মারাঠা সাম্রাজ্য
মারাঠা সাম্রাজ্য (মারাঠি: मराठा साम्राज्य) হল একটি ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য, যা খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দী হতে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগ পর্যন্ত (১৬৭৪ - ১৮১৮) ভারতবর্ষের প্রায় সমগ্র অংশ জুড়ে বিদ্যমান ছিলো। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মারাঠা সাম্রাজ্য পেশওয়ার অধীনে বহুগুণ বিস্তৃত হয়।বিস্তারের সর্বোচ্চ সময়ে এটি উত্তরে পেশোয়ার থেকে দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।মুঘল সাম্রাজ্য ধ্বংস হলে ভারতে শেষ হিন্দু সাম্রাজ্য হিসেবে মারাঠা সাম্রাজ্যকেই বিবেচনা করা হয়। ১৭৬১ সালে মারাঠারা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে পরাজিত হয় যা উত্তর দিকে তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তার রোধ করে।এর ফলে উত্তরভারত কার্যত কিছুদিন মারাঠা সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে যায়। যদিও ১৭৭০ সালে উত্তরভারত আবার মারাঠাসাম্রাজ্যের অধীনে আসে। পরবর্তীতে মারাঠা সাম্রাজ্য সম্রাটের অধীনে কেন্দ্রীয় ভাবে শাসিত হওয়ার পরিবর্তে পেশোয়াদের অধীনে বিভক্ত হয়ে যায় ও কনফেডারেসি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।১৮১৮ সালের মধ্যে ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে মারাঠা সাম্রাজ্য চূড়ান্ত পরাজয় স্বীকার করে।এর ফলেই কার্যত ভারতের উপর ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
মারাঠা সাম্রাজ্য मराठा साम्राज्य | |||||
| |||||
| |||||
![]() মারাঠা সাম্রাজ্যের অবস্থান Political Map of South Asia around 1758 AD | |||||
রাজধানী | Raigad, পরবর্তীকালে পুনে | ||||
ভাষাসমূহ | মারাঠি | ||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||
ছত্রপতি | |||||
- | ১৬৭৪-১৬৮০ | শিবাজী | |||
- | ১৬৮১-১৬৮৯ | সম্ভাজী | |||
- | ১৬৮৯–১৭০০ | রাজারাম | |||
- | ১৭০০–১৭০৭ | তারাবাই | |||
- | ১৭০৭–১৭৪৭ | সাহু | |||
- | ১৭৪৭–১৭৭৭ | রামরাজ | |||
ইতিহাস | |||||
- | প্রতিষ্ঠিত | ২১ এপ্রিল ১৬৭৪ | |||
- | শেষ | ২১ সেপ্টেম্বর ১৮২০ | |||
আয়তন | |||||
১০,০০,০০০ বর্গ কি.মি. (৩,৮৬,১০২ বর্গ মাইল) | |||||
জনসংখ্যা | |||||
• | ১৭০০ আনুমানিক | ||||
মুদ্রা | Hon, টাকা, পয়সা, মোহর | ||||
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয় |
সাম্রাজ্যের একটি বৃহৎ অংশ ছিল সমুদ্রবেষ্টিত এবং কানোজি আংরের মতো দক্ষ সেনাপতির অধীনস্থ শক্তিশালী নৌ-বাহিনী দ্বারা সুরক্ষিত। তিনি প্রতিপক্ষের, বিশেষত পর্তুগিজ ও ব্রিটিশদের নৌ-আক্রমণ সাফল্যের সাথেই প্রতিহত করেন।[1] সুরক্ষিত সমুদ্রসীমা এবং শক্তিশালী দুর্গব্যবস্থা মারাঠাদের সামরিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।