আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ)

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়: International Crimes Tribunal (Bangladesh), সংক্ষেপে ICT (Bangladesh)) বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি অপরাধ ট্রাইবুনাল যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের বিচার করা। এর আওতায় পড়ে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ।[1] বাংলাদেশে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ইশতেহার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা। সে নির্বাচনে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজয়ী হয়। প্রতিশ্রুতি অণুযায়ী আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ ২০০৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।[2] অবশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ ট্রাইবুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়।[3]

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য এই পুরাতন হাইকোর্ট ভবনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইতিহাস

ট্রাইব্যুনাল গঠন

১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার বিষয়ে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মাঝে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি হয়।[4][5] আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এই গণদাবী অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৮-এর ২৯শে ডিসেম্বর অণুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নিরংকুশভাবে বিজয় লাভ করার পর পরই নির্বাচিত দল আওয়ামী লীগ কর্তৃক গঠিত সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অণুযায়ী বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে।[6][7] এরপর ২০০৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়।[2]

বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীসহ সিনিয়র সাংসদরা প্রস্তাবটিকে সমর্থন জানালে স্পিকার তা অণুমোদন দেওয়া হবে কিনা এই প্রশ্ন ভোটে নেন। মৌখিক ভোটে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।[8][9]

সংসদে গৃহীত প্রস্তাবের বাস্তবায়নে সরকার বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস অ্যাক্ট ১৯৭৩ অণুযায়ী অভিযুক্তদের তদন্ত এবং বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণাটি আসে ২০০৯ সালের ২৫শে মার্চ।[10] [11] বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ এবং শীর্ষ আইনজীবীদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে সরকার ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার ২০০৯ সালের ২১শে মে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়ে ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টটি আইন কমিশনে পাঠায়।[11] এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইন কমিশন দেশের বিশেষজ্ঞ আইনজীবী, বিচারপতি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আরও কয়েকজন আইনজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে ১৯৭৩ সালে প্রণীত ট্রাইব্যুনালে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সংশোধন আনার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেয়।[11][12] অতঃপর আইন কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা করে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আইনকে যুগোপযোগী করার জন্য ২০০৯ সালের ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু সংশোধনী জাতীয় সংসদে মৌখিক ভোটে পাশ করা হয়।[13][14]

সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকেও বিচারের আওতায় আনার বিধান যুক্ত করা এবং 'ট্রাইব্যুনাল স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করবে' এই মর্মে সুস্পষ্ট আইনগত বিধান সন্নিবেশ করা সহ আরও কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়।[13] অবশেষে স্বাধীনতা লাভের ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। [3] এরই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার এবং তাদের অপরাধের বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেয় ট্রাইব্যুনাল। নাগরিক সমাজের দাবি এবং তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরাতন হাইকোর্ট ভবনকে আদালত হিসেবে প্রস্তুত করা হয়।

অবকাঠামো

ট্রাইব্যুনাল-১

২০১০ সালের ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩-এর ৬ ধারার বলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় । সেই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয় বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং অন্য দুজন বিচারক ছিলেন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদ । পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২২শে মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হওয়ার পর এটিএম ফজলে কবীর প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে সরে গিয়ে দ্বিতীয়টির চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন । [15] তার স্থলাভিষিক্ত হন হাইকোর্টের বিচারপতি আনোয়ারুল হক । [16] এর মধ্যে নিজামুল হক ও ফজলে কবীর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত বিচারপতি এবং জহির আহমেদের জেলা পর্যায়ে ৩০ বছর বিচারক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে । [17] অসুস্থতার জন্য বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ অব্যাহতি চাইলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্হলে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন কে নিয়োগ দেয়া হয় ২৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে । ১১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক পদত্যাগ করলে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয় ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে । ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হন একই ট্রাইব্যুনাল এর সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান । ট্রাইব্যুনাল-২ এর নতুন সদস্য হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া । ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে স্বাভাবিক অবসরে গেলে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম কে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয় । বিচারপতি আনোয়ারুল হক কে চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম ও হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী কে সদস্য করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে ট্রাইব্যুনাল-১ পূূর্নগঠন করা হয় । ট্রাইব্যুনাল-২ কে নিস্ক্রিয় করা হয় । বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া কে হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয় ।

ট্রাইব্যুনাল-২

বিচার প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় ২০১২ সালের ২২শে মার্চ । এর নাম হয় ICT-2 বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ । দ্বিতীয় এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিযুুক্ত হন প্রথম ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর । অন্য দুজন সদস্য হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও প্রথম ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বিচারপতি মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম । [16] ১১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক পদত্যাগ করলে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরকে ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয় । ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয় একই ট্রাইব্যুনাল এর সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কে, বিচারপতি মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম এর সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল-২ এর নতুন সদস্য হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া । ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক কে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য মো. শাহিনুর ইসলাম ও হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী কে সদস্য করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে ট্রাইব্যুনাল-১ পূূর্নগঠন করা হয়, ট্রাইব্যুনাল-২ কে নিস্ক্রিয় করা হয় ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেল

২০১০ সালের ২৫শে মার্চ প্রথম ট্রাইব্যুনালের জন্য ১২-সদস্যবিশিষ্ট একটি আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। প্যানেলের প্রধান তথা চিফ প্রসিকিউটর ছিলেন গোলাম আরিফ। বাকি ১১ জন আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ রেজাউর রহমান, গোলাম হাসনাইন, রানা দাশগুপ্ত, জহিরুল হক, নুরুল ইসলাম, সৈয়দ হায়দার আলী, খন্দকার আবদুল মান্নান, মোশারফ হোসেন, জিয়াদ-আল-মালুম, সানজিদা খানম ও সুলতান মাহমুদ।[15]

তদন্তকারী সংস্থা

ট্রাইব্যুনাল ও আইনজীবী প্যানেল গঠনের পাশাপাশি প্রাক্তন জেলা জজ ও আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল মতিনের সমন্বয়ে ৭ সদস্যের একটি তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল একই দিনে। সংস্থার অন্য সদস্যরা ছিলেন: পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম, সাবেক উপমহাপরিদর্শক কুতুবুর রহমান, মেজর (অব.) এ এস এম সামসুল আরেফিন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলাম, একই বিভাগের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক খান।[15]

বিচারালয়

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত পুরাতন হাইকোর্ট ভবনকে আদালত হিসেবে প্রস্তুত করে একে ট্রাইব্যুনালের বিচারালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[15]

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারপতিবৃন্দ

ক্রমিক নং বিচারপতির নাম [18] পদবি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত হতে অবসর/অব্যাহতি/পদত্যাগ/প্র্রত্যাহারের তারিখ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়োগের তারিখ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত - ১ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত - ২ বর্তমান কর্মস্থল অবসর গ্রহণের তারিখ জন্ম তারিখ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়োগের পূর্বের বিচারবিভাগীয় পদ
০১ বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক চেয়ারম্যান ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ২৫ মার্চ ২০১০ ২৫ মার্চ ২০১০ হতে ২২ মার্চ ২০১২ পর্যন্ত অবসর ১৪ মার্চ ২০১৭ ১৫ মার্চ ১৯৫০ হাইকোর্টের বিচারপতি
০১ বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক চেয়ারম্যান ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ২৫ মার্চ ২০১০ ২২ মার্চ ২০১২ হতে ১১ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত অবসর ১৪ মার্চ ২০১৭ ১৫ মার্চ ১৯৫০ হাইকোর্টের বিচারপতি
০২ এ টি এম ফজলে কবীর সদস্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৫ মার্চ ২০১০ ২৫ মার্চ ২০১০ হতে ২২ মার্চ ২০১২ পর্যন্ত অবসর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১ জানুয়ারি ১৯৪৭ হাইকোর্টের বিচারপতি
০২ এ টি এম ফজলে কবীর চেয়ারম্যান ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৫ মার্চ ২০১০ ২২ মার্চ ২০১২ হতে ১২ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত অবসর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১ জানুয়ারি ১৯৪৭ হাইকোর্টের বিচারপতি
০২ এ টি এম ফজলে কবীর চেয়ারম্যান ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ ২৫ মার্চ ২০১০ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত অবসর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১ জানুয়ারি ১৯৪৭ হাইকোর্টের বিচারপতি
০৩ এ কে এম জহির আহমেদ সদস্য ২৫ মার্চ ২০১০ ২৫ মার্চ ২০১০ হতে ২২ মার্চ ২০১২ অসুস্থতার জন্য অব্যাহতি নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ
০৩ এ কে এম জহির আহমেদ সদস্য ২৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে অসুস্থতার জন্য অব্যাহতি নিয়েছেন ২৫ মার্চ ২০১০ ২২ মার্চ ২০১২ হতে ২৯ আগস্ট ২০১২ অসুস্থতার জন্য অব্যাহতি নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ
০৪ বিচারপতি আনোয়ারুল হক সদস্য ২২ মার্চ ২০১২ ২২ মার্চ ২০১২ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত মৃত্যুবরন করেছেন ৩১ জুলাই ২০২৩ ০১ আগস্ট ১৯৫৬ জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের বিচারপতি
০৪ বিচারপতি আনোয়ারুল হক চেয়ারম্যান ১৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে মৃত্যুবরন করেন ২২ মার্চ ২০১২ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ হতে ১৩ জুলাই ২০১৭ মৃত্যুবরন করেছেন ৩১ জুলাই ২০২৩ ০১ আগস্ট ১৯৫৬ জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের বিচারপতি
০৫ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সদস্য ২২ মার্চ ২০১২ ২২ মার্চ ২০১২ হতে ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ১০ জানুয়ারি ২০২৬ ১১ জানুয়ারি ১৯৫৯ হাইকোর্টের বিচারপতি
০৫ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান চেয়ারম্যান ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ২২ মার্চ ২০১২ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ১০ জানুয়ারি ২০২৬ ১১ জানুয়ারি ১৯৫৯ হাইকোর্টের বিচারপতি
০৬ বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম সদস্য ২২ মার্চ ২০১২ ২২ মার্চ ২০১২ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৭ এপ্রিল ১৯৫৮ জেলা ও দায়রা জজ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার
০৬ বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম সদস্য ২২ মার্চ ২০১২ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ হতে ১১ অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৭ এপ্রিল ১৯৫৮ জেলা ও দায়রা জজ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার
০৬ বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম চেয়ারম্যান ২২ মার্চ ২০১২ ১১ অক্টোবর ২০১৭ হতে বর্তমান হাইকোর্টের বিচারপতি ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৭ এপ্রিল ১৯৫৮ জেলা ও দায়রা জজ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার
০৭ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সদস্য ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ২৯ আগস্ট ২০১২ ২৯ অগস্ট ২০১২ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ৩০ ডিসেম্বর ২০২৬ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৯ হাইকোর্টের বিচারপতি
০৮ বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া সদস্য ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ০৩ জুলাই ২০৩২ ০৪ জুলাই ১৯৬৫ হাইকোর্টের বিচারপতি
০৯ বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম চেয়ারম্যান ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ১০ আগস্ট ২০২৭ ১১ আগস্ট ১৯৬০ হাইকোর্টের বিচারপতি
১০ বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী সদস্য ১১ অক্টোবর ২০১৭ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ হতে ১১ অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ০৪ ডিসেম্বর ২০৩৭ ০৫ ডিসেম্বর ১৯৭০ হাইকোর্টের বিচারপতি
১১ বিচারপতি আমির হোসেন সদস্য ১১ অক্টোবর ২০১৭ ১১ অক্টোবর ২০১৭ হতে বর্তমান হাইকোর্টের বিচারপতি ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ নভেম্বর ১৯৫৭ জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের বিচারপতি
১২ বিচারপতি মোঃ আবু আহমেদ জমাদার সদস্য ১১ অক্টোবর ২০১৭ ১১ অক্টোবর ২০১৭ হতে বর্তমান হাইকোর্টের বিচারপতি ১৫ জুন ২০২৪ ১৬ জুন ১৯৫৭ অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের বিচারপতি

অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ

ক্রমিক নংঅভিযুক্ত ব্যক্তির নামজন্ম তারিখরাজনীতিক অবস্থানঅভিযোগবর্তমান অবস্থানআন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এর রায়আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১ এর রায়আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-২ এর রায়আপিলের রায়রিভিউ নিস্পত্তিফলাফল
০১আবুল কালাম আযাদজামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (রুকন সদস্য)হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ এবং অগ্নিসংযোগের ৮টি অভিযোগপাকিস্তানে পলাতক৪টিতে মৃত্যুদণ্ড, ৩টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (২১-০১-১৩)
০২আব্দুল কাদের মোল্লাজামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল)হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের ৬টি অভিযোগমৃত৩টিতে ১৫ বছরের কারাদন্ড, ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (০৫-০২-২০১৩)মৃত্যুদণ্ড (১৭-০৯-২০১৩)মৃত্যুদণ্ড (১২-১২-২০১৩)মৃত্যুদণ্ড কার্যকর (১২-১২-২০১৩, রাত ১০ঃ০১ মিনিট)
০৩দেলোয়ার হোসেন সাঈদী১৯৪২জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (নায়েবে আমীর) ও সাবেক সাংসদআটকমৃত্যুদন্ড (২৮-০২-২০১৩)আমৃত্যু কারাদন্ড (১৭-০৯-২০১৪)
০৪মুহাম্মদ কামারুজ্জামান১৯৫২জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল)মৃতমৃত্যুদন্ড (০৯-০৫-২০১৩)মৃত্যুদন্ড (০৩-১১-২০১৪)মৃত্যুদন্ড (০৬-০৪-২০১৫)মৃত্যুদন্ড কার্যকর (১১-০৪-২০১৫, রাত ১০ঃ৩০ মিনিট)[19]
০৫গোলাম আযম১৯২২জামায়াতে ইসলামীর (আধ্যাত্বিক) শীর্ষ নেতা (আমীর)মৃত৯০ বছর নীরবিচ্ছিন্ন কারাদন্ড (১৫-০৭-২০১৩)কারাদন্ডভোগকালে মৃত্যুবরণ (২৩-১০-২০১৪)
০৬আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ১৯৪৮জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (সেক্রেটারী জেনারেল) ও সাবেক মন্ত্রীমৃতমৃত্যুদণ্ড (১৭-০৭-২০১৩)মৃত্যুদণ্ড (১৬-০৬-২০১৫)মৃত্যুদণ্ড (১৮-১১-২০১৫)[20]মৃত্যুদন্ড কার্যকর (২২-১১-২০১৫, রাত ১২ঃ৫৫ মিনিট)[21]
০৭সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী১৯৪৯বিএনপির শীর্ষ নেতা (স্হায়ী কমিটির সদস্য) ও সাবেক সাংসদহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তর সহ ২৩টি অভিযোগমৃতমৃত্যুদন্ড (০১-১০-২০১৩)মৃত্যুদন্ড (২৯-০৭-২০১৫)মৃত্যুদন্ড (১৮-১১-২০১৫)মৃত্যুদন্ড কার্যকর (২২-১১-২০১৫, রাত ১২ঃ৫৫ মিনিট)[22]
০৮আব্দুল আলীমবিএনপির শীর্ষ নেতা ও সাবেক সাংসদমৃতআমৃত্যু কারাদণ্ড (০৯-১০-২০১৩) [23]কারাদন্ডভোগকালে মৃত্যুবরণ (৩০-০৮-২০১৪)
০৯আশরাফুজ্জামান খান১৯৪৮নিউ ইয়র্কে পলাতকমৃত্যুদন্ড (০৩-১০-২০১৩)[24]
০৯চৌধুরী মুঈনুদ্দীন১৯৪৮যুক্তরাজ্যে পলাতকমৃত্যুদন্ড (০৩-১০-২০১৩)[24]
১০মতিউর রহমান নিজামী১৯৪৩জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (আমীর), সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রীমৃতমৃত্যুদন্ড (২৯-১০-২০১৪)মৃত্যুদন্ড (০৬-০১-২০১৬)মৃতুদণ্ড কার্যকর (১১-০৫-২০১৬)
১১মীর কাসেম আলীজামায়াতে ইসলামীর (নির্বাহী পরিষদের সদস্য) শীর্ষ নেতা ও অর্থ যোগানদাতাআটকমৃত্যুদন্ড (০২-১১-২০১৪)মৃত্যুদন্ড (০৮-০৩-২০১৬)
১২এম,এ,জাহিদ হোসেন খোকনবিএনপির নেতা ও পৌর মেয়রপলাতকমৃত্যুদন্ড (১৩-১১-২০১৪)
১৩কমান্ডার মোঃ মোবারক হোসেনআওয়ামী লীগর বহিষ্কৃত নেতাআটকমৃত্যুদন্ড (২৪-১১-২০১৪)বিচারাধীন
১৪সৈয়দ মোঃ কায়সারজাতীয় পার্টির নেতা ও মন্ত্রীআটকমৃত্যুদন্ড (২৩-১২-২০১৪)বিচারাধীন
১৫এ,টি,এম, আজহারুল ইসলামজামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল)আটকমৃত্যুদন্ড (৩০-১২-২০১৪)মৃতুদণ্ড

(৩১-১০-২০১৯)

১৬মুহাম্মদ আবদুস সুবহানজামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা (নায়েবে আমীর) ও সাবেক সাংসদআটকমৃত্যুদন্ড (১৮-০২-২০১৫)বিচারাধীন
১৭আবদুল জব্বারজাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সাংসদআটকআমৃত্যু কারাদণ্ড (২৪-০২-২০১৫)বিচারাধীন
১৮মাহিদুর রহমানআটকআমৃত্যু কারাদণ্ড (২০-০৫-২০১৫)বিচারাধীন
১৮আফসার রহমানআটকআমৃত্যু কারাদণ্ড (২০-০৫-২০১৫)বিচারাধীন
১৯সৈয়দ মোঃ হাসান আলীআটকমৃত্যুদন্ড (০৯-০৬-২০১৫)বিচারাধীন
২০ফোরকান মল্লিকআটকমৃত্যুদন্ড (১৬-০৭-২০১৫)বিচারাধীন
২১শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টারআটকমৃত্যুদন্ড (১১-০৮-২০১৫)বিচারাধীন
২১খান মোঃ আকরাম হোসেনআটকআমৃত্যু কারাদণ্ড (১১-০৮-২০১৫)বিচারাধীন
২২ওবায়দুল হক (তাহের)আটকমৃত্যুদন্ড (০২-০২-২০১৬)বিচারাধীন
২২আতাউর রহমান (ননি)আটকমৃত্যুদন্ড (০২-০২-২০১৬)বিচারাধীন

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবীতে গণ-আন্দোলন

৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে ট্রাইব্যুনাল যুদ্বাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লাকে ৩টি মামলায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২টি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। এই রায় কিছু মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবীতে ওইদিনই ছাত্র, শিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ জড় হতে থাকে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে। শাহবাগের এই প্রতিবাদ অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অংশে। শাহবাগসহ সারা বাংলাদেশেই 'যুদ্ধাপরাধী'র ফাঁসির দাবীতে গঠিত হয় গনজাগরণ মঞ্চ[25]।কিন্তু শাহবাগে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে রয়েছে নাস্তিক ব্লগাররা, এই অভিযোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম নামক একটি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠে[26]। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে শাহবাগ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে[27]। কিন্তু তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে দৈনিক ইনকিলাব ও এর পরপরই দৈনিক আমার দেশ ধারাবাহিক আকারে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে দাবী করা হয় যে ব্লগার রাজীব মুসলমানদের শেষ নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কটুক্তি করেছে[28] । এর পরপর হেফাজতে ইসলাম তাদের ১৩ দফা দাবী এবং এরকম কটূক্তিকারীদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। এ সময়ই শাহবাগ আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়[29]

বিচারের বিরূদ্ধে সমালোচনা

এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ ট্রাইব্যুনালের কাজের বিরোধিতা করে বলেছে, Bangladesh: Death Sentence Violates Fair Trial Standards[30] । তদুপরি যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডস সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে[31] । ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আইনজীবী ব্রিটিশ লর্ড কার্লাইল এ রায় প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেন[32]

মার্চ ২০১৩ সালে দ্য ইকোনমিস্ট সাপ্তাহিক এই বিচার ব্যবস্থায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের হস্তক্ষেপ, প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট সময় না দেওয়া, প্রতিরক্ষার সাক্ষী পাচার এবং নিরপেক্ষতা বিতর্কে বিচারকদের পদত্যগ উল্লেখ করে সমালোচনা করে।[33]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Anbarasan Ethirajan, "Bangladesh finally confronts war crimes 40 years on", BBC, ২০শে নভেম্বর, ২০১১
  2. "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব সংসদে পাস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে", প্রথম আলো, ৩০শে জানুয়ারি ২০০৯
  3. "Justice and Parliamentary Affairs issued S.R.O No. 87-AvBb/2010-wePvi-4/5wm-2/2010/506"http://www.bgpress.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৯ |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. "Dhaka body lists `war criminals' of 1971"The Indian। Fri 04 April 2008। ২০১৪-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2010-09-19 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. "Bangladesh's Unfinished Revolution"Thaindian News। ঢাকা। জুলাই ১১, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৯
  6. "A historic landslide for Hasina"bdnews24.com। Dhaka। Tuesday, Dec 30th, 2008। সংগ্রহের তারিখ 2010-09-19 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  7. "Awami League wins Bangladesh election"CNN। ডিসেম্বর ৩০, ২০০৮। ২০১৫-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৯
  8. "যুদ্ধাপরাধের বিচারে সংসদ সর্বসম্মত", বিডিনিউজ২৪, ২৯ জানুয়ারি ২০০৯
  9. "JS passes proposal to try war criminals", The Daily Star, ৩০ জানুয়ারি ২০০৯
  10. "৭৩ এর আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে", বিডিনিউজ২৪, ২৫শে মার্চ ২০০৯
  11. "Opinion of the Law Commission on the technical aspects of the International Crimes (Tribunals) Act, 1973 (Act No. XIX of 1973" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৯
  12. "Int'l law on war crimes trial being updated: Shafiq"bdnews24.com। Dhaka, Bangladesh। Thu, May 21st, 2009। সংগ্রহের তারিখ 2010-09-19 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  13. "যুদ্ধাপরাধ বিচারে সংসদে বিল পাস মানবাধিকার কমিশন বিলও পাস"প্রথম আলো। Dhaka, Bangladesh। ২০০৯-০৭-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৯
  14. "Law amended for war crime trials"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৯
  15. "যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু", দৈনিক প্রথম আলো, ২৬ মার্চ ২০১০
  16. "আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৩ মার্চ ২০১২
  17. "ICT Prosecutor’s Speech before South Asian Committee of EU Parliament ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে", Meeting on Bangladesh: Exchange of Views on War Crimes Trials and on Accountability Issues, ৩১ জানুয়ারি ২০১২
  18. "Judges : Supreme Court of Bangladesh"। Supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-০১
  19. বিবিসির ওয়েবসাইট
  20. "Salauddin Quader Chowdhury, Ali Ahsan Mohammad Mujahid hanged for 1971 war crimes"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫
  21. "Bangladesh MP Salahuddin Quader Chowdhury to hang for war crimes" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC News। ১ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৩
  22. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  23. "দৈনিক ইত্তেফাকের ওয়েবসাইট"। ১১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৩
  24. the dailystar website
  25. the dailystar website
  26. Human Rights Watch Website
  27. UK House of Lords Disapproved The Verdict of SQ Chowdhury
  28. "Lord Carlile Calls the Verdict "Disturbing""। ৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৩
  29. Another kind of crime

বহিসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.