চোল সাম্রাজ্য
চোল রাজবংশ (তামিল: சோழர் குலம்; আ-ধ্ব-ব: [ˈt͡ʃoːɻə]) ছিল একটি তামিল রাজবংশ। দক্ষিণ ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে এই সাম্রাজ্যই ছিল সর্বাপেক্ষা দীর্ঘকালীন সাম্রাজ্য। চোল রাজবংশের প্রথম নথিভুক্ত উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে লিখিত সম্রাট অশোকের শিলালিপিতে। বিভিন্ন অঞ্চলে এই রাজবংশের শাসন খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
চোল সাম্রাজ্য | |||||
சோழ நாடு | |||||
| |||||
| |||||
![]() চোল সাম্রাজ্যের অবস্থান চোল সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ বিস্তার ও প্রভাব (খ্রিষ্টীয় ১০৫০ অব্দ) | |||||
রাজধানী | আদি চোল: পুমপুহার, উরাইয়ার, মধ্যযুগীয় চোল: পাঝাইয়ারাই, তাঞ্জাভুর গঙ্গইকোণ্ড চোলপুরম | ||||
ভাষাসমূহ | তামিল | ||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম | ||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||
রাজা | |||||
- | ৮৪৮-৮৭১ | বিজয়ালয় চোল | |||
- | ১২৪৬-১২৭৯ | তৃতীয় রাজেন্দ্র চোল | |||
ঐতিহাসিক যুগ | মধ্যযুগ | ||||
- | সংস্থাপিত | ৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | |||
- | মধ্যযুগীয় চোলদের উত্থান | ৮৪৮ | |||
- | ভাঙ্গিয়া দেত্তয়া হয়েছে | ১২৭৯ | |||
আয়তন | |||||
- | ১০৫০ আনুমানিক | ৩৬,০০,০০০ বর্গ কি.মি. (১৩,৮৯,৯৬৮ বর্গ মাইল) | |||
বর্তমানে অংশ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() | ||||
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয় |
চোল রাজ্যের মূল কেন্দ্র ছিল কাবেরী নদীর উর্বর উপত্যকা। কিন্তু খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত স্থায়ী চোল সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগে এই সাম্রাজ্য আরও বড়ো অঞ্চলে প্রসারিত হয়েছিল।[1] দুই শতাব্দীরও অধিক সময় তুঙ্গভদ্রা নদীর দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দাক্ষিণাত্যের সকল অঞ্চল এই সাম্রাজ্যের অধীনে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।[2] সম্রাট প্রথম রাজেন্দ্র চোল গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চলগুলি অধিকার করার উদ্দেশ্যে সৈন্য অভিযান প্রেরণ করলে, পূর্বভারতের কিয়দংশ চোল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও রাজেন্দ্র চোল এক প্রবল নৌযুদ্ধের পর শ্রীবিজয়ের সামুদ্রিক সাম্রাজ্য উৎখাত সাধন করেন এবং একাধিকবার চীনা আক্রমণ প্রতিহত করেন।[3] ১০১০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণে মালদ্বীপ থেকে উত্তরে বর্তমান অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের গোদাবরী নদী অববাহিকা পর্যন্ত চোল সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল।[4] রাজরাজ চোল উপদ্বীপীয় দক্ষিণ ভারত জয় করেন, বর্তমান শ্রীলঙ্কা ভূখণ্ডের কিছু অংশ অধিকার করেন এবং মালদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ নিজ অধিকারে আনেন।[5] এছাড়া মালয় দ্বীপপুঞ্জের রাজ্যগুলির বিরুদ্ধেও তিনি সফলভাবে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।[6][7] ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে পাণ্ড্য রাজ্যের উত্থান ঘটলে চোল সাম্রাজ্য পতনের পথে অগ্রসর হতে থাকে। পাণ্ড্য রাজ্যই চোলদের পতনের প্রধান কারণ হয়।[8][9][10]
চোল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার ছিল সুদূরপ্রসারী। তাঁরা তামিল সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তামিল সাহিত্য ও স্থাপত্যের কিছু মহান নিদর্শন তাঁদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় সৃজিত হয়েছে।[5] চোল রাজারা একাধিক মন্দির ও স্থাপনা নির্মাণ করেন। এই মন্দিরগুলি কেবলমাত্র ধর্মোপাসনার স্থানই ছিল না, বরং এক একটি প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠেছিল।[11][12] তাঁরা ছিলেন একটি কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক এবং একটি নিয়মতান্ত্রিক আমলাতন্ত্রের উদ্ভাবক।
রাজাগণ
মধ্যযুগীয় রাজাগণ(৮৪৮ - ১০৭০)
প্রায় ২২০ বছরের এই সময়কালের উল্লেখযোগ্য রাজাগণ হলেন :
প্রথম রাজরাজ চোল (৯৮৫-১০১৪ খ্রি:)
প্রথম রাজরাজ চোল ও তাঁর পুত্র প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে চোল সাম্রাজ্য দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
প্রথম রাজেন্দ্র চোল (১০১২-১০৪৪ খ্রি:)
প্রথম রাজেন্দ্র চোল উত্তর ভারতে সেনা অভিযান প্রেরণ করেন। তিনি পাটলিপুত্রের পাল সম্রাট প্রথম মহীপালকে পরাজিত করে গঙ্গা নদীর অববাহিকা পর্যন্ত চোল সাম্রাজ্য প্রসারিত করেন। গাঙ্গেয় এলাকা জয় করলেন ১০২৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ, তাই তাঁর উপাধি গঙ্গৈকোণ্ড (গাঙ্গেয় অঞ্চল বিজেতা)। রাজেন্দ্রের হাতে পরাজিত শাসকেরা হলেন তণ্ডবুত্তি (দণ্ডভুক্তি: দাঁতন, মেদিনীপুর) তক্কনলাঢ়ম্ (দক্ষিণরাঢ়), উত্তিরলাঢ়ম্ (উত্তররাঢ়) এবং বঙ্গাল-এর (বরিশাল-ঢাকা-বিক্রমপুর, বাংলাদেশ) শাসকেরা। এঁদের মধ্যে পালবংশীয় প্রথম মহীপালও আছেন। তিনি কিন্তু সমগ্র বাংলার শাসক নন। অন্য দিকে বঙ্গালের শাসকও বাংলার একটি স্থানীয় শক্তি মাত্র। রাজেন্দ্র চোলও তাই বাংলা জয়ের কথা বলেন না। তিনি বরং গাঙ্গেয় এলাকায় সফল অভিযানের কৃতিত্ব দাবি করেন।[13]
প্রথম রাজাধিরাজ চোল (১০৪৪-১০৫২ খ্রি:)
দ্বিতীয় রাজেন্দ্র চোল (১০৫২-১০৬৩ খ্রি:)
বীররাজেন্দ্র চোল (১০৬৩-১০৭০ খ্রি:)
পাদটীকা
- K.A. Nilakanta Sastri, A History of South India, p 5
- K.A. Nilakanta Sastri, A History of South India, p 157
- K.A. Nilakanta Sastri, A History of South India, p 158
- Majumdar, p 407
- The kadaram campaign is first mentioned in Rajendra's inscriptions dating from his 14th year. The name of the Srivijaya king was Sangrama Vijayatungavarman. K.A. Nilakanta Sastri, The CōĻas, pp 211–220
- Meyer, p 73
- K.A. Nilakanta Sastri, A History of South India, p 192
- K.A. Nilakanta Sastri, A History of South India, p 195
- K.A. Nilakanta Sastri, A History of South India, p 196
- Vasudevan, pp 20–22
- Keay, pp 217–218
- "Chola in Bengal"।
(***) www.whatsindia.com/south_indian_inscriptions (Vol.24)
তথ্যসূত্র
- Chopra, P.N (২০০৩) [2003]। History of South India ; Ancient, Medieval and Modern। New Delhi: S. Chand & Company Ltd। আইএসবিএন 81-219-0153-7। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Das, Sisir Kumar (১৯৯৫) [1995]। History of Indian Literature (1911–1956) : Struggle for Freedom - Triumph and Tragedy। New Delhi: Sahitya Akademi। আইএসবিএন 81-7201-798-7।
- Gupta, A.N। Sarojini Naidu's Select Poems, with an Introduction, Notes, and Bibliography। Prakash Book Depot। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Harle, J.C (১৯৯৪)। The art and architecture of the Indian Subcontinent। New Haven, Conn: Yale University Press। আইএসবিএন 0-300-06217-6।
- Hermann, Kulke (২০০১) [2000]। A History of India। Routledge। আইএসবিএন 0-415-32920-5। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Keay, John। India: A History। New Delhi: Harper Collins Publishers। আইএসবিএন 0-002-55717-7।
- Majumdar, R.C (১৯৮৭)। Ancient India। India: Motilal Banarsidass Publications। আইএসবিএন 8-120-80436-8।
- Meyer, Milton Walter (১৯৯৭)। Asia: a concise history। Lanham, Md: Rowman & Littlefield Publishers। আইএসবিএন 0-8476-8063-0।
- Mitter, Partha (২০০১)। Indian art। Oxford [Oxfordshire]: Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-284221-8।
- Nagasamy, R (১৯৭০)। Gangaikondacholapuram। State Department of Archaeology, Government of Tamil Nadu।
- Nagasamy, R (১৯৮১)। Tamil Coins - A study। Institute of Epigraphy, Tamilnadu State Dept. of Archaeology।
- K.A. Nilakanta Sastri, K.A (১৯৮৪) [1935]। The CōĻas। Madras: University of Madras।
- K.A. Nilakanta Sastri, K.A (২০০২) [1955]। A History of South India। New Delhi: OUP।
- Scharfe, Hartmut (২০০২)। Education in Ancient India। Boston: Brill Academic Publishers। আইএসবিএন 90-04-12556-6।
- Smith, Vincent H (২০০৬)। The Edicts of Asoka। Kessinger Publishing। আইএসবিএন 1-4286-4431-8।
- "South Indian Inscriptions"। Archaeological Survey of India। What Is India Publishers (P) Ltd। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-৩০।
- Stein, Burton (১৯৯৮)। A history of India। Cambridge, Massachusetts: Blackwell Publishers। আইএসবিএন 0-631-20546-2।
- Thapar, Romila (১৯৯৫)। Recent Perspectives of Early Indian History। Columbia, Mo: South Asia Books। আইএসবিএন 81-7154-556-4।
- Tripathi, Rama Sankar (১৯৬৭)। History of Ancient India। India: Motilal Banarsidass Publications। আইএসবিএন 8-120-80018-4।
- Vasudevan, Geeta (২০০৩)। Royal Temple of Rajaraja: An Instrument of Imperial Cola Power। New Delhi: Abhinav Publications। আইএসবিএন 81-7017-383-3।
- Various (১৯৮৭)। Encyclopaedia of Indian literature, vol. 1। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 8126018038।
- Various (১৯৮৮)। Encyclopaedia of Indian literature, vol. 2। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 8126011947।
- Wolpert, Stanley A (১৯৯৯)। India। Berkeley: University of California Press। আইএসবিএন 0-520-22172-9।