মোহনগঞ্জ উপজেলা

মোহনগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

মোহনগঞ্জ
উপজেলা
মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ
মোহনগঞ্জ
বাংলাদেশে মোহনগঞ্জ উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′১৮″ উত্তর ৯০°৫৮′১৭″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলানেত্রকোনা জেলা
আয়তন
  মোট২৪৩.২০ কিমি (৯৩.৯০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট১,৪৩,৭৪০
  জনঘনত্ব৫৯০/কিমি (১৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৩৪.৩০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৭২ ৬৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

অবস্থান: ২৪°৪৫´ থেকে ২৪°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৫´ থেকে ৯১°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা, পূর্বে নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা এবং পশ্চিমে নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলাবারহাট্টা উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত প্রশাসন মোহনগঞ্জ থানা গঠিত হয় ৬ এপ্রিল ১৯২০ সালে। ১৯৮২ সালে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন রয়েছে। একমাত্র পৌরসভা হলো মোহনগঞ্জ পৌরসভা।

ইউনিয়নগুলি হলো:

  • বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়ন
  • বড়তলী বানিহাড়ি ইউনিয়ন
  • তেতুলিয়া ইউনিয়ন
  • মাঘান সিয়াধার ইউনিয়ন
  • সমাজ সহিলদেও ইউনিয়ন
  • সুয়াইর ইউনিয়ন
  • গাগলাজুর ইউনিয়ন

ইতিহাস

ভাটি বাংলার রাজধানী বলে জনশ্রুত নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। অত্র এলাকায় মোহন সাহা নামে একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন যার নাম অনুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই মোহনগঞ্জ ছিল ধান, পাট, মাছ ও সরিষার উল্লেখযোগ্য ব্যবসাকেন্দ্র। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে মোহনগঞ্জ রেল স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে রেল চলাচল শুরু হয়। বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার ০৭/০৮ টি উপজেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ সর্বাধিক গুরুত্ববহ শহর। বর্তমানে রাজধানীর সাথে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে বি.আর.টি.সি. সহ ০৪/০৫টি পরিবহন সংস্থার বাস সার্ভিস চালু রয়েছে।

মোহনগঞ্জ পৌরসভা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। জলপথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। মোহনগঞ্জ পৌরসভার বুক চিড়ে প্রবাহিত শিয়ালজানি খাল দিয়ে এক সময় ধান, পাট বোঝাই হয়ে বড় মাপের নৌকা চলাচল করত। সময়ের বিবর্তনে খালটি আজ বিলুপ্তপ্রায় । খালটির আশু সংস্কারের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে মোহনগঞ্জ উপজেলা অনন্য সাধারণ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এছাড়াও অনেক প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে এই উপজেলাটিতে। কংশ ও ধনু দুটি নদী যার মধ্যে কংশ প্রায় মৃত। একসময় মোহনগঞ্জ ছিল মাছের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমানে তার অনেকটা ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।[2][3]

১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা মোহনগঞ্জ থানার পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করলে পাকসেনারা বারহাট্টার দিকে পালিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধারা মোহনগঞ্জ থানা দখল করে নেয়। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ১৯ জন রাজাকারকে মোহনগঞ্জের পাথরঘাটায় হত্যা করে।

জনসংখ্যার উপাত্ত

১,৬৭,৫০৭ জন, পুরুষ-৮৪,২২৩ জন, মহিলা-৮৩,২৮৪ জন।[4]

শিক্ষা

শিক্ষার হার ৫২% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৪.৩%; পুরুষ ৩৬.৯%, মহিলা ৩১.৫%। কলেজ ৩ , মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯২, মাদ্রাসা ১২।

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান:

  • মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩১)[5]
  • মোহনগঞ্জ জামিয়া কাছেমিয়া মাদ্রাসা (১৯৩৮)
  • মোহনগন্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ( ১৯৫২)
  • খুরশীমূল হাই স্কুল (১৯৬০)
  • সমাজ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪)
  • খালুয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৯৬৫)
  • শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়,কুলপতাক (১৯৬৬)
  • শ্যামপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯)
  • মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজ (১৯৬৯)
  • বড় পাইকুড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৯)
  • মাঘান উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭১)
  • খান বাহদুর কবির উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩)
  • মাঘান দাখিল মাদ্রাসা (১৯৭৫)
  • জয়পুর দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০)
  • মোহনগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুল (১৯৮১)
  • বরান্তর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৭)
  • মোহনগন্জ্ঞ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৯)
  • বিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৪)
  • করাচাপুর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৪)
  • মোহনগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা (১৯৯৪)
  • জৈনপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৯৫)
  • নারাইচ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৫)
  • হাঁচলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮)
  • মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজ (১৯৯৯)
  • মাদ্রাসায়ে দারুল কোরান (২০০১)
  • পালগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (২০০৩)
  • শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়,কুলপতাক (২০১৫)

অর্থনীতি

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৭.৭৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৭%, শিল্প ০.৮০%, ব্যবসা ১১.৮৭%, পরিবহন ও যোগাযোগ ২.৮০%, চাকরি ৪.৩০%, নির্মাণ ০.৮৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৪৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৮% এবং অন্যান্য ৮.০১%। এখানকার প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, সরিষা, তুলা। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি এর মধ্যে আছে আলু। প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, জাম। মৎস, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার উল্লেখযোগ্য।

যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যাবস্থা

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ সেটা এই মোহনগঞ্জ উপজেলাকে দেখলেই বোঝা যায়। সিলেট ঢাকা সুনামগঞ্জ ভৈরব বাজারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী জলযোগাযোগ ব্যাবস্থা রয়েছে এই মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে। এর স্থলযোগাযোগ ব্যাবস্থা অন্তত উন্নত। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এই উপজেলার রূপবৈচিত্র্যে আহরণ করতে খুব সহজেই আসা যায়া। ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ রেলযোগাযোগ ব্যাবস্থা অন্তত উন্নত। হাওর এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস এই দুটি ইন্টারসিটি ট্রেনের গন্তব্যস্থল এই মোহনগঞ্জ উপজেলা। এছাড়া মহুয়া কমিউটার নামের বেসরকারি ট্রেনটিও এই রেলরুটে চলাচল করে। ঢাকা মোহনগঞ্জ হাইওয়েতে প্রতিদিন ২০ টিরও বেশী বাস চলাচল করে। যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩৪.৩৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩৭ কিমি, কাঁচারাস্তা ২১৭ কিমি; রেলপথ ৩ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।

সুবিধা সমূহ

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২১৭, মন্দির ৩২। শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৪.৩%; পুরুষ ৩৬.৯%, মহিলা ৩১.৫%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫০, স্কুল ৪৬, মাদ্রাসা ৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজ (১৯৬৯), মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজ (১৯৯৮), মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩১), মোহনগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুল (১৯৮১)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৪, ক্লাব ৩৬, সিনেমা হল ৩, মহিলা সংগঠন ৪, খেলার মাঠ ১২, নাট্যদল ১। যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩৪.৩৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩৭ কিমি, কাঁচারাস্তা ২১৭ কিমি; রেলপথ ৩ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, মহিষের গাড়ি। শিল্প ও কলকারখানা আটামিল, স’মিল, রাইস মিল, তেলকল, আইস ফ্যাক্টরী, প্রিন্টিং প্রেস, ওয়েল্ডিং কারখানা। কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, কাঠের কাজ। হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩৮, মেলা ২। মোহনগঞ্জ, আদর্শনগর, মথুরা, জৈনপুর, বেথাম, গাগলাজুর, পাইকুড়া ও পালগাঁও হাট এবং নাগডরা ও বড়ান্তর মেলা উল্লেখযোগ্য। প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, শুঁটকি মাছ, ডিম।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়নের আওতাধীন। তবে ২০.১৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৮৫%, ট্যাপ ০.৮৬%, পুকুর ১.৪৪% এবং অন্যান্য ২.৮৫%। এ উপজেলার ৩৩% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১৩.৮০% (গ্রামে ৭.০৬% ও শহরে ৫২.৩৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৫.৭১% (গ্রামে ৮১.৪৪% ও শহরে ৪২.৮২%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ১০.৫০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২। এনজিও সমূহের মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা, আহসানিয়া মিশন।

চিত্তাকর্ষক স্থান

  • শেখবাড়ি মসজিদ (সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ সময়ের আমলে নির্মিত),
  • কুলপতাক খ্রিষ্টান বাড়ির ব্রিটিশদের প্রাচীন দুর্গ
  • খোজার দিঘী
  • ডিঙ্গাপোতা হাওর, মোহনগঞ্জ উপজেলা
  • বেথাম গ্রামের প্রাচীন দুর্গ (সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নির্মিত),
  • দৌলতপুর মন্দির (নির্মিত ৮৭৬ বঙ্গাব্দ)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

মসজিদ: মোহনগঞ্জ থানার শেখবাড়ী মসজিদটি সুলতানদের ধর্মীয় অনুপ্রেরণার স্বাক্ষর । তৎকালে নেত্রকোণার সর্ব পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত প্রথম মসজিদ, এই মসজিদটিকে ঘিরে দাওয়াতী কাজ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদটির নির্মাণ কাল ১৪৯৪-১৫১৯ খ্রীষ্টাব্দ যা সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ সময়ের। পুনঃ নির্মাণ করা হয় ২০১২-২০১৬। মোহনগঞ্জে সবচেয়ে বড় মসজিদ দুটো হচ্ছে মোহনগঞ্জ বড় মসজিদ ও মোহনগঞ্জ মারকাজ মসজিদ। সঠিকভাবে সন-তারিখ জানা না গেলেও ধারণা করা হয় ১৯২০-২৫ সালের দিকে মোহনগঞ্জ বড় মসজিদটি স্থাপিত হয়। অপরদিকে ১৯৫৯-৬০ সালে নাগডরা গ্রামের আলেম ক্বারী জয়নাল আবেদীন থানা রোডে মারকাজ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই দুটো মসজিদ ছাড়াও ১৯৮২ সালে স্থাপিত শহরের উপজেলা মসজিদ, শাহী মসজিদ, রেল স্টেশন মসজিদ ও পৌর মসজিদ উল্লেখযোগ্য।

মন্দির: বিশ শতকের তৃতীশ দশকে মোহনগঞ্জ বাজারে জগন্নাথ জিউর আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন রাধাশ্যাম বণিক ও ভগবান সাহা। এখানে প্রতি বছর মাস মাসে ছাপ্পান্ন প্রহরব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন হয়ে থাকে। এছাড়া বড়তলী গ্রামের শম্ভুচানের আখড়া, মাইলোড়া কালীমন্দির ও লোকনাথ আশ্রম এবং দত্ত পাড়ায় সার্বজনীন সৎসঙ্গ আশ্রম রয়েছে।

গির্জা: ১৯৫৮ সালে খ্রিস্টান মিশনারীদের একটি দল মোহনগঞ্জের সুয়াইর ইউনিয়নের কুলপুতাক গ্রামে একটি গির্জা প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে সেখানে মিশনারী না থাকলেও বেশ কিছু খ্রিস্টান পরিবার রয়েছে। [5]

== কৃতী ব্যক্তিত্ব

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

  1. সৈয়দ মারুফুজ্জামান (৫ মার্চ ২০১৫)। "মোহনগঞ্জ উপজেলা"bn.banglapedia.org। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. নেত্রকোণা জেলার ইতিহাস’ (পৃষ্ঠা-১৬৮, খন্ড-৫)
  3. বাংলাপিডিয়া
  4. আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মোহনগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭
  5. আহমেদ, জালালউদ্দিন (ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। মোহনগঞ্জের ইতিকথা (প্রথম সংস্করণ)। বাংলাপ্রকাশ। আইএসবিএন ৯৮৪-৩০০-০০০-৫৫৬-৬ |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.