সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছর শিক্ষা এবং অন্যান্য কার্যক্রমে এই প্রতিষ্ঠান প্রচুর সফলতা অর্জন করছে। সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানায় সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিকটে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি দিনাজপুর বোর্ড অধিনস্থ।

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ।
অবস্থান
সৈয়দপুর উপজেলা
নীলফামারী, সৈয়দপুর–৫৩১০
বাংলাদেশ
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়মহাবিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৪
প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ সরকার
অবস্থাসক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর
বিদ্যালয় জেলানীলফামারী
সেশনজানুয়ারি- ডিসেম্বর
বিদ্যালয় কোড১২৫২৪২
অধ্যক্ষগোলাম আহমেদ ফারুক
প্রধান শিক্ষকসৈয়দা ফরিদা বানু
কর্মকর্তা
শিক্ষকমণ্ডলী২৬
শ্রেণীষষ্ঠ - দ্বাদশ
লিঙ্গছেলে, মেয়ে
বয়সসীমা১১-১৮
শিক্ষার্থী সংখ্যা৭০০ জন
ভাষার মাধ্যমবাংলা মাধ্যম
ভাষাবাংলা
সময়সূচির ধরনমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়
সময়সূচিসকাল ১০ঃ১৫ মিনিট - বিকাল ৩ঃ১৫ মিনিট
বিদ্যালয়ের কার্যসময়৫ ঘন্টা
শ্রেণীকক্ষ১৮ টি
ক্যাম্পাসসমূহ১টি
ক্যাম্পাসের ধরনউপশহর
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল
যোগাযোগ০৫৫২৬-৭২২৪০
ওয়েবসাইটsgtc.gov.bd

ভবনের বর্ণনা

মহাবিদ্যালয়ে মোট তিনটি ভবন রয়েছে। প্রথম ভবনটি তিনতলা। এর পাশেই রয়েছে দুইতলা বিশিষ্ট একটি ভবন ও একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন। অত্র ভবন সমূহে সর্বমোট ২৫টি কক্ষ রয়েছে, যার মধ্যে ১৮টি শ্রেনীকক্ষ, ২টি অফিস কক্ষ, ১টি অডিটোরিয়াম, ১টি কমন রুম, ১টি লাইব্রেরী কক্ষ, ১টি কম্পিউটার ল্যাব কক্ষ এবং ১টি স্টোর রুম রয়েছে।

শিক্ষাদান ব্যবস্থা

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নের ব্যাবস্থা আছে। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি করে শাখা আছে। এই প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি শ্রেণীতে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রতিটি শাখাতে প্রায় ৯০ জন করে শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পায়। প্রতিষ্ঠানে ২৬ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে দর্শনের আন্তর্জাতিকতাবাদ, গণতন্ত্র, পরিবেশগত সচেতনতা, নেতৃত্ব এবং সার্ভিস এর আদর্শের উপর ভিত্তি করে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্য বই অনুসরণ করে পাঠদান করানো হয়। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান হিসবে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় প্রথম থেকেই সমাজের জন্য যোগ্য, সৎ, নিষ্ঠাবান, ও অতি প্রয়োজনীয় সু-শিক্ষিত নাগরিক গড়ে তুলতে সক্ষম।

ভর্তি প্রক্রিয়া

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বর্তমান দেশীয় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে এস.এস.সি ফলাফলের ভিত্তিতে অধ্যয়নের সুযোগ পেলেও ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি পরিক্ষার মাধ্যমে মেধা ভিত্তিক অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রতিটি আসনের জন্য প্রায় ২০-২৫ (২০১৭ সালে ৬০টি আসনের বিপরীতে ২৪০৭ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে) কিংবা কখনো কখনো অধিক শিক্ষার্থী লড়াই করে। ভর্তি হতে আগ্রহী প্রার্থীদের লিখিত এবং মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। একাদশ শ্রেনীর ভর্তি প্রক্রিয়া এস এস সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং একাদশ শ্রেণীর ভর্তি প্রক্রিয়া এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়। তবে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ৯ম শ্রেণীতে ও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রমের অধীনে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বাংলা মাধ্যমেই শিক্ষাদান করে থাকে। সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে প্রায় ১৫,০০০ বই সমৃদ্ধ পাঠাগার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন,জীববিজ্ঞান পরীক্ষাগার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব।

শিক্ষাক্রম

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে থাকে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্য বিষয়সমূহের সাথে সাথে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ইচ্ছা করলে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত শিক্ষা, চারু ও কারুকলা ক্লাসেও অংশ নিতে পারে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের নিয়মানুযায়ী ৯ম এবং ১১শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগ নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক।

অবকাঠামো ব্যবস্থা

সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব ছাত্রাবাস রয়েছে, যেখানে ৯৪ জন শিক্ষার্থী খুবই অল্প খরচে থেকে তাদের স্বাভাবিক পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে একটি শহীদ মিনার, দুটি খেলার মাঠ, একটি পুকুর, একটি আধুনিক লাইব্রেরী, একটি মানসম্মত ক্যান্টিন, একটি মসজিদ, প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগার রয়েছে।

ছাত্র সংগঠন সমুহ

  • স্কাউটস
  • সাহিত্য সংসদ
  • বিজ্ঞান ক্লাব

ফলাফল

পরীক্ষার নাম পরীক্ষার সাল মোট পরীক্ষার্থী মোট পাস ফেল জিপিএ ৫ অন্যান্য বোর্ড স্থান জেলায় স্থান
এইচ এস সি২০১৯২৭৮২৭৮--১৮৮৯০----
এস এস সি২০১৯১২০১২০--৯৭২৩----
জে এস সি২০১৮৬১৬১--৫২---
এইচ এস সি২০১৮২৬৫২৬৫--১৪৭১১৮----
এস এস সি২০১৮১১৬১১৬--৯৬২০----
জে এস সি২০১৭৫৯৫৯--৫৯------
এইচ এস সি২০১৭২৬৪২৬২০২১২১১৪১----
এস এস সি২০১৭১১৮১১৮--৯৭২১----
জে এস সি২০১৬১১৯১১৯--১১৩০৬----
এইচ এস সি২০১৬২১৭২১৭--১৭৩৪৪----
এস এস সি২০১৬১১৭১১৭--১০১১৬----
জে এস সি২০১৫১১৫১১৫--১১৩০২----
এস এস সি২০১৫১১৮১১৮--১১১০৭৫ম১ম
এইচ এস সি২০১৫২০০১৯৮০২১২৪৭৪----
জে এস সি২০১৪৬৪৬৪--৬২০২৫ম১ম
এস এস সি২০১৪১২০১২০--১১৫০৫৬ষ্ঠ১ম
এইচ এস সি২০১৪২৩২২৩১১৬২৫০৫ম১ম
জে এস সি২০১৩৮১৮১--৭৭০৪৯ম১ম
এস এস সি২০১৩৭৭৭৭--৭৫০২৪র্থ১ম
এইচ এস সি২০১৩১৭১১৬১১০১০৭৫৪৪র্থ১ম

উল্লেখ্যঃ খিস্টাব্দ ২০১৫ থেকে সকল প্রকার স্থান নির্ধারণী বাতিল করা হয়েছে ।

উল্লেখ্যঃ খিস্টাব্দ ২০১৭ এর এইচ.এস.সি দুই জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় পাসের হার ১০০% এর পরিবর্তে ৯৯.২৪% এসেছে। ।

গ্যালারী

তথ্যসূত্র

      বহিসংযোগ

      This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.