বিহার

বিহার (ভোজপুরী: बिहार উচ্চারিত [bɪˈhaːr] (শুনুন)) পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য।[3][4] এই রাজ্যের আয়তন ৩৮,২০২ বর্গমাইল (৯৯,২০০ বর্গকিলোমিটার)। আয়তনের বিচারে এটি দেশের দ্বাদশ বৃহত্তম রাজ্য। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে বিহার ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য। এই রাজ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। বিহারিদের ৫৮ শতাংশের বয়স পঁচিশের কম।[5] এই হার ভারতের ক্ষেত্রে সর্ব অধিক।

বিহার
बिहार
بہار
ভারতের রাজ্য

সীলমোহর
ভারতে বিহারের অবস্থান
বিহারের মানচিত্র
স্থানাঙ্ক (পাটনা): ২৫.৩৭° উত্তর ৮৫.১৩° পূর্ব / 25.37; 85.13
দেশ India
অঞ্চলপূর্ব ভারত
বিহার প্রদেশ১ এপ্রিল ১৯৩৬
সংক্ষেপে
রাজধানীপাটনা
বৃহত্তম শহরপাটনা
জেলা38
সরকার
  রাজ্যপালকেশরী নাথ ত্রিপাঠী
  মুখ্যমন্ত্রীনিতিশ কুমার (জনতা দল (সংযুক্ত))
  উপ-মুখ্যমন্ত্রীসুশীল কুমার মোদী (ভারতীয় জনতা পার্টি)
  আইনসভাBicameral
Legislative Council 75
Legislative Assembly 243
  লোকসভা কেন্দ্র৪০
আয়তন
  মোট৯৪১৬৩ কিমি (৩৬৩৫৭ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম13th
জনসংখ্যা (2011)[1]
  মোট১০,৩৮,০৪,৬৩৭
  ক্রম৩য়
  জনঘনত্ব১১০২/কিমি (২৮৫০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলভাপ্রস (ইউটিসি+05:30)
UN/LOCODEINBR
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN-BR
যানবাহন নিবন্ধনBR
মাউস 0.367 (low)
মাউস ক্রম২১তম (২০০৭-০৮)
সাক্ষরতা৬৩.৪% (২৯তম)
৭৩.৪% (পুরুষ)
৫৩.৩% (মহিলা)
আনুষ্ঠানিক ভাষাহিন্দি
অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিক ভাষাউর্দু
ওয়েবসাইটgov.bih.nic.in
Bihar[2] প্রতীক
প্রাণীষাঁড় )
পাখিচড়ুই
ফুলগাঁদা
বৃক্ষপীপল(पीपल)

বিহার পূর্বদিকে পশ্চিমবঙ্গের আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চল এবং পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশের প্রায়-আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এর ফলে বিহারের জলবায়ু, অর্থনীতি এমনকি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উক্ত রাজ্যদ্বয়ের মাঝামাঝি স্তরের। এই রাজ্যের উত্তরে নেপাল রাষ্ট্র এবং দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। বিহারের সমভূমি অঞ্চল এই রাজ্যের পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত গঙ্গা নদী কর্তৃক দ্বিধাবিভক্ত। বিহারের প্রজ্ঞাপিত বনাঞ্চলের পরিমাণ ৬,৭৬৪.১৪ বর্গকিলোমিটার[6] যা এই রাজ্যের ভৌগোলিক আয়তনের ৬.৮ শতাংশ। রাজ্যের সরকারি ভাষা হিন্দি ও উর্দু। কিন্তু রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের মাতৃভাষা অঙ্গিকা, ভোজপুরি, মাগধী, মৈথিলী ও বজ্জিকার মধ্যে যে কোনো একটি বিহারি ভাষা।

বর্তমানে বিহার অবশ্য মানবীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে একটি পিছিয়ে পড়া ভারতীয় রাজ্য।[7][8][9] অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মীরা দাবি করেন এই পিছিয়ে পড়ার কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের জটিল পণ্য সমতা নীতি,[10][11] ও বিহারে এই নীতির বিরূপ প্রভাব[5][12][13] এবং বিহারী উপ-জাতীয়তাবাদের অভাব,[11][14][15] এছাড়াও ১৭৯৩ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তও এই অবস্থার জন্য অনেকাংশে দায়ী।[11] যদিও বর্তমান রাজ্য সরকারের অধীনে এই রাজ্যের অনেক উন্নতি ঘটেছে।[16]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রাজ্যের পাটনা-এ একটি ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতম রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান।

আবহাওয়া

Climate
ClassificationCwa
Avg. temperature২৭ °সে (৮১ °ফা)
• Summer৩৪ °সে (৯৩ °ফা)
• Winter১০ °সে (৫০ °ফা)
Precipitation১,২০০ মিমি (৪৭ ইঞ্চি)

তথ্যসূত্র

  1. "census of india"Census of India 2001Government of India। ২৭ মে ২০০২। ৩ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০০৭
  2. "Bihar"Webindia123.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
  3. "State Profile"। Bihar Government website। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  4. "Food riots, anger as floods swamp South Asia"। Reuters India। ২০০৮-০৮-২২।
  5. Guruswamy, Mohan; Kaul Abhishek (২০০৩-১২-১৫)। "The Economic Strangulation of Bihar" (PDF)। Centre for Policy Alternatives, New Delhi, India। ২০০৯-০৫-৩০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৪
  6. "State Profile"। Gov. of India।
  7. "Bihar's 'first' Economic Survey Report tabled"The Times of India। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-২২
  8. "Biharis an unwanted lot: Bal Thackeray"The Times of India। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-০৫
  9. "'Bihari' has become an abuse"The Times of India। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-১০
  10. Das, Arvind N. (১৯৯২)। The Republic of Bihar। India: Penguin Books। আইএসবিএন 0140123512।
  11. Goswami, Urmi A (২০০৫-০২-১৬)। "'Bihar Needs an Icon, a person who stands above his caste'(Dr Shaibal Gupta - Rediff Interview)"। Rediff। সংগ্রহের তারিখ ২০০৫-০২-১৬
  12. Guruswamy, Mohan; Baitha Ramnis Attar, Mohanty Jeevan Prakash (২০০৪-০৬-১৫)। "Centrally Planned Inequality, the Tale of Two States – Punjab and Bihar" (PDF)। Centre for Policy Alternatives, New Delhi, India। ২০০৯-০৩-২৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৪
  13. [Mohan]; Mohanty Jeevan Prakash (২০০৪-০২-১৫)। "The De-urbanisation of Bihar" (PDF)। Centre for Policy Alternatives, New Delhi, India। ২০০৯-০৩-২৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৪ |author-link1= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
  14. Ahmed Farzand and Mishra Subhash, Leaders of Bihar unite to counter Raj Thackeray, India Today, 31 October 2008
  15. Gupta, Shaibal। "BIHAR : IDENTITY And DEVELOPMENT"। Asian Development Research Institute (ADRI), Patna। ২০০৫-০৩-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৪-৩০
  16. Phadnis, Aditi (২০০৮)। "Lalu in the red"Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-১০
  17. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.