সূর্য (দেবতা)

সূর্য (সংস্কৃত: सूर्य, Sūrya, "সর্বোচ্চ আলোক"[4]) হিন্দুধর্মের প্রধান সৌর দেবতা। তিনি আদিত্যগণের অন্যতম এবং কশ্যপ ও তাঁর অন্যতমা পত্নী অদিতির পুত্র।[5] কোনো কোনো মতে তিনি ইন্দ্রের পুত্র। সূর্যের কেশ ও বাহুর সোনার। তিনি সপ্তাশ্ববাহিত রথে আকাশপথে পরিভ্রমণ করেন।[2] তাঁর রথের ঘোড়াগুলি সাতটি পৃথক পৃথক রঙের, যা রঙধনুর সাত রঙের প্রতীক। তিনি রবিবারের অধিপতি।

রথারূঢ় সূর্যদেব, তাঞ্জোর ঘরানার চিত্রকলা, ঊনবিংশ শতাব্দী।
সূর্য
সূর্য
আলোক, দিবস ও প্রজ্ঞার দেবতা
সূর্য, পূর্ব ভারত, খ্রিস্টীয় ১৯শ শতাব্দী, মাৎসুওকা মিউজিয়াম অফ আর্ট, টোকিও, জাপান
অন্যান্য নামআদিত্য, ভাস্কর, দিবাকর, সূর্যনারায়ণ
অন্তর্ভুক্তিদেব, নবগ্রহ, আদিত্য
আবাসসূর্যলোক
গ্রহসূর্য
মন্ত্র"ওঁ শ্রীসূর্যায় নমঃ,
 হ্রীঁ হ্রীঁ সঃ,
 ঠ্রিঁ হ্র্যৌঁ উঁ ঠ্রিঁ,
 আদিত্যায় বিদ্মহে মার্তণ্ডায় ধীমহি। তন্নঃ সূর্য্যঃ প্রচোদয়াৎ (গায়ত্রী)
[1]
অস্ত্রদণ্ড
Dayরবিবার
সন্তানশ্রদ্ধাদেব মনু, যম, যমুনা, শনি, তপতী, ভদ্রা, কর্ণ, সুগ্রীব
বাহনসপ্তাশ্ববাহিত রথ
সারথি: অরুণ[2]
গ্রিক সমমানহেলিয়স[3]
রোমান সমমানঅ্যাপোলো / সোল
সঙ্গীছায়া, সরণ্যু/সন্ধ্যা ও রাত্রি
মাতাপিতা

হিন্দু ধর্মীয় সাহিত্যে সূর্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। কারণ তিনিই একমাত্র দেবতা যাঁকে মানুষ প্রত্যহ প্রত্যক্ষ করতে পারেন। এছাড়াও, শৈব ও বৈষ্ণবেরা সূর্যকে যথাক্রমে শিববিষ্ণুর রূপভেদ মনে করেন। উদাহরণস্বরূপ, বৈষ্ণবেরা সূর্যকে সূর্যনারায়ণ বলে থাকেন। শৈব ধর্মতত্ত্বে, শিবের অষ্টমূর্তি রূপের অন্যতম হলেন সূর্য।

সূর্যের অন্যান্য নামগুলি হল বিবস্বান, রবি (অর্থাৎ, "আগুনপাখি"[4]), আদিত্য (অর্থাৎ, "অদিতির পুত্র"[6]), পূষা ("শ্রেষ্ঠ পাপনাশক"), দিবাকর ("দিনের স্রষ্টা"), সবিতৃ ("উজ্জ্বলকারী"), অর্ক ("রশ্মি"), মিত্র ("বন্ধু")[6], ভানু ("আলোক") ভাস্কর ("আলোকনির্মাতা"), গ্রহপতি ইত্যাদি।[7]

পরিচিতি

সূর্য প্রণাম মন্ত্র

অর্থসহ মন্ত্র: ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম । ধান্তারীং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্ ।।

অর্থাৎ, জবাপুষ্পের মত লোহিত বর্ণ, অন্ধকারনাশক মহাদ্যুতিবিশিষ্ট সর্ব্বপাপবিনাশক কশ্যপপুত্র সূর্য্যকে প্রণাম করি।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. স্তবকবচমালা ও ধ্যানমালা, বামদেব ভট্টাচার্য্য সম্পাদিত, অক্ষয় লাইব্রেরী, কলকাতা, পৃ. ২৮৩
  2. Jansen, Eva Rudy. The Book of Hindu Imagery: Gods, Manifestations and Their Meaning, p. 65.
  3. Pande, Govind Chandra (২০০৭)। A golden chain of civilizations : Indic, Iranic, Semitic, and Hellenic up to c. 600 B.C. (1. publ. সংস্করণ)। New Delhi: Project of History of Indian Science, Philosophy, and Culture। পৃষ্ঠা 572। আইএসবিএন 978-8187586289। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮
  4. Wilhelm, Ernst. Graha Sutras, Kala Occult Publishers, p.49. আইএসবিএন ০-৯৭০৯৬৩৬-৪-৫
  5. Ganguli, Kisari Mohan. Translation of Mahabharata of Vyasa, Stories and Characters from Mahabharata.
  6. Wilhelm, Ernst. Graha Sutras, Kala Occult Publishers, p.50. আইএসবিএন ০-৯৭০৯৬৩৬-৪-৫
  7. Wilhelm, Ernst. Graha Sutras, Kala Occult Publishers, p.51. আইএসবিএন ০-৯৭০৯৬৩৬-৪-৫

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.