মুসলমানদের ভারত বিজয়
ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম বিজয় শুরু হয় প্রধানত ১২শ থেকে ১৬শ শতাব্দীতে। তবে ৮ম শতাব্দীতে মুসলমানেরা রাজপুত সাম্রাজ্যে (বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে) কিছু কিছু হামলা চালিয়েছিল। দিল্লি সালতানাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলাম উপমহাদেশের বড় অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করেন যা ছিল তৎকালে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে উত্তর প্রান্ত।
দক্ষিণ এশিয়া | |||||
---|---|---|---|---|---|
প্রস্তর যুগ | ৭০,০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মেহেরগড় | • ৭০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা | ৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
হরপ্পা সংস্কৃতি | ১৭০০-১৩০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
বৈদিক যুগ | ১৫০০-৫০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
লৌহ যুগ | ১২০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• ষোড়শ মহাজনপদ | • ৭০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মগধ সাম্রাজ্য | • ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মৌর্য সাম্রাজ্য | • ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ | ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• চোল সাম্রাজ্য | • ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• সাতবাহন সাম্রাজ্য | • ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• কুষাণ সাম্রাজ্য | • ৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• গুপ্ত সাম্রাজ্য | • ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• পাল সাম্রাজ্য | • ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• রাষ্ট্রকুট | • ৭৫৩-৯৮২ | ||||
• ইসলামের ভারত বিজয় | • | ||||
• সুলতানী আমল | • ১২০৬-১৫৯৬ | ||||
• দিল্লি সালতানাত | • ১২০৬-১৫২৬ | ||||
• দাক্ষিনাত্যের সুলতান | • ১৪৯০-১৫৯৬ | ||||
হৈসল সাম্রাজ্য | ১০৪০-১৩৪৬ | ||||
কাকতীয় সাম্রাজ্য | ১০৮৩-১৩২৩ | ||||
আহমন সাম্রাজ্য | ১২২৮-১৮২৬ | ||||
বিজয়নগর সাম্রাজ্য | ১৩৩৬-১৬৪৬ | ||||
মুঘল সাম্রাজ্য | ১৫২৬-১৮৫৮ | ||||
মারাঠা সাম্রাজ্য | ১৬৭৪-১৮১৮ | ||||
শিখ রাষ্ট্র | ১৭১৬-১৮৪৯ | ||||
শিখ সাম্রাজ্য | ১৭৯৯-১৮৪৯ | ||||
ব্রিটিশ ভারত | ১৮৫৮–১৯৪৭ | ||||
ভারত ভাগ | ১৯৪৭–বর্তমান | ||||
জাতীয় ইতিহাস বাংলাদেশ • ভুটান • ভারত মালদ্বীপ • নেপাল • পাকিস্তান • শ্রীলংকা | |||||
আঞ্চলিক ইতিহাস আসাম • বেলুচিস্তান • বঙ্গ হিমাচল প্রদেশ • উড়িষ্যা • পাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ পাঞ্জাব • দক্ষিণ ভারত • তিব্বত | |||||
বিশেষায়িত ইতিহাস টঙ্কন • রাজবংশ • অর্থনীতি ভারততত্ত্ব • ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস • সাহিত্য • নৌসেনা • সেনা • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি • সময়রেখা | |||||
ভারতে ইসলাম |
---|
Part of a series on |
ইতিহাস
|
স্থাপত্য
|
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
|
সম্প্রদায়
|
Religious jurisprudence
|
Schools of thought
|
ভারতের মসজিদ
|
বিশ্ববিদ্যালয়
|
Influential bodies
|
১৪ শতকে খিলজি বংশের, আলাউদ্দিন খিলজি তার সাম্রাজ্যের সীমানা দক্ষিণে গুজরাত,রাজস্থান ও দাক্ষিণাত্য মালভূমি এবং তুগলক রাজবংশ তাদের সীমানা তামিলনাড়ু পর্যন্ত বাড়ায়। কিন্তু দিল্লি সালতানাত ভেংগে গেলে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে অনেক গুলো নতুন সালতানাতে আবির্ভাব ঘটে, যার মধ্যে গুজরাত সালতানাত,মালওয়া সালতানাত, তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাণিজ্য পথের অধিকারী বাংলা সালতানাত[1][2]
মারাঠা সাম্রাজ্য ও ব্রিটিশ রাজত্বের পূর্বে মুসলিম মুঘল সাম্রাজ্য ভারতের অধিকাংশ রাজ্যকে দখল বা দমন করতে সক্ষম হয়। তবে কিছু প্রান্তিক রাজ্য তারা দখল করতে পারেনি, যেমন - হিমালয়ের উপরাংশে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরখণ্ড, সিকিম, নেপাল ও ভুটান; দক্ষিণ ভারতে ট্রাভাঙ্কর ও তামিলনাড়ু এবং পূর্বে আসামের আহোম সাম্রাজ্য।
প্রাথমিক মুসলিম গোষ্ঠী
আরব উপদ্বীপে ইসলামের উৎপত্তি ও বিস্তৃতির অল্পকালের মধ্যেই তা আরব বণিক, সুফি ও ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্র-উপকূলবর্তী অঞ্চল সিন্ধ, বাংলা, গুজরাট, কেরালা এবং সিলনে। মুসলিমরা এসব স্থানে বসতি করেন এবং স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করেন। ৬৪৩ খ্রীষ্টাব্দে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়ে আরব বিশ্ব প্রথম নৌপথে ভারত উপমহাদেশে আক্রমণ করে, স্থলপথে আক্রমণ করে তার অনেক পরে।
আরব নৌঅভিযান
৬৪৩ সনে বাহরাইন ও ওমানের গভর্নর উসমান ইবনে আবুল আস সাকিফী নৌবহর নিয়ে মুম্বাইয়ের নিকটে থান-এ হামলা চালান, তার ভাই হাকাম যাত্রা করেন ব্রোচে এবং আরেক ভাই মুগীরা আক্রমণ করেন দেবল। ফুতুহুল বুলদানের তথ্যমতে তিনটি অভিযানই সফল হয়[3], তবে অন্য সূত্রমতে মুগীরা দেবলে পরাজিত ও নিহত হন।[4] এই অভিযানের কথা উমর (রাঃ)কে জানানো হয়নি বলে তিনি উসমানকে তিরস্কার করেন।[5] উল্লেখ্য, অভিযানগুলো হয়েছিলো জলদস্যুদের বিরুদ্ধে যারা আরব সাগরে তাদের বাণিজ্যপথ নিরাপদ রাখার জন্যে, ভারত জয়ের উদ্দেশ্যে নয়।[6][7][8]
উমাইয়া অভিযান
মাকরান ও জাবুলিস্তানের লড়াই
হাজ্জাজের আমল
সিন্ধু জয়
পরবর্তী মুসলিম আক্রমণ
গজনবী সাম্রাজ্য

মুহাম্মদ ঘুরী
মুইজউদ্দিন মুহাম্মাদ (ফার্সি: معزالدین محمد), জন্মনাম শিহাবউদ্দিন (১১৪৯ – মার্চ ১৫, ১২০৬), (মুহাম্মাদ ঘুরি বলেও পরিচিত) ছিলেন ঘুরি সাম্রাজ্যের সুলতান। তার ভাই গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মাদের সাথে তিনি ১১৭৩ থেকে ১২০২ পর্যন্ত শাসন করেন। এরপর ১২০২ থেকে ১২০৬ পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে শাসন করেন।
দিল্লি সালতানাত
তৈমুর
তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস (চাগাতাই ভাষায়: تیمور - তেমোর্, "লোহা") (১৩৩৬ - ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫) ১৪শ শতকের একজন তুর্কী-মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ। [9][10][11][12] তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে তৈমুরি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন।[13][14][15]
মুঘল সাম্রাজ্য
বাবর
আওরঙ্গজেব
দুররানী সাম্রাজ্য
দুরারানি সাম্রাজ্য (পশতু: د درانیانو واکمني) সাদুজাই রাজ্য নামেও পরিচিত, ছিল আফগানিস্তানের সর্বশেষ সাম্রাজ্য।[16] ১৭৪৭ সালে কান্দাহারকে রাজধানী করে আহমদ শাহ দুররানি সাম্রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেন।[17][18]
মুসলিম শাসনের পতন
১৭০৭ সালে সম্রাট আড়ঙ্গজেব এর মৃত্যুর পরই মূলত মুসলিম শাসকদের পতন হতে থাকে। ১৭৫৮ সালের মধ্যে মারাঠা সাম্রজ্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে তাদের সাম্রজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
আরো দেখুন
- পাখতুন সাম্রাজ্যসমূহের তালিকা
- ভারতে ইসলামি সাম্রাজ্য
- নাদির শাহের মুঘল সাম্রাজ্য আক্রমণ
- বাংলাদেশের ইতিহাস
- দিল্লি সালতানাত
- মুঘল সাম্রাজ্য
- মুঘল যুগ
তথ্যসূত্র
- Kulke, Hermann. (১৯৯৮)। A history of India। Rothermund, Dietmar. (3rd ed সংস্করণ)। London: Routledge। আইএসবিএন 0203443454। ওসিএলসি 51067013।
- Vincent A Smith, গুগল বইয়ে The Oxford History of India: From the Earliest Times to the End of 1911, পৃ. 217,, Chapter 2, Oxford University Press
- আল বালাযুরি, আবুল আব্বাস আহমাদ , "কিতাব ফুতুহুল বুলদান, ২য় খণ্ড", pp227
- Fredunbeg, Mirza Kalichbeg, "The Chachnama: An Ancient History of Sind", pp57
- Murgotten, Francis Clark (১৯২৪)। The Origins Of The Islamic State Part II। Osmania University, Digital Library Of India। Longmans, Green And Company।
- Sen, Sailendra Nath, "Ancient Indian History and Civilization 2nd Edition", pp346
- Khushalani, Gobind, "Chachnama Retold An Account of the Arab Conquests of Sindh", pp221
- Editors: El Harier, Idris, & M'Baye, Ravene , "Spread of Islam Throughout the World ", pp594
- বি.এফ. মান্জ, "Tīmūr Lang", in এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম, Online Edition, 2006
- The Columbia Electronic Encyclopedia, "Timur", 6th ed., Columbia University Press: "... Timur (timoor') or Tamerlane (tăm'urlān), c.1336–1405, মোঙ্গল বিজেতা, b. কেশ, সমরখন্দের নিকটে. ...", (LINK)
- "Timur", in ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ: "... [Timur] was a member of the Turkic Barlas clan of Mongols..."
- "Baber", in ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ: "... Baber first tried to recover Samarkand, the former capital of the empire founded by his Mongol ancestor Timur Lenk ..."
- Muntakhab-ul-Lubab, Khafi Khan Nizam-ul-Mulk, Vol I, p. 49. Printed in Lahore, 1985
- Marozzi, Justin (২০০৪)। Tamerlane: Sword of Islam, conqueror of the world। HarperCollins।
- Josef W. Meri (২০০৫)। Medieval Islamic Civilization। Routledge। পৃষ্ঠা 812। আইএসবিএন 9780415966900।
- "Last Afghan empire"। Louis Dupree (professor), Nancy Hatch Dupree and others। Encyclopædia Britannica। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৫।
- "Aḥmad Shah Durrānī"। Encyclopædia Britannica। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৫।
- "Afghanistan (Archived)"। John Ford Shroder। University of Nebraska। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২১।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে:: মুসলমানদের ভারত বিজয় |
- History of Islam in India by Neria Harish Hebbar
- Library of modern Hindu history – The Islamic Ages
- A Response to Muslim Legacy in India
- The Legacy of Jihad in India
- Historical Interaction of Buddhism and Islam (ই-বুক সহ)
- Story of Pakistan
- History of Crafts, Manufacturing and Trade in South Asia
- Resources for the study of the Muslim Period of India