মেহেরগড়
মেহরগড় সভ্যতা (Urdu مﮩرگڑھ ) য়ে ৭০০০খ্রীষ্টপূর্ব থেকে ৩২০০ খ্রীষ্টপূর্ব আবিস্কৃত হয়েছে। মেহেরগড় সভ্যতা ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ এবং রিচার্ড মিডৌ আবিস্কার করেন। এখন এটি বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা হিসাবে পরিচিত। এই সভ্যতা আবিষ্কৃত হওয়ায় ভারতের ইতিহাসের প্রাচীনত্ব ৭০০০ খ্রিস্টপূর্ব বা তারও আগে নির্দিষ্ট হয়েছে। সুতরাং, বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলা যায়, মিশরে বা সুমেরে নয়। টানা ৪০০০ বছর ধরে মেহেরগড় সভ্যতা নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। হরপ্পা সভ্যতার প্রায় ৪ হাজার বছর আগে এর আর্বিভাব। আজ থেকে প্রায় নয় হাজার বছর আগে এটি সৃষ্টি হয়। এই সভ্যতার আবিষ্কার করে যে, হরপ্পা সভ্যতা হঠাৎ করে আর্বিভূত হয় নি। দীর্ঘকালব্যাপী বিবর্তনের ফলে তার উদ্ভব।
مہرگڑھ مهرګړ | |
![]() ![]() পাকিস্তানে এর অবস্থান দেখাচ্ছে | |
বিকল্প নাম | Mehrgahr, Merhgarh, Merhgahr |
---|---|
অবস্থান | ধাদার, বেলুচিস্তান, পাকিস্তান |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | Approximately 7000 BCE |
পরিত্যক্ত | Approximately 2600 BCE |
সময়কাল | Neolithic |
স্থান নোটসমূহ | |
খননের তারিখ | ১৯৭৪–১৯৮৬, ১৯৯৭-২০০০ |
প্রত্নতত্ত্ববিদ | জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ এবং রিচার্ড মিডৌ |
মেহেরগড়
প্রথম পর্যায়
মেহেরগড় সব থেকে পুরনো বসতিটির প্রথম পর্যায়ের সময়সীমা হল আনুমানিক ৭০০০ থেকে ৫৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এখানে দেখা যায়, রোদে শুকনো কাঁচা ইটের বাড়ি যাতে রয়েছে একাধিক কামরা। এখানে খুঁজে পাওয়া গেছে সাস পাস ও পশুপালন এর প্রমাণ, শিকারের নিদর্শন মৃতদেহের সমাধি ইত্যাদি। প্রথম পর্যায়ের শেষ দিকে এখানকার বাড়িঘর গুলির আয়তন বাড়ে ও মৃৎপাত্রের প্রচলন হয়। একটি বাড়ির এক ঘরে পাওয়া গেছে বাটনা বাতার শিল্প এবং অন্য ঘরে উনুন। পাথ ওর হাড়ের কিছু হাতিয়ার ও উদ্ধার করা হয়েছে। সমাধিগুলি ছোট-বড় উভয় আয়তনেরই হত। শব দেহের সঙ্গে রাখা হতো সামুদ্রিক ঝিনুক এর তৈরি জিনিসপত্র পাথরের পুঁটি, হাড়ের আংটি, তামার পুটিঁ, পাথরের বাতি, পালিশ করা পাথরের কুড়াল, পাথরের ছোটো ছোটো হাতিয়ার, ছাগলের কঙ্কাল ইত্যাদি।