মেদিনীপুরের যুদ্ধ
মেদিনীপুরের যুদ্ধ ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে মারাঠা বাহিনী এবং বাংলার নবাবের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[1][2]। যুদ্ধটিতে মারাঠারা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়[2]।
মেদিনীপুরের যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯) | |||||||
| |||||||
যুধ্যমান পক্ষ | |||||||
|
![]() | ||||||
সেনাধিপতি | |||||||
|
![]() | ||||||
শক্তি | |||||||
|
![]() | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
|
![]() |
পটভূমি
১৭৪৫ সালের অক্টোবরে নাগপুরের মারাঠা মহারাজা রঘুজী ভোঁসলে বাংলা আক্রমণ করেন এবং উড়িষ্যা থেকে মেদিনীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে সেখানে লুটপাট চালাতে থাকেন[1][2]। কাটোয়ার যুদ্ধে বাংলার নবাব আলীবর্দী খান মারাঠাদেরকে পরাজিত করেন[1][2], কিন্তু সেনাপতিদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সৃষ্ট গোলযোগের কারণে তাকে মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হয়[1]। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দূর করার পর ১৭৪৬ সালের নভেম্বরে নবাব তার সেনাপতি মীর জাফরকে মারাঠাদের দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রেরণ করেন[1][2]।
যুদ্ধের ঘটনাবলি
মীর জাফর তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে মারাঠা-অধিকৃত মেদিনীপুরের দিকে অগ্রসর হন। ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি মেদিনীপুরের নিকটে মারাঠা সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। মারাঠা বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মীর হাবিবের সেনাপতি সাঈদ নূর[2]। উভয়পক্ষে তীব্র যুদ্ধ হয় এবং মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[1][2]। পরাজিত মারাঠারা পশ্চাৎপসরণ করে এবং মীর জাফর মেদিনীপুর পুনরুদ্ধার করে নেন[1]।
ফলাফল
মীর জাফরের সাফল্যে খুশি হয়ে নবাব আলীবর্দী তাকে উড়িষ্যার প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন[2] (যদিও উড়িষ্যা এসময় মারাঠাদের দখলে ছিল)। কিন্তু মীর জাফরের সাফল্য ছিল ক্ষণস্থায়ী, কারণ কিছুদিন পরেই উড়িষ্যা থেকে মীর হাবিব এবং জানুজী ভোঁসলের নেতৃত্বে মারাঠা সৈন্যরা আবার মেদিনীপুর আক্রমণ করে এবং মীর জাফর বিনা যুদ্ধে পলায়ন করেন[1][2]।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম. "মারাঠা আক্রমণ". বাংলাদেশের ইতিহাস. পৃ. ২৯৩–২৯৯.
- http://scroll.in/article/776978/forgotten-indian-history-the-brutal-maratha-invasions-of-bengal