কলকাতা মেট্রো
কলকাতা মেট্রো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অংশবিশেষে পরিষেবা প্রদানকারী দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা। এই নেটওয়ার্কে ২৭.২২ কিলোমিটার পথে ২৪টি মেট্রো স্টেশন বিদ্যমান, যার মধ্যে ১৫টি স্টেশন ভূগর্ভস্থ। কলকাতা মেট্রো নেটওয়ার্কে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ব্রড গেজ ট্র্যাকে ভূগর্ভস্থ, ভূতলস্থ এবং উড়াল, তিন প্রকার স্টেশনই রয়েছে।
কলকাতা মেট্রো![]() | |
---|---|
![]() ![]() | |
তথ্য | |
অবস্থান | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
ধরন | দ্রুত গণপরিবহণ |
লাইনের সংখ্যা | ১ (কার্যকরী) ৪ (নির্মাণাধীন) ১ (পরিকল্পিত কিন্তু নির্মাণ শুরু হয়নি) |
বিরতিস্থলের সংখ্যা | ২৪ (সক্রিয়) ৪৪ (নির্মাণাধীন) ২৬ (পরিকল্পিত কিন্তু নির্মাণ শুরু হয়নি) |
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | ৭,০০,০০০ এর বেশি[1] |
সদরদপ্তর | এইচআরবিসি ভবন, মুন্সি প্রেমচাঁদ সরণি, কলকাতা[2] |
ওয়েবসাইট | |
কাজ | |
কাজ শুরু | ২৪ অক্টোবর ১৯৮৪ |
পরিচালক | কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (কেএমআরসি) ভারতীয় রেলের কলকাতা মেট্রো জোন (লাইন ১) |
গাড়ির সংখ্যা | ৪৩ |
দৈর্ঘ্য | ৬ কোচ, ৮ কোচ |
প্রযুক্তি | |
লাইনের দৈর্ঘ্য | ২৮.১৪ কিমি (১৭.৫ মা) (কার্যকরী) ৯৭ কিলোমিটার (৬০ মা) (নির্মাণাধীন) |
গতিপথ গেজ | ১,৬৭৬ মিমি (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) (ব্রড গেজ) লাইন ১, ৩, ৪, ৫, ৬ এর জন্য ১,৪৩৫ মিমি (৪ ফুট ৮ ১/২ ইঞ্চি) (স্ট্যান্ডার্ড গেজ) লাইন ২ জন্য |
গড় গতিবেগ | ৫৫–৬০ কিলোমিটার (৩৪–৩৭ মা) |
সর্বোচ্চ গতিবেগ | ৮০ কিলোমিটার (৫০ মা) |

১৯৮৪ সালে চালু হওয়া কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা (দ্বিতীয় মেট্রো পরিষেবা দিল্লি মেট্রো চালু হয় ২০০২ সালে)। এটি ভারতীয় রেলের অধীনস্থ এবং ভারতীয় রেলের একটি ক্ষেত্রীয় রেলওয়ের মর্যাদা ভোগ করে।
বর্তমান মেট্রো লাইনটি উত্তরে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) পর্যন্ত প্রসারিত। এই পথটির দৈর্ঘ্য ২৭.২২ কিলোমিটার। মোট স্টেশনের সংখ্যা ২৩। ভূগর্ভস্থ ও উড়াল – উভয় প্রকার ট্র্যাকেই ট্রেন চলাচল করে। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর একাধিক সম্প্রসারণ প্রকল্প ও নতুন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্যারিস মেট্রোর মতো কলকাতা মেট্রোতেও দেশের বিভিন্ন মণীষী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্টেশনের নামকরণ করা হয়ে থাকে। পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলের মেট্রো ভবনে কলকাতা মেট্রোর সদর কার্যালয় অবস্থিত।
ইতিহাস

১৯৪৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের তদনীন্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায় কলকাতার ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে শহরে একটি ভূগর্ভস্থ রেলপথ নির্মাণের কথা বিবেচনা করেন। এই মর্মে একটি ফরাসি বিশেষজ্ঞ দলকে দিয়ে সমীক্ষা চালানো হলেও, কোনো সুসংহত সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি।[3] এরপর ১৯৬৯ সালে কলকাতার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (রেলওয়ে) নামে একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। এই প্রকল্পের প্রতিবেদনে কলকাতার ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানানো হয়। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যানে কলকাতার জন্য মোট ৯৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যের পাঁচটি মেট্রো লাইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।[3] এই পাঁচটি পথের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপিত হয় ১৬.৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট দমদম-টালিগঞ্জ লাইনটির উপর।[3] ১৯৭২ সালের ১ জুন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ১৯৭৩-৭৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়।[3][4]
প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ১৯৭৭-৭৮ সালে অর্থের জোগান বন্ধ থাকা, ভূগর্ভস্থ পরিষেবাগুলির স্থানান্তরণ, আদালতের নানা স্থগিতাদেশ, কাঁচামালের অনিয়মিত সরবরাহ ইত্যাদি কারণে প্রকল্প রূপায়ণে অযথা দেরি হতে থাকে। অবশেষে তদানীন্তন রেলমন্ত্রী আবু বারকাত আতাউর গণী খান চৌধুরীর বিশেষ উদ্যোগ, কর্মদক্ষতা, ও কূটনৈতিক দূরদৃষ্টির ফলে প্রকল্পের কাজে দ্রুততা আসে, এবং ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এসপ্ল্যানেড-ভবানীপুর (নেতাজি ভবন) ৩.৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট রুটে ভারতের প্রথম তথা এশিয়ার পঞ্চম মেট্রো পরিষেবা কলকাতা মেট্রোর উদ্বোধন করেন।[3] ওই বছরই ১২ নভেম্বর চালু হয় দমদম-বেলগাছিয়া ২.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট রুটটিও। উল্লেখ্য, এটিই কলকাতা মেট্রোর দীর্ঘতম স্টেশন দূরত্ব।[3] ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল টালিগঞ্জ অবধি মেট্রো সম্পসারিত হলে এসপ্ল্যানেড থেকে টালিগঞ্জ অবধি ১১টি স্টেশন নিয়ে ৯.৭৯ কিলোমিটার পথের কাজ সম্পূর্ণ হয়।[3]
২২ নভেম্বর ১৯৯২ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া অংশটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এই বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র অংশটি খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। টালিগঞ্জ অবধি সম্প্রসারণের দীর্ঘ আট বছর পরে ১৩ অগস্ট ১৯৯৪ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া শাখাটিকে ১.৬২ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে শ্যামবাজার অবধি নিয়ে আসা হয়। সেই বছরের ২ অক্টোবর তারিখে ০.৭১ কিলোমিটার এসপ্ল্যানেড-চাঁদনি চক শাখাটি চালু হয়। শ্যামবাজার-শোভাবাজার-গিরিশ পার্ক (১.৯৩ কিলোমিটার) ও চাঁদনি চক-সেন্ট্রাল (০.৬০ কিলোমিটার) শাখাদুটি চালু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ তারিখে। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রালের মধ্যবর্তী ১.৮০ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ হয় ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ তারিখে। এর ফলে বর্তমান মেট্রোলাইনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়।
২০০৯ সালে টালিগঞ্জ (বর্তমানে মহানায়ক উত্তমকুমার) স্টেশন থেকে গড়িয়া বাজার (বর্তমানে কবি নজরুল) স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত নতুন মেট্রোপথের সূচনা করা হয়। ২০১৩ সালে দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত নতুন মেট্রোপথের সূচনা করা হয়।
রুট ও স্টেশনসমূহ
কলকাতা মেট্রো | |
---|---|
উত্তর-দক্ষিণ করিডোর
- মূল নিবন্ধ:উত্তর-দক্ষিণ করিডর

কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের স্টেশনসমূহ হল :
- কবি সুভাষ নিউ গড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
- শহিদ ক্ষুদিরাম - ক্ষুদিরাম বসুর নামে উৎসর্গিত
- কবি নজরুল - পূর্বনাম গড়িয়া বাজার স্টেশন, কাজী নজরুল ইসলামের নামে উৎসর্গিত
- গীতাঞ্জলি - পূর্বনাম নাকতলা স্টেশন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের নামে উৎসর্গিত
- মাস্টারদা সূর্য সেন - পূর্বনাম বাঁশদ্রোণী স্টেশন, বিপ্লবী সূর্য সেনের নামে উৎসর্গিত
- নেতাজি - পূর্বনাম কুঁদঘাট স্টেশন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নামে উৎসর্গিত
- মহানায়ক উত্তমকুমার - পূর্বনাম টালিগঞ্জ স্টেশন, বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা উত্তম কুমারের নামে উৎসর্গিত
- রবীন্দ্র সরোবর টালিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
- কালীঘাট
- যতীন দাস পার্ক – পূর্বনাম হাজরা স্টেশন, স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন দাসের নামে উৎসর্গিত
- নেতাজী ভবন – পূর্বনাম ভবানীপুর স্টেশন, স্টেশনের নিকটস্থ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনের নামে নামাঙ্কিত
- রবীন্দ্র সদন
- ময়দান – প্রস্তাবিত নাম গোষ্ঠ পাল
- পার্ক স্ট্রিট – রাস্তাটির বর্তমান পোষাকি নাম মাদার টেরিজা সরণি হলেও স্টেশনের নাম অপরিবর্তিতই আছে
- এসপ্ল্যানেড
- চাঁদনি চক
- সেন্ট্রাল
- মহাত্মা গান্ধী রোড – মহাত্মা গান্ধী রোড ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ-এর সংযোগস্থলে অবস্থিত
- গিরিশ পার্ক – পূর্বনাম জোড়াসাঁকো স্টেশন, নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের নামে উৎসর্গিত
- গিরিশ পার্ক – কলকাতার আদি বসতি সুতানুটি গ্রামের নামে উৎসর্গিত
- শ্যামবাজার-
- বেলগাছিয়া-
- দমদম- দমদম রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
- নোয়াপাড়া
পূর্ব-পশ্চিম করিডোর
- মূল নিবন্ধ:পূর্ব-পশ্চিম করিডোর
বিধাননগর (সল্টলেক) থেকে হাওড়া পর্যন্ত নির্মীয়মান পূর্ব-পশ্চিম করিডোরের প্রস্তাবিত স্টেশনগুলি হল :
- সল্টলেক সেক্টর ফাইভ
- করুণাময়ী
- সেন্ট্রাল
- সল্টলেক সিটি সেন্টার
- বেঙ্গল কেমিক্যাল
- যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন - যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এর জন্য।
- ফুলবাগান ফুলবাগান এলাকার জন্য।
- শিয়ালদহ - শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।
- বউবাজার
- সেন্ট্রাল - এটি লাইন ১ ও লাইন ২ এর সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।
- মহাকরণ- এটি কলকাতার প্রধান বাণিজ্য অঞ্চল বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ বা ডালহৌসি এলাকার জন্য।
- হাওড়া - হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।

জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো বা লাইন ৩
কলকাতা মেট্রো লাইন ৩ বা জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো হল কলকাতা মেট্রো এর একটি নির্নিয়মান লাইন।এটি দক্ষিণ কলকাতার জোকা থেকে মধ্য কলকাতার বিবাদি বাগ পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।এই পথের মোট দৈর্ঘ্য্য হবে ১৬.৭২ কিলোমিটার।এর মধ্যে ৮.২২ কিলোমিটার হল ভূগর্ভোস্থ ও ৮.৩২ কিলোমিটার হল উত্তলিত পথ।[5]।এই মেট্রো পথের জোকা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত উত্তলিত পথে ও মোমিনপুর থেকে বিবাদিবাগ পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পথে নির্মাণ করা হবে। এই যাত্রাপথে প্রস্তাবিত স্টেশন: [16]
১। জোকা ২। ঠাকুরপুকুর ৩। সখেরবাজার ৪। বেহালা চৌরাস্তা ৫। বেহালা বাজার ৬। তারাতলা ৭। মাঝেরহাট ৮। মোমিনপুর ৯। খিদিরপুর ১০। ভিক্টোরিয়া ১১। পার্ক স্ট্রিট - লাইন ১ ও লাইন ৩ এর সংযোগ ১২। ধর্মতলা (এসপ্ল্যানেড)। এই নির্মাণাধীন মেট্রো স্টেশন টি লাইন ১ এর এসপ্ল্যানেড থেকে আলাদা হবে।
নোয়াপাড়া-বারাসাত মেট্রো বা লাইন ৪
কলকাতা মেট্রো লাইন ৪ বা নোয়াপাড়া-বারাসাত মেট্রো দমদমের নোয়াপাড়া, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বারাসাতকে যুক্ত করবে।[6] এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭.১৩ কিলোমিটার এবং এই মোট্রো পথে ৯ টি মেট্রো স্টেশন তৈরি হবে।
এই রুটের স্টেশন গুলি হল[7] -
- ১.নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন (০.০কিমি) ,লাইন ১ ও লাইন ৪ এর সংযোগ
- ২.দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন (২.৮০ কিমি) - দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।
- ৩. যশোর রোড মেট্রো স্টেশন (৫.০৮)
- ৪.বিমানবন্দর || দমদম বিমানবন্দর - লাইন ১ ও লাইন ৬ এর সংযোগ। এটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর সংলগ্ন এবং বিমানবন্দর থেকে দ্রুত যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
- ৫.বিরাটি (৭.৯০কিমি)
- ৬.মাইকেল নগর
- ৭.নিউ ব্যরাকপুর (১০.৪০৫ কিমি)
- ৮.মধ্যমগ্রাম (১২.৩১০ কিমি)
- ৯.হৃদয়পুর (১৪.৮০ কিমি)
- ১০. বারাসাত মেট্রো স্টেশন (১৭.১৩ কিমি)। বারাসাত জংশন রেল ষ্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।
লাইন ৫
বরানগর এবং ব্যারাকপুর এর মাঝে নির্মিত হবে বরানগর-ব্যারাকপুর মেট্রো বা কলকাতা মেট্রো লাইন ৫। এই ১২.৪০ কিমি পথে মোট ১১ টি মেট্রো স্টেশন থাকবে যেগুলি হল ১। বরানগর মেট্রো স্টেশন- বরানগর রোড রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া এটি লাইন ১/১ ও লাইন ৫ এর সংযোগ। ২। কামারহাটি মেট্রো স্টেশন ৩। আগড়পাড়া মেট্রো স্টেশন ৪। সোদপুর মেট্রো স্টেশন ৫। পানিহাটি মেট্রো স্টেশন ৬। সুভাষনগর মেট্রো স্টেশন ৭। খড়দহ মেট্রো স্টেশন ৮। টাটা গেট মেট্রো স্টেশন ৯। টিটাগড় মেট্রো স্টেশন ১০। তালপুকুর মেট্রো স্টেশন ১১। বারাকপুর মেট্রো স্টেশন
লাইন ১/১
কলকাতা মেট্রো লাইন ১/১ বা নোয়াপাড়া-বরানগর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো নোয়াপাড়া,বরানগর ও দক্ষিণেশ্বর এর সাথে সংযোগ করবে। এই লাইন এর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে ও ডিসেম্বর, ২০১৭ এর মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যায়। এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ভারত সরকার এর অধীনস্থ সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড বা আরভিএনএল। এই লাইনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর দমদম-ডানকুনি শাখার সাথে সমান্তরাল ভাবে থাকবে। এই লাইনের স্টেশন গুলি হল ১। নোয়াপাড়া - লাইন ১ ও লাইন ৪ এর সংযোগ ২। বরানগর মেট্রো স্টেশন।বরানগর- বরানগর রোড রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া এটি লাইন ১/১ ও লাইন ৫ এর সংযোগ। ৩। দক্ষিণেশ্বর - দক্ষিণেশ্বর রোড রেলওয়ে স্টেশন এর সংলগ্ন এই মেট্রো স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল এর সাথে সংযোগবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।
লাইন ৬ (কবি সুভাষ-জয় হিন্দ মেট্রো)
নিউ গড়িয়া স্টেশন থেকে শুরু হয়ে ইএম বাইপাস বরাবর কালিকাপুর, আনন্দপুর, রুবি, ভিআইপি বাজার, পরমা আইল্যান্ড, চিংড়িঘাটা হয়ে ডানদিকে বেঁকে নিকোপার্ক সেক্টর ফাইভ, টেকনোপলিস, নিউ টাউন হয়ে ভিআইপি রোডের ওপর হলদিরাম ছুঁয়ে মেট্রো পৌঁছবে দমদম বিমানবন্দরে। ৩২ কিলোমিটার রেলপথে মোট ২৬টি স্টেশন তৈরি হবে।[8] পুরো রাস্তায় মেট্রো যাবে মাটির ওপর দিয়ে এলিভেটেড ট্র্যাকে শুধু মাত্র বিমানবন্দর এর কাছে এসে এই মেট্রো লাইন সুড়ঙ্গ পথে প্রবেশ করবে এবং বিমান বন্দরটি মাটির নীচে নির্মাণ করা হবে। বিমানবন্দর স্টেশনটি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতানৈক্য মিটতেই এ বার এই প্রকল্পের জন্য কাজের বরাত দিয়ে দিল রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড. ২২ অক্টোবর তিনটি ঠিকাদার সংস্থাকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার বরাত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০১১-২০১২ আর্থিক বছরের বাজেটে মোট ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল বোর্ড. আরভিএনএল এবং মেট্রো কর্তাদের আশা, নভেম্বর থেকেই কাজ শুরু করে দেবে ওই তিন ঠিকাদার সংস্থা. কাজ শুরুর তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে বলেও তাদের আশা.
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারিত হবে। [9]
স্টেশন গুলি হল-
ক্রম | স্টেশনের নাম | দূরত্ব (কিমি) | অবস্থান | প্রকৃতি | বর্তমান অবস্থা |
---|---|---|---|---|---|
১ | কবি সুভাষ | ০.০ | নিউ গড়িয়া, দক্ষিণ কলকাতা | ভূমি | নির্মিত |
২ | সত্যজিৎ রায় | ১.৯ | বাঘা যতীন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ |
৩ | যতীন্দ্রনাথ নন্দী | ৩.১ | মুকুন্দপুর | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ |
৪ | কবি সুকান্ত | ৪.৪ | কালিকাপুর | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ |
৫ | মাদার টেরেসা / হেমম্ত মুখার্জী | ৫.৬ | রুবি মোড় | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ |
কাজী নজরুল ইসলাম সরণী | কৈখালী | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
নিউ টাউন | নিউ টাউন,রাজারহাট | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
তিতুমীর | নিউ টাউন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
প্রকৃতি তীর্থ | নিউ টাউন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
বানিজ্য তীর্থ | নিউ টাউন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
রবীন্দ্র তীর্থ | নিউ টাউন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
বিবেক তীর্থ | নিউ টাউন , রাজারহাট | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
নজরুল তীর্থ | নিউ টাউন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
বিধাননগর লিমিট | নিউ টাউন | উত্তলিত | নির্মীয়মাণ | ||
বিমানবন্দর | ২৯.৯০ কিলোমিটার (১৮.৫৮ মা) | দমদম বিমানবন্দর | ভূ-গর্ভস্থ | নির্মীয়মাণ |
ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর হয়ে বারাসত মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর কাজও চলছে. সবকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে মেট্রোর যাত্রীরা বেশ কয়েকটি স্টেশন থেকে ট্রেন বদল করে অন্য রুটের মেট্রোয় চড়তে পারবেন। ট্রেন বদলের সুযোগ থাকবে যে স্টেশনগুলিতে, সেগুলি হল-
- কবি সুভাষ বা নিউ গড়িয়া স্টেশন- উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া- বিমানবন্দর মেট্রো।
- বিমানবন্দর স্টেশন- নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া- বিমানবন্দর মেট্রো।
- সেক্টর ফাইভ স্টেশন- পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া- বিমানবন্দর মেট্রো।
- পার্ক ষ্ট্রীট স্টেশন- উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো এবং জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো।
- সেন্ট্রাল স্টেশন- উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো এবং পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো এবং জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো।
- নোয়াপাড়া স্টেশন- উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো এবং নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো।
- বরানগর স্টেশন- উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো এবং বরানগর-ব্যারাকপুর মেট্রো।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
কারিগরি বৈশিষ্ট্যসমূহ ও নির্মাণপদ্ধতি
মেট্রো পরিকাঠামোো বিনির্মাণ একটি অত্যন্ত জটিল কাজ। কারণ, এই কাজে একযোগে প্রয়োগ করতে হয় সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের একাধিক আধুনিক প্রযুক্তি। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারগণ তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বিদেশ থেকে আহরিত জ্ঞানকে সম্বল করে ভারতে প্রথম কয়েকটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটান কলকাতা মেট্রো সংস্থাপনকালে।
- ডায়াফ্রাম দেওয়াল ও শিট পাইলের সাহায্যে কাট অ্যান্ড কভার অর্থাৎ খনন ও ভরাটকরণ পদ্ধতিতে নির্মাণকাজ চালানো হয়।
- মাটির নিচে যখন খননকার্য চলছিল, তখন উপরের রাস্তায় ট্র্যাফিক পরিষেবা সচল রাখার জন্য প্রশস্ত ডেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়।
- বায়ুচাপ ও এয়ারলক ব্যবহার করে সিল্ড টানেলিং করা হয়।
- ইলাস্টিক ফাস্টেনিং, রাবার প্যাড, এপক্সি মর্টার এবং নাইলন ইনসার্টস ব্যবহার করে ব্যাল্যাস্টবিহীন ট্র্যাক নির্মাণ করা হয়।
- স্টেশন ও সুড়ঙ্গের পরিবেশ নিয়ণকল্পে শীততাপ-নিয়ন্ত্রণ ও বায়ুচলনের ব্যবস্থা করা হয়।
- ট্র্যাকশনের জন্য তৃতীয় রেল কারেন্ট কালেকশনের ব্যবস্থা করা হয়।
- শুষ্ক ধরনের ট্রান্সফর্মার ও সিএফ-৬ সার্কিট ব্রেকার্স সহ ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়।
- টানেল ট্রেন ভিএইচএফ-রেডিও সংযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়।
- মাইক্রোপ্রসেসর-ভিত্তিক ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও সাবস্টেশনগুলির জন্য তত্ত্বাবধায়কীয় রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থা চালু করা হয়।
- স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রয় ও পরীক্ষণ বা চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়।
সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ
সামগ্রিক ট্র্যাক দৈর্ঘ্য্য | ২২.৩ কিলোমিটার |
স্টেশন | ২১ (১৫টি মাটির তলায়, ১টি ভূপৃষ্ঠে, ৫টি উত্তোলিত) |
গেজ | ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১৬৭৬ মিলিমিটার) ব্রডগেজ |
প্রতি ট্রেনের কামরাসংখ্যা | ৮ |
সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতি | ৫৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা |
গড় গতি | ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা |
ভোল্টেজ | ৭৫০ ভোল্ট ডিসি |
বিদ্যুৎ সংগ্রহ পদ্ধতি | ৭৫০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহার করে তৃতীয় রেল |
ভ্রমণ সময় : দমদম থেকে কবি নজরুল | ৪১ মিনিট (প্রায়) |
প্রতি কামরার লোকধারণ ক্ষমতা | ২৭৮ জন দণ্ডায়মান ও ৪৮ জন উপবিষ্ট |
প্রতি ট্রেনের লোকধারণ ক্ষমতা | ২৫৯০ জন যাত্রী (প্রায়) |
দুটি ট্রেনের আগমনের মধ্যে সময়ান্তর | অফিস টাইমে ৫ মিনিট ও ৬-৮ মিনিট অন্যান্য সময়ে |
প্রকল্প রূপায়ণে সামগ্রিক ব্যয় | ১৮২৫ কোটি ভারতীয় টাকা (প্রায়) |
পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ | পরিশুদ্ধ ও শীতল বায়ুযুক্ত কৃত্রিম বায়ুচলন |
রোলিং স্টক
সমগ্র রেকটি ভেস্টিবিউল-বেষ্টিত। রোলিং স্টক সরবরাহ করে চেন্নাইয়ের আইসিএফ এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে বেঙ্গালুরুর এনজিইএফ। এই রোলিং স্টকগুলি অদ্বিতীয়, কারণ ডবলিউএজি-৬ সিরিজের কয়েকটি লোকোমোটিভ ছাড়া এগুলি ভারতের একমাত্র এন্ড-মাইন্টেড ক্যাব দরজা-বিশিষ্ট।
কলকাতা মেট্রোর ভূগর্ভস্থ রেল পরিষেবার জন্য আইসিএফ এই কোচগুলি বিশেষ নকশায় নির্মিত করে সরবরাহ করে। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল :
- ট্র্যাকশনের বিদ্যুৎসংযোগ তৃতীয় রেল বিদ্যুৎ সংগ্রহ ব্যবস্থায় লব্ধ হয়।
- স্বয়ংক্রিয় দরজা খোলা/বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থা ও নিরবিচ্ছিন্ন ট্রানজিট পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।
- কোনওরকম মানবিক ব্যর্থতার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ট্রেন রক্ষণব্যবস্থা লব্ধ, এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক প্রযুক্ত হয়ে হয়।
- ট্রেনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে। ড্রাইভার কেবল তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
- আসন্ন স্টেশনের নাম ঘোষণা করে গণসম্বোধন ব্যবস্থাও চালু আছে। ট্রেন স্টেশনে উপস্থিত হলে সেই স্টেশনের নামও ঘোষণা হয়ে থাকে। এই ঘোষণা হয় বাংলায় এবং তারপর ঘোষণার হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদও সম্প্রচারিত হয়। ট্রেনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক ট্রেন ক্রিউ-এর যে কোনও সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এই ব্যবস্থায় সরাসরি যাত্রীদের সম্বোধন করে ঘোষণা করতে পারেন।
এই সকল অত্যাধুনিক কলাকৌশলবিশিষ্ট কোচগুলির নকশা ও নির্মাণ অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উচ্চমানের। সুরক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে বিবেচিত হয়। কোনওরকম কারিগরি সহযোগিতা ছাড়াই যা লব্ধ হয়ে থাকে। সমগ্র ব্যবস্থাটি ২৩৫৬ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।
ভাড়া কাঠামো

মেট্রো রেলের ভাড়া নির্দিষ্ট নয়। দুরত্ব অনুসারে এই ভাড়া পরিবর্তিত হয়ে থাকে। একটি ত্রিবার্ষিক বিরতির পর সর্বশেষ ১ অক্টোবর ২০০১ তারিখে মেট্রোর ভাড়া পর্যালোচিত হয়েছিল। বর্তমানের ভাড়া কাঠামোটি নিম্নরূপ:
জোন | দুরত্ব (কিলোমিটারে) | ভাড়া (টাকায়) |
---|---|---|
১ | ৫ কিমি পর্যন্ত | ৫.০০ |
২ | ৫-১০ কিমি | ১০.০০ |
৩ | ১০-১৫ কিমি | ১৫.০০ |
৪ | ১৫-২০ কিমি | ১৫.০০ |
৫ | ২০-২৫ কিমি | ২০.০০ |
৬ | ২৫ কিমি বা তার বেশি | ২৫.০০ |
টিকিট
কলকাতার মেট্রো রেলে নিম্নোক্ত ধরনের টিকিট দেখা যায়:
- দৈনিক টিকিট
- একক ব্যক্তি একমুখী যাত্রা
- একক ব্যক্তি দ্বিমুখী যাত্রা (গমন ও প্রত্যাবর্তন)
- বহু ব্যক্তি (২-৭ জন) একমুখী যাত্রা
- বহু ব্যক্তি (২-৭ জন) দ্বিমুখী যাত্রা (গমন ও প্রত্যাবর্তন)
- মাল্টি রাইড টিকিট
- মিনিমাম মাল্টি রাইড (এমএমআর) – ২১ দিনের জন্য কার্যকর। এতে ১১টি রাইডের ভাড়ায় ১২টি রাইড লব্ধ হয়।
- লিমিটেড মাল্টি রাইড (এলএমআর) – ৩০ দিনের জন্য কার্যকর। এতে ৩০টি রাইডের ভাড়ায় ৪০টি রাইড লব্ধ হয়।
- এক্সটেন্ডেড মাল্টি রাইড (ইএমআর) - ৯০ দিনের জন্য কার্যকর। এতে ৫৫টি রাইডের ভাড়ায় ৮০টি রাইড লব্ধ হয়।
স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ
১৯৯৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা মেট্রো চৌম্বকীয় কোডযুক্ত টিকিট ও যাত্রী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা-সহ স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ বা অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) ব্যবস্থা চালু করে। পরে এই ব্যবস্থা দমদম থেকে কবি নজরুল অবধি সকল স্টেশনে চালু করা হয়। চৌম্বকীয় টিকিটগুলি টিকিট মেশিন দ্বারা বিতরিত হয়। সে টিকিট একটি স্বয়ংক্রিয় ফেয়ার-কালেকশন গেটে নির্দিষ্ট স্থানে ঢোকালে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারা যায়। চৌম্বকীয় টিকিট ছয় প্রকার –
- একক রাইড
- দুই রাইড (গমন ও প্রত্যাবর্তন)
- বারো রাইড (এলএমআর)
- ৪৮ রাইড (ইএমআর)
- বহু ব্যক্তি একমুখী যাত্রা (এমপিএস)
- বহু ব্যক্তি দ্বিমুখী যাত্রা (এমপিআর)
- বর্তমানে বারো রাইড (এলএমআর) ও ৪৮ রাইড (ইএমআর) পরিবর্তিত হয়ে ১২ রাইড (এমএমআর), ৪০ রাইড (এলএমআর) ও ৮০ রাইড (ইএমআর) করা হয়েছে।
টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) এমন একটি মেশিন যা থেকে বুকিং কাউন্টারগুলি টিকিট ইস্যু করে। এই টিকিটগুলি স্বয়ংক্রিয় ফেয়ার কালেকশন গেটে ঢোকালে স্টেশনে প্রবেশ করা যায়। আবার স্টেশন থেকে বের হবার সময়ও একই পদ্ধতিতে বের হতে হয়। এই সময় গেট টিকিটগুলি ফিরিয়ে দেয় না।
এই ব্যবস্থায় কখনও যদি যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়, তবে সেক্ষেত্রে সাধারণ পদ্ধতিতে টিকিট বিতরণ ও পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
স্মার্ট কার্ড
২০০৫ সাল থেকে মেট্রো রেল স্মার্ট কার্ড ভিত্তিক টিকিট ব্যবস্থা চালু করে। এক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি একটি স্মার্ট (সম্ভবত আরএফআইডি-চিপ ইনস্টল করা) কার্ড ইস্যু করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থে রিচার্জ করতে পারেন। স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুরত্ব নির্ধারিত হয়ে যায় ও সেই হিসাবে অর্থ রিচার্জ করা অর্থ থেকে কেটে নেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা চৌম্বকীয় টিকিটের খরচ কমায়, তাই চৌম্বকীয় টিকিটের তুলনায় তিন টাকা কম মূল্যে মেট্রোয় পরিভ্রমণ করা যায়।
পাদটীকা
- Kolkata Metro's expansion plan to change life and times of commuters
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৩।
- "History of Kolkata Metro"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১০।
- "মেট্রো রেল", বাংলার ঐতিহ্য:কলকাতার অহংকার, পল্লব মিত্র, পারুল প্রকাশনী, কলকাতা, ২০১০
- "কলকাতার লাইফলাইন এবং টাউনশিপ লেভেল প্রজেক্ট"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৬-১০-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - Mandal, Sanjay (২৯ জুলাই ২০০৯)। "Circle of Metro commute"। The Telegraph। Calcutta, India।
- "Dum Dum-Barrackpore Metro project awaits state nod"। Thestatesman.net। ২০১২-০৬-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৭।
- "রুট ভেঙে যাত্রা শুরুর পথে দুই মেট্রো"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৬-১২-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "metro sets june 2018 date for new garia ruby line"। এইসময়। সংগ্রহের তারিখ ০৯-০৮-২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)