ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা
ঈশ্বরগঞ্জ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ১৯৮৩ সালের ১৫ নভেম্বর এটিকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() ![]() ঈশ্বরগঞ্জ | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪১′১২″ উত্তর ৯০°৩৭′৪৬″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
আসন | ১৫৩, ময়মনসিংহ-৮ |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ২৮৬.১৯ বর্গ কিমি কিমি২ ( বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ৩,৯১,০৭৮ |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | মোট ৪৯.৯% শহরে ৫১.০ গ্রামে ৩৩.৫ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ২২৮০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৬১ ৩১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাস
শুরুতেই ঈশ্বরগঞ্জের নাম ঈশ্বরগঞ্জ ছিলো না। ইংরেজ শাসন আমলে এর নামকরণ ছিলো পিতলগঞ্জ । পিতলগঞ্জ থেকে ঈশ্বরগঞ্জের নামকরণ হওয়ার পিছনেও রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। ঈশ্বরপাটনী নামে এক খেয়ামাঝি ছিলো। তার কাজ ছিলো ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী অথচগভীর খরস্রোতা ‘কাচা মাটিয়া' নদীর বুক বেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ সদরের পাশেই দওপাড়া গ্রাম এলাকায় পিতলগঞ্জ বাজারের ঘাটে খেয়াপারাপার করা। পিতলগঞ্জ বাজারটি ছিলো ইংরেজদের স্থাপিত। ঈশ্বরগঞ্জ ছিলো গৌরীপুরের জমিদারদের পরগণা। খেয়ামাঝি ঈশ্বরপাটনীকে খেয়াপারাপারের জন্যে জমিদারের নায়েবকে নজরানা দিয়ে খেয়াপারাপার করতে হতো।ঈশ্বরপাটনী আস্তে আস্তে পরিচিত ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পিতলগঞ্জ হাটে খেয়াপারাপারের জন্যেই তার এই পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। পণ্য বেচাকেনার জন্যে মানুষকে স্বাভাবিক ভাবেই খেয়াপারাপার করতে হতো। এক পর্যায়ে ইংরেজগণ নীলকুঠি স্থাপন করে এবং মানুষকে নীল চাষে বাধ্য করে। ইংরেজরা নির্বিচারে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ বিশেষ করে পিতলগঞ্জের ব্যবসায়ীদের অতিষ্ঠ করে তোলে। অত্যাচারে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও মানুষ প্রতিবাদ করার মতো সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ঈশ্বরপাটনী মানুষের এই দুর্ভোগ ও দুর্দশার নীরব সাক্ষী। নীলকরদের অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি ঈশ্বরপাটনী। সেক্ষুব্ধ ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদী হয়ে ওঠে সে, হয় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। এক পর্যায়ে কোনো একদিন নীলকুঠির সাহেবগণ হাটে সমাগত মানুষদের নীলচাষ করতেবলে, ধমক দেয়, এমনকি চাবুক পর্যন্ত মারে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে হাটে আসা মানুষগণ। চাবুকের আঘাতেজর্জরিত মানুষের হাহাকারে প্রকম্পিত হয় পিতলগঞ্জের আকাশ-বাতাস। ঈশ্বরপাটনী এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শাল কাঠের বৈঠা হাতে নিয়ে দৌড়ে যায় এবং চিৎকার করে বলতে থাকে ‘সাহেব চাবুক মারাবন্ধ কর'। ইংরেজ সাহেবগণ এতেক্ষুব্ধ হয় এবং ঈশ্বরপাটনীরগায়ে চাবুক চালাতে থাকে। ঈশ্বরপাটনীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় এবং হাতের বৈঠা দিয়ে ইংরেজ সাহেবের মাথায় আঘাত করে। এতে করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নীলকুঠির সাহেব।রক্ত ঝরতে থাকে তার। রক্তক্ষরণে এক পর্যায়ে নীলকুঠির সাহেব মারা যায়। সৃষ্টি হয় ভীতসন্ত্রস্থ অবস্থা। পিতলগঞ্জের অবস্থা হয়ে পড়ে থমথমে। পিতলগঞ্জে যেনো ঝড় হইতে থাকে এই ঘটনায়।সমগ্র বাংলায়ও এর প্রভাব পড়ে। ঈশ্বরপাটনীও প্রাণে বাঁচতে পারেনি। ভেঙে যায় পিতলগঞ্জের হাট। তৎকালীন গৌরীপুরের জমিদার ব্রজেন্দ্র কিশোর চৌধুরী বর্তমান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরের জন্যে দত্তপাড়া চরনিখলা মৌজায় বাজার স্থাপনকরার জন্যে জমি দান করেন। তিনি ঈশ্বরপাটনীর নামের ঈশ্বরের সঙ্গে গঞ্জ যোগ করে বাজারের নাম দেন ঈশ্বরগঞ্জ।সেই থেকেই ঈশ্বরগঞ্জ নামের সূত্রপাত। যদিও অনেকে এই ইতিহাসের বিরোধিতা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর এক লড়াই হয়। উক্ত লড়াইয়ে পাকসেনাদের গুলিতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৯ ডিসেম্বর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
অবস্থান
২৪°৩৩´ থেকে ২৪°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৮´ থেকে ৯০°৪৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এই উপজেলার উত্তরে গৌরীপুর উপজেলা, দক্ষিণে নান্দাইল উপজেলা, পূর্বে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ও ত্রিশাল উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা
উপজেলার মোট আয়তন ২৮৬.১৯ বর্গ কিলোমিটার
- থানা: ১টি
- পৌরসভা: ১টি (ক শ্রেণীর)
- ওয়ার্ড: ৯টি
- মহল্লা ১৩টি
- ইউনিয়ন: ১১টি (বর্ণানুক্রমে নিম্নে প্রদত্ত হলো)
- আঠারোবাড়ী ইউনিয়ন
- ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়ন
- উচাখিলা ইউনিয়ন
- জাটিয়া ইউনিয়ন
- তারুন্দিয়া ইউনিয়ন
- বড়হিত ইউনিয়ন
- মগটুলা ইউনিয়ন
- মাইজবাগ ইউনিয়ন
- রাজিবপুর ইউনিয়ন
- সরিষা ইউনিয়ন
- সোহাগী ইউনিয়ন
- মৌজা - ২৯৩টি
- গ্রাম - ৩০৪টি
জনসংখ্যার উপাত্ত
- মোট জনসংখ্যা ৩,৯১,০৭৮ জন (২০১১)
- পুরুষ ১,৯৪,৫৫০ জন
- মহিলা ১,৯৬,৫২৮ জন
- জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,৩৪২ জন
- মোট খানার সংখ্যা ৮১,০৭০ টি
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০৬%
নির্বাচনিক পরিসংখ্যান
- নির্বাচনী এলাকা: ১৫৩, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ)
- মোট ভোটার সংখ্যা: ৪,০০,৮১৮ জন (২০১১)
- পুরুষ ভোটার সংখ্যা - ২,০০,২৭২ জন
- মহিলা ভোটার সংখ্যা - ২,০০,৫৪২ জন
শিক্ষা
শিক্ষার হার ৪৯.৯%
- পুরুষ ৫৩.৪%
- মহিলা ৪৬.১%
প্রাতিষ্ঠানিক পরিসংখ্যান
- মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৩টি
- কমিউনিটি প্রাথঃ বিদ্যালয় ৭টি
- কিন্ডার গার্ডেন ১২টি
- স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৩২টি
- উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন ২০টি
- কমিউনিটি ৫টি
- এনজিও ২টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪টি
- ৯ম শ্রেণীর অণুমতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় ২টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬টি
- সহশিক্ষা ২৩টি
- বালিকা ৩টি
- স্কুল এন্ড কলেজ ২টি
- কলেজ ৪টি (সরকারী ২টি)
- বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১টি
- কামিল মাদ্রাসা ১টি
- ফাযিল মাদ্রাসা ১টি
- আলিম মাদ্রাসা ৩টি
- দাখিল মাদ্রাসা ২৩টি
উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- মল্লিকপুর লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩)
- ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬)
- চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৩)
- তারুন্দিয়া জগৎ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়
- উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ (১৯৬৮)
- আলীনগর কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ (১৯৯৯)
- ঈশ্বরগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ (১৯১৯)
- আঠারবাড়ি মহিমচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১০)
- বড়হিত উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৯)
- জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১০)
- সোহাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৫)
- মাইজবাগ পাছপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৩)
- মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- ধীতপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- ধনীয়াকান্দি কামিল মাদ্রাসা
- আব্দুল খালেক মোকসুদা উচ্চ বিদ্যালয়,পাইভাকুরী।
- জামিয়া গাফুরিয়া দারুসসুন্নাহ ইসলামপুর।
- বাইতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী
- অঙ্কুর
- বেঙ্গলটাইমস (অনলাইন)
- উত্তরণ
- প্রস্ত্ততি
- কলনাদ
- বর্ণমালা
- দুর্নীতি বার্তা (অনলাইন)
- ঈশ্বরগঞ্জ বার্তা
- কাঁচামাটিয়া
- বিকিরণ
- বিশেষ সামাজিক সংগঠন- ঈশ্বরগঞ্জ পরিবার।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান
ঈশ্বরগঞ্জ থিয়েটার
- পাঠাগার - ১০+
- ক্লাব - ২১+
- সিনেমা হল - ৩
- খেলার মাঠ - ১৫+
অর্থনীতি ও বাণিজ্য
- কৃষি ৭০.৫২%
- অকৃষি
- শ্রমিক ৩.৩৮%
- ব্যবসা ১০.২২%
- চাকুরি ৩.৮৪%
- অন্যান্য ১২.০৪%
- গ্রামীণ ও পৌর মিলিয়ে ৪৭টি হাটবাজার রয়েছে ।
কৃষিভূমির মালিকানা
ভূমিমালিক ৬৪.৪২%, ভূমিহীন ৩৫.৫৮%। শহরে ৫৩.৮৭% এবং গ্রামে ৬৫.৪২% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
নদীসমূহ
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, কাঁচামাটিয়া নদী, মঘা নদী এবং সোয়াইন নদী।[2][3]
প্রাকৃতিক সম্পদ
- বালু মহল ১টি আয়তন ৯.৫৬ একর।
হাওর ও খালবিল
- দীঘা বিল
- সিন্নি বিল
- কাৎলা
- কুমুরিয়া
- ধুবদোল
- হিংগা
- বোউয়ালী
- খৈলাহুরী
বিচারকার্য
এখানে রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালত। বৃহত্তর ঈশ্বরগঞ্জ (ঈশ্বরগঞ্জ ,গৌরীপুর, নান্দাইল ও নেত্রকোণা জেলার অংশবিশেষ) উপজেলার ফৌজদারি মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য
- আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ি রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত
- ভোলশোমা মসজিদ (১৬০০)
- নালুয়া মসজিদ, (১৬২৫)
কৃতি ব্যক্তিত্ব
- (আনোয়ারুল কবীর অনন্ত), শিক্ষক, সংগঠক, লেখক ও সমাজসেবক।
- আশরাফ আলী খান (বীর প্রতীক), মহান মুক্তিযুদ্ধ '৭১
- এডভোকেট জয়নুল অাবেদীন জায়েদী,সাবেক সংসদ সদস্য,সাবেক সভাপতি ঈশ্বরগন্জ অাইনজীবি সমিতি,বিশিষ্ট সমাজ সেবক।
- আবদুল হাই মাশরেকী, বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও লোককবি
- আমিনুর রহমান সুলতান, কবি ও সাহিত্যিক।
- আশীষ কুমার লোহ চলচ্চিত্র অভিনেতা
- শাহ নুরুল কবীর শাহিন সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি
- হামিদুল হক
- ফখরুল ইমাম, বর্তমান সংসদ সদস্য, মহাজোট
- আব্দুস সাত্তার সাবেক এমপি,আওয়ামীলীগ।
- সানিয়া সুলতানা লিজা,কণ্ঠশিল্পী।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
ব্যাংক-বীমা ও সমবায়
ব্যাংক-বীমা
উপজেলাটিতে ব্র্যাক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক সহ সরকারি-বেসরকারি মিলে ১০টিরও বেশি ব্যাংকশাখা রয়েছে। এছাড়াও কারিতাস , পিপিপি ইত্যাদির শাখা রয়েছে।
সমবায় সমিতি
- কেন্দ্রিয় সমবায় - ০১টি
- মুক্তিযোদ্ধা সমবায় - ০২টি
- ইউপিবহুমুখী সমবায় - ১১টি
- বহুমুখী - ১০৯
- মৎস্যজিবী সমবায় - ৩৭
- যুব সমবায় - ১১টি
- আবাসান সমবায় - ০৫টি
- কৃষক সমবায় - ১২০টি
- চালক সমবায় - ০৩টি
- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় - ০২টি
- অন্যান্য - ০৫টি
রাজনৈতিক চিত্র
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ
- পুকুর ১৭১০টি
- মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার
- সরকারি - ১টি
- বেসরকারি - ৬টি
- বাৎসরিক মৎস্যচাহিদা - ৬১৮০ মে.টন
- বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন - ৫৫১৩ মে.টন
- উন্নত মুরগির খামার - ১১টি
- গবাদি পশুর খামার - ৯০টি
- কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র- ১টি
শিল্প
এই উপজেলায় ৫৩৪ ধরনের লোকশিল্প রয়েছে। তন্মধ্যে কুটিরশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, ওয়েল্ডিং কারখানা, বাঁশ ও কাঠের কাজ উল্লেখযোগ্য। জারিগান এ অঞ্চলের অতি কাছের যা দেশখ্যাত। এছাড়া বাউল ও যাত্রাগানও প্রচলিত।
ধর্ম
এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সুন্নি, ওয়াহাবি ও আহমাদিয়া মুসলিম বিদ্যমান। হিন্দুধর্ম এখানে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম। এছাড়াও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়েরও বসবাস রয়েছে এখান। সাম্প্রতিক সময়ে অনিশ্বরবাদীতাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- মসজিদ - ১,০৩৬ টি
- মন্দির - ১২টি
- গীর্জা - ২টি
ডাক ও যোগাযোগব্যবস্থা
- পোস্ট অফিস: ৩৩টি
- পাকা রাস্তা: ১৪৭ কি.মি.
- অর্ধপাকা রাস্তা: ৮ কি.মি.
- কাঁচা রাস্তা: ৩৩৪ কি.মি.
- ব্রিজ/কালভার্ট: ৪৬৬টি
- রেল স্টপেজ : ১টি
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ঈশ্বরগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।