শনি (দেবতা)

শনি (সংস্কৃত: शनि, কন্নড়: ಶನಿ , তামিল: சனி, Caṉi, তেলুগু: శని) নবগ্রহের একটি অন্যতম গ্রহ, শনি গ্রহকে গ্রহরাজ-ও বলা হয়ে থাকে। শনিদেব হিন্দুধর্ম মতে একজন দেবতা। শনি উগ্র দেবতা বলে কুখ্যাত। জ্যোতিষীদের মতে শনির কুদৃষ্টি অশুভ ফল নিয়ে আসে। সৌরজগতের শনি গ্রহ ও সপ্তাহের শনিবার দিনটি শনিদেবের নামে নামকরণ করা হয়। শনিদেব কে শনিশ্চর বা শনৈশ্চর নামেও ডাকা হয়।

শনি
কর্মফল দাতা
শনিগ্রহ
অন্তর্ভুক্তিগ্রহ , দেব
আবাসশনিলোক
গ্রহশনি গ্রহ
মন্ত্রওঁ শং শনৈশ্চরায় নমঃ
গায়ত্রী মন্ত্র: ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃতুরূপায় ধীমহি তন্নোঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম মন্ত্র:নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসূতং মহাগ্রহম্। ছায়াং গর্ভসম্ভুতং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম।।
অস্ত্রতীর , ধনুক , ত্রিশূল , গদা
Dayশনিবার
সন্তানমান্দী, কূলীগণ
বাহনশকুন, কাক[1]
২৩ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন শনিদেব বিগ্রহ, উদুপি

পৌরাণিক মন্ত্র

निलाञ्जन-समाभासं रवि-पुत्रं यमाग्रजम् ।

छाया-मार्ताण्ड-संभूतं तं नमामि शनैश्चरम् ॥

নীলাঞ্জনসমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম্।

ছায়ামার্তণ্ডসম্ভূতং ত্বং নমামি শনৈশ্চরম্।।

পরিচিতি

শনি সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়।[1][2] শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা যমদেব বা ধর্মরাজের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।[3] ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার কাছে এসে কামতৃপ্তি প্রার্থনা করলেন। ধ্যানমগ্ন শনি সেদিকে খেয়াল না করাতে অতৃপ্তকাম পত্নী শনিকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না ! এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে! মধ্যযুগীয় গ্রন্থ মতে শনি হলেন একজন দেবতা,যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন।[4]

মন্দির এবং তীর্থস্থান সমুহ

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে শনিদেবের ছোটবড় মন্দির দেখা যায়, এবং সেখানে প্রতি সপ্তাহে শনিবার শনিদেবের সাপ্তাহিক পুজার্চনা হয়ে থাকে। এছাড়াও সারা ভারতে বেশকিছু বড় বড় শনি মন্দির ও তীর্থস্থান উল্লেখযোগ্য, যেমন তিরুনাল্লার শ্রী শনিশ্চর কোইল ,দেওনার-এর শনি দেবালয়ম, মহারাষ্ট্রের শনি-সিঙ্গাপুর মন্দির, তিতওয়ালার শনি মন্দির, মাদুরাই এর নিকটে কুচানুর-এর শনি মন্দির।

শনিদেবের ব্রত

শনিদেব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা যতই ভয়ভীতিমিশ্রিত হোক না কেন, মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিদেবকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পূজার্চনা করার বিধান আছে। সাধারনত শনিদেবের মন্দিরে অথবা গৃহের বাইরে খোলা জায়গায় শনিদেবের পূজা হয়। নীল বা কৃষ্ণগ বর্ণের ঘট, পুষ্প, বস্ত্র, লৌহ, মাষ কলাই , কালো তিল, দুগ্ধ, গঙ্গাজল, সরষের তেল প্রভৃতি বস্তু শনিদেবের ব্রতের জন্য আবশ্যিক। নির্জলা উপবাস বা একাহারে থেকে এই ব্রত পালন করতে হয়।

==শনিদেবের পাঁচালী==শ্রী হরি নামে দেখছিল ব্রাহ্মণ

তথ্যসূত্র

  1. Roshen Dalal (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 373। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6।
  2. John Dowson (২০১৩)। A Classical Dictionary of Hindu Mythology and Religion, Geography, History and Literature। Routledge। পৃষ্ঠা 278। আইএসবিএন 978-1-136-39029-6।
  3. Effectuation of Shani Adoration pg. 10 at http://books.google.com/books?id=RnzLgxvmOFkC&pg=PA9&dq=shani+karma&cd=2#v=onepage&q=shani%20karma&f=false
  4. Michael Jordan (২০১৪)। Dictionary of Gods and Goddesses। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 283। আইএসবিএন 978-1-4381-0985-5।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.