শেরপুর সদর উপজেলা
শেরপুর সদর উপজেলা বাংলাদেশের শেরপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।[2][3][4]
শেরপুর সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() শেরপুর সদর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৯′৫১″ উত্তর ৯০°১′৯″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | শেরপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৫৭.৮৪ কিমি২ (১৩৮.১৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৪,৯৬,৬১৯ |
• জনঘনত্ব | ১৪০০/কিমি২ (৩৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮৯ ৮৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন
এই উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান পূর্ব পশ্চিমে ৮৯-৫০ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৯০-১৫ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত এবং উত্তর দক্ষিণে ২৪-৫৫ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫-১৬ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত। ২৫.০০০০° উত্তর ৯০.০১৬৭° পূর্ব। এর উত্তরে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা, দক্ষিণে জামালপুর জেলা, পূর্বে শেরপুর জেলার নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা, পশ্চিমে জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
এই উপজেলার একমাত্র পৌরসভা শেরপুর পৌরসভা। উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -
- কামারিয়া
- কামারের চর
- গাজির খামার
- চরপক্ষীমারী
- চরমোচারিয়া
- চরশেরপুর
- ধলা
- পাকুরিয়া
- বলায়ের চর
- বাজিতখিলা
- বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি
- ভাতশালা
- ভীমগঞ্জ
- রৌহা
- লছমনপুর
ইউনিয়নস্থ গ্রামের সংখ্যা ২৫৩ টি।
ইতিহাস
শেরপুর প্রাচীন জনপদ কামরূপবঙ্গের অধীনে ছিলো।এর পুর্বনাম দশকাহানিয়া।ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিয়ে শেরপুরে আসতে নির্ধারিত মুল্য ছিলো দশ কাহন কড়ি।এ থেকেই দশকাহনিয়া নামের উৎপত্তি।
দশকাহানিয়া থেকে শেরপুর নাম এসেছে ভাওয়াল জমিদার শের আলী গাজীর নাম অনুসারে।
পর্যায়ক্রমে পৌর শহর,মহকুমা হয়ে অবশেষে ১৯৮৪ সালের ২২ফেব্রুয়ারি পাঁচটি উপজেলা নিয়ে শেরপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
শিক্ষা
২০১১ সালের জরিপ অনুসারে উপজেলার শিক্ষার হার ৩০%। সদর উপজেলায় সরকারি কলেজ দুইটি:শেরপুর সরকারি কলেজ(১৯৬৪) এবং শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ(১৯৭২)।মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ৪৩ টি,নিম্ন মধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ১০ টি,সরকারি পলিটেকনিকাল ইনস্টিটিউট (১৯৫৭) -১টি,কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ১টি,কামিল মাদ্রাসা ১টি ইদ্রিসিয়া কামিল মাদ্রাসা।
স্বাস্থ্য
- উপজেলা হাসপাতাল
- সদর হাসপাতাল
কৃষি
- ধান
- গম
- আখ
অর্থনীতি
যোগাযোগ ব্যবস্থা
শেরপুরে সড়কপথে সহজে যোগাযোগ করা যায়। সরকারি কোনো বাস সার্ভিস না থাকলেও বেসরকারি অসংখ্য বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া জলপথে নৌকা পরিবহনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। শেরপুরে কোন রেলপথ নেই।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
দর্শনীয় স্থান
- কলাবাগান, কান্দাপাড়া, শেরপুরসদর, শেরপুর।
- কসবার মোঘল মসজিদ
- তিনআনী জমিদার বাড়ি
- নয়আনী জমিদার বাড়ি
- নয়আনি জমিদার বাড়ির নাট মন্দির
- পনে তিন আনি জমিদারবাড়ি রঙমহল
- ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ, এটি শেরপুর ও জামালপুর জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।
- মাই সাহেবা মসজিদ
- রঘুনাথ জিউর মন্দির
- শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক।
- শুকুরের দালান
- শেরপুর জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এটি শেরপুর উপজেলার একটি অন্যতম স্থাপনা।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শেরপুর সদর উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- শেরপুর জেলা পরিসংখ্যান ২০১১
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : শেরপুর, বাংলা একাডেমী