some of these exploits were performed before the death of Antigonus and some afterward.[16]
  3. After having made a treaty with him [Sandrakotos] and put in order the Orient situation, Seleucos went to war against Antigonus[12]

তথ্যসূত্র

  1. Kulke, Hermann; Rothermund, Dietmar (২০০৪)। A History of India। 4th edition. Routledge, Pp. xii, 448। আইএসবিএন 0-415-32920-5।
  2. Thapar, Romila (১৯৯০)। A History of India, Volume 1। New Delhi and London: Penguin Books. Pp. 384। আইএসবিএন 0-14-013835-8।
  3. Vaughn, Bruce (২০০৪)। "Indian Geopolitics, the United States and Evolving Correlates of Power in Asia"। Geopolitics9 (2): 440–459 [442]। doi:10.1080/14650040490442944
  4. Goetz, H. (১৯৫৫)। "Early Indian Sculptures from Nepal"। Artibus Asiae18 (1): 61–74। doi:10.2307/3248838
  5. Rajadhyaksha, Abhijit (২০০৯-০৮-০২)। "The Mauryas: Chandragupta"। Historyfiles.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০১
  6. The Indian Encyclopaedia by Subodh Kapoor (2002). Cosmo Publications. Page 1372. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৭৫৫-২৫৭-৭. Retrieved 14 April 2012.
  7. Renu Saran (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। Chanakya। Diamond Pocket Books Pvt Ltd। পৃষ্ঠা 4–। আইএসবিএন 978-93-5083-482-4।
  8. "Chanakya, The Legend"Chanakya National Law University। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৩
  9. "Sri Chanakya Niti-Sastra"। philosophy.ru। ১২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৩
  10. Sugandhi, Namita Sanjay (২০০৮)। Between the Patterns of History: Rethinking Mauryan Imperial Interaction in the Southern Deccan। পৃষ্ঠা 88–89। আইএসবিএন 9780549744412।
  11. Mookerji, Radha Kumud (১৯৮৮) [1966]। Chandragupta Maurya and his times Chandragupta Maurya and His Times |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) (4th সংস্করণ)। Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 81-208-0405-8।
  12. Justin। "XV.4.19"। Historiarum Philippicarum libri XLIV
  13. Vincent A. Smith (1998). Ashoka. Asian Educational Services. আইএসবিএন ৮১-২০৬-১৩০৩-১.
  14. Walter Eugene, Clark (১৯১৯)। "The Importance of Hellenism from the Point of View of Indic-Philology"। Classical Philology14 (4): 297–313। doi:10.1086/360246
  15. Ramesh Chandra Majumdar; Ancient India. Motilal Banarsidass Publ. 1977. আইএসবিএন ৮১-২০৮-০৪৩৬-৮.
  16. Appian। "The Syrian Wars"। History of Rome,
  17. Tarn, W. W. (১৯৪০)। "Two Notes on Seleucid History: 1. Seleucus' 500 Elephants, 2. Tarmita"। The Journal of Hellenic Studies60: 84–94। doi:10.2307/626263
  18. Partha Sarathi Bose (2003). Alexander the Great's Art of Strategy. Gotham Books. আইএসবিএন ১-৫৯২৪০-০৫৩-১.
  19. Upinder Singh (১ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century। Pearson Education India। পৃষ্ঠা 30–। আইএসবিএন 978-81-317-1120-0। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১২
  20. Gyan Swarup Gupta (১ জানুয়ারি ১৯৯৯)। India: From Indus Valley Civilisation to Mauryas। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 268–। আইএসবিএন 978-81-7022-763-2। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১২
  21. Upinder Singh (২০০৮)। A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th century। Pearson Education। আইএসবিএন 978-81-317-1677-9।
  22. Radhakumud Mookerji (1988). Chandragupta Maurya and His Times. Motilal Banarsidass Publ. আইএসবিএন ৮১-২০৮-০৪০৫-৮.
  23. S. Dhammika, The Edicts of King Ashoka, Kandy, Buddhist Publications Society (1994) ISBN আইএসবিএন ৯৫৫-২৪-০১০৪-৬ (on line)
  24. Smith, Vincent A. (১৯০১)। Asoka - the Buddhist Emperor of IndiaRulers of India series। Oxford at the Clarendon Press। পৃষ্ঠা 130।
  25. Kamath, Prabhakar। "How Ashoka the Great Gave Brahmins A Song With Which They Conquered India"। Nirmukta।
  26. Buckley, Edmund। Universal Religion। The University Association।
  27. "Ashoka's son took Buddhism outside India"The Times of India
  28. Lahiri, B. (1974). Indigenous States of Northern India (Circa 200 B.C. to 320 A.D.) , Calcutta: University of Calcutta
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.