বালাজী বাজী রাও
বালাজী বাজী রাও (৮ ডিসেম্বর ১৭২০ – ২৩ জুন ১৭৬১), যিনি নানা সাহেব নামেও পরিচিত, ছিলেন ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন পেশোয়া (প্রধানমন্ত্রী)[1]।
পেশোয়া পেশোয়া নানাসাহেব | |
---|---|
![]() পেশোয়া বালাজী বাজী রাও | |
![]() | |
কাজের মেয়াদ ৪ জুলাই ১৭৪০ – ২৩ জুন ১৭৬১ | |
সার্বভৌম শাসক | ছত্রপতি শাহু দ্বিতীয় রাজারাম |
পূর্বসূরী | প্রথম বাজীরাও |
উত্তরসূরী | প্রথম মাধবরাও |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৮ ডিসেম্বর ১৭২০ বর্তমান পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত |
মৃত্যু | ২৩ জুন ১৭৬১ পার্বতী পাহাড়, পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত |
দাম্পত্য সঙ্গী | গোপিকাবাঈ |
সম্পর্ক | রঘুনাথ রাও (ভাই) |
সন্তান | বিশ্বাসরাও প্রথম মাধবরাও নারায়ণ রাও |
পিতামাতা | প্রথম বাজীরাও কাশীবাঈ |
ধর্ম | হিন্দু |
তার সময়ে 'ছত্রপতি' (মারাঠা রাজা) কেবল একজন আনুষ্ঠানিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। একই সময়ে মারাঠা সাম্রাজ্য একটি কনফেডারেশনে পরিণত হয়, যেখানে বিভিন্ন স্থানীয় নেতা (যেমন- হোলকার বংশ, সিন্ধিয়া বংশ কিংবা নাগপুরের ভোঁসলে বংশ) শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। বালাজী রাওয়ের সময়ে মারাঠা সাম্রাজ্য এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিস্তার লাভ করে। কিন্তু এই সম্প্রসারণের অধিকাংশই স্থানীয় মারাঠা নেতাদের কীর্তি, যাঁদের লুটতরাজ অধিকৃত অঞ্চলের জনগণকে বৈরীভাবাপন্ন করে তোলে[2]।
বালাজী রাওয়ের আমলের শেষদিকে পেশোয়া একজন সেনাপতির চেয়ে একজন অর্থনীতিক হিসেবে বেশি প্রতীয়মান হন। বালাজী রাও তার পিতার মতো সুনিপুণ সেনাপতি ছিলেন না এবং উত্তর ভারতে আহমদ শাহ দুররানীর আক্রমণের গুরুত্ব অনুধাবন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর ফলে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[2]। তার শাসনামলে বিচার ও রাজস্ব ব্যবস্থার কিছু সংস্কারসাধন হয়, কিন্তু এর কৃতিত্ব ছিল প্রকৃতপক্ষে তার চাচাতো ভাই সদাশিবরাও ভাউ এবং তার সহযোগী বলশাস্ত্রী গাদগিলের[2]।
প্রাথমিক জীবন ও পরিবার
রঘুজী ভোঁসলের রাজ্যবিস্তার
তারাবাঈ এবং উমাবাঈয়ের বিদ্রোহ
নিজামের বিরুদ্ধে অভিযান
রাজপুত রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ
জাঠদের সঙ্গে সম্পর্ক
মুঘলদের সঙ্গে সম্পর্ক
আফগান দুররানীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
মৃত্যু
আরো দেখুন
পূর্বসূরী প্রথম বাজীরাও |
পেশোয়া ১৭৪০–১৭৬১ |
উত্তরসূরী প্রথম মাধবরাও |
তথ্যসূত্র
- Jaswant Lal Mehta (২০০৫)। Advanced Study in the History of Modern India 1707-1813। Sterling। পৃষ্ঠা 213–216। আইএসবিএন 9781932705546।
- G.S.Chhabra (১ জানুয়ারি ২০০৫)। Advance Study in the History of Modern India (Volume-1: 1707-1803)। Lotus Press। পৃষ্ঠা 29–47। আইএসবিএন 978-81-89093-06-8।
আরো পড়ুন
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে Nanasaheb Peshwa সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- Balaji Bajirao (Nanasaheb) Peshwa by Prof. S. S. Puranik
- Solstice at Panipat by Uday S. Kulkarni, Mula Mutha Publishers, 2nd edition, 2012.
- Panipat by Vishwas Patil,Rajhamns publishers.