শাহী বাংলা

বাংলা সালতানাত বা শাহী বাংলা (ফার্সি: شاهی بنگاله, শাহী বাঙ্গালাহ[2]) ছিল মধ্যযুগের বাংলায় একটি মুসলিম স্বাধীন রাষ্ট্র।[3][4][5] যা ১৩শ থেকে ১৬শ শতক পর্যন্ত টিকে ছিলো।[6] এর রাজধানী ছিল বিশ্বের বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে একটি।[7] [8]যার অধীন রাষ্ট্র ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমে ওড়িশা, দক্ষিণ-পূর্বে আরাকান[9],এবং পূর্বে ত্রিপুরা[10]১৪৯৪ সালে, বাংলা সালতানাত কামরূপ এবং কামতার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সাম্রাজ্যের শীর্ষে আহোরণ করে।এটি মধ্যযুগীয় বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল।[10]ষোড়শ শতাব্দীতে, বাংলা সূরি সাম্রাজ্য এবং মোগল সাম্রাজ্যের নিকটে দুটি বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।

বাংলা সালতানাত
শাহী বাংলা
شاه بنگاله

 

১৩৫২–১৫৭৬
 

 

বাংলা সালতানাতের অবস্থান
১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা সালতানাত, বাংলা ও বিহার, আসাম ও আরাকানের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
রাজধানী গৌড়, পান্ডুয়া, সোনারগাঁও[1]
ভাষাসমূহ ফারসি (সরকারি), বাংলা (সরকারি), আরবি(ধর্মীয়), মৈথিলী, বিহারী, অসমীয়া
ধর্ম ইসলাম(সরকারি), হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম
সরকার রাজতন্ত্র
ইতিহাস
 - মধ্য যুগ ১৩৫২
 - প্রাক আধুনিক ১৫৭৬
মুদ্রা টঙ্কা
বর্তমানে অংশ  বাংলাদেশ
 মায়ানমার (রোসাঙ্গ)
 ভারত (পশ্চিম বাংলা,বিহার,ঝাড়খণ্ড,ত্রিপুরা,আসাম, মেঘালয়,সিক্কিম,মিজোরাম)
   নেপাল (মেচী অঞ্চল)
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয়

এটি একটি ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ যার বিষয়:

বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রাচীন ইতিহাস
প্রাচীন ইতিহাস
গুপ্ত সাম্রাজ্য
গুপ্তোত্তর কাল
পাল সাম্রাজ্য
সেন রাজবংশ
মধ্যযুগীয় ইতিহাস
মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা
তুর্কী শাসন
ইলিয়াস শাহী শাসন
হুসেন শাহী যুগ
আফগান শাসন
মুগল শাসন
ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠা
ঔপনিবেশিক যুগ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন
বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন
নবজাগরণ
বঙ্গভঙ্গ
দেশ বিভাগ
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম
পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্য
স্বাধীনতা যুদ্ধ
স্বাধীন বাংলাদেশ
১৯৭২ - ১৯৭৫
১৯৭৬ - ১৯৯০
১৯৯১ - ২০০৬

বাংলাদেশ প্রবেশদ্বার

বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ। বর্তমানে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান ঘোষিত হয়েছে।
গৌড়ের প্রাচীন প্রবেশদ্বার
রাজশাহীর সোনা মসজিদ
গৌড়ের ফিরোজ মিনার।
দিনাজপুরে অবস্থিত শামসউদ্দিন আহমাদ শাহর প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।

তুর্কি, আরব, পারসিয়ান, বাঙালিহাবশি বংশোদ্ভূত বেশ কিছু সুন্নি রাজবংশ এর শাসনভার লাভ করে। ১৬ শতকের শেষের দিকে সালতানাত ভেঙে যায় এবং মোগল সাম্রাজ্য ও আরাকানি মারুক ইউ রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। ইউরোপবাসীরা বাংলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বাণিজ্য দেশ হিসেবে গন্য করতো।[11] মুঘল সাম্রাজ্য আমলে বিশ্বের মোট উৎপাদনের (জিডিপির) ১২ শতাংশ উৎপন্ন হত সুবাহ বাংলায়,[12][13][14] যা সে সময় সমগ্র ইউরোপের জিডিপির চেয়ে বেশি ছিল।[15][16]

ইতিহাস

পটভূমি (১৩শ এবং ১৪শ শতক)

১২০০ শতকে বাংলা ধীরে ধীরে দিল্লি সালতানাত অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল। মুহাম্মদ ঘুরির রাজত্বকালে ১২০২ থেকে ১২০৪ এর মধ্যে বখতিয়ার খিলজির গৌড় বিজয়ের মধ্য দিয়ে এটি শুরু হয়েছিল। দিল্লি সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ ১২২৫ সালে বাংলাকে দিল্লির একটি প্রদেশ হিসাবে ঘোষণা করেন। দিল্লি সুলতানরা নিযুক্ত গভর্নরদের মাধ্যমে বাংলায় শাসন করার চেষ্টা করে। কিন্তু দিল্লির সাথে বাংলার দূরত্বের বেশি হওয়ায় যথেষ্ট পরিমাণের সাফল্য পাওয়া যায়নি। উচ্চাভিলাষী গভর্নররা বিদ্রোহ করেছিলেন এবং দিল্লি সুলতান দ্বারা সামরিকভাবে দমন না করা অবধি স্বাধীন শাসক হিসাবে শাসন করতেন। তবে বিদ্রোহীদের মধ্যে যথাযথ শাসকরাও ছিলেন, যার মধ্যে ইউজবাক শাহ (১২৫৭), তুগরাল খান (১২৭১-১২৮২), এবং শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ (১৩০১-১২২২) ছিলেন ।পরবর্তীরা সিলেট বিজয় অর্জন করে এবং পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলায় একটি শক্তিশালী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করে। ১৩২৫ সালে, দিল্লি সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলক প্রদেশটিকে তিনটি প্রশাসনিক অঞ্চলে পুনর্গঠিত করেছিলেন, সোনারগাঁও কেন্দ্রিক পূর্ব বাংলার শাসন, গৌড় উত্তরবঙ্গ শাসন করে,এবং সাতগাঁও দক্ষিণবঙ্গ শাসন করে। এমনকি এই ব্যবস্থাও ভেঙে যায়। ১৩৩৮ সালের মধ্যে, তিনটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সুলতান ছিল, যার মধ্যে সোনারগাও এর ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ গৌড়ের আলাউদ্দিন আলী শাহ[17] এবং সাতগাঁওয়ের শামসুদ্দিন ইলিয়াছ শাহ[18] ফখরুদ্দিন ১৩৪০ সালে চট্টগ্রাম জয় করেন এবং তাঁর পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ ১৩৪৯ সালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।[19]শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ আলাউদ্দিন আলী শাহকে পরাজিত করেন এবং গৌড়ের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেন। তারপরে তিনি সোনারগাঁয়ের ইখতিয়ারউদ্দিনকে পরাজিত করেন। ১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে ইলিয়াস শাহ নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেন।[20]

প্রথম দিকের শাহী বাংলা (১৪ শ ও ১৫ শ শতাব্দী)

ইলিয়াস শাহ পুন্ড্রে তাঁর রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদীর বদ্বীপকে বাংলার সুলতানে একীভূত করেন। ইলিয়াস শাহ উপমহাদেশের পূর্বের বেশ কয়েকটি নগর-রাজ্য ও রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং অভিযান চালান। তিনি পূর্ব বাংলা এবং উত্তর বিহার জয় করেন। তিনি নেপালে প্রথম মুসলিম সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন, কাঠমান্ডু উপত্যকায় আক্রমণ করেন এবং ধন-সম্পদ নিয়ে বাংলায় ফিরে আসেন।[21]তিনি পূর্বের আসাম থেকে পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করেন।[20]১৩৫৩ সালে, ইলিয়াস শাহ শাহী বাংলা-দিল্লির সুলতানি যুদ্ধের সময় একডালা দুর্গ অবরোধে দিল্লি সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের কাছে পরাজিত হন। বাংলা দিল্লি সুলতানের প্রতি কর জানাতে সম্মত হয়। অনেক অধিকৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেও, ইলিয়াস শাহ বাংলাকে দৃঢ় নিয়ন্ত্রণে করেন।[20]

ইলিয়াস শাহ ইন্দো-তুর্কি ইলিয়াস শাহী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা বাংলায় পনের দশক ধরে রাজত্ব করেছিল। তাঁর পুত্র এবং উত্তরসূরি সিকান্দার শাহ ১৩৯৫৯ সালে একডালা দুর্গের দ্বিতীয় অবরোধের সময় দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলককে পরাজিত করেন। পূর্বসূরীর স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে দিল্লি ও বাংলার মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফিরোজ শাহ তুঘলক সিকান্দার শাহকে ৮০,০০০ টাকা মূল্যের একটি সোনার মুকুট উপহার দেন। শান্তি চুক্তি দুটি শতাব্দীর জন্য বাংলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।[22]

সিকান্দার শাহের শাসনকাল তিন দশক স্থায়ী ছিল। আদিনা মসজিদটি তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের নকশাটি দামেস্কের বড় মসজিদের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল - এটি নতুন অঞ্চলে ইসলাম প্রবর্তনের সময় ব্যবহৃত একটি স্টাইল। এই সময়ে, কৃষিজমিগুলির বেশিরভাগ অংশ হিন্দু জমিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল, যা মুসলিম তালুকদারদের সাথে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।[23]

মধ্যযুগীয় ইসলামী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বঙ্গ পূর্ব সীমান্ত রাজ্যতে পরিণত হয়েছিল।[24]চতুর্দশ শতাব্দীতে, ইসলামী সাম্রাজ্য পশ্চিমে স্পেন থেকে পূর্ব ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি ফারসি ও আরবি ব্যবহৃত হত। পারস্য কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হত। আরবী ছিল আলেমদের সাহিত্যের ভাষা। বাংলায়, বাংলা ভাষা আদালতের ভাষাতে পরিণত হয়েছিল এবং এটি মুসলিম শাসনের অধীনে মূল ভাষা ছিল।[25]

তৃতীয় সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ বিদেশের বাংলার প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন। তিনি মিং চীনে দূত প্রেরণ শুরু করেন যা তার উত্তরসূরিদের শাসনকালেও ঐতিহ্য হিসাবে অব্যাহত ছিল । গিয়াসউদ্দিন আরবে নির্মাণ প্রকল্পগুলিতে আর্থিক সাহায্য করেন। তিনি পারস্য কবি হাফিজের সাথে চিঠিপত্র ও কবিতা বিনিময় করতেন।[26]বাংলার সুলতানরা কায়রোর আব্বাসীয় খিলাফতের প্রতি নামমাত্র আনুগত্যের অঙ্গীকার করতো। সুলতানদের মুদ্রাগুলিতে প্রায়শই সমসাময়িক আব্বাসীয় খলিফার নাম থাকতো।[27] গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ পান্ডুয়া ছাড়াও মধ্য বাংলা শহর সোনারগাঁওয়ে তাঁর দরবার বা আদালত স্থাপন করেন। চীনা দূতদের ভ্রমণ বিবরণীতে বলা হয়েছে যে সুলতান সোনারগাঁও নদীর বন্দরের নিকটে একটি প্রাসাদে বাস করতেন। নদী বন্দরটির চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থার মাধ্যম ছিল। ১৪০৬ সালে মা হুয়ান সোনারগাঁকে একটি বৃহৎ মহানগর হিসাবে আবিষ্কার করেন। অন্যান্য চীনা দূতগণ একটি সুরক্ষিত প্রাচীরযুক্ত শহরের বর্ণনা সরবরাহ করেছিলেন। সোনারগাঁও ছিল সূফী শিক্ষা এবং পারস্য সাহিত্যের কেন্দ্র। সুলতান গিয়াসউদ্দিন হাফিজকে সোনারগাঁয়ে বসতি করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।[28]

১৫শ শতক

ঘঘরার যুদ্ধে সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ বাবরের কাছে পরাজিত হন। এর পর ধীরে ধীরে বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। এটি রাজতন্ত্র এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রাক-মুসলিম পারস্য ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।

প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী

বাংলা সালতানাত ছিল রাজতন্ত্রিক। ইলিয়াস শাহী রাজবংশ একটি পারস্যীয় সমাজ কাঠামো গড়ে তুলেছিল। রাজধানী শহরগুলির আদালত সুলতানকে পবিত্র করে তোলে, পারস্যযুক্ত রাজকীয় প্যারাফার্নালিয়া ব্যবহার, সাসানীয় সাম্রাজ্যিক দৃষ্টান্তের আদলে একটি বিস্তৃত আদালতের অনুষ্ঠান গ্রহণ, একটি শ্রেণিবিন্যাসিক আমলাতন্ত্র নিযুক্ত করেছিল এবং ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে ধরে রেখেছে। জালালউদ্দিন মুহম্মদ শাহের উত্থানে আরও অনেক দেশীয় উপাদান আদালতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[29] হুসেন শাহী রাজবংশ বহু হিন্দুকে সরকারে নিয়োগ দিয়েছিল এবং একধরনের বহু ধর্মীয় সহানুভুতি প্রচার করেছিল।[23]

প্রতিষ্ঠিত শহর

বাঙ্গালা সালতানাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল প্রতিষ্ঠিত শহর । শহরগুলিতে রাজকীয় রাজধানী এবং প্রাদেশিক রাজধানী অন্তর্ভুক্ত ছিল যেখানে টাকার মুদ্রা খাটানো হতো। মুদ্রাগুলি সালতানাতের অভ্যন্তরে অর্থনীতি, প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলির বিতরণ এবং নগর কেন্দ্রগুলির উত্থান ও পতনের চিত্র তুলে ধরে। সাম্রাজ্যের প্রসারণের সাথে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত শহরের সংখ্যা বেড়েছে। নীচে প্রতিষ্ঠিত শহরের আংশিক তালিকা দেওয়া হলঃ[30]

  1. লখনৌতি
  2. সোনারগাঁও
  3. গিয়াসপুর (ময়মনসিংহ)
  4. সাতগাঁও
  5. ফিরোজাবাদ (পান্ডুয়া)
  6. শাহর-ই-নওয়া (পান্ডুয়া)
  7. মুজ্জামবাদ (সোনারগাঁ)
  8. জান্নাতবাদ (লখনৌতি)
  9. ফতেহবাদ (ফরিদপুর)
  10. চাটগাঁও (চট্টগ্রাম)
  11. রোটাসপুর (বিহার)
  12. মাহমুদাবাদ (যশোর ও নদিয়া)
  13. বারবাকাবাদ (দিনাজপুর)
  14. মুজাফফারাবাদ (পান্ডুয়া)
  15. মুহম্মদাবাদ
  16. হুসেনাবাদ (২৪ পরগনা)
  17. চন্দ্রবাদ (মুর্শিদাবাদ)
  18. নুসরতবাদ (বগুড়া ও রংপুর)
  19. খলিফতাবাদ (বাগেরহাট)
  20. বদরপুর (বাগেরহাট)
  21. শরীফাবাদ (বীরভূম)
  22. টান্দাহ (মালদা

অর্থনীতি


সংস্কৃতি

বৈদেশিক সম্পর্ক

সুলতানগণ

ইলিয়াস শাহি রাজবংশ (১৩৫২-১৪১৪)

নাম শাসনকাল নোট
শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ১৩৫২–১৩৫৮ সোনারগাঁও, সপ্তগ্রামগৌড়ের সমন্বয়ে গঠিত বাংলার প্রথম স্বাধীন শাসক হন।
সিকান্দার শাহ ১৩৫৮–১৩৯০ তার উত্তরাধিকারী গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ কর্তৃক নিহত
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ১৩৯০–১৪১১
সাইফউদ্দিন হামজা শাহ ১৪১১–১৪১৩
মুহাম্মদ শাহ বিন হামজা শাহ ১৪১৩ দিনাজপুরের জমিদার রাজা গণেশের আদেশে তার পিতার দাস শিহাবউদ্দিন বায়েজিদ শাহ কর্তৃক নিহত।

বায়েজিদ শাহি রাজবংশ(১৪১৩-১৪১৪)

নাম শাসনকাল নোট
শিহাবউদ্দিন বায়েজিদ শাহ ১৪১৩–১৪১৪
প্রথম আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ ১৪১৪ শিহাবউদ্দিন বায়েজিদ শাহর পুত্র। রাজা গণেশ কর্তৃক নিহত।

রাজা গণেশের পরিবার (১৪১৪-১৪৩৫)

নাম শাসনকাল নোট
রাজা গণেশ ১৪১৪–১৪১৫
জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ ১৪১৫–১৪১৬ রাজা গণেশের পুত্র। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
রাজা গণেশ ১৪১৬–১৪১৮ দ্বিতীয় দফা
জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ ১৪১৮–১৪৩৩ দ্বিতীয় দফা
শামসউদ্দিন আহমাদ শাহ ১৪৩৩–১৪৩৫

পুনপ্রতিষ্ঠিত ইলিয়াস শাহি রাজবংশ (১৪৩৫-১৪৮৭)

নাম শাসনকাল নোট
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ ১৪৩৫–১৪৫৯
রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ ১৪৫৯–১৪৭৪
শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহ ১৪৭৪–১৪৮১
দ্বিতীয় সিকান্দার শাহ ১৪৮১
জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ ১৪৮১–১৪৮৭

হাবশি শাসন (১৪৮৭-১৪৯৪)

নাম শাসনকাল নোট
শাহজাদা বারবাক ১৪৮৭
সাইফউদ্দিন ফিরোজ শাহ ১৪৮৭–১৪৮৯
দ্বিতীয় মাহমুদ শাহ ১৪৮৯–১৪৯০
শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহ ১৪৯০–১৪৯৪

হোসেন শাহি রাজবংশ (১৪৯৪-১৫৩৮)

নাম শাসনকাল নোট
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ১৪৯৪–১৫১৮
নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ ১৫১৮–১৫৩৩
দ্বিতীয় আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ ১৫৩৩
গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ ১৫৩৩–১৫৩৮

সুরি সাম্রাজ্যের অধীন বাংলার গভর্নর (১৫৩২-১৫৫৫)

নাম শাসনকাল নোট
শের শাহ ১৫৩২–১৫৩৮ ১৫৪০ সালে মোগলদের পরাজিত করে দিল্লীর শাসক হন।
খিজির খান ১৫৩৮–১৫৪১
কাজি ফাজিলাত ১৫৪১–১৫৪৫
মুহাম্মদ খান শুর ১৫৪৫–১৫৫৪
শাহবাজ খান ১৫৫৫

মুহাম্মদ শাহ রাজবংশ (১৫৫৪-১৫৬৪)

নাম শাসনকাল নোট
মুহাম্মদ খান শুর ১৫৫৪–১৫৫৫ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং শামসউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ নাম ধারণ করেন।
খিজির খান শুরি ১৫৫৫–১৫৬১
গিয়াসউদ্দিন জালাল শাহ ১৫৬১–১৫৬৪
তৃতীয় গিয়াসউদ্দিন শাহ ১৫৬৪

কররানী রাজবংশ (১৫৬৪-১৫৭৬)

নাম শাসনকাল নোট
তাজ খান কররানী ১৫৬৪–১৫৬৬
সুলায়মান খান কররানী ১৫৬৬–১৫৭২
বায়েজিদ খান কররানী ১৫৭২
দাউদ খান কররানী ১৫৭২–১৫৭৬
সাইফউদ্দিন হামজা শাহর পোষা জিরাফ, সালতানাতের সাথে চীনের মিং রাজবংশের সুসম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে সম্রাট ইয়ংগেলকে এটি উপহার দেয়া হয়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Sonargaon - Banglapedia"en.banglapedia.org
  2. "History"। Banglapedia। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭Shah-i-Bangalah, Shah-i-Bangaliyan and Sultan-i-Bangalah
  3. Wink, André (২০০৩)। Indo-Islamic society: 14th - 15th centuries (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 978-9004135611।
  4. Uhlig, Siegbert (২০০৩)। Encyclopaedia Aethiopica। পৃষ্ঠা 151।
  5. Embree, Ainslie (১৯৮৮)। Encyclopedia of Asian history। Asia Society। পৃষ্ঠা 149।
  6. Wink, André (১৯৯১)। Indo-Islamic society: 14th - 15th centuries (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 9789004135611।
  7. "Bar chart race: the most populous cities through time"
  8. Kapadia, Aparna। "Gujarat's medieval cities were once the biggest in the world – as a viral video reminds us"Scroll.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২
  9. Ooi, Keat Gin (২০০৪)। Southeast Asia: A Historical Encyclopedia, from Angkor Wat to East Timor (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা ১৭১। আইএসবিএন 978-1-57607-770-2।
  10. Eaton, Richard M. (১৯৯৬-০৭-৩১)। The Rise of Islam and the Bengal Frontier, 1204-1760 (ইংরেজি ভাষায়)। University of California Press। পৃষ্ঠা ৬৪। আইএসবিএন 978-0-520-20507-9।
  11. Nanda, J. N., 1920- (২০০৫)। Bengal : the unique state। New Delhi: Concept Pub. Co। আইএসবিএন 8180691497। ওসিএলসি 184985854
  12. মুহাম্মদ শাহ আলম (২০১৬)। Poverty From The Wealth of Nations: Integration and Polarization in the Global Economy since 1760স্প্রিঙ্গার সায়েন্স+বিজনেস মিডিয়া। পৃষ্ঠা ৩২। আইএসবিএন 978-0-333-98564-9।
  13. খন্দকার, হিশাম (৩১ জুলাই ২০১৫)। "Which India is claiming to have been colonised?"দ্য ডেইলি স্টার (উপ-সম্পাদকীয়)।
  14. ম্যাডিসন, অ্যাঙ্গাস (২০০৩)। Development Centre Studies The World Economy Historical Statistics: Historical Statistics। ওইসিডি পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ২৫৯–২৬১। আইএসবিএন 9264104143।
  15. লরেন্স হ্যারিসন, পিটার এল. বার্জার (২০০৬)। Developing cultures: case studies। রৌটলেজ। পৃষ্ঠা ১৫৮। আইএসবিএন 9780415952798।
  16. Andaya, Barbara Watson,। A history of early modern Southeast Asia, 1400-1830। Andaya, Leonard Y.। Cambridge। পৃষ্ঠা ১১৪। আইএসবিএন 9780521889926। ওসিএলসি 867916742
  17. "আলাউদ্দীন আলী শাহ"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২
  18. Chakrabarti, Kunal.। Historical dictionary of the Bengalis। Chakrabarti, Shubhra, 1954-। Lanham [Maryland]। আইএসবিএন 978-0-8108-8024-5। ওসিএলসি 861692768
  19. "Ikhtiyaruddin Ghazi Shah - Banglapedia"en.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২২
  20. Chakrabarti, Kunal.। Historical dictionary of the Bengalis। Chakrabarti, Shubhra, 1954-। Lanham [Maryland]। আইএসবিএন 9780810880245। ওসিএলসি 861692768
  21. "Iliyas Shah"Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৯
  22. Sengupta, Nitish K., 1934- (২০১১)। Land of two rivers : a history of Bengal from the Mahabharata to Mujib। New Delhi: Penguin Books India। পৃষ্ঠা ৭৩। আইএসবিএন 978-0-14-341678-4। ওসিএলসি 756441985
  23. Lewis, David (২০১১-১০-৩১)। Bangladesh: Politics, Economy and Civil Society (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা ৪৪–৪৫। আইএসবিএন 978-1-139-50257-3।
  24. Eaton, Richard Maxwell.। The rise of Islam and the Bengal frontier, 1204-1760। Berkeley। আইএসবিএন 978-0-520-91777-4। ওসিএলসি 43476319
  25. "Evolution of Bangla"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৯
  26. "গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৯
  27. "মুদ্রা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-৩১
  28. খান, মুয়ায্‌যম হুসায়ন। "সোনারগাঁও"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-৩১
  29. "BENGAL – Encyclopaedia Iranica"www.iranicaonline.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-৩১
  30. "Mint Towns - Banglapedia"en.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-৩১

গ্রন্থপঞ্জি

  • The Bengal Sultanate: Politics, Economy and Coins, A.D. 1205-1576, Syed Ejaz Hussain (2003)
  • The Rise of Islam and the Bengal Frontier, Richard M. Eaton (1996)
  • Sultans and Mosques: The Early Muslim Architecture of Bangladesh, Perween Hasan (2007)
  • Yegar, Moshe (২০০২)। Between Integration and Secession: The Muslim Communities of the Southern Philippines, Southern Thailand, and Western Burma/Myanmar। Lanham, MD: Lexington Books। পৃষ্ঠা 23–24। আইএসবিএন 978-0-7391-0356-2।
  • Hussain, Syed Ejaz (2003). The Bengal Sultanate: Politics, Economy and Coins, A.D. 1205–1576. Manohar. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৩০৪-৪৮২-৩.
  • The Grammar of Sultanate Mosque in Bengal Architecture, Nujaba Binte Kabir (2012)


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.