পূর্বধলা উপজেলা

পূর্বধলা বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

পূর্বধলা
উপজেলা
পূর্বধলা
বাংলাদেশে পূর্বধলা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৬′৪″ উত্তর ৯০°৩৬′১৬″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলানেত্রকোনা জেলা
আয়তন
  মোট৩১২.৩০ কিমি (১২০.৫৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৩৫,৬৭৫
  জনঘনত্ব৭৫০/কিমি (২০০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৭২ ৮৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

এর উত্তরে দুর্গাপুর উপজেলা, দক্ষিণে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলা, পূর্বে নেত্রকোনা সদর উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

পূর্বধলা উপজেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা ১১টি । গ্রামের সংখ্যা- ৩৩৪টি। মৌজা- ২২৩টি । উপজেলার অন্তর্গত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছেঃ

  • বৈরাটি ইউনিয়ন,
  • জারিয়া ইউনিয়ন,
  • আগিয়া ইউনিয়ন,
  • বিশকাকুনি ইউনিয়ন,
  • খলিশাপুর ইউনিয়ন,
  • গোয়ালাকান্দা ইউনিয়ন,
  • নারান্দিয়া ইউনিয়ন,
  • হোগলা ইউনিয়ন,
  • ঘাগড়া ইউনিয়ন,
  • পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন এবং
  • ধলামুলগাঁও ইউনিয়ন।

ইতিহাস

১৮৭৪ সাল থেকে পূর্বধলা উপজেলা সুসঙ্গ দুর্গাপুর পরে নেত্রকোণা সদর থানার একটি ফাড়ি থানা ছিল। ১৯১৭ সালের ২১ আগষ্ট সেক্রেটারী গর্ভমেন্ট অব বেঙ্গল এইচ, জে, টিনামের আদেশক্রমে পূর্বধলাকে পূর্ণাঙ্গ থানা (পুলিশ স্টেশন) প্রতিষ্ঠা করেন। সে সনে পূর্বধলা থানার আয়তন ছিল ১২৪ বর্গ মাইল । জনসংখ্যা ছিল ১১০.২৫৫ জন ।

এক সময়কার সুসঙ্গ পরগনা ভুক্ত ছিল পূর্বধলা । পূর্বধলা, ঘাগড়া, বাঘবেড়, নারায়ণডহর, মুক্তাগাছা, সুসঙ্গ ও শেরপুরের জমিদারদের শাসনাধীন ছিল।

জনসংখ্যার উপাত্ত

জন সংখ্যা ২,৮০,৪৬০ জন।

== শিক্ষা ==পূর্বধলা শিক্ষার হার ৮০%

== অর্থনীতির অবস্থা ভাল।কৃষি নির্ভর অর্থনীতি। কৃষি পন্য এর মাঝে ধান প্রধান হলেও আগে এখানে প্রচুর পরিমাণ পাট,গম,তিলও উৎপাদিত হতো। কালের পরিক্রমায় ধান প্রধান কৃষিজাত পন্য তে পরিনত হয়েছে। তবে শাক সবজি উৎপাদনও এগিয়ে চলছে।সেই সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে মৎস্য উৎপাদন।

পৌরসভা

পূর্বধলা সদর ও আগিয়া ইউনিয়নের ১৩.২৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ১৩ মার্চ ২০০৬ খ্রীস্টাব্দে পৌরসভা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। (এটি পরবর্তিতে বাতিল করা হয়)

ঐতিহাসিক স্থাপত্য

  • সোনাইকান্দা ও লেটিরকান্দা গ্রামে মোগল যুগের ১ গোম্বজ বিশিষ্ট্য মসজিদ।
  • লালচাপুর গ্রামে মোগল যুগের মসজিদ।
  • পাগলপন্থীদের সমাধি প্রাচীর বেষ্টনী যাকে পাগলবাড়ি বলে আখ্যায়িত করা হয়।
  • হোগলার প্রাচীন মন্দির।
  • বাঘবেড় জমিদার বাড়ি
  • নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি
  • খাটুয়ারি গ্রামে ফসলের মাঠের মাঝখানে শতবর্ষী হেওরা গাছ।

নদী ও বিল

পূর্বধলার উল্লেখযোগ্য নদী হচ্ছে কংস, ধলাই, সোয়াই, লাউয়ারী। রাজধলা পূর্বধলার উল্লেখযোগ্য বিল। এ বিলটির আয়তন ১০২ একর। এছাড়া কুমা বিল, হলিদা, সিংরা, চিনাকুড়ী, রৌহা, ধলা চাপড়া, পদমাই, ডুবা বিল উল্লেখযোগ্য। খাল কুমারখালী ও কুকুয়াখালী। খানীগাং ১৩০৪ সালের ভূমিকম্পে ভরাট হয়ে গেছে। ১৩০৪ সালের ভুমিকম্পে বেশ কিছু স্থানে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। যেমন- খলিশাউড় ইউনিয়নের শিমুলকান্দি, একই ইউনিয়নের কুড়পাড় নামক স্থানে এ জলাশয় গুলো এখনো রয়েছে। স্থানীয় ভাবে এগুলো কুড় নামে পরিচিত।কংস পুর্বধলার সব থেকে বড় নদী। শুকনো মৌসুমে শুকিয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমের দিকে যৌবন লাভ করে। খাটুয়ারি গ্রামে কংস নদীর ডোবার ঘাট নামক স্থানে গভীর কুর রয়েছে।শুকনো মৌসুমে পুরো নদী শুকিয়ে গেলেও সেখানে পানি থাকে। এই স্থান নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে।মহিষমারা ও পাখলা বিল মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

কর্নেল আবু তাহের,১১নং সেক্টর কমান্ডার।

সমাজ ব্যবস্থা

এ উপজেলায় ধর্মাবালম্বী লোকের বসবাস সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম, ২য় পর্যায়ে হিন্দু ও ৩য় পর্যায়ে খ্রীস্টান । তবে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা গারো সম্প্রদায়ের। এরা মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পরিচালিত । মুসলিম সমাজের দাই সম্প্রদায়ের বেশ কিছু পরিবার কয়েকটি গ্রামে (যেমন কালডোয়ার, কুতিউড়া, গনকপাড়া গ্রাম) বসবাস রয়েছে। এরা পৃথক সমাজ গঠন করে বসবাস করে।

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে পুর্বধলা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.