বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি। এই অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যমহারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পরিব্যাপ্ত দারিদ্র্য, আয় বণ্টনে অসমতা, শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব, জ্বালানী, খাদ্যশস্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য আমদানী নির্ভরতা, জাতীয় সঞ্চয়ের নিম্নহার, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর ক্রমহ্রাসমান নির্ভরতা এবং কৃষি খাতের সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে সেবা খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এসময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু পলিপ্রোপিলিন পণ্যের আগমনের ফলে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই পাটজাত দ্রব্যের জনপ্রিয়তা ও বাণিজ্য কমতে থাকে।

বাংলাদেশ-এর অর্থনীতি
ঢাকা, বাংলাদেশের অর্থনীতির কেন্দ্র
মুদ্রাবাংলাদেশী টাকা (BDT)
অর্থবছর১লা জুলাই - ৩০শে জুন
বাণিজ্যিক সংস্থাসাফটা, সার্ক, বিম্‌সটেক, ডব্লিউটিও, এআইআইবি, আইএমএফ, কমনওয়েলথ, বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, ডি-৮
পরিসংখ্যান
স্থুআউ
  • $৩১৪.৬৫৬ বিলিয়ন (নমিনাল, ২০১৯-এ প্রাক্কলিত)[1]
  • $৮৩১.৭৫০ বিলিয়ন (পিপিপি,২০১৯-এ প্রাক্কলিত)[1]
(২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)[2]
স্থুআউ প্রবৃদ্ধি ৮.১৩% (২০১৮-১৯)[3]
মাথাপিছু স্থুআউ
  • $১.৮৮৮ (নমিনাল, ২০১৯-এ প্রাক্কলিত)[1]
  • $৪.৯৯২ (পিপিপি,২০১৯-এ প্রাক্কলিত)[1]
ক্ষেত্র অনুযায়ী স্থুআউ
  • কৃষি: ১৪.২৩%
  • শিল্প: ৩৩.৬৬%
  • সেবা: ৫২.১১%
  • ('১৮ অর্থবছর)[4][5]
মুদ্রাস্ফীতি৫.৫৬৪% (২০১৮ এর প্রাক্কলন)[1]
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা১২.৯ (২০১৬ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন,১$ নিচে প্রতিদিন আয়)[6]
জিনি সূচক. ৩২.৪ মধ্যম (২০১৬, বিশ্বব্যাংক)[7]
শ্রমশক্তি
  • ৬৮,৩৭১,৭৯২ (২০১৮)[8]
  • ৫৫.৮% বেকারত্বের হার (২০১৭)[9]
পেশা অনুযায়ী শ্রমকৃষি (৬৫%), শিল্প (২৫%), সেবা (১০%) (২০০৫ সালের প্রাক্কলন)
বেকারত্বের হার 4.18% (FY2015-16)[10]
প্রধান শিল্পসমূহপাট উৎপাদন, সুতির টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, চা প্রক্রিয়াকরণ, নিউজপ্রিন্ট কাগজ, চিনি, হালকা প্রকৌশল, রাসায়নিক দ্রব্য, সিমেন্ট, সার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লোহা, ইস্পাত
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক ১৬৮তম (২০১৯)[11]
বৈদেশিক বাণিজ্য
রপ্তানি$৩৪.০২ বিলিয়ন (২০১৬-১৭ সালের প্রাক্কলন)[12]
রপ্তানি পণ্যগার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, হিমায়িত মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্য
প্রধান রপ্তানি অংশীদারমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১২০.৯%, যুক্তরাজ্য ৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%, ইতালি ৪.৪২%,অন্যান্য ১৭.৫% [13]
আমদানি$৪৩.৪৯ বিলিয়ন (২০১৭)[14]
আমদানিকৃত পণ্যভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, তুলা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য
প্রধান আমদানি অংশীদারভারত ১২.৫%, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৬.৫%, হংকং ৫.৫%, সিঙ্গাপুর ৯.৫%,গণচীন ২১.৪% (২০০৪)
মোট বৈদেশিক ঋণ$২১.২৩ বিলিয়ন (৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৭)
সরকারি অর্থসংস্থান
সরকারি ঋণ$১.২ বিলিয়ন (২০০৫ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
আয়$৩৫ বিলিয়ন (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
ব্যয়$৫৫.৩১ বিলিয়ন (২০১৮-১৯ সালের প্রাক্কলন))[15][16]
অর্থনৈতিক সাহায্য$১.৫৭৫ বিলিয়ন (২০০০ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
ক্রেডিট রেটিংBB- (domestic)
BB- (foreign)
BB- (T&C assessment)
Outlook: Stable
(Standard & Poor's)[17]
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার$33.02 billion (June 2017)[18]
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক
মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু স্থূল দেশজ উত্‌পাদন [19] স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ ৫৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। তবে এ প্রবৃদ্ধি বেশীদিন টেকেনি। ১৯৮০-এর দশকে এ হার ছিলো ২৯% এবং ১৯৯০-এর দশকে ছিলো ২৪%।

বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধানপাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র এবং নিয়মিত বন্যাখরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহনবিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটোখাটো খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-অবকাঠামো দুর্বল হলেও এখানে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।

আরও শিল্পের মধ্যে ঔষধ শিল্প[20] জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প,[21] তথ্য প্রযুক্তি,[22] চামড়া শিল্প,[23] স্টিল শিল্প,[24][25] আলোক শিল্প[26][27]

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে ৩ হাজার কোটি বা ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি ডলার খরচ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রধান দাতার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সৌদি আরব ও পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ। বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবেই বিরাট বাণিজ্য বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে এই মজুদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এই মজুদের মূল্যমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি বা ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের ৪০তম বৃহত্তম মজুদ।

অর্থনীতিতে বাংলাদেশ বর্তমানে ৪১ তম দেশ এবং দ্রুত বর্ধনশীল দেশে পঞ্চম।

সামষ্টিক অর্থনৈতিক ধারা

এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের বাজার দর অনুযায়ী মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি তালিকা যা মিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা মুদ্রামানে গণনা করা হয়েছে।

বছরমোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (মিলিয়ন টাকা)মার্কিন ডলার বিনিময়মূল্যস্ফিতি সূচক (২০০০=১০০)মাথাপিছু আয় (যুক্তরাষ্ট্রের % অনুযায়ী)
১৯৮০২৫০,৩০০১৬.১০ টাকা২০১.৭৯
১৯৮৫৫৯৭,৩১৮৩১.০০ টাকা৩৬১.১৯
১৯৯০১,০৫৪,২৩৪৩৫.৭৯ টাকা৫৮১.১৬
১৯৯৫১,৫৯৪,২১০৪০.২৭ টাকা৭৮১.১২
২০০০২,৪৫৩,১৬০৫২.১৪ টাকা১০০০.৯৭
২০০৫৩,৯১৩,৩৩৪৬৩.৯২ টাকা১২৬০.৯৫
২০০৮৫,০০৩,৪৩৮৬৮.৬৫ টাকা১৪৭
২০১৫১৭,২৯৫,৬৬৫৭৮.১৫ টাকা১৯৬২.৪৮
২০১৯২৬,৬০৪,১৬৪৮৪.৫৫ টাকা২.৯১

নিচের টেবিলে ১৯৮০–২০১৭ সালের বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো দেখানো হয়েছে।[28]

সাল জিডিপি
(বিলিয়ন ডলার পিপিপি-তে)
মাথাপিছু জিডিপি
(ডলার পিপিপি-তে)
জিডিপি প্রবৃদ্ধি
(আসল)
মুদ্রাস্ফীতির হার
(শতাংশে)
সরকারি ঋণ
(জিডিপির শতাংশে)
১৯৮০ ৪১.১ ৪৯৮ ৩.১ % ১৫.৪ %
১৯৮১ ৪৭.৭ ৫৬০ ৫.৬ % ১৪.৫ %
১৯৮২ ৫২.০ ৫৯৭ ৩.২ % ১২.৯ %
১৯৮৩ ৫৬.৫ ৬৩৩ ৪.৬ % ৯.৫ %
১৯৮৪ ৬১.০ ৬৬৪ ৪.২ % ১০.৪ %
১৯৮৫ ৬৫.৩ ৬৯৩ ৩.৭ % ১০.৫ %
১৯৮৬ ৬৯.৩ ৭১৫ ৪.০ % ১০.২ %
১৯৮৭ ৭৩.১ ৭৩৫ ২.৯ % ১০.৮ %
১৯৮৮ ৭৭.৫ ৭৫৯ ২.৪ % ৯.৭ %
১৯৮৯ ৮৪.০ ৮০১ ৪.৩ % ৮.৭ %
১৯৯০ ৯১.১ ৮৪৮ ৪.৬ % ১০.৫ %
১৯৯১ ৯৮.১ ৮৯২ ৪.২ % ৮.৩ %
১৯৯২ ১০৫.১ ৯৩৫ ৪.৮ % ৩.৬ %
১৯৯৩ ১১২.৩ ৯৭৭ ৪.৩ % ৩.০ %
১৯৯৪ ১১৯.৯ ১,০২১ ৪.৫ % ৬.২ %
১৯৯৫ ১২৮.২ ১,০৬৯ ৪.৮ % ১০.১ %
১৯৯৬ ১৩৭.১ ১,১২০ ৫.০ % ২.৫ %
১৯৯৭ ১৪৬.৮ ১,১৭৫ ৫.৩ % ৫.০ %
১৯৯৮ ১৫৫.৯ ১,২২৩ ৫.০ % ৮.৬ %
১৯৯৯ ১৬৬.৯ ১,২৮৪ ৫.৪ % ৬.২ %
২০০০ ১৮০.২ ১,৩৬১ ৫.৬ % ২.৫ %
২০০১ ১৯৩.২ ১,৪৩৪ ৪.৮ % ১.৯ %
২০০২ ২০৫.৭ ১,৫০১ ৪.৮ % ৩.৭ %
২০০৩ ২২১.৯ ১,৫৯৪ ৫.৮ % ৫.৪ % ৪৪.৩ %
২০০৪ ২৪১.৯ ১,৭১৩ ৬.১ % ৬.১ % ৪৩.৫ %
২০০৫ ২৬৫.৫ ১,৮৫৫ ৬.৩ % ৭.০ % ৪২.৩ %
২০০৬ ২৯২.৪ ২,০১৮ ৬.৯ % ৬.৮ % ৪২.৩ %
২০০৭ ৩১৯.৭ ২,১৮৩ ৬.৫ % ৯.১ % ৪১.৯ %
২০০৮ ৩৪৪.০ ২,৩২৫ ৫.৫ % ৮.৯ % ৪০.৬ %
২০০৯ ৩৬৫.০ ২.৪৪১ ৫.৩ % ৪.৯ % ৩৯.৫ %
২০১০ ৩১৯.৭ ২,৫৯২ ৬.০ % ৯.৪ % ৩৫.৫ %
২০১১ ৪২৫.৮ ২,৭৮৫ ৬.৫ % ১১.৫ % ৩৬.৬ %
২০১২ ৪৬০.৮ ২,৯৭৯ ৬.৩ % ৬.২ % ৩৬.২ %
২০১৩ ৪৯৬.৫ ৩,১৭১ ৬.০ % ৭.৫ % ৩৫.৮ %
২০১৪ ৫৩৭.৩ ৩,৩৯৬ ৬.৩ % ৭.০ % ৩৫.৩ %
২০১৫ ৫৮০.৩ ৩,৬৩০ ৬.৮ % ৬.২ % ৩২.৪ %
২০১৬ ৬৩০.০ ৩,৯০১ ৭.২ % ৫.৭ % ৩২.১ %
২০১৭ ৬৮৭.১ ৪,২১১ ৭.১ % ৫.৭ % ৩২.৪ %

কৃষি

মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের আয়ের আরেকটি প্রধান উৎস

অধিকাংশ বাংলাদেশী কৃষিকাজের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।[29] আগে থেকেই ধানপাট বাংলাদেশের প্রধান ফসল হিসেবে সুপরিচিত থাকলেও ইদানীং গম চাষের ওপর গুরুত্ব বেড়েছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে চা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উর্বর ভূমি এবং সহজলভ্য পানির উৎসের কারণে এদেশের অনেক স্থানে বছরে তিনবার ধানের ফলন হয়। অনেক নিয়ামকের কারণে বাংলাদেশের কায়িক-শ্রমনির্ভর কৃষি ধীরগতিতে উন্নতি লাভ করছে। বিরূপ আবহাওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সাম্প্রতিককালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যবস্থাপনা, সারের পরিমিত ব্যবহার এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে সঠিক মূলধন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। ফলে আরও উন্নতি আশা করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রধান শস্য ধান উৎপাদিত হয়েছে ২০০০০০০.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০০৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে ধান চাষের জন্য বিভিন্ন কীটনাশক যেমনঃ দানাদার কার্বোফুরান, সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড এবং ম্যালাথিয়ন বিক্রয় হয়েছে ১৩,০০০ টনেরও বেশি।[30][31] এই কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি কেবল পরিবেশ দূষণই ঘটাচ্ছে না, বরং দরিদ্র ধানচাষীদের চাষাবাদের খরচও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।[32] ধানের বিপরীতে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে গম উৎপাদিত হয়েছে ১.৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে চাষযোগ্য ভূমির ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। একারণে জমির উর্বরাশক্তি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। একারণে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় বৈদেশিক সাহায্য ও বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। বেকারত্ব এখনও একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা এবং কৃষিকাজ এই সকল বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মের যোগান দিতে পারে কি না, তা চিন্তার বিষয়। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ভবিষ্যত সরকারগুলোর একটি প্রধান দায়িত্ব। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের উপার্জনের আরেকটি আন্যতম উৎস হল পশুসম্পদ। এই সেক্টরটি অতি দ্রুত উন্নতি করছে।

খাদ্যশস্য উৎপাদন

নিচে বাংলাদেশে ১৯৯০-৯১ থেকে ২০১০-১১ সাল পর্যন্ত সময়কালে খাদ্যশস্য উৎপাদন (লক্ষ মেট্রিক টন) পরিমান দেখানো হল ৷ লক্ষনীয় যে এই উৎপাদন ক্রমবর্ধমান ৷[33]

খাদ্যশস্য উৎপাদন
বছরমোট উৎপাদন
১৯৯০-৯১১৮৮.৬
১৯৯৫-৯৬১৯০.০
২০০০-০১২৬৯.০৬
২০০৫-০৬২৭৭.৮৭
২০০৯-১০৩৪১.১৩
২০১০-১১৩৭০.১৩ (লক্ষমাত্রা)

শিল্প

কতিপয় স্থানীয় কোম্পানি যথা বেক্সিমকো, স্কয়ার, আকিজ গ্রুপ, ইস্পাহানি, নাভানা গ্রুপ, ট্রান্সকম গ্রুপ, হাবিব গ্রুপ, কে.ডি.এস. গ্রুপ এবং বহুমূখী কোম্পানি ইউনোকাল কর্পোরেশন এবং শেভরন

বিনিয়োগ

দেশ ভিত্তিক বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০০৯-১০

দেশের নামপ্রজেক্টের পরিমাণপ্রস্তাবিত বিনিয়োগ (ইউ এস মিলিয়ন ডলারে)
সৌদি আরব৪৭৮,৬৫২
অষ্ট্রেলিয়া২,০৩৬
ইউ এস এ২৯৯০
ফিনল্যান্ড৩০২৩
ভারত৮৪৫১
দক্ষিণ কোরিয়া১২৩৩,৭৬৮
মালয়েশিয়া৩,০৫৬
নেদারল্যান্ডস৮,৫৪৪
চীন১২২১,০০০
ইউকে৩,৫০৭
সোর্স:বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট'

তৈরি পোষাক শিল্প

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সব চাইতে বেশি অবদান রাখে তৈরি পোষাক শিল্প, এই শিল্প দেশীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোট প্রবৃদ্ধির ৬-৮% আসে পোষাক খাত থেকে। বাংলাদেশের এই শিল্পকে বর্তমানে উন্নতবিশ্ব সহ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করছে। স্বাধীনতার পরে যে শিল্প আমাদের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে তার মাঝে একমাত্র মাধ্যম কিন্তু এই পোশাক শিল্পই। বিশ্বের বুকে নিজেদের কঠোর শ্রম ও উৎপাদন দক্ষতা দেখাতে পারার প্রমাণ মিলে এই শিল্পের মাধ্যমে।

পোষাক শিল্পের ইতিহাস

আদিকাল থেকে মানুষ কোন না কোন বস্ত্র ব্যবহার করে আসলেও আসলে সেলাই মেশিনের সাহায্যে তৈরি বস্ত্র ব্যবহার শুরু হয় সর্বপ্রথম ১৭৫৫ সালে। সেখান থেকে বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় অনেক পরেই বলা যাই। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। আর রিয়াজ গার্মেন্টস ছিল তার পথ-প্রদর্শক। ১৯৬০ সালে ঢাকার উর্দুরোডে রিয়াজ স্টোর নামে একটি ছোট দর্জির কারখানা কাজ শুরু করে। তখন থেকেই রিয়াজ গার্মেন্টস স্থানীয় বাজারে কাপড় সরবরাহ করতো। ১৯৭৩ সালে কারখানাটি নাম পরিবর্তন করে মেসার্স রিয়াজ গার্মেন্টস লিমিটেড নামে আত্মপ্রকাশ করে। রিয়াজ গার্মেন্টস ১৯৭৭ সালে ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক একটি ফার্মের সাথে ১৩ মিলিয়ন ফ্রাংক মূল্যের ১০ হাজার পিস ছেলেদের শার্ট রপ্তানি করে। আর এটাই ছিল প্রথম বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পোশাক রপ্তানি। এরপর ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বাংলাদেশের প্রথম সংস্থাপন (বর্তমান জনপ্রশাসন) সচিব মোহাম্মদ নূরুল কাদের খান দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৭৯ সালে দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু কর্পোরেশনের সহায়তায় প্রথম যৌথ উদ্যোগে নন-ইকুইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে। ফলে দেশ গার্মেন্টস ও দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েয়ু কর্পোরেশনের মধ্যে প্রযুক্তিগত এবং বাজারজাতকরণে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মেশিনে কাজ করার মতো উপযোগী করে তোলার জন্য প্রথমে শ্রমিকদের এবং পরে পরিদর্শকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই ১৯৮০ সালে উৎপাদন শুরু করে। দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড ছিল প্রথম শতভাগ রপ্তানিমুখী কোম্পানি। ১৯৮০ সালে ইয়াঙ্গুন নামে অপর একটি কোরিয়ান কর্পোরেশন বাংলাদেশি ট্রেকসীম লিমিটেড নামে অপর একটি কোম্পানির সঙ্গে প্রথম যৌথ উদ্যোগে তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে তোলে। বাংলাদেশি অংশীদাররা নতুন প্রতিষ্ঠান ইয়াঙ্গুনস বাংলাদেশ-এ শতকরা ৫১ ভাগ ইকুইটির মালিক হয়। ট্রেকসীম লিমিটেড ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে প্যাডেড এবং নন-প্যাডেড জ্যাকেট সুইডেনে রপ্তানি করে। উভয় ক্ষেত্রেই বাজারজাতকরণের দায় বিদেশি অংশীদাররাই নিয়েছিল। গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ১৯৮১-৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন টাকার রেডিমেইড গার্মেন্টস রপ্তানি করে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পদচারনা আরম্ভ হয়। উক্ত সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্পের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। অথচ মাত্র ১০ বৎসরের ব্যবধানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ১৯৯২-৯৩ সালে ১৪৪৫ মিলিয়ন ইউ.এস ডলারে উন্নীত হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। দিনকে দিন পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। যেখানে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বমোট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯,০৮৯.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেখানে তা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৫১৫.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ৯,৬৫৩.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছে । বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ এর উপর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে পোশাক উৎপন্ন করা হচ্ছে। ৯০ দশকের পর নারীদের অর্ন্তভুক্তি এই শিল্পকে আরো গতিশীল করে তোলে।

দারিদ্র

দারিদ্র্যতা হল বাংলাদেশের একটা বহুমাত্রিক সমস্যা।

বৈদেশিক খাত

দেশজ খাত

রপ্তানী খাত

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩ সালে রপ্তানী আয় ছিল মাত্র ৩৪৮.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ; যার সিংহভাগ (৯০%) আসত পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানী করে৷ তৎকালীন অন্যান্য প্রধান রপ্তানী পণ্যের মধ্যে অন্যতম চা শিল্প ও চামড়া শিল্প৷ পরবর্তী চার দশকে বাংলদেশের রপ্তানী আয় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌছানোর পেছনে প্রধান খাত হল তৈরি পোশাক শিল্প৷ অন্যান্য সম্ভাবনাময় রপ্তানী খাত হল ঔষধ শিল্প ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প৷

সরকারী ব্যয়ের ধারা

বাৎসরিক উন্নয়ন পরিকল্পনা

সরকার কেন ব্যয় অনুযায়ী আয়ের পরিকল্পনা করে?

একনজরে

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে। ১৯৯০ দশকে প্রভূত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধিত হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের এখনও বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা সত্ত্বেও এখানে দ্রুত শ্রমিক শ্রেণী বৃদ্ধি পেয়েছে যাদেরকে কেবল কৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়। একারণে সরকার বিভিন্ন বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিকে অনুমোদন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ সৃষ্টি এবং প্রশাসনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ভয়াবহ বন্যার পর দেশটির অর্থনীতি আবার বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভর করতে শুরু করে। অবশ্য এখন পর্যন্ত পূর্ব এশীয় অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কোন প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েনি। বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী বর্তমান বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা প্রায় ৬.৫%। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ১০% কমে গেছে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ এটিকে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে একটি শুভলক্ষণ হিসেবে দেখে থাকেন। রপ্তানিতে ৯ মাসে দেশটিতে ১৮% প্রগতি সাধন হয়েছে এবং রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৫% হারে। ২০০৫ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন ডলার যা অনুমিত পরিমানের চেয়ে ০.৪ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০০৬ সালের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১১.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ অর্থবছরের জন্য জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৭%।

মূল অর্থনৈতিক সূচক
জিডিপি-ক্রয়ক্ষমতা সমতা ২৭৫ বিলিয়ন ডলার (২০০৪ অনুমিত)
জিডিপি-প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হার ৭.০% (২০০৬ অনুমিত)
জিডিপি-মাথাপিছু: ক্রয়ক্ষমতা সমতা ২,০০০ ডলার(২০০৪ অনুমিত)
সাহায্য-মাথাপিছু $১০.১ (২০০৩)
জিডিপি-খাতওয়ারী
কৃষি ২০.৫% (২০০৪)
শিল্প ২৬.৭% (২০০৪)
সেবা ৫২.৮% (২০০৪)
আয়, মঞ্জুরি বহির্ভূত ২৩.৪% (২০০৪)
দারিদ্রসীমার নিচে জনসংখ্যা ৩৫.৬% (১৯৯৫-৯৬ অনুমিত)
পারিবারিক আয় অথবা ভোগ, শতাংশ হারে
সর্বনিম্ন ১০% ৩.৯%
সর্বোচ্চ ১০% ২৮.৬% (১৯৯৬)
মূল্যস্ফীতি হার (ভোক্তা মূল্য) ৫.৮% (২০০০)
শ্রম শক্তি ৬৪.১ মিলিয়ন (১৯৯৮)
নোট: সোদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অমান, কাতার ও মালয়েশিয়াতে উচ্চ হারে শ্রম শক্তি রপ্তানি হয়েছে; শ্রমিকদের রেমিটেন্স ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ১.৭১ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল
শ্রম শক্তি-পেশা হিসেবে
কৃষি ৬৫%
সেবা ২৫%
শিল্প ও খনি ১০% (১৯৯৬)
বেকারত্বের হার ৩.৬% (২০০২)
বাজেট
আয় ৪.৯ বিলিয়ন ডলার
ব্যয় ৬.৮ বিলিয়ন ডলার, মূলধন ব্যয় সহ (২০০০)
শিল্প পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, সূতা কাপড়, তৈরি পোষাক, চা প্রক্রিয়াকরণ, কাগজ নিউজপ্রিন্ট, সিমেন্ট, রাসায়নিক, হালকা প্রকৌশল, চিনি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সার
শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হার ৬.২% (২০০১)
বিদ্যুত-উৎপাদন ১৩.৪৯৩ বিলিয়ন কিলো ওয়াট (২০০০)
বিদ্যুত-উৎপাদন, উৎস হিসেবে
জীবাশ্ম জ্বালানি ৯২.৪৫%
পানিসম্পদ ৭.৫৫%
অন্যান্য ০% (২০০০)
বিদ্যুত-ব্যবহার ১২.৫৪৮ বিলিয়ন কিলো ওয়াট (২০০০)
বিদ্যুত-রপ্তানি ০ কিলো ওয়াট (২০০০)
বিদ্যুত-আমদানি ০ কিলো ওয়াট (২০০০)
শিল্প ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
কৃষি-পণ্য ধান, পাট, চা, গম, ইক্ষু, আলু, তামাক, ডাল, তৈলবীজ, মশলা, ফল-ফলাদি; মাংস, দুধ, পোলট্রি
রপ্তানি ৬.৬ বিলিয়ন ডলার (২০০১)
রপ্তানি-পণ্য তৈরি পোষাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, হিমায়িত মৎস ও সামুদ্রিক খাদ্য
রপ্তানি-সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১০.৯%, যুক্তরাজ্য ৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%, ইতালি ৪.৪২% (২০০০)
আমদানি ৮.৭ বিলিয়ন ডলার (২০০১)
আমদানি-পণ্য মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, পোষাক-সামগ্রী, সূতা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি, সিমেন্ট ক্লিংকার
আমদানি-সহযোগী ভারত ১০.৫%, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ৯.৫%, জাপান ৯.৫%, সিঙ্গাপুর ৮.৫%, চীন ৭.৪% (২০০০)
অর্থনৈতিক সাহায্য-গ্রহীতা ১.৫৭৫ বিলিয়ন ডলার (২০০০ অনুমিত)
মুদ্রা বিনিময় হার টাকা (৳) প্রতি মার্কিন ডলারে (US$1) - ৬৯.০০০ (অক্টোবর ২০০৬), ৪৯.০৮৫ (১৯৯৯), ৪৬.৯০৬ (১৯৯৮), ৪৩.৮৯২ (১৯৯৭)
Source:Discovery Bangladesh

দেনা - বাহ্যিক: ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার (১৯৯৮)

অর্থনৈতিক সাহায্য - গ্রহীতা: ১.৪৭৫ বিলিয়ন ডলার (১৯৯৬/৯৭ অর্থবছর)

মুদ্রা: ১ টাকা (৳) = ১০০ পয়সা

মুদ্রা বিনিময় হার: টাকা (৳) প্রতি মার্কিন ডলারে (US$1) - ৬৯.০০০ (অক্টোবর ২০০৬), ৪৯.০৮৫ (১৯৯৯), ৪৬.৯০৬ (১৯৯৮), ৪৩.৮৯২ (১৯৯৭), ৪১.৭৯৪ (১৯৯৬), ৪০.২৭৮ (১৯৯৫)

অর্থ বছর: ১ জুলাই - ৩০ জুন


তথ্যসূত্র

  1. "World Economic Outlook Database, April 2019"IMF.org। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৯
  2. "IMF, world economic outlook, April 2018 database"www.imf.org। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৮
  3. "GDP of Bangladesh at current price" (PDF)bbs.portal.gov.bd
  4. Gross Domestic Product (GDP) of Bangladesh (Final) 2017-18 (PDF) (প্রতিবেদন) (Final সংস্করণ)। Agargaon, Dhaka 1207: Bangladesh Bureau of Statistics (BBS)। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  5. "Industries helping to achieve record GDP growth"Dhaka Tribune। ৫ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৮
  6. Misha, Farzana; Sulaiman, Munshi। "Bangladesh Priorities: Poverty, Sulaiman and Misha | Copenhagen Consensus Center"www.copenhagenconsensus.com। Copenhagen Consensus। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৬
  7. "GINI index (World Bank estimate)"। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৯
  8. "Labor force, total"data.worldbank.orgWorld Bank। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৯
  9. "Employment to population ratio, 15+, total (%) (national estimate)"data.worldbank.orgWorld Bank। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  10. "BBS survey finds 4.18 per cent of workforce unemployed"The Independent (BD) (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ১১, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
  11. "ডুয়িং বিজনেস সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতি বাংলাদেশের | অর্থনীতি"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯
  12. "Bangladesh has highest trade deficit since 2010| Trade News Bangladsh"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ আগস্ট ২০১৭। ১৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৭
  13. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"WTO। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  14. "Bangladesh has highest trade deficit since 2010"। ১৯ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৭
  15. "Bangladesh unveils Tk 4.65 trillion budget for FY19"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। ৭ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮
  16. Karim, Naim Ul (৭ জুন ২০১৮)। "Roundup: Bangladesh unveils about 55.31 bln USD national budget"xinhuanet.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮
  17. "Sovereigns rating list"Standard & Poor's। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২(নিবন্ধন করা প্রয়োজন (সাহায্য))
  18. "Bangladesh's foreign exchange reserves cross $33 billion"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৭
  19. http://earthtrends.wri.org/text/economics-business/variable-638.html
  20. "Bangladesh to emerge as 'power house' in drug manufacturing"The Financial Express। Dhaka। ২৯ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  21. "Shipbuilding prospects shine bright"The Daily Star। ৩ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  22. "Bangladesh IT industry going global"The Daily Star। ৬ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  23. "Leather industry aims to cross $1b exports"The Daily Star। ১৮ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  24. "The prince of steel"The Daily Star। ১৯ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  25. "Bangladesh can tap potential in electronics, ICT sectors"Daily Sun। ২০ এপ্রিল ২০১৩। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  26. "Light engineering in limelight"The Daily Star। ৮ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  27. "Bangladesh looks to diversify"Dhaka Courier। ২১ জুলাই ২০১২। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  28. "Report for Selected Countries and Subjects"International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১১
  29. "Background Note: Bangladesh". Bureau of South and Central Asian Affairs (March 2008). Accessed 11 June 2008. This article incorporates text from this source, which is in the public domain.
  30. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০০৭
  31. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭
  32. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (PDF)। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০০৭
  33. বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, অর্থ মন্ত্রনালয়, ১৯৯৬, ২০০৩, ২০১১

বহিসংযোগ

আরো দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.