গৌরীপুর উপজেলা

গৌরীপুর উপজেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।[2]

গৌরীপুর
উপজেলা
গৌরীপুর
বাংলাদেশে গৌরীপুর উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৫′৩০″ উত্তর ৯০°৩৪′৩০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলাময়মনসিংহ জেলা
আয়তন
  মোট২৭৪.০৭ কিমি (১০৫.৮২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[1]
  মোট২,৮২,৯৪০
  জনঘনত্ব১০০০/কিমি (২৭০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৬১ ২৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

এর উপজেলার উত্তরে তারাকান্দা উপজেলা, দক্ষিণে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকা

গৌরীপুর ময়মনসিংহ জেলার অর্ন্তগত একটি প্রাচীন উপজেলা। গৌরীপুরের জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর মেয়ে গৌরীর নাম অনুসারে গৌরীপুর নামকরণ করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে গৌরীপুরকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। উত্তরে ফুলপুর, দক্ষিণে ঈশ্বরগঞ্জ,পূর্বে নেত্রকোনার কেন্দুয়া, পশ্চিমে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা অবস্থিত।

জনসংখ্যা

মোট জনসংখ্যা ২,৮২,৯৪০ জন (২০০১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ ১,৪৪, ৬৪৩ জন, মহিলা ১,৩৮,২৯৭ জন, জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,০৩২ জন, মোট খানার সংখ্যা ৫৮,৯৩৬টি, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৩%। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮৮৬১৩ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ৯১ ১৩০ জন, মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৯৭৪৩ জন।

অর্থনীতি

  • পেশাঃ কৃষি ৬০.২১%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৯৩%, ব্যবসা ১২.৯১%, চাকুরি ৮.৩২%, অন্যান্য ১৪.৬৩%।

শিক্ষা

শিক্ষার হার ৫৭.৯০% (পুরুষ ৫২.৮০%, মহিলা ৪৮.৮০%)। মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩টি (সরকারী ৯০টি, বেসরকারী রেজিষ্টার্ড ৬৯টি, আন রেজিষ্টার্ড ৩টি, কিন্ডার গার্ডেন ১০টি, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৮টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন ৩টি, কমিউনিটি ১০টি), নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭টি, ৯ম শ্রেণীর অনুমতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় ৫টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪টি, স্কুল এন্ড কলেজ ১টি, ডিগ্রী কলেজ ২টি (সরকারী ১টি, বেসরকারী ১টি), ভোকেশনাল ইনষ্টিটিউট ১টি, ফাযিল মাদ্রাসা ৩টি, আলিম মাদ্রাসা ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ১২টি।

কৃষি

কৃষি শ্রমিক ৭১.২১%, অকৃষি শ্রমিক ২.৯৩%, ব্যবসা ৯.৯১%, চাকুরি ৪.৩২%, অন্যান্য ১১.৬৩%। মোট জমি ২৭৪০৭ হেক্টর। এক ফসলী জমি ২৫৫৩ হেক্টর, দুই ফসলী জমি ১৫৯৫৮ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ৪৯৬০ হেক্টর। নীট ফসলী জমি ২৩৪৭১ হেক্টর, মোট ফসলী জমি ৪৯৩৪৯ হেক্টর, ফসলের নিবিড়তা ২১০%। বর্গাচাষী ৬৮০০ জন, প্রান্তিক চাষী ২৭৬৬৬ জন, ক্ষুদ্র চাষী ৭৪২৭ জন, মাঝারি চাষী ৫৯২৩ জন, বড় চাষী ১৪৮৩ জন। কৃষি ব্লকের সংখ্যা ৪২টি, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র ৪২টি, সয়েল মিনিল্যাব ৫টি, বিএডিসি বীজ ডিলার ২১ জন, বিসিআইসি সার ডিলার ১২ জন।

সেচ সুবিধা

সেচাধীন জমি ২০৪৭৫ হেক্টর। গভীর নলকুপ মোট ৪৫টি (বিদ্যুৎ চালিত ৩৮টি, ডিজেল চালিত ৭টি), অগভীর নলকুপ মোট ৬৪৭৭টি (বিদ্যুৎ চালিত ১৫০৭টি, ডিজেল চালিত ৪৯৭০টি), পাওয়ার পাম্প মোট ৯টি (ডিজেল চালিত)।

মৎস্য সম্পদ

নিবিড় পদ্ধতিতে মাছ চাষের আওতায় খামার (বেসরকারী বাণিজ্যিক খামার) ১৭০টি, আয়তন ৪০৫ হেক্টর ও উৎপাদন ২০.৭০ মেট্রিক টন। সনাতন/উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষের আওতায় পুকুর ৫১৪২টি, আয়তন ১০২৭.৫৪ হেক্টর ও উৎপাদন ৩৫০৪.৪০ মেট্রিক টন।

পশু সম্পদ

পশু চিকিৎসালয় ১টি, কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র ১টি। গবাদি পশুর খামার ৮২টি, ছাগলের খামার ৪২টি, মুরগী খামার ৯৫টি, হাঁস খামার ১১৪টি। গরু ১,৮০৭১০টি, মহিষ ২৯০টি, ছাগল ৫৭৫০০টি, ভেড়া ২৩২টি, ঘোড়া ৪৫টি, শুকর ৪০টি, হাঁস ১০৫০০০টি, মুরগী ৩৮০১৪৩টি।

নদীসমূহ

গৌরীপুর উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, সোয়াইন নদী, সুরিয়া নদী, মগড়া নদী[3][4]

যোগাযোগ ব্যবস্থা

গৌরীপুর উপজেলায় মোট ৩টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে যা সারাদেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। সড়কপথে যাতায়াতের জন্যে বাসস্টপেজ রয়েছে যা ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনা জেলার সাথে যাতায়াতে যুক্ত রেখেছে। তাছাড়া সিলেটরংপুর সড়ক পথে যুক্ত রয়েছে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

দর্শনীয় স্থান

  • গৌরীপুর রাজবাড়ি,
  • রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি
  • অনন্তসাগর দিঘী,
  • বিজয় '৭১,
  • জাতীয় পাঁচ নেতার আবক্ষ ভাস্কর্য,
  • নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ,
  • বীরঙ্গনা সখিনার মাজার,
  • সিংরাউন্দ চিমু রাণীর দীঘি,
  • শাহ নূরাই পীরের মাজার,
  • গৌরীপুর জংশন,
  • বঙ্গবন্ধু চত্বর,
  • গৌরীপুর জমিদার বাড়ি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাপিডিয়া (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "গৌরীপুর উপজেলা"www.bn.banglapedia.org/। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৬
  2. "গৌরীপুর উপজেলার পটভূমি"mymensingh.gov.bd। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৪
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  4. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.