ত্রিশাল উপজেলা

ত্রিশাল উপজেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা যা ১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অধীন ময়মনসিংহ জেলার ১৩ টি উপজেলার একটি উপজেলা। উত্তরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা, দক্ষিণে ভালুকা উপজেলা, গফরগাঁও উপজেলা, পূর্বে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা, নান্দাইল উপজেলা, গফরগাঁও উপজেলা, পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া উপজেলাসুতিয়া নদী, পাগারিয়া নদী ত্রিশাল উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে।

ত্রিশাল
উপজেলা
ত্রিশাল
বাংলাদেশে ত্রিশাল উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৩′৩৬.০০০″ উত্তর ৯০°২৫′১২.০০০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলাময়মনসিংহ জেলা
প্রতিষ্ঠা১৯৮৩
আসনময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল)
সরকার
  সংসদ সদস্যহাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী
আয়তন
  মোট৩৩৮.৭৩ কিমি (১৩০.৭৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট৪,৩৫,৮০৩
  জনঘনত্ব১৩০০/কিমি (৩৩০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৬১ ৯৪
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুল, কাজীর সিমলা, বিচুতিয়া ব্যাপারীর বাড়ি, শুকনি বিলের নামাপাড়ায় অবস্থিত বটতলা এই ত্রিশালেই অবস্থিত। নামাপাড়ায় অবস্থিত বটতলায় কবির নামে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হয়।


ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০৯ সালে ত্রিশাল থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৩ সালে একে উপজেলা করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্রিশালের সংসদীয় আসন ময়মনসিংহ-৭। ত্রিশাল উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১৫২ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।

ইতিহাস

খ্রীষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে ময়মনসিংহ জেলায় মুসলিম শাসনের আগমন ঘটে। শাসন কার্যের সুবিধার্থে মুসলিম শাসকগণ নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে পরগনার সৃষ্টি করেন। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পূর্বভাগ ময়মনসিংহ এবং পশ্চিমভাগ আলাপসিংহ পরগনা হওয়ায় ত্রিশাল স্বাভাবিক ভাবেই আলাপসিংহ পরগনার অর্ন্তভূক্ত হয়। প্রথমদিকে মুসলমানদের সংখ্যা বসতি বেশী দেখা গেলেও পরে আস্তে আস্তে হিন্দু ও সনাতন ধর্মাবলীদেরআগমনের পূর্বে গারোদের বংশধর এখানে বসতি স্থাপন করে। ত্রিশাল বাজার হওয়ার পূর্বে নওধার ভাংতির পূর্ব পার্শ্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিমে সুতিয়া নদীর দক্ষিণ তীরে কুলাইতলা মন্দিরকে ঘিরেই ছিল নওধার হাট, যা জমিদাররা নাম দেয় রাধাগঞ্জ, পরবর্তীতে ত্রিশাল বাজার হওয়ার পর ধীরে ধীরে তার অস্তিত্ব হারায়।

১৯০৯ সালে ত্রিশাল থানা সৃষ্টি হয়। ১৯৮৩ সালে ১২টি ইউনিয়ন ও ৯১টি মৌজা নিয়ে একে উপজেলা করা হয়। জানা যায় যে, ত্রিশুলধারী কোন ব্যাক্তি এসেছিলেন এই এলাকায়। আবার কেউ কেউ বলেন, তিনটি বড় শাল গাছ ছিল। এই দুইটি থেকে নাম সৃষ্টি হওয়ার নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র পাওইয়া যায়না। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যে তথ্যটি পাওয়া যায় তা হল, গভীর অরণ্যে বেষ্টিত এই অঞ্চলে নদী নালা, খাল-বিল, হাওরের সংখ্যা অনেক বেশী থাকায় হিংস্র জীবজন্তু থেকে বাচার জন্য বাড়ির আশেপাশে উচু প্রাচীর দিত যা আল নামে পরিচিত ছিল। যদি নতুন কেউ এখানে বাস করতে চাইত তাহলে তাদের ত্রিশ আলের যে কোন আলের অন্তর্ভুক্ত হতে হত। ঐতিহাসিল আবুল ফজল এর থেকে জানা যায় প্রাচীন কালে এখানকার রাজারা ১০ গজ উঁচু ও ২০ গজ চওড়া প্রকান্ড আল বা বাঁধ নির্মাণ করতেন। এটিই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রায়ের গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর লড়াইয়ে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, ৭ জুন কাটাখালী বাজারে প্রায় অর্ধশত পাকসেনা নিহত হয়। আগস্ট মাসে মঠবাড়ি ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি বাজারে লড়াইয়ে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, ভাংনামারি চরে আবদুর রহমান নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মুক্তিকামী জনতা রাতব্যাপী পাক বাহিনীকে সন্মুখ যুদ্ধে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করে। ৮ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মেজর আফসার বাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার শাহ আনছার উদ্দিন মাস্টারের নির্দেশে কোম্পানি কমান্ডার আ. বারী মাস্টার একদল গেরিলা যোদ্ধা নিয়ে ত্রিশাল থানার পাশে বয়ে যাওয়া সূতীয়া নদীর তীরে থানার ৪শ গজ দক্ষিণে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ওৎ পেতে বসে থাকে। রাত আনুমানিক ১টার দিকে দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক দিয়ে আক্রমণ শুরু করলে পাকবাহিনী ভীত হয়ে উঠে। পাক সেনারা কূলকিনারা না পেয়ে ভোর হবার আগেই জেলা সদরের দিকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার বীর বাঙালিরা ত্রিশাল থানা দখল করতে সক্ষম হয়। ওইদিন সকাল ৭টার সময় কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল বারী মাস্টার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে থানা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। এ যুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন নামে এক মুক্তিযোদ্ধা আত্মঘাতি বুলেটে নিহত হন।

অবস্থান

এর অবস্থান ২৪°২৮´ থেকে ২৪°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১৮´ থেকে ৯০°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা, দক্ষিণে ভালুকা উপজেলা, গফরগাঁও উপজেলা, পূর্বে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা, নান্দাইল উপজেলা, গফরগাঁও উপজেলা, পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া উপজেলা। এর আয়তন ৩৩৮.৯৮ বর্গ কিঃমিঃ। ময়মনসিংহ শহর থেকে এর দূরত্ব ২১ কিলোমিটার।

প্রশাসন

আয়তন ৩৩৮.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১টি থানা, ১টি পৌরসভা (ক শ্রেণীর), ৯টি ওয়ার্ড, ১২টি মহল্লা, ১২টি ইউনিয়ন, ৯১টি মৌজা, ১৫৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্রিশালের সংসদীয় আসন ময়মনসিংহ-৭ গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১৫২ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মিজানুর রহমান, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর আবুল মনসুর আহমেদ, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর আবদুস সালাম তরফদার, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এর আনিসুর রহমান, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর মোঃ এ খালেক, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ এর মাহবুব আনাম, জুন ১৯৯৬ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর রুহুল আমিন মাদানী,২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর আবদুল মতিন সরকার, ২০০৮ সালেবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর রেজা আলী,২০১৪ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এর এম. এ. হান্নান (রাজনীতিবিদ) ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর রুহুল আমিন মাদানী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন।

ইউনিয়নসমূহ

  1. আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন
  2. বৈলর ইউনিয়ন
  3. বালিপাড়া ইউনিয়ন, ত্রিশাল
  4. ধানিখোলা ইউনিয়ন
  5. হরিরামপুর ইউনিয়ন, ত্রিশাল
  6. কানিহারী ইউনিয়ন
  7. কাঁঠাল ইউনিয়ন
  8. মঠবাড়ী ইউনিয়ন
  9. মোক্ষপুর ইউনিয়ন
  10. রামপুর ইউনিয়ন, ত্রিশাল
  11. সাখূয়া ইউনিয়ন, ত্রিশাল
  12. ত্রিশাল ইউনিয়ন

জনসংখ্যার উপাত্ত

মোট জনসংখ্যা ৪,৩৫,৮০৩ জন (২০১১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ ২,১৬,৮৮০ জন, মহিলা ২১৮৯০৩ জন। খানার সংখ্যা ৮০,৬০০টি।

শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্যসমূহ

শিক্ষার হার ও প্রতিষ্ঠানশিক্ষার হার ৪০.২০% (পুরুষ ৪২.১০%, মহিলা ৩৮.২০%)। মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১৮টি (সরকারী ২০টি, বেসরকারী রেজিষ্টার্ড ৪৪টি, আন-রেজিষ্টার্ড ২টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংলগন ৪টি, কিন্ডার গার্ডেন ৩টি, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ৪টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন ৩৪টি, কমিউনিটি ৭টি), নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি, ডিগ্রী কলেজ ২টি (১টি সরকারী), বিশ্ববিদ্যালয় ১টি (সরকারী), ফাযিল মাদ্রাসা ৫টি, আলিম মাদ্রাসা ৮টি, দাখিল মাদ্রাসা ৩৪টি।

বিশ্ববিদ্যালয়

কলেজসমূহ

  • সরকারি নজরুল কলেজ, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজ
  • পাঁচপাড়া কারিগরী কলেজ
  • ধানীখোলা কারিগরী ও বাণিজ্যিক কলেজ
  • ত্রিশাল আইডিয়াল কলেজ
  • ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম. কলেজ
  • হাজী চেরাগ আলী ডিগ্রি ডিগ্রি কলেজ
  • ইসলামী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ
  • মোক্ষপুর কলেজ
  • ত্রিশাল মহিলা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ
  • আউলিয়ানগর কলেজ
  • কালির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  • মুখাপুর কলেজ
  • ত্রিশাল আন্তর্জাতিক স্কুল ও কলেজ

সম্মিলিত কলেজ

  • ত্রিশাল ফুলবাড়িয়া মৈত্রী কলেজ
  • ভালুকা ত্রিশাল মৈত্রী কলেজ

মাদ্রাসাসমূহ

  • কাটাখালী কে.বি.আই দাখিল মাদ্রাসা,কাটাখালী,ধানীখোলা,ত্রিশাল।
  • ধানীখোলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ধানীখোলা,ত্রিশাল।
  • বৈইলর মাঠবাড়ি দারুল হুদা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বইলর,ত্রিশাল।
  • আব্বাসিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ত্রিশাল
  • কাশীগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা, আমিরাবাড়ি,ত্রিশাল।
  • মাদরাশা আহলে সুফা, ত্রিশাল।
  • দরগা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, সলিমপুর,ত্রিশাল।
  • সিদ্দিকীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা
  • জান্নাতুল ফেরদুয়াস কাউমি মাদ্রাসা, ত্রিশাল
  • শাখুয়া শেখ বাজার দাখিল মাদ্রাসা
  • জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা নিঘোরকান্দা।
  • কুরগাছা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মঠবাড়ি, ত্রিশাল

মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহ

কাটাখালী উমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়,ধানীখোলা, ত্রিশাল।

  • ত্রিশাল সরকারী নজরুল একাডেমী,দরিরামপুর,ত্রিশাল।
  • ধানীখোলা উচ্চ বিদ্যালয়,ধানীখোলা,ত্রিশাল। ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়,চৌপাগারিয়া,ধানীখোলা,ত্রিশাল।১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • নজরুল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়,ত্রিশাল।
  • নজরুল সেনা উচ্চ বিদ্যালয়
  • বৈলর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,সোমূখ বৈলর, ত্রিশাল।
  • ধানীখোলা উসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,ধানীখোলা।
  • সোনাখালী পাজলারচর উচ্চ বিদ্যালয়,পাজলারচর,ধানীখোলা,ত্রিশাল।
  • ফাতেমানগর উচ্চ বিদ্যালয়,কালির-বাজার।
  • আলী আকবর ভূইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • শাহজালাল (আর.এ) কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাই স্কুল, সলিমপুর।
  • শুকতারা বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়
  • আহমদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়
  • রাহেলা হযরত মডেল স্কুল
  • মুকাসপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • শঙ্কিভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়
  • ইসলামিয়া একাডেমী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  • সলিমপুর আদর্শ জুনিয়র স্কুল
  • সোনাখালী পাজলার চর উচ্চ বিদ্যালয়
  • ত্রিশাল আন্তর্জাতিক স্কুল ও কলেজ
  • সাখুয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • গুজিয়াম আমিরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়
  • পাটুলি রহমতউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়, আউলিয়ানগর।
  • বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাগান।
  • আহমদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়
  • ধল্লা হাই স্কুল, বালিপাড়া।
  • রায়ের গ্রাম শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়।
  • পোড়াবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় (১৯৫২)

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে দিলে পথে ত্রিশাল উপজেলা পরে। ঢাকা থেকে ত্রিশাল উপজেলার দূরত্ব ৮০ কিঃ মিঃ। ময়মনসিংহ থেকে দুরত্ব ১৮ কিঃমিঃ। উপজেলার ফাতেমানগরে একটী রেলস্টেশন আছে যেখানে কমিউটার, মেইল ও লোকাল ট্রেনগুলি থামে। মোট রাস্তা ৯০০.৪৩ কিঃমিঃ যার মাঝে পাকা রাস্তা ১৩৭.৫৫কিঃমিঃ

অর্থনীতি

এখানকার মানুষ কৃষি, মৎস, শিল্প ইত্যাদি নির্ভরশীল।জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। তবে উপজেলার রায়মনি অঞ্চলে আকিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিভিন্ন টেক্সটাইল শিল্প কারখানা স্থাপন করছে।

কৃষি

মৎস ও পোল্ট্রি শিল্পে ত্রিশাল সমৃদ্ধ। ধানের ফলনের জন্যও ত্রিশাল বিখ্যাত। মোট ফসলী জমি ৬৩,১৪৮ হেক্টর। খাদ্য শস্য উৎপাদন হয় ১,৬২,৬৭৯.৯৫ মেট্রিক টন। বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন ৪২,৪৪৫ মেট্রিক টন। প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, ডাল, আখ, শাকসবজি। প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু, কলা, আনারস, পেঁপে, কুল, জলপাই, নারিকেল, সুপারি। প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, কলা, আখের গুড়, কুটিরশিল্পজাত দ্রব্য।

স্বাস্থ্য

১ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও কিছু ডায়াগনোস্টিক সেন্টার রয়েছে। চিকিৎসার জন্য এই অঞ্চলের মানুষ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল।

নদীসমূহ

ত্রিশাল উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে:

উল্লেখযোগ্য নিদর্শন

  • মুঘল আমলে নির্মিত দরিরামপুর জামে মসজিদ
  • মোক্ষপুর ইউনিয়নের সানকীভাঙ্গা গ্রামে রাজবাড়ির ইন্দিরা, প্রাচীর ও পুলের নিদর্শন
  • নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র
  • বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়ী
  • দারোগা বাড়ী, কাজীর শিমলা
  • নজরুল স্মৃতি বিজড়িত বট গাছ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

কৃতি ব্যক্তিত্ব

গ্যালারী

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ত্রিশাল"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
  4. "আবুল মনসুর আহমেদ : যে কারনে আলোচিত"জননেতা.কম। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.