শহর
শহর হল অপেক্ষাকৃত বড় এবং স্থায়ী নিবাস।[1][2] কিভাবে একে অর্থের দিক দিয়ে নগর থেকে আলাদা করা হয়, সে বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। তবে অনেক শহরের নিজস্ব প্রশাসন, ইতিহাস এবং আইন রয়েছে।

সাধারণত শহরের নিজস্ব বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকে, যেমন: পয়োঃনিষ্কাশন, মাটির ব্যবহার, বাড়িঘর, পরিবহন ইত্যাদি। শহরের উন্নতি মানুষ এবং ব্যবসার প্রসার ঘটাতে সহায়তা করে। শহর প্রায়শই গ্রাম দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এখানে চাকরির সুযোগ-সুবিধাও বেশি থাকে। ক্রমে একটি শহরের আশেপাশের এলাকাগুলোও শহরে চলে আসতে থাকে।
উৎপত্তি
শহর কেন উৎপত্তি লাভ করে সে বিষয়ে কোন নির্ধারিত প্রমাণ নেই। তবে অনেক তত্ত্ববিদ ধারণা করেন, কিছু মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদেই শহর জন্মলাভ করে।
ধারণা করা হয়, কৃষি বিপ্লব শহর সৃষ্টির মূল। এই বিপ্লব কৃষির উদ্ভাবন করায়। এরফলে মানুষ খাদ্য উৎপাদনের তাগিদে স্থায়ীভাবে একস্থানে বসবাস শুরু করে। এই ঘন জনবসতির ফলেই ধীরে ধীরে শহর গড়ে ওঠে।[3] পল বাইরোচ তার শহর এবং অর্থনৈতিক উন্নতি বইয়ে বলেন, কৃষির ফলেই মানুষ একসাথে বসবাস করার প্রয়োজন অনুভব করে এবং এই মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যই মানুষ শহর গড়ে তোলে।
গ্রামীণ তত্ত্ববিদ জেন জ্যাকবস বলেন, শহরের উৎপত্তিই কৃষির আবিষ্কারকে তরান্বিত করে, তবে তার এ যুক্তি অকাট্য বলে মেনে নেয়া হয় না।[4]
ভূগোল

বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে শহরকে সাজানো হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রিড পদ্ধতিতে শহর তৈরি হয়। হাজার বছর আগে চীনে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের পরিকল্পনাবিদ ডিনোক্রেটস অব রোডস এই পরিকল্পনা করেছিলেন।
আরও দেখুন
- শহর পুঞ্জ
- বাংলাদেশের শহরের তালিকা
- ভারতের রূঢ়
- সিটি অফ জয়
- ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী
তথ্যসূত্র
- Goodall, B. (1987) The Penguin Dictionary of Human Geography. London: Penguin.
- Kuper, A. and Kuper, J., eds (1996) The Social Science Encyclopedia. 2nd edition. London: Routledge.
- (Bairoch 1988, পৃ. 3–4)
- (Jacobs 1969, পৃ. 23)
বহিঃসংযোগ
- World Urbanization Prospects, the 2011 Revision, Website of the United Nations Population Division
- কার্লি-এ Human Geography (ইংরেজি)
- কার্লি-এ Urban and Regional Planning (ইংরেজি)
- Geopolis - research group that studies the world's urbanization, Université Paris Diderot, France