সিকিম
সিকিম (নেপালি: सिक्किम সিক্কিম) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ । এর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত, পূর্বে ভুটান, পশ্চিমে নেপাল এবং দক্ষিণে ভারতের অপর একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সিকিম বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি অবস্থিত। সিকিম ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা কম জনবহুল এবং আয়তনে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের একটি অংশ সিকিম, আল্পাইন এবং উপক্রান্তীয় জলবায়ু সহ এর জীব বৈচিত্র্যের জন্য উল্লেখযোগ্য এবং সেইসাথে সিকিমে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এবং পৃথিবীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর। সিকিমের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর গ্যাংটক। রাজ্যের প্রায় ৩৫% এলাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান দ্বারা আচ্ছাদিত। [7]
সিকিম | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
রাজ্য | ||||||
| ||||||
| ||||||
![]() | ||||||
স্থানাঙ্ক (Gangtok): ২৭.৩৩° উত্তর ৮৮.৬২° পূর্ব | ||||||
দেশ | ![]() | |||||
Admission to Union † | ১৬ মে ১৯৭৫ | |||||
রাজধানী | Gangtok | |||||
বড় শহর | Gangtok | |||||
Districts | 4 | |||||
সরকার | ||||||
• Governor | Ganga Prasad | |||||
• Chief Minister | Prem Singh Tamang (SKM) | |||||
• Legislature | Unicameral (32 seats) | |||||
• Parliamentary constituency | Rajya Sabha 1 Lok Sabha 1 | |||||
• High Court | সিকিম উচ্চ আদালত | |||||
আয়তন | ||||||
• মোট | ৭০৯৬ কিমি২ (২৭৪০ বর্গমাইল) | |||||
এলাকার ক্রম | 28th | |||||
জনসংখ্যা (2011)[1] | ||||||
• মোট | ৬,১০,৫৭৭ | |||||
• ক্রম | 29th | |||||
• জনঘনত্ব | ৮৬/কিমি২ (২২০/বর্গমাইল) | |||||
বিশেষণ | Sikkimese | |||||
Languages[2][3] | ||||||
• Official |
| |||||
• Additional official |
| |||||
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+05:30) | |||||
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-SK | |||||
HDI | ![]() | |||||
HDI rank | 10th (2017) | |||||
Literacy | 82.6% (13th) | |||||
ওয়েবসাইট | www.sikkim.gov.in |
{{{region}}} | |
প্রতীক | ![]() |
---|---|
প্রাণী | |
পাখি | ![]() |
ফুল | ![]() |
বৃক্ষ | ![]() |
সিকিম রাজ্যটি ১৭ শতকের নামগিয়াল রাজবংশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। রাজ্যটি চোগিয়াল নামে পরিচিত একজন বৌদ্ধ পুরোহিত রাজা দ্বারা শাসিত ছিল। ১৮৯০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অধীনে একটি জমকাল রাজ্য হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালের পরে সিকিম ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অঙ্গরাজ্য হিসাবে ছিল। হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিমে সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। ১৯৭৩ সালে চোগিয়ালের প্রাসাদের সামনে রাজতন্ত্র বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জনগণ সিকিমীয় রাজতন্ত্রকে দমন করে। ১৯৭৫ সালে গণভোটের পরে সিকিম ভারতবর্ষের ২২ তম রাজ্য হিসেবে যুক্ত হয়। [8]
আধুনিক সিকিম একটি বহুজাতিক এবং বহুভাষী ভারতীয় রাজ্য। সিকিমের ১১ টি সরকারি ভাষা রয়েছে: নেপালি, সিকিমিজ, লেপচা, তামাং, লিম্বু, নেওয়ারি, রায়, গুরুং, মগার, সুনওয়ার এবং ইংরেজী। [9][10] ইংরেজি ভাষা স্কুলে পড়ানো হয় এবং সরকারী নথিতে ব্যবহৃত হয়। হিন্দুধর্ম এবং বজ্রায়ণ বৌদ্ধ ধর্ম হল সিকিমের প্রধান ধর্ম। সিকিমের অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং ২০১৪ সালের হিসাবে ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে এই রাজ্যটির তৃতীয়-ক্ষুদ্রতম জিডিপি ছিল,[11] যদিও এটি বর্তমানে দ্রুত বর্ধমান অবস্থার মধ্যে রয়েছে। [11][12]
সিকিম ভারতের বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক রাজ্য এবং গুয়াতেমালার পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিকিম, তার কৃষিকে সম্পূর্ণভাবে জৈব পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করে প্রথম ভারতীয় রাজ্য হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। [13] এটি ভারতের সবচেয়ে পরিবেশগতভাবে সচেতন রাজ্য, যার ফলে প্লাস্টিকের জলের বোতল এবং স্টাইরোফোম ইত্যাদি পণ্য এখানে নিষিদ্ধ। [14][15]
ইতিহাস
লেপচারা সিকিমের প্রাচীনতম জাতি বলে মনে করা হয়।[16] অবশ্য লিম্বু এবং মগর জনজাতিও তখন বাস করত পশ্চিম ও দক্ষিণের জেলাগুলির অগম্য অংশে, অপর দিকে লেপচারা সম্ভবত পূর্ব ও উত্তরের জেলাগুলির মধ্যে বসবাস করত। [17] বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পদ্মসম্ভব, যিনি গুরু রেনপোচে নামেও পরিচিত, বলা হয় যে তিনি ৮ম শতাব্দীতে এখানে পর্যটন করেছেন। [18]
রাজতন্ত্রের ভিত্তি
ভারতীয় সুরক্ষা এবং রাজ্য প্রতিষ্ঠা
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর সিকিম , রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচুর জনমতের পরও, ভারতভুক্ত হয়নি। কিন্তু পরে জওহরলাল নেহে্রুর ইচ্ছাতে সিকিম কে ভারতের সংরক্ষিত ক্ষেত্রে পরিণত করা হয়। যার ফলে ভারত সিকিমের সংরক্ষণের দায়িত্ব পায়। পরে ১৯৭৫ সালে প্রচন্ড দাঙ্গা শুরু হয় এবং পূর্ণ জনমতের পর ১৬ই মে ১৯৭৫ সালে সিকিমকে ২২তম ভারতীয় রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
রাজ্যের রাবাংলা-এ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি রাষ্ট্রীয় প্রাযুক্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সিকিমে ধর্মবিশ্বাস-২০১১
ধর্ম
সিকিমের অধিবাসীরা অর্থাৎ লেপচা এবং ভুটিয়ারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। এখানে মূলতঃ মহাযান মতে তিব্বতী বৌদ্ধধর্ম চর্চিত হয়ে থাকে।
ভাষা
পর্যটন
হিলে-বারসে ট্রেল - সিকিমের পশ্চিম দিকে রয়েছে এই অঞ্চল। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি করে দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে। খুবই সহজ একটি ট্রেক ট্রেল । এপ্রিল-মে মাসে বারসের রডোডেনড্রন স্যাঙ্কচুয়ারিতে রঙের মেলা দেখা যায়। সাদা, গোলাপি, লাল, হলুদ রঙের রডোডেনড্রনে ভরে থাকে সমগ্র উপত্যকা।[20]
গ্যালারি
- তিব্বত গবেষণা কেন্দ্র এবং সংগ্রহশালা
- রাজধানী গ্যাংটক
- হিমালয়
- প্রকৃতির কোলে কালো ভাল্লুক
- রডোডেনড্রন
- রুমটেক মঠ, গ্যাংটক
- গুরুডোংমার হ্রদ
তথ্যসূত্র
- "1977 Sikkim government gazette" (PDF)। sikkim.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। Governor of Sikkim। পৃষ্ঠা 188। ২২ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৮।
- "50th Report of the Commissioner for Linguistic Minorities in India" (PDF)। ১৬ জুলাই ২০১৪। পৃষ্ঠা 109। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬।
- Dhar, T. N.; S. P. Gupta (১৯৯৯)। Tourism in Indian Himalaya। Lucknow: Indian Institute of Public Administration। পৃষ্ঠা 192। ওসিএলসি 42717797।
- "States and Union Territories Symbols"। knowindia.gov.in। ১২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৬।
- "Flora and Fauna"। sikkimtourism.gov.in। ১৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৬।
- O'Neill, Alexander (২০১৭-০৩-২৯)। "Sikkim claims India's first mixed-criteria UNESCO World Heritage Site" (PDF)। Current Science। 112 (5): 893–994। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১১।
- "Why is Sikkim's merger with India being questioned by China?"।
- Sonam Wangdi (১৩ অক্টোবর ২০০৯)। "Nepali Language in the Eighth Schedule of Constitution"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।
- Lepcha has been an official language since 1977, Limbu since 1981, Tamang since 1995 and Sunwar since 1996.
- "State-Wise GDP"। Unidow.com। ২০১৪। ২৪ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫।
- Indian Ministry of Statistics and Programme Implementation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে. Retrieved 24 September 2011.
- Paull, John (2017) "Four New Strategies to Grow the Organic Agriculture Sector", Agrofor International Journal, 2(3):61-70.
- "Ban on styrofoam products and on use of mineral water bottles in government functions and meetings in Sikkim"। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "How Sikkim became the cleanest state in India"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- "Lepchas and their Tradition"। Sikkim.nic.in। ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩।
- Skoda, Uwe (২০১৪)। Navigating Social Exclusion and Inclusion in Contemporary India and Beyond: Structures, Agents, Practices (Anthem South Asian Studies)। Anthem Press। পৃষ্ঠা 137। আইএসবিএন 978-1783083404।
- "History of Guru Rinpoche"। Sikkim Ecclesiastical Affairs Department। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৩।
- ORGI। "C-16: Population by Mother Tongue"। www.censusindia.gov.in। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-১০।
- "ট্রেকিং-হাইকিং করতে যাওয়ার ৫টি জায়গা"।
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে সিকিম সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |