বিষ্ণু

বিষ্ণু (সংস্কৃত: विष्णु) হিন্দুদের দেবতা এবং ত্রিমূর্তির অন্যতম সদস্য , বিষ্ণু হিন্দুদের কাছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিপালক রূপেও পরিচিত এছাড়াও তিনি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবতা। আদি শংকর প্রমুখ স্মার্ত পণ্ডিতদের মতে, বিষ্ণু ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের অন্যতম।[3]।[4][5]

বিষ্ণু
পালনকর্তা
দেবনাগরী	विष्णु
সংস্কৃত লিপ্যন্তর	viṣṇu
অন্তর্ভুক্তি	দেব (ত্রিমূর্তি)
আবাস	বৈকুণ্ঠ
মন্ত্র	ॐ नमो नारायणाया ওঁ নমঃ নারায়ণায়
অস্ত্র	সুদর্শন চক্র , কৌমোদকী গদা, নারায়ণ আশ্রম নারায়ণাস্ত্র ,বৈষ্ণবাস্ত্র [1]
প্রতীকসমূহ	শালগ্রাম, পদ্ম
বাহন	গরুড়[1]
উৎসব	হোলি, রাম নবমী, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, নরসিংহ জয়ন্তী[2]
সঙ্গী	লক্ষ্মী

বিষ্ণু সহস্রনামে [6] পুরাণ অনুসারে, বিষ্ণুর গাত্রবর্ণ ঘন মেঘের ন্যায় নীল (ঘনশ্যাম); তিনি চতুর্ভূজ এবং শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম ধারী। ভগবদ্গীতা গ্রন্থে বিষ্ণুর বিশ্বরূপেরও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।[7]

পুরাণে বিষ্ণুর দশাবতারেরও বর্ণনা রয়েছে। বিষ্ণুর এই দশ প্রধান অবতারের মধ্যে নয় জনের জন্ম অতীতে হয়েছে এবং এক জনের জন্ম ভবিষ্যতে কলিযুগের শেষলগ্নে হবে বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন। বিষ্ণু সহস্রনামে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার উক্তিতে বিষ্ণুকে "সহস্রকোটি যুগ ধারিনে" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ, বিষ্ণুর অবতারগণ সকল যুগেই জন্মগ্রহণ করে থাকেন। ভগবদ্গীতা অনুসারে, ধর্মের পালন[8] এবং দুষ্টের দমন ও পাপীর ত্রাণের জন্য বিষ্ণু অবতার গ্রহণ করেন। হিন্দুদের প্রায় সকল শাখাসম্প্রদায়ে, বিষ্ণুকে বিষ্ণু বা রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ অবতারের রূপে পূজা করা হয়।[9]

হিন্দুধর্মের ত্রিমূর্তি[10][11] ধারণায় ব্রহ্মাকে বিশ্বচরাচরের সৃষ্টির প্রতীক, বিষ্ণুকে স্থিতির প্রতীক ও শিবকে ধ্বংসের প্রতীক রূপে কল্পনা করা হয়েছে।[12][13]

==ধ্যানমন্ত্র==ওমঃ নমোঃ ব্রাক্ষন্য দেবায় গোঃ ব্রাক্ষন্য হিতায়ঃ চঃ জগঃধ্বিতায় কৃষ্ণাাায়ঃ নমঃ নমঃ