আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ (ইংরেজি: International Monetary Fund, IMF) জাতিসংঘ কর্তৃক অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা এর প্রধান কাজ। এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ২৯টি দেশ চুক্তিতে উপনীত হয়েছিল।[2] এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি. শহরে অবস্থিত। বিভিন্ন দেশের মুদ্রানীতি এবং মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা এই আন্তজার্তিক সংস্থাটির অন্যতম প্রধান কাজ। এপ্রিল ১২, ২০১৬ইং পর্যন্ত ১৮৯টি রাষ্ট্র এই সংস্থার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের আনুষ্ঠানিক লোগো
গঠিতগ্রহণ: ২২ জুলাই ১৯৪৪ (1944-07-22)
কার্যক্রমে প্রবেশ: ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪৫ (1945-12-27)
ধরণআন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান
সদরদপ্তরওয়াশিংটন, ডি.সি.
সদস্যপদ
১ দেশ (প্রতিষ্ঠাকালীন); ১৮৯ দেশ (বর্তমান - সেপ্টেম্বর, ২০১৮ইং পর্যন্ত)
দাপ্তরিক ভাষা
ইংরেজি, ফরাসী ও স্পেনীয়
ভারপ্রাপ্ত প্রধান
ডেভিড লিপ্টন[1]
প্রধান অঙ্গ
বোর্ড অব গভর্নর্স
ওয়েবসাইটআইএমএফ.অর্গ

ইতিহাস

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ধারণা প্রথম সূচিত হয় ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুলাই তারিখে। এর কার্যক্রমের গোড়াপত্তন হয় ৪৫টি সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং তাদের আন্তজার্তিক লেন-দেন-এর ভারসাম্য নিয়ে নিয়ে। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ডিসেম্বর ২৯টি রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক লেন-দেন ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখার লক্ষ্য নিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপিত হয়। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনয়ণই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি 'বোর্ড অব গভর্নরস' রয়েছে যা এই সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্ষদ। একজন মূল গভর্নর এবং প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের জন্য একজন করে পর্যায়ক্রমিক গভর্নর নিয়ে এই বোর্ড অব গভর্নর্স গঠিত। সদস্য দেশগুলো স্ব-স্ব গভর্নর নিযুক্ত করে।

মহাপরিচালক

কার্যকাল নাম জাতীয়তা
মে ৬, ১৯৪৬ - মে ৫, ১৯৫১ ক্যামিলে গাট  বেলজিয়াম
আগস্ট ৩, ১৯৫১ - অক্টোবর ৩, ১৯৫৬ ইভার রুথ  সুইডেন
নভেম্বর ২১, ১৯৫৬ - মে ৫, ১৯৬৩ পার জেকবসন  সুইডেন
সেপ্টেম্বর ১, ১৯৬৩ - আগস্ট ৩১, ১৯৭৩ পিয়েরে-পল সুইতজার  ফ্রান্স
সেপ্টেম্বর ১, ১৯৭৩ - জুন ১৬, ১৯৭৮ জোহানেস উইতেভিন  নেদারল্যান্ড
জুন ১৭, ১৯৭৮ - জানুয়ারি ১৫, ১৯৮৭ জ্যাকুয়েস দ্য লারোসিয়েরে  ফ্রান্স
জানুয়ারি ১৬, ১৯৮৭ - ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০০০ মিচেল ক্যাডেসাস  ফ্রান্স
মে ১, ২০০০ - মার্চ ৪, ২০০৪ হর্স্ট কোয়েলার  জার্মানি
জুন ৭, ২০০৪ - অক্টোবর ৩১, ২০০৭ রডরিগো রাতো  স্পেন
নভেম্বর ১, ২০০৭ - মে ১৮, ২০১১ ডমিনিক স্ট্রস-কান  ফ্রান্স
জুলাই ৫, ২০১১ - বর্তমান ক্রিস্টিন লাগার্দ  ফ্রান্স

কার্যাবলি

আইএমএফের মতে, এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করার জন্য নীতিমালা প্রদান এবং সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির কাজ করে। এর কারণ হল যে ব্যক্তিগত আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারগুলো ত্রুটিপূর্ণভাবে কাজ করে এবং অনেক দেশে আর্থিক বাজারগুলিতে সীমিত প্রবেশাধিকার থাকে। এ ধরনের বাজার অসম্পূর্ণতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পারিশ্রমিক অর্থনীতি (balance-of-payment financing) ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সংস্থাটি সরকারি অর্থায়নের ন্যায্যতা প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিকল্প অর্থায়নের যোগান দেয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি প্রধান কাজের একটি ছিল - বিভিন্ন দেশের মধ্যে মুদ্রা বিনিময় মূল্য তত্ত্বাবধান করা, যার মাধ্যমে দেশগুলো তাদের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।

আরও পড়ুন

  • Bordo, M. D. "The Bretton Woods International Monetary System: A Historical Overview", in A Retrospective on the Bretton Woods System, edited by M. D. Bordo and B. Eichengreen. London:1993;
  • Boughton, J. M. Silent Revolution: The International Monetary Fund 1979-1989, Washington DC, 2001.
  • James, H. "International Monetary Cooperation since Bretton Woods", Oxford, 1996.
  • Joicey, N. and Pickford, S. "The International Monetary Fund and Global Economic Cooperation" in Nicholas Bayne and Stephen Woolcock, "The New Economic Diplomacy: Decision-Making and Negotiation in International Relations", (Ashgate Publishing, 2011).
  • Keynes, J. M. "The Collected Writings, Vol.XXVI. Activies 1941-1946: Shaping the Post-War World: Bretton Woods and Reparations", Cambridge, 1980.
  • Moschella, M. Governing Risk: The IMF and Global Financial Crises (Palgrave Macmillan; 2010).
  • Skidelsky, R. "John Maynard Keynes: Fighting for Britain", London, 2000.
  • Truman, E. Strengthening IMF Surveillance: A Comprehensive Proposal, Policy Brief 10-29, Peterson Institute for International Economics, 2010.
  • Woods, N. "The Globalizers:The IMF, the World Bank, and Their Borrowers", Ithaca, 2006

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. "Chief In charge"
  2. "Factsheet - The IMF at a Glance"। IMF। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৯ অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.