হিন্দুধর্ম
হিন্দুধর্ম (সনাতনধর্ম) ভারতীয় উপমহাদেশীয় আধ্যাত্মিক প্রাকৃতিক ধর্ম ।[1] হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ স্বীয় ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম (सनातन धर्म:) নামেও অভিহিত করেন।[2][3] হিন্দুধর্মের সাধারণ "ধরনগুলির" মধ্যে ইতিহাস পুরান ও বৈদিক হিন্দুধর্ম থেকে বৈষ্ণবধর্মের অনুরূপ ভক্তিবাদী ধারার মতো একাধিক জটিল মতবাদগুলির সমন্বয়ের এক প্রচেষ্টা লক্ষিত হয়। যোগ, কর্মযোগ ধারণা, ও হিন্দু বিবাহের মতো বিষয়গুলিও হিন্দুধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
হিন্দুধর্ম সারা পৃথিবীব্যাপী বিশাল ধর্ম। এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। অনাদি কাল থেকে এই পরম্পরা চলে আসছে[4] লৌহযুগীয় ভারতের ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মে এই ধর্মের শিকড় নিবদ্ধ। হিন্দুধর্মকে বিশ্বের "প্রাচীনতম জীবিত ধর্মবিশ্বাস"[5] বা "প্রাচীনতম জীবিত প্রধান মতবাদ"[6][7][8][9] আখ্যা দেওয়া হয়।
হিন্দুধর্মকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। কারন এটি প্রাচীনযুগে আর্বিভূত হয়েছে। [note 1] এবং ধর্মাবলম্বীরা একে সনাতন ধর্ম ("চিরন্তন নিয়ম বা চিরন্তন পথ") বলে আখ্যায়িত করেন[10]। পশ্চিমা পন্ডিতরা হিন্দুধর্মকে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের [11][note 2] সংমিশ্রণ[note 3] এবং সংশ্লেষণ[12][note 4] হিসেবে গন্য করেন যার মূলে একক কোন ব্যক্তির অবদান নেই[13] এবং এর একাধিক উৎপত্তি উৎস রয়েছে[14][note 5]। এটি সনাতনি বা চিরন্তন কর্তব্যের কথা যেমন সততা, অহিংসা, ধৈর্যশীলতা, সমবেদনা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আরো অনেক মানবিক উৎকর্ষ জনক উপায়ের কথা বলে। এবং বাহ্যিক আচার বিচারের থেকে পরম সত্যের জ্ঞানকে সর্বদাই মুখ্য স্থান দেয়।[web 1][15]
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আছে (কিন্তু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়) পুরুষার্থ, যা মানব জীবনের সঠিক উদ্দেশ্য। এর মধ্যে আছে ধর্ম (নীতি), অর্থ, কাম এবং মোক্ষ যার অর্থ ,জন্ম মৃত্যুর পুন: পুন: জন্ম(ইহলোকে বা স্বর্গাদি অন্যলোকে) থেকে মুক্তি)[16][17]; কর্ম (কাজ, অভিপ্রায় ও ফল); এবং বিভিন্ন ধরনের যোগ সাধনা (মোক্ষ লাভের পথ)। হিন্দুদের নিত্যকর্মের তালিকায় আছে পূজা, অর্চনা, ধ্যান, পারিবারিক সংস্কার , বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং তীর্থযাত্রা। কেউ কেউ সমাজ ও সভ্য জগতে ঐহিক সুখ ছেড়ে পারমার্থিক শান্তির আশায় ও মোক্ষ লাভের উদ্দেশ্যে সন্ন্যাস গ্রহণ করে।[18][19]
জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুধর্ম খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মমত। এই ধর্মের অনুগামীদের সংখ্যা ১৩৫ কোটি। এদের মধ্যে ১১৫ কোটি হিন্দুমতে বিশ্বাসী মানুষ বাস করেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে।[20][21] এছাড়া নেপাল (৩৩,০০০,০০০), মরিশাস (২৫০,০০০) ও ইন্দোনেশীয় দ্বীপ বালিতে ( ৩০০,০০০) উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হিন্দুরা বাস করেন।
হিন্দুধর্মের শাস্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা প্রচুর। হিন্দুশাস্ত্র শ্রুতি ও স্মৃতি নামে দুই ভাগে বিভক্ত। এই গ্রন্থগুলিতে ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও পুরাণ আলোচিত হয়েছে এবং ধর্মানুশীলন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিবৃত হয়েছে। এই গ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ সর্বপ্রাচীন, সর্বপ্রধান ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলি হল উপনিষদ্, পুরাণ, ও ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত। ভগবদ্গীতা নামে পরিচিত মহাভারতের কৃষ্ণ-কথিত একটি অংশ বিশেষ গুরুত্বসম্পন্ন ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে থাকে।[22]
ব্যুৎপত্তি
মূল নিবন্ধ: হিন্দুস্তান

হিন্দু শব্দটি উৎসারিত হয়েছে সংস্কৃত সিন্ধু শব্দটি থেকে। সিন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক নদীর নাম।[23] ঐতিহাসিকভাবে সিন্ধুনদের পূর্বে বর্তমান ভারতকেই হিন্দুদের ভূমি বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[24] পরবর্তীকালের আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে।[25] ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতের নামের সমার্থক শব্দ হিসেবে হিন্দুস্তান বা হিন্দুস্থান শব্দটির উৎপত্তি হয়। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ "হিন্দুদের দেশ"।[26]
প্রথমদিকে হিন্দু শব্দটি ধর্মনির্বিশেষে ভারতীয় উপমহাদেশের সকল অধিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। কেবলমাত্র চৈতন্যচরিতামৃত ও চৈতন্য ভাগবত ইত্যাদি কয়েকটি ষোড়শ-অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থে যবন বা ম্লেচ্ছদের থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পৃথক করার জন্য শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে।[27] অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ইউরোপীয় বণিক ও ঔপনিবেশিক শাসকেরা ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসগুলির অনুগামীদের একত্রে হিন্দু নামে অভিহিত করে। ধীরে ধীরে এই শব্দটি আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ অথবা অবৈদিক ধর্মবিশ্বাসগুলির (যেমন জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও শিখধর্ম) অনুগামী নন এবং সনাতন ধর্ম নামক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন সকল ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে পড়ে।[28][29]
ইংরেজি ভাষাতে ভারতের স্থানীয় ধর্মীয়, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি বোঝাতে হিন্দুইজম বা হিন্দুধর্ম কথাটি চালু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে।[30]
সংজ্ঞা


সার্বিক সহিষ্ণুতা থেকে মতবৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও হিন্দুধর্মের রক্ষণশীল উদারতা ধ্রুপদী পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় এই ধর্মের সংজ্ঞা নিরুপণের প্রধান বাধাস্বরূপ।[31] হিন্দুধর্ম মূলত একটি ব্যবহারিক ধর্মচেতনা। একাধিক প্রথা, সংস্কার ও আদর্শ এতে সন্নিবেশিত। তাই অনেকের মতে এই ধর্মের একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বেশ অসুবিধাজনক।[32] সেই কারণে ‘রিলিজিয়ন’ বা ধর্ম অপেক্ষা ‘রিলিজিয়াস ট্র্যাডিশন’ বা ধর্মসংস্কার হিসেবেই একে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংজ্ঞায়িত করা হয়।[1] এই বৈশিষ্ট্য হিন্দুধর্মকে বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মবিশ্বাসের পাশাপাশি বিশ্বের সর্বাধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ধর্মের শিরোপাও দান করেছে।[6][33][34][35] অধিকাংশ ধর্মীয় সংস্কার পবিত্র ধর্মশাস্ত্র বেদ হতে সঞ্জাত। যদিও এর ব্যতিক্রমও দুর্লভ নয়। কোনো কোনো সংস্কার অনুসারে মোক্ষ বা পারত্রিক মুক্তিলাভের জন্য কিছু প্রথানুষ্ঠান অপরিহার্য। যদিও এই ব্যাপারেও মতানৈক্য বিদ্যমান। কোনো কোনো হিন্দু দার্শনিক মহাবিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের পশ্চাতে এক অস্তিবাদী পরাসত্তার সন্ধান করে ফেরেন, আবার কোনো কোনো হিন্দু নাস্তিকতার চর্চা করে থাকেন। হিন্দুধর্ম কর্মফলের ভিত্তিতে পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাস রাখে। মোক্ষ এই ধর্মে জন্ম ও মৃত্যুর চক্রাকার বৃত্ত থেকে মুক্তিরই অপর নাম। যদিও হিন্দুধর্মের ক্ষেত্রের বাইরে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মও এই মতবাদে বিশ্বাস রাখে।[32] এই কারণে হিন্দুধর্মকে মনে করা হয় বিশ্বের জটিলতম ধর্মবিশ্বাসগুলির অন্যতম।[36] এই জটিলতা ব্যতিরেকেও হিন্দুধর্ম যে শুধুমাত্র একটি সংখ্যাগতভাবে সুবৃহৎ জনগোষ্ঠীর ধর্মচেতনা তাই নয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে প্রচলিত এই ধর্মবিশ্বাস পৃথিবীর অধুনা বর্তমান ধর্মগুলির মধ্যে প্রাচীনতমও বটে।[37]
ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি তথা বিশিষ্ট দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন হিন্দুধর্মের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে একে “একটি বিশ্বাসমাত্র” বলতে অস্বীকার করেন। বরং এই ধর্মের যুক্তি ও দর্শনের দিকটি বিচার করে তিনি খোলাখুলিভাবেই এই মত ব্যক্ত করেন যে হিন্দুধর্মের সংজ্ঞা দান করা অসম্ভব। শুধুমাত্র এই ধর্ম অনুশীলনই করা যায়।[38] তেমনই কোনো কোনো পণ্ডিত সুসংজ্ঞায়িত ও রক্ষণশীল ধর্মীয় সংগঠন না বলে হিন্দুধর্মকে “অস্পষ্ট সীমানায়” বর্গায়িত করার পক্ষপাতী। কয়েকটি ধর্মমত হিন্দুধর্মে কেন্দ্রীয়। অন্যগুলি ঠিক কেন্দ্রীয় না হলেও এই পরিসীমার আওতার মধ্যেই পড়ে। এরই ভিত্তিতে ফেরো-লুজি হিন্দুধর্মের সংজ্ঞায়নে একটি “উদাহরণমূলক তাত্ত্বিক অন্বেষণ” (“প্রোটোটাইপ থিওরি অ্যাপ্রোচ”) চালিয়েছেন।[39]
উনবিংশ শতকে হিন্দু পুনর্জাগরণবাদীগণ ‘হিন্দু-ইজম’ শব্দটির প্রয়োগ শুরু করার পর থেকেই হিন্দুধর্ম একটি বিশ্বধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।[2] এছাড়াও শব্দটির প্রাথমিক প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন পশ্চিমা প্রাচ্যবিদ বা ‘প্রথম যুগের ভারততত্ত্ববিদগণ’, যাঁদের বক্তব্য সাধারণত একপেশে ছিল বলে মনে করা হয়। যদিও হিন্দুধর্মের শিকড় ও তার বিভিন্ন শাখাপ্রশাখার প্রাচীনত্বের ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। সকলেই স্বীকার করেছেন যে প্রাগৈতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা থেকে ঐতিহাসিক বৈদিক সভ্যতার প্রাথমিক পর্ব জুড়ে ছিল হিন্দুধর্মের সূচনালগ্ন।[40] কেবলমাত্র ধর্মবৈভিন্ন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বৈদিক সংস্কারের ভিত্তিতে হিন্দুধর্মের একটি রূপ দান করেছেন পশ্চিমা প্রাচ্যবিদগণ – এমন কথাও বলেছেন কেউ কেউ। কিন্তু তা সত্য নয়।[41][42][43]
সংজ্ঞা বা ‘হিন্দুইজম’ বা হিন্দুধর্ম শব্দটির দ্বারা কি বোঝায় তা এই কারণেই বলা সম্ভব নয় যে এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। হিন্দুধর্মে, বা কারো কারো ভাষ্য অনুযায়ী হিন্দুধর্মসমূহে মোক্ষলাভের প্রণালীটি এক এক সম্প্রদায়ের নিকট এক এক প্রকার। বৈদিক ধর্মের যে রূপগুলি পরিলক্ষিত হয়, তা হিন্দুধর্মের বিকল্প নয় - বরং তার প্রাচীনতম রূপ। তাই পশ্চিমা প্রাচ্যবিদদের লেখায় বৈদিক ধর্ম, ব্রাহ্মণ্যবাদ ও হিন্দুধর্মের মধ্যে যে প্রভেদ দেখানো হয়ে থাকে তারও বিশেষ যুক্তি নেই।[9][44] কেউ কেউ মনে করেন, হিন্দুধর্মে কোনো “অনুশাসনের আকারে নিবদ্ধ কোনো একক ধর্মীয় বিশ্বাস” প্রচলিত নেই। এই জন্য ইসলামের বিরাট সংগঠনের পাশে এটিকে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ধর্মব্যবস্থা বলে অভিহিত করা হয়। আবার কেউ কেউ ইহুদি ধর্মের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ একাত্মতার কথাও বলে থাকেন।[32]
পাশ্চাত্য দৃষ্টিকোণ থেকে, ধর্ম কি এবং কিভাবে তা আরও প্রাচীন ধর্মবিশ্বাসগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত তারই বিচারে হিন্দুধর্মকে যাচাই করা হয়।[45] ‘ধর্মবিশ্বাস’ (‘ফেইথ’) শব্দটি ‘ধর্ম’ (‘রিলিজিয়ন’) অর্থে প্রয়োগের ফলে এই বিষয়ে জটিলতা বৃদ্ধি পায়।[32] কোনো কোনো পণ্ডিত[46] এবং অনেক হিন্দু দেশীয় ‘সনাতন ধর্ম’-এর সংজ্ঞাটির পক্ষপাতী। এই সংস্কৃত শব্দবন্ধটির অর্থ ‘চিরন্তন ধর্ম (বিধি)’ বা ‘চিরন্তন পন্থা’।[2][47]
ঔপনিবেশিক প্রভাব
দেশীয় উপলব্ধি
সনাতন ধর্ম
হিন্দু আধুনিকতা


প্রাশ্চাত্ত্য উপলব্ধি
বৈচিত্র্য এবং ঐক্য
বৈচিত্র্য
হিন্দুধর্মের মূল
ঐক্য
উপবিভাগ

হিন্দুধর্ম আজ একাধিক শাখায় বিভক্ত। অতীতে এই ধর্ম ছয়টি দর্শনে বিভক্ত ছিল। বর্তমানে এগুলির মধ্যে কেবল বেদান্ত ও যোগেরই অস্তিত্ব আছে। আধুনিক হিন্দুধর্মের প্রধান বিভাগগুলি হল বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম, স্মার্তবাদ ও শাক্তধর্ম। এছাড়াও একাধিক ছোটো বিভাগ বা উপবিভাগ লক্ষিত হয়, যাদের অনেকগুলিই পরস্পরের সঙ্গে অংশত আবৃত। তবে আজকের হিন্দুরা মোটামুটিভাবে পূর্বোক্ত চারটি প্রধান শাখার কোনো না কোনো একটির সদস্য।
ম্যাকড্যানিয়েল - ছয়টি জাতিগত "ধরন"
২০০৭ সালে অধিকতর জটিল ও সূক্ষ্ম বিবেচনার নিরিখে একাধিক মতের বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের দিকটি বিচার করে ম্যাকড্যানিয়েল হিন্দুধর্মের আরো ছয়টি শাখাকে চিহ্নিত করেছেন। এই বিভাগগুলি হল :[50]
- লৌকিক হিন্দুধর্ম – বিভিন্ন স্থানীয় ঐতিহ্য ও লৌকিক দেবদেবীর পূজাকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক বা সম্প্রদায় স্তরের ধর্মবিশ্বাস যা প্রাগৈতিহাসিক কাল বা অন্ততপক্ষে বেদ রচিত হবার আগে থেকে প্রচলিত।
- বৈদিক হিন্দুধর্ম – এই বিশ্বাসটি এক শ্রেণীর ব্রাহ্মণ (বিশেষত শ্রুতিবাদী) সমাজে আজও প্রচলিত।
- বৈদান্তিক হিন্দুধর্ম – উপনিষদের শিক্ষা অবলম্বনে প্রচারিত। উদাহরণ – অদ্বৈত (স্মার্তবাদ)
- যৌগিক হিন্দুধর্ম – পতঞ্জলি রচিত যোগসূত্র অবলম্বনে প্রচারিত।
- ধার্মিক হিন্দুধর্ম বা প্রাত্যহিক নৈতিকতা – কর্ম ও হিন্দু বিবাহ সংস্কার ইত্যাদি সামাজিক নিয়মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শাখা।
- ভক্তিবাদ – বৈষ্ণবধর্মের অনুরূপ ভক্তিকেন্দ্রিক মতবাদ।
মাইকেলস্ - হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু ধার্মিকতা
ইতিহাস
ভারতীয় ইতিহাসের কালপঞ্জি | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সময়রেখা এবং সাংস্কৃতিক যুগ |
পশ্চিম উপকূল | উত্তর-পশ্চিম ভারত | সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি | মধ্য ভারত | দক্ষিণ ভারত | |||
পশ্চিম গাঙ্গেয় সমভূমি | উত্তর ভারত (মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমি) |
উত্তর-পূর্ব ভারত (বাংলা) | ||||||
দক্ষিণ এশীয় প্রস্তরযুগ (৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) | দক্ষিণ এশীয় প্রস্তরযুগ (১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) | |||||||
সংস্কৃতি | প্রত্নপ্রস্তরযুগকতা (১০,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) | |||||||
১০,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আগে | ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র (৩০,০০০ - ১৫,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
সাংহাও গুহা | ||||||
সংস্কৃতি | মধ্যপ্রস্তরযুগকতা (১০,০০০ - ৭,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | মধ্যপ্রস্তরযুগকতা (১০,০০০ - ৩,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | ||||||
১০,০০০ - ৭,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | ||||||||
সংস্কৃতি | নব্যপ্রস্তরযুগকতা (৭,০০০ - ৩,৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | মধ্যপ্রস্তরযুগকতা (১০,০০০ - ৩,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | ||||||
৭,০০০ - ৩,৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | মেহেরগড় | |||||||
ব্রোঞ্জ যুগ (৩,৩০০ - ১,১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | নব্যপ্রস্তরযুগীয় (৩,০০০ - ১,৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | |||||||
সংস্কৃতি | আদি হরপ্পায়ী | |||||||
৩,৩০০ - ২,৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | আদি হরপ্পায়ী | |||||||
সংস্কৃতি | অঙ্গীভূতকরণ যুগ | |||||||
২,৬০০ - ১,৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | সিন্ধু সভ্যতা | |||||||
সংস্কৃতি | স্থানীয়করণ যুগ/বিদায়ী হরপ্পায়ী ওসিপি/কবরস্থান এইচ |
|||||||
১,৯০০ - ১,৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | প্রাচীনতম পরিচিত ধান চাষ[lower-alpha 1] | |||||||
সংস্কৃতি | স্থানীয়করণ যুগ/বিদায়ী হরপ্পায়ী ওসিপি/কবরস্থান এইচ গান্ধার কবর সংস্কৃতি |
বৃহৎপ্রস্তরযুগীয় (১,৪০০ - ১,১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | ||||||
১,৫০০ - ১,৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | ইন্দো-আর্য অভিপ্রয়াণ | |||||||
১,৩০০ - ১,১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | ভ্রাম্যমাণ বৈদিক আর্য | |||||||
লৌহ যুগ (১,১০০ - ৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | ||||||||
সংস্কৃতি | মধ্য বৈদিক যুগ | |||||||
গান্ধার কবর সংস্কৃতি | কালো এবং লাল পণ্যদ্রব্য সংস্কৃতি | |||||||
১,১০০ - ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | Vedic settlements | Vedic settlements কুরু |
||||||
সংস্কৃতি | বিদায়ী বৈদিক যুগ | |||||||
গান্ধার কবর সংস্কৃতি | (ব্রাহ্মণ আদর্শ)[lower-alpha 2] চিত্রিত ধূসর ধাতব সংস্কৃতি |
(ক্ষত্রিয় / শ্রমণ সংস্কৃতি)[lower-alpha 3] উত্তুরে কালো নিকষিত পণ্যদ্রব্য | ||||||
৮০০ - ৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | গান্ধার | কুরু-পাঞ্চাল | কোশল-বিদেহ | |||||
সংস্কৃতি | বিদায়ী বৈদিক যুগ | |||||||
গান্ধার কবর সংস্কৃতি | (ব্রাহ্মণ আদর্শ)[lower-alpha 4] চিত্রিত ধূসর ধাতব সংস্কৃতি |
(ক্ষত্রিয় / শ্রমণ সংস্কৃতি)[lower-alpha 5] উত্তুরে কালো নিকষিত পণ্যদ্রব্য | ||||||
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী | গান্ধার | কুরু-পাঞ্চাল | কোশল | আদিবাসী (উপজাতি) | ||||
সংস্কৃতি | Persian-Greek influences | "Second Urbanisation" | ||||||
নব্য উপনিষদ্ | Rise of Shramana movements Jainism - Buddhism - Ājīvika - Yoga Later Upanishads |
|||||||
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী | (Persian rule) | Shishunaga dynasty | Adivasi (tribes) | |||||
4th century খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | (Greek conquests) |
Nanda empire |
||||||
HISTORICAL AGE (৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের পর) | ||||||||
সংস্কৃতি | Spread of Buddhism | Pre-history | Sangam period (৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – 200 CE) | |||||
3rd century খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | Maurya Empire | Early Cholas Early Pandyan Kingdom Cheras | ||||||
সংস্কৃতি | Preclassical Hinduism[lower-alpha 6] - "Hindu Synthesis"[lower-alpha 7] (c. 200 BCE-300 CE)[lower-alpha 8][lower-alpha 9] Epics - Puranas - Ramayana - Mahabharata - Bhagavad Gita - Brahma Sutras - Smarta Tradition Mahayana Buddhism |
Sangam period (continued) | ||||||
2nd century খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | Indo-Greek Kingdom | Sunga Empire | Adivasi (tribes) | Early Cholas Early Pandyan Kingdom Cheras | ||||
1st century খ্রিষ্টপূর্বাব্দ | Yona | Maha-Meghavahana Dynasty | ||||||
1st century CE | Indo-Scythians Indo-Parthians |
Kuninda Kingdom | ||||||
2nd century | Pahlava | Varman dynasty | ||||||
3rd century | Kushan Empire | Western Satraps | Kamarupa kingdom | Kalabhras dynasty | ||||
সংস্কৃতি | "Golden Age of Hinduism"(c. 320-650 CE)[lower-alpha 10] Puranas Co-existence of Hinduism and Buddhism | |||||||
4th century | Gupta Empire | Kadamba Dynasty Western Ganga Dynasty | ||||||
5th century | Vishnukundina | |||||||
6th century | Maitraka | Adivasi (tribes) | ||||||
সংস্কৃতি | Late-Classical Hinduism (c. 650-1100 CE)[lower-alpha 11] Advaita Vedanta - Tantra Decline of Buddhism in India | |||||||
7th century | Maitraka | Indo-Sassanids | Vakataka dynasty, Harsha | Mlechchha dynasty | Adivasi (tribes) | Pallava | ||
8th century | Kidarite Kingdom | Kalachuri | ||||||
9th century | Indo-Hephthalites (Huna) | Gurjara-Pratihara | Chalukya | |||||
10th century | Pala dynasty Kamboja-Pala dynasty |
Rashtrakuta | ||||||
সংস্কৃতি | Islamic rule and "Sects of Hinduism" (c. 1100-1850 CE)[lower-alpha 12] - Medieval and Late Puranic Period (500–1500 CE)[lower-alpha 13] | |||||||
11th century | (Islamic conquests) Kabul Shahi (Islamic Empire) |
Pala Empire Paramara dynasty Solanki Eastern Ganga dynasty |
Sena dynasty | Adivasi (tribes) | Chola Empire Yadava dynasty Western Chalukyas Eastern Chalukyas Kakatiya dynasty Hoysala Empire | |||
12th century | Chola Empire | |||||||
13th century | Delhi Sultanate | |||||||
14th century | Delhi Sultanate | Vijayanagara Empire | ||||||
15th century | Delhi Sultanate | |||||||
16th century | Mughal Empire | |||||||
17th century | Mughal Empire | |||||||
সংস্কৃতি | British Colonisation - Company rule in India' | |||||||
18th century | ||||||||
সংস্কৃতি | British Colonisation - British Raj' | |||||||
19th century | ||||||||
সংস্কৃতি | British Raj - Independence struggle - Pakistan - India - Bangladesh' | |||||||
20th century | ||||||||
21stSmall text century | ||||||||
হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়।
আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্দু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ব করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসির লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসিদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে। এই কারনে তখনকার সভ্যতাকে বলা হয় বৈদিক সভ্যতা।
এই বৈদিক সভ্যতায় অর্থাৎ ঐ আমলে কোন মূর্তি পূজা করা হত না। সেই সময় হিন্দুদের প্রধান দেবতা ছিলেন ইন্দ্র, বরুন, অগ্নি এবং সোম। তারা যজ্ঞের মাধ্যমে পূজিত হত। তখনকার ঈশ্বর আরাধনা হত যজ্ঞ এবং বেদ পাঠের মাধ্যমে। সকল কাজের আগে যজ্ঞ করা ছিল বাঞ্ছনীয়। সে আমলে কোন মূর্তি বা মন্দির ছিল না। ধারনা করা হয়ে থাকে যে খ্রীস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ১০০ অব্দের মধ্যে রামায়ণ এবং মহাভারত শ্রুতিবদ্ধ হয়। বর্তমানে এই সমস্ত মহান ধর্ম গ্রন্থগুলোর লিখিত রূপ হয়েছে। এই রামায়ণ এবং মহাভারতে লিপিবদ্ধ আছে ধর্ম এবং যুদ্ধের কাহিনী। এছারাও পুরাণ নামে যে ধর্মগ্রন্থগুলো রয়েছে তাতে দেবতাদের এবং অসুরদের যুদ্ধ নিয়ে ঘটনা আছে।
যুগকরণ
জেমস মিল (১৭৭৩-১৮৩৬),তাঁর দ্য হিস্ট্রি অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া (১৮১৭) গ্রন্থে,[51] ভারতের ইতিহাসের তিনটি পর্যায়ক্রম করেছেন, যেমন হিন্দু, মুসলিম ও ব্রিটিশ সভ্যতা।[51][52] এই যুগকরণ, ভ্রান্ত ধারনা বৃদ্ধির জন্য সমালোচিত হয়েছে।[53] আরেকটি যুগকরণ হল "প্রাচীন, ধ্রুপদী, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সময়ের" মধ্যে বিভাগ।[54] স্মার্ট[55] এবং মাইকেলস[56] মনে হয় মিল-এর যুগকরণ অনুসরণ করেছেন,[note 6] যেখানে ফ্লাড[57] এবং মুয়েস[59][60] "প্রাচীন, ধ্রুপদী, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সময়সীমার" অনুসরণ করেছেন।[61]
বিভিন্ন যুগকে "ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম" হিসেবে মনোনীত করা হয়:
- স্মার্ট ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ১০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যের সময়কে "প্রাকধ্রুপদ" বলেন। এটা উপনিষদ্ এবং ব্রহ্মতত্ত্ব[note 7], জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম-এর জন্য গঠনমূলক সময়। স্মার্ট-এর মতে, "ধ্রুপদী যুগ" ১০০ থেকে ১০০০ খ্রীষ্টাব্দ স্থায়ী হয়, এবং ভারতের "ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম" প্রস্ফুটিত হওয়া এবং মহাযান-বৌদ্ধধর্ম-এর বিকাশ ও ক্ষয় সমানুপাতিক।[63]
- মাইকেলস-এর মতে, ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যের কাল একটি "তপস্বী সংস্কারবাদ"[64] যুগ, যেখানে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ১১০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যের যুগ "ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম"-এর সময়, যেহেতু "বৈদিকধর্ম এবং হিন্দুধর্মের মধ্যে একটি সন্ধিক্ষণ" আছে।[65]
- মুয়েস এক দীর্ঘ যুগ পরিবর্তনের পার্থক্য করেন, যেমন ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ, যা তিনি "ধ্রুপদী যুগ" বলেন। মুয়েস-এর মত অনুযায়ী, হিন্দুধর্মের কিছু মৌলিক ধারণা, যেমন কর্মবাদ, পুনর্জন্মবাদ ও "আত্মউদ্বোধন এবং রূপান্তর", বৈদিকধর্মে যা বিদ্যমান ছিল না, এই সময় বিকশিত হয়।[66]
স্মার্ট[55] | মাইকেলস (আনুপূর্বিক)[67] |
মাইকেলস (বিস্তারিত)[67] |
মুয়েস[60] | ফ্লাড[68] |
সিন্ধু সভ্যতা এবং বৈদিক যুগ (৩০০০ – ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
প্রাকবৈদিক ধর্ম (১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)[56] |
প্রাকবৈদিক ধর্ম (১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)[56] |
সিন্ধু সভ্যতা (৩৩০০ – ১৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
সিন্ধু সভ্যতা (২৫০০ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
বৈদিকধর্ম (১৭৫০ – ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
প্রারম্ভিক বৈদিক যুগ (১৭৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
বৈদিক যুগ (১৬০০ – ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
বৈদিক যুগ (১৫০০ – ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | |
মধ্য বৈদিক যুগ (১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে) | ||||
প্রাকধ্রুপদী যুগ (১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১০০ খ্রিষ্টাব্দ) |
অন্তিম বৈদিক যুগ (৮৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে) |
ধ্রুপদী যুগ (৮০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) | ||
তপস্বী সংস্কারবাদ (৫০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
তপস্বী সংস্কারবাদ (৫০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
মহাকাব্য এবং পৌরাণিক যুগ (৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) | ||
ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১১০০ খ্রিষ্টাব্দ)[65] |
প্রাকধ্রুপদী হিন্দুধর্ম (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৩০০ খ্রিষ্টাব্দ)[69] |
মহাকাব্য এবং পৌরাণিক যুগ (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) | ||
ধ্রুপদী যুগ (১০০ – ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ) |
"স্বর্ণযুগ" (গুপ্ত সাম্রাজ্য) (৩২০ – ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ)[70] | |||
ধ্রুপদোত্তর হিন্দুধর্ম (৬৫০–১১০০ খ্রিষ্টাব্দ)[71] |
মধ্যযুগীয় এবং পুরাণোত্তর যুগ (৫০০ – ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) |
মধ্যযুগীয় এবং পুরাণোত্তর যুগ (৫০০ – ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) | ||
হিন্দু মুসলমান সভ্যতা (১০০০ – ১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ) |
মুসলমান শাসন এবং "হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ" (১১০০ – ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)[72] |
মুসলমান শাসন এবং "হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ" (১১০০ – ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)[72] | ||
আধুনিক যুগ (১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল) |
আধুনিক যুগ (১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল) | |||
আধুনিক যুগ (১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ – বর্তমানকাল) |
আধুনিক হিন্দুধর্ম (১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)[73] |
আধুনিক হিন্দুধর্ম (১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)[73] |
প্রাকবৈদিক ধর্ম (১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)

বৈদিক যুগ (১৭৫০-৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
উত্পত্তি
| ||||||||||
| ||||||||||
বৈদিক ধর্ম
পাণ্ডুলিপি
সার্বজনীন নির্দেশ
"দ্বিতীয় নগরায়ণ" (৫০০-২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ-১১০০ খ্রীষ্টাব্দ)

প্রাকধ্রুপদী হিন্দুধর্ম (২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ-৩০০ খ্রীষ্টাব্দ)
"স্বর্ণযুগ" (গুপ্ত সাম্রাজ্য) (৩২০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ)
ধ্রুপদোত্তর হিন্দুধর্ম - পৌরাণিক হিন্দুধর্ম (৬৫০-১১০০ খ্রিষ্টাব্দ)
- আরও দেখুন ধ্রুপদোত্তর যুগ এবং হিন্দুধর্ম মধ্যযুগ
মুসলমান শাসন ও হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ (১১০০-১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)
আধুনিক হিন্দুধর্ম (১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)

ধর্মানুশীলন
উপাসনা
ধর্মানুষ্ঠান
তীর্থযাত্রা
প্রতীকীবাদ
উৎসব
মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসব
হিন্দু উৎসব (সংস্কৃত: उत्सव; আক্ষরিক অর্থে: উত্তরণ) প্রতীকী ধর্মানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা সুন্দরভাবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে ধর্মের পথে চালিত করে।[75] হিন্দুধর্মে সারা বছর ধরে অনেক উৎসব রয়েছে। হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকাতে সাধারণত তাদের তারিখ নির্ধারিত থাকে।
হিন্দু উৎসব সাধারণত পুরাণের ঘটনা অবলম্বনে, প্রায়শই ঋতু পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গে একত্রে উদযাপন করা হয়ে থাকে। সাধারণত উৎসবগুলি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ে আথবা ভারতীয় উপমহাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে উদযাপন করা হয়।
কিছু ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হিন্দু উৎসব হল:
- মকর সংক্রান্তি
- মহা শিবরাত্রি
- পোঙ্গল
- দোলযাত্রা
- নবরাত্রি
- সরস্বতী পূজা
- থাইপুসম
- রাম নবমী
- কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী
- গণেশ চতুর্থী
- শিগমো
- দশেরা
- দুর্গা পূজা
- দীপাবলি
- গুদী পাডবা
- উগাদি
- বিহু
- বোনালু
- রথ যাত্রা
- গুরু পূর্ণিমা
- রাখিবন্ধন
- ওনাম্
- গৌরী হব্য
- ছট্ পূজা
- বিষু
- কিছু ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হিন্দু উৎসব
- পরাশক্তি মন্দির-এ দেবী শক্তি, পন্টিয়াক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; নবরাত্রি-এর সময় দেবী হিসাবে লক্ষ্মী, দুর্গা ও সরস্বতী সুশোভিত
- কলকাতার রাস্তায় সরস্বতী পূজা-এর সময় দেবী সরস্বতী
- পশ্চিমবঙ্গ-এর একটি দুর্গা পূজা প্যাণ্ডেলে-এর দুর্গা প্রতিমা
- তামিলনাড়ু-এর একটি কার্যালয় পোঙ্গল উৎসব-এর জন্য সজ্জিত
- কেরালা-এর ওনম উত্সবের সময় থিরুবাথিরাকলি নৃত্য
ধর্মবিশ্বাস
হিন্দুধর্ম এমনই একটি মূলধারার ধর্মবিশ্বাস যা একটি সুবিস্তৃত ভৌগোলিক ক্ষেত্রে এক বহুধাবিভক্ত জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে বিকাশলাভ করেছে। এই বিকাশলাভ সম্ভবপর হয়েছে মূলত দুটি পন্থায়: হিন্দুধর্মের পুরনো রীতিনীতির নবীকরণ এবং বহিরাগত রীতিনীতি ও সংস্কৃতি থেকে আত্মীকরণ। এর ফলে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক বিরাট বৈচিত্র্যময় সমাবেশ গড়ে উঠেছে। এই সমাবেশে যেমন স্থান পেয়েছে অসংখ্য ছোটো ছোটো আদিম ধর্মমত, তেমনই স্থান পেয়েছে সমগ্র উপমহাদেশে লক্ষাধিক মতাবলম্বী সমন্বিত প্রধান ধর্মসম্প্রদায়গুলিও। বৌদ্ধধর্ম বা জৈনধর্মের থেকে পৃথক ধর্মবিশ্বাসরূপে হিন্দুধর্মের পরিচিতিও তাই এই মতাবলম্বীদের অনুমোদনসাপেক্ষ বিষয়।[76]
হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান উপাদানগুলি হল: ধর্ম (নৈতিকতা/কর্তব্য), সংসার (জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চক্র), কর্ম (ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া), মোক্ষ (সংসার থেকে মুক্তি) ও বিভিন্ন যোগ (ধর্মানুশীলনের পন্থা)।[77]
ঈশ্বর ধারণা
একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ,[78] সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর।[79]
হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত।[80] অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত।[81] অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা।[82] উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন।[80][83]
দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরোপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শক্তিরূপে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর।[84] পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু[85]), ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি[85]) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু[85]) নামে আখ্যাত।[81] অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন।[81] অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন।[86]
দেবতা ও অবতারগণ
হিন্দুধর্মে দৈব ব্যক্তিত্বদের দেব (স্ত্রীলিঙ্গে দেবী) নামে অভিহিত করা হয়। বাংলায় দেবতা শব্দটি দেব শব্দের সমার্থক শব্দরূপে বহুল প্রচলিত। শব্দটির আক্ষরিক দৈব সত্ত্বা। আবার ইংরেজি ভাষায় শব্দটি গড শব্দের সমার্থক।[87] হিন্দু সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হিন্দু দেবগণ। চিত্রকলা ও স্থাপত্যে মূর্তির আকারে এবং বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থে, বিশেষত ভারতীয় মহাকাব্য ও পুরাণে নানান উপাখ্যানে তাদের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঈশ্বরের থেকে এঁরা পৃথক। অনেক হিন্দুই তাদের ইষ্টদেবতার রূপে ঈশ্বরকে পূজা করে থাকেন।[88][89] ইষ্টদেবতার নির্বাচন ব্যক্তিগত,[90] আঞ্চলিক বা পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে হয়ে থাকে।[90]
- কিছু উল্লেখযোগ্য হিন্দু দেবতা ও অবতারগণ
হিন্দু মহাকাব্যে ও পুরাণের একাধিক কাহিনিতে বর্ণিত হয়েছে, কেমন করে দেবগণ মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়ে সমাজে ধর্ম সুরক্ষিত করেছেন এবং মানুষকে মোক্ষ পথে চালিত করেছেন। এই প্রকারের অবতীর্ণ রূপ অবতার নামে পরিচিত। হিন্দুধর্মে বিষ্ণুর অবতারগণ বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। রামায়ণের নায়ক রাম ও মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র কৃষ্ণ বিষ্ণুরই অবতার রূপে চিত্রিত।
কর্ম ও সংসার
কর্মের আক্ষরিক অর্থ হল কার্য, ক্রিয়া অথবা করণ এবং বলা যেতে পারে এটি হল "কারণ এবং করণের (কার্যের) নৈতিক ধর্ম"। উপনিষদ্ মতে একজন মানুষ (অর্থাত্ জীবত্মা) সংস্কার (লব্ধ জ্ঞান) অর্জন করে তার শারিরীক ও মানসিক কর্মের মধ্যে দিয়ে। মানুষের মৃত্যুর পর সমস্ত সংস্কারগুলি যথাযথ ভাবে তার লিঙ্গ-শরীরে (যে শরীর রক্ত-মাংসের শরীর থেকে সুক্ষ অথচ আত্মার থেকে স্থূল) বিদ্যমান থাকে এবং পরজন্মে তার সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ তৈরী করে। সুতরাং, একটি সর্বজনীন, নিরপেক্ষ, এবং অব্যর্থ কর্মের ধারণা মানুষের পুনর্জন্মলাভের সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যক্তিত্ব, বৈশিষ্ট্য, এবং পরিবার সম্পর্কিত ধারণার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ও ভাগ্য প্রভৃতি ধারণাগুলিকে কর্ম একত্রে সংযুক্ত করেছে।
কার্য, কারণ, জন্ম, মৃত্যু এবং পুনর্জন্মের বৃত্তাকার পরম্পরাই হল সংসার। দেহধারণ এবং কর্মফল ধারণা সম্পর্কে হিন্দুধর্মে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ চিন্তার প্রকাশ দেখা যায়। শ্রীমদ্ভগ্বতগীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে: বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
- নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
- ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।
অর্থাৎ: মানুষ যেমন জীর্ণ-শীর্ণ পুরোনো বস্ত্রগুলি ত্যাগ করে অন্য নতুন বস্ত্র গ্রহণ করে, সেইরূপ জীবাত্মা পুরোনো শরীর ত্যাগ করে অন্য নতুন শরীর গ্রহণ করে।
যেখানে সংসার ক্ষণিকের আনন্দ দেয়, যা মানুষকে আরেকটি বিনাশশীল শরীর পরিগ্রহ করতে উত্সাহী করে। সেখানে মোক্ষ এই সংসারের গণ্ডী থেকে মুক্ত হয়ে চির আনন্দ ও শান্তির বিশ্বাস প্রদান করে। হিন্দুধর্মের বিশ্বাস যে অনেকগুলি জন্মান্তরের পর অবশেষে জীবাত্মা মহাজাগতিক আত্মায় (ব্রহ্ম/পরমাত্মা) মিলিত হতে ব্যাকুল হয়।
জীবনের চরম লক্ষ্যকে (চরম লক্ষ্য বলতে এখানে মোক্ষ অথবা নির্বাণ অথবা সমাধি) বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়েছে: যেমন ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্মতার বোধ; যেমন ঈশ্বরের সঙ্গে অবিছ্যেদ্য সম্পর্কের বোধ; যেমন সমস্ত বস্তুর সম্পর্কে অদ্বৈত বোধ; যেমন আত্ম বিষয়ক বিশুদ্ধ নিস্বার্থতা ও জ্ঞান; যেমন নিখুঁত মানসিক শান্তিলাভ; এবং যেমন পার্থিব বাসনার থেকে অনাসক্তি বোধ। এই ধরনের উপলব্ধি মানুষকে সংসার এবং পুনর্জন্মের বন্ধন থেকে মুক্ত করে। আত্মার অবিনশ্বরতায় বিশ্বাস থাকার ফলে, মৃত্যুকে পরমাত্মার তুলনায় নেহাত্ই তুচ্ছ মনে হয়। অত:পর, একজন ব্যক্তি যার কোন ইচ্ছা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাকি নেই এবং জীবনের কোন দায়িত্বই বাকি নেই অথবা একটিও রিপু দ্বারা আক্রান্ত নয়, সে প্রায়োপবেশন (সংস্কৃত ভাষায় प्रायोपवेशनम्, যার আক্ষরিক অর্থ হল মৃত্যু কামনায় উপবাসের মাধ্যমে দেহত্যাগ) দ্বারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে।
মোক্ষের ধারণা সম্বলিত বিষয়গুলি বিভিন্ন হিন্দু দার্শনিক গোষ্ঠীগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন। উদাহরণ স্বরূপ, যেমন অদ্বৈত বেদান্তবাদীরা বিশ্বাস করে যে মোক্ষ লাভের পর একটি জীবাত্মা নিজেকে পরমব্রহ্ম ব্যতীত অন্য কিছু মনে করতে পারেনা। আবার দ্বৈতবাদীরা নিজেদের ব্রহ্মের অংশ বলে মনে করে, এবং মোক্ষ লাভের পর স্বর্গালোকে ঈশ্বরের সঙ্গে অনান্তকাল বাস করবে বলে বিশ্বাস করে। সুতরাং, এক কথায় বলা যায় যে যেখানে দ্বৈতবাদীরা চায় "চিনি খেতে", সেখানে অদ্বৈতবাদীরা চায় "চিনি হতে"।
মানবজীবনের উদ্দেশ্য
পরপারে গোলকৃন্দাবনে গিয়া পরম করুণাময় ভগবাণের চরণের সেবা করা ।
যোগ
ধর্মগ্রন্থ
হিন্দুধর্ম "বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা আবিষ্কৃত আধ্যাত্মিক আইন সঞ্চিত কোষাগার"-এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।[91][92] লিপিবদ্ধ করার আগে বহু শতাব্দী ধরে, ধর্মগ্রন্থগুলি মুখস্থ বিদ্যার সাহায্যে পদ্য আকারে মুখে মুখে প্রেরিত হয়েছে।[93] বহু শতাব্দী ধরে, ঋষিগণ ধর্মশাস্ত্রগুলিকে পরিবর্ধিত এবং তার শিক্ষাসমূহের পরিমার্জন করেছেন। বৈদিক পরবর্তী এবং বর্তমান হিন্দুদের বিশ্বাস, অধিকাংশ হিন্দু ধর্মগ্রন্থের সাধারণতঃ আক্ষরিক ব্যাখ্যা করা হয় না। অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় সেগুলির সঙ্গে সংযুক্ত নৈতিকতা এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত রূপক অলংকারযুক্ত অর্থবাদে।[94] অধিকাংশ পবিত্র গ্রন্থগুলি সংস্কৃত ভাষায় লিখিত। ধর্মগ্রন্থগুলি শ্রুতি ও স্মৃতি এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত।
শ্রুতি

শ্রুতি (আক্ষরিক অর্থে: যা শুনতে হয় অর্থাত্ শ্রোতব্য)[95] বলতে প্রাথমিকভাবে বেদকে বোঝায়, যা হিন্দু ধর্মগ্রন্থের প্রাচীনতম সাক্ষ্যপ্রমাণ। যদিও বেশিরভাগ হিন্দু বেদকে শাশ্বত সত্য প্রকাশ হিসাবে এবং প্রাচীন মুণিদের (Ṛṣis) দ্বারা শ্রুত বলে সম্মান করে,[92][96] কিছু ভক্ত কোনও দেবতা বা ব্যক্তি বেদ সৃষ্টির সাথে সংযুক্ত নয় বলে মনে করে। তারা এটিকে আধ্যাত্মিক জগতের আইন হিসাবে মনে করে, যা ঋষিদের দ্বারা উদ্ভূত না হওয়া সত্ত্বেও এখনও বিদ্যমান।[91][97][98] হিন্দুদের বিশ্বাস, যেহেতু বেদের আধ্যাত্মিক সত্য শাশ্বত, সেহেতু সেগুলিকে অবিরত নতুন উপায়ে প্রকাশ করা সম্ভব।[99]
বেদ চার ভাগে বিভক্ত (ঋক, সাম, যজু এবং অথর্ব)। ঋগ্বেদ হল সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেদ।[100] প্রত্যেক বেদ আবার চার ভাগে বিভক্ত: প্রাথমিক ভাগ, মূল বেদ, সংহিতা বর্তমান, যাতে পবিত্র মন্ত্র রয়েছে। অন্য তিনটি অংশ সাধারণত গদ্য আকারে গঠিত ত্রিস্তর আলোচনা সমাহার এবং সংহিতা থেকে বয়সে সামান্য পরবর্তীকালের বলে বিশ্বাস করা হয়। এগুলি হল: ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ্। প্রথম দুটি অংশকে পরবর্তীকালে কর্মকাণ্ড (আনুষ্ঠানিক অংশ) বলা হয়েছে, যেখানে শেষের দুইটি অংশ নিয়ে জ্ঞানকান্ড (শিক্ষামূলক অংশ) গঠিত।[web 3] যেখানে বেদ ধর্মানুষ্ঠানের উপর কেন্দ্রীভূত, সেখানে উপনিষদ আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি ও দার্শনিক শিক্ষার উপর অধিশ্রিত, এবং ব্রহ্ম ও জন্মান্তর বিষয়ে আলোচিত।[94][101][102]
বৃহদারণ্যক উপনিষদের একটি সুপরিচিত শ্লোক হল:
অসতো মা সদ্গময় ।
তমসো মা জ্যোতির্গময় ।
মৃত্যোর্ মা অমৃতম্ গময় ।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।।
বঙ্গানুবাদ:
অবাস্তব থেকে বাস্তবে আমাদের পথপ্রদর্শন কর ।
অন্ধকার থেকে আলোকে আমাদের পথপ্রদর্শন কর ।
মৃত্যু থেকে অমরত্বে আমাদের পথপ্রদর্শন কর ।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।। [103][note 8]
স্মৃতি

শ্রুতি ছাড়া অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিকে সামগ্রিকভাবে স্মৃতি (যে বিষয় স্মরণ করা হইয়াছে) বলা হয়। স্মৃতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মহাকাব্যগুলি, যা মহাভারত এবং রামায়ণ ইত্যাদিতে নিহিত রয়েছে। ভগবদ্গীতা মহাভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং হিন্দুধর্মের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এতে একটি মহান যুদ্ধ প্রাক্কালে রাজকুমার অর্জুনকে বলা, একজন বিষ্ণু অবতার, শ্রীকৃষ্ণ থেকে প্রাপ্ত দার্শনিক শিক্ষা রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা কথিত, ভগবদ্গীতা, বেদের সারাংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[104] তবে কখনও কখনও গীতোপনিষদ্ বলে উল্লেখিত, ভগবদ্গীতা, ঔপনিষদি্ক তত্ত্বের কারণে, বিভাগ হিসাবে, প্রায় শ্রুতির মধ্যেই ধরা হয়।[105] স্মৃতির অন্তর্গত পুরাণ, যা বিভিন্ন অবিস্মরণীয় আখ্যায়িকা দ্বারা হিন্দু ধারণা চিত্রিত করে। এর অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল দেবীমাহাত্ম্যম্, তন্ত্র, যোগসুত্র, তিরুমন্ত্রম্, শিবসূত্র এবং হিন্দু আগম। মনুস্মৃতি হল একটি প্রচলিত নীতিগ্রন্থ, যা সামাজিক স্তরবিন্যাসের উপর নিবন্ধিত সামাজিক নিয়মাবলী, যা পরে ভারতীয় বর্ণাশ্রম তৈরি করতে সমাজকে সাহায্য করেছে।[106]
ভগবদ্গীতা থেকে কর্মযোগ সম্বন্ধে একটি ধারণা বর্ণনার একটি সুপরিচিত শ্লোক ব্যাখ্যা করা হয় নিম্নরূপে - [107][108]
কর্মেই তোমার অধিকার, কর্মফলে কখনও তোমার অধিকার নাই ।
কর্মফল যেন তোমার কর্মপ্রবৃত্তির হেতু না হয়, কর্মত্যাগেও যেন তোমার প্রবৃত্তি না হয় ।। (অ: ২। শ্লোক ৪৭)
সামাজিক প্রতিষ্ঠান
সম্প্রদায়
বর্ণ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৪টা বর্ণ রয়েছে। যথাঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। তবে বর্তমানে কায়স্থ, বদ্যী প্রভৃতি নান উপবর্ণের সৃষ্টি হয়েছে।
আশ্রম
সন্ন্যাস
অহিংসা, নিরামিষভোজন এবং অন্যান্য খাদ্যরীতি
ধর্মান্তর
হিন্দু প্রথার বিস্তার
জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুধর্ম

দেশ অনুযায়ী হিন্দুধর্ম |
---|
![]() ![]() |
আফ্রিকা
|
এশিয়া
|
ক্যারিবিয়ান
|
ইউরোপ
|
উত্তর আমেরিকা
|
ওশেনিয়া
|
দক্ষিণ আমেরিকা
|
পূর্ণাঙ্গ তালিকা |
হিন্দুধর্ম ভারতের একটি প্রধান ধর্ম। দেশের ১২১ কোটি (২০১২ সালের গণনা অনুযায়ী) জনসংখ্যার প্রায় ৮০.৫% (প্রায় ৯৬ কোটি) মানুষ হিন্দুধর্মালম্বী।[web 4] অন্যান্য উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা পাওয়া যায় নেপাল (২.৩ কোটি), বাংলাদেশ (২.১ কোটি) এবং ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ (৩৩ লক্ষ) প্রভৃতি যায়গায়। এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিয়েতনামী চ্যাম সম্প্রদায়ের মানুষ হিন্দুধর্ম অনুসরণ করে।[109]
দেশ অনুসারে হিন্দুধর্ম (২০০৮ এর পরিসংখ্যান) থেকে দেশের নিরীখে সর্বাধিক অনুপাতে হিন্দুধর্মালম্বী:
নেপাল ৮১.৩%[web 5] ভারত ৮০.৫%[web 6] মরিশাস ৪৮.৫%[web 7] গায়ানা ২৮%[web 8] ফিজি ২৭.৯%[web 9] ভূটান ২৫%[web 10] ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ২২.৫%[web 11] সুরিনাম ২০%[web 12] শ্রীলঙ্কা ১২.৬%[web 13] বাংলাদেশ ৮%[web 14] কাতার ৭.২%[web 15] ফ্রান্স (রেউনিওঁ দ্বীপ) ৬.৭%[web 16] মালয়েশিয়া ৬.৩%[web 17] বাহরাইন ৬.২৫%[web 18] কুয়েত ৬%[web 19] সিঙ্গাপুর ৫.১%[web 20] সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫%[web 21] ওমান ৩%[web 22] বেলিজ ২.৩%[web 23] সেশেল ২.১%[web 24]
জনসংখ্যার দিক থেকে, খ্রিস্টান এবং ইসলামের পরে হিন্দুধর্ম হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম।
আরও দেখুন
- হিন্দুধর্ম
- হিন্দু
- হিন্দুধর্মে নাস্তিকতা
- হিন্দুধর্মের ইতিহাস
- হিন্দু দেওয়ালপঞ্জিকা
- হিন্দু দেবতা
- হিন্দু শাখাসম্প্রদায়
- হিন্দু পুরাণ
- হিন্দু জাতীয়তাবাদ
- দেশ অনুসারে হিন্দুধর্ম
- হিন্দুধর্মে বেদের ভূমিকা
- হিন্দু নীতিশাস্ত্র
- হিন্দু গুরু
- হিন্দু মন্দিরগুলির তালিকা
- বিশিষ্ট হিন্দুদের তালিকা
- ধর্মান্তরিত হিন্দুদের তালিকা
- হিন্দুধর্ম সম্পর্কিত নিবন্ধ তালিকা
- ধর্ম ও রীতিনীতি সম্পর্কিত
- ভারতের ধর্মবিশ্বাস
- প্রাচ্য দর্শন
- হিন্দু দর্শন
- বৌদ্ধধর্ম
- জৈনধর্ম
- শিখধর্ম
- ইসলাম ধর্ম
- খ্রিস্টধর্ম
- ইহুদি ধর্ম
- জরথুস্ত্রীয় ধর্ম
- খ্রিস্টধর্ম ও হিন্দুধর্ম
- বৌদ্ধধর্ম ও হিন্দুধর্ম
- হিন্দু–ইসলাম সম্পর্ ও হিন্দুধর্ম
- ইহুদি ধর্ম ও হিন্দুধর্ম
- জৈনধর্ম ও হিন্দুধর্ম
- শিখধর্ম ও হিন্দুধর্ম
- আদি-ইন্দো-ইউরোপীয় ধর্ম
- আদি-ইন্দো-ইরানীয় ধর্ম
পাদটীকা
- See:
- "Oldest religion":
- Fowler: "probably the oldest religion in the world" (Fowler 1997, পৃ. 1)
- Gellman & Hartman: "Hinduism, the world's oldest religion" (Gellman ও Hartman 2011)
- Stevens: "Hinduism, the oldest religion in the world" (Stevens 2001, পৃ. 191)
- The "oldest living religion" (Sarma 1987, পৃ. 3)
- The "oldest living major religion" in the world (Merriam-Webster 2000, পৃ. 751; Klostermaier 2007, পৃ. 1)
- Laderman: "world's oldest living civilisation and religion" (Laderman 2003, পৃ. 119)
- Turner: "It is also recognized as the oldest major religion in the world" (Turner 1996-B, পৃ. 359)
- "Oldest religion":
- Among its roots are the Vedic religion of the late Vedic period (Flood 1996, পৃ. 16) and its emphasis on the status of Brahmans (Samuel 2010, পৃ. 48–53), but also the religions of the Indus Valley Civilisation (Narayanan 2009, পৃ. 11; Lockard 2007, পৃ. 52; Hiltebeitel 2007, পৃ. 3; Jones ও Ryan 2006, পৃ. xviii) the Sramana or renouncer traditions of north-east India (Flood 1996, পৃ. 16; Gomez 2013, পৃ. 42) and "popular or local traditions" (Flood 1996, পৃ. 16).
- Michaels mentions Flood 1996[57] as a source for "Prevedic Religions".[58]
- Smart distinguishes "Brahmanism" from the Vedic religion, connecting "Brahmanism" with the Upanishads.[62]
- ॐ असतो मा सद्गमय । तमसो मा ज्योतिर्गमय
मृत्योर्मामृतं गमय
তথ্যসূত্র
- Hinduism is variously defined as a "religion", "set of religious beliefs and practices", "religious tradition" etc. For a discussion on the topic, see: "Establishing the boundaries" in Gavin Flood (2003), pp. 1–17. René Guénon in his Introduction to the Study of the Hindu Doctrines (1921 ed.), Sophia Perennis, আইএসবিএন ০-৯০০৫৮৮-৭৪-৮, proposes a definition of the term "religion" and a discussion of its relevance (or lack of) to Hindu doctrines (part II, chapter 4, p. 58).
- The Concise Oxford Dictionary of World Religions. Ed. John Bowker. Oxford University Press, 2000;
- The term "Dharma" connotes much more than simply "law". It is not only the doctrine of religious and moral rights, but also the set of religious duties, social order, right conduct and virtuous things and deeds. As such Dharma is the Code of Ethics. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ আগস্ট ২০১১ তারিখে The modern use of the term can be traced to late 19th century Hindu reform movements (J. Zavos, Defending Hindu Tradition: Sanatana Dharma as a Symbol of Orthodoxy in Colonial India, Religion (Academic Press), Volume 31, Number 2, April 2001, pp. 109–123; see also R. D. Baird, "Swami Bhaktivedanta and the Encounter with Religions", Modern Indian Responses to Religious Pluralism, edited by Harold Coward, State University of New York Press, 1987); less literally also rendered "eternal way" (so Harvey, Andrew (২০০১), Teachings of the Hindu Mystics, Boulder: Shambhala, xiii, আইএসবিএন 1-57062-449-6 ). See also René Guénon, Introduction to the Study of the Hindu Doctrines (1921 ed.), Sophia Perennis, আইএসবিএন ০-৯০০৫৮৮-৭৪-৮, part III, chapter 5 "The Law of Manu", p. 146. On the meaning of the word "Dharma", see also René Guénon, Studies in Hinduism, Sophia Perennis, আইএসবিএন ০-৯০০৫৮৮-৬৯-৩ ISBN বৈধ নয়, chapter 5, p. 45
- Osborne 2005, পৃ. 9
- Morgan, Sarma 1953
- Merriam-Webster's Collegiate Encyclopedia, Merriam-Webster, ২০০০, পৃষ্ঠা 751, আইএসবিএন 0877790175
- Laderman, Gary (২০০৩), Religion and American Cultures: An Encyclopedia of Traditions, Diversity, and Popular Expressions, Santa Barbara, Calif: ABC-CLIO, পৃষ্ঠা 119, আইএসবিএন 1-57607-238-X,
world's oldest living civilization and religion
- Turner, Jeffrey S. (১৯৯৬), Encyclopedia of relationships across the lifespan, Westport, Conn: Greenwood Press, পৃষ্ঠা 359, আইএসবিএন 0-313-29576-X,
It is also recognized as the oldest major religion in the world
- Klostermaier 1994, পৃ. 1
- Bowker 2000; Harvey 2001, পৃ. xiii; Knott 1998, পৃ. 5
- Hiltebeitel 2007, পৃ. 12; Flood 1996, পৃ. 16; Lockard 2007, পৃ. 50
- Samuel 2010, পৃ. 193।
- Osborne 2005, পৃ. 9।
- Narayanan 2009, পৃ. 11।
- PV Kane, Samanya Dharma ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে, History of Dharmasastra, Vol. 2, Part 1, pages 4-5;
Alban Widgery, The Principles of Hindu Ethics ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে, International Journal of Ethics, Vol. 40, No. 2, pages 232-245 - Bilimoria et al. (eds.), Indian Ethics: Classical Traditions and Contemporary Challenges (2007), p. 103; see also John Koller, Puruṣārtha as Human Aims, Philosophy East and West, Vol. 18, No. 4 (Oct., 1968), pp. 315-319
- Gavin Flood (1997), “The Meaning and Context of the Puruṣārthas”, In The Bhagavadgītā for Our Times (Editor: Julius J. Lipner), Oxford University Press, pages 11–27, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৫৬৫০৩৯৬
- A Bhattacharya (2009), Applied Ethics, Center for Applied Ethics and Philosophy, Hokkaido University, আইএসবিএন ৯৭৮-৪৯৯০৪০৪৬১১, pages 63-64
- Andrew Fort and Patricia Mumme (1996), Living Liberation in Hindu Thought, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৯১৪-২৭০৬-৪
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১০।
- "Major Religions of the World Ranked by Number of Adherents"। Adherents.com। ২০১৬-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-১০।
- The Gita Dhyanam is a traditional short poem sometimes found as a prefatory to editions of the Bhagavad Gita. Verse 4 refers to all the Upanishads as the cows, and the Gita as the milk drawn from them. (Chidbhavananda 1997, পৃ. 67–74)
- "India", Oxford English Dictionary, second edition, 2100a.d. Oxford University Press.
- "Rig Veda: Rig-Veda, Book 10: HYMN LXXV. The Rivers"। Sacred-texts.com। ২০১০-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-০১।
- Thapar, R. 1993. Interpreting Early India. Delhi: Oxford University Press. p. 77
- Thompson Platts, John, A dictionary of Urdu , classical Hindī, and English, W.H. Allen & Co., Oxford University 1884
- O'Conell, Joseph T. (১৯৭৩), "The Word 'Hindu' in Gauḍīya Vaiṣṇava Texts", Journal of the American Oriental Society, 93 (3): 340–344, doi:10.2307/599467, ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১০.
- "Sanatana Dharma – वेद Veda"। Veda.wikidot.com। ২০১০-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-০১।
- "Hindu Sects and Schools"। ReligionFacts। ২০১০-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-০১।
- "...that many-sided and all-enfolding culture which we in the West have chosen to call Hinduism" Jan Gonda, Visnuism and Sivaism, Munshiram Manoharlal. 1996, আইএসবিএন ৮১-২১৫-০২৮৭-X p. 1. cited by Welbon, G.R. (Journal of the American Academy of Religion, Vol. 43, No. 1, 98+100. March, 1975.), Review: Love of God According to Saiva Siddhanta: A Study in the Mysticism and Theology of Saivism by Mariasusay Dhanamoy. এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য); - Bryan S. Turner "Essays on the Sociology of Fate - Page 275"
- Flood 2001, Defining Hinduism
- Merriam-Webster's Encyclopedia of World Religions, p. 434
- Vaz, P. (২০০১), "Coexistence of Secularism and Fundamentalism in India", Handbook of Global Social Policy: 124, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৬,
Hinduism is the oldest of all the major world religions.
- Eastman, R. (১৯৯৯)। The Ways of Religion: An Introduction to the Major Traditions। Oxford University Press, USA।
- Joel Beversluis (২০০০)। Sourcebook of the World's Religions: An Interfaith Guide to Religion and Spirituality (Sourcebook of the World's Religions, 3rd ed)। Novato, Calif: New World Library। পৃষ্ঠা 50। আইএসবিএন 1-57731-121-3।
- Weightman ও Klostermaier 1994, পৃ. 1
- Bhagavad Gita, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন: "Hinduism is not just a faith. It is the union of reason and intuition that can not be defined but is only to be experienced."
- Ferro-Luzzi,(1991)The Polythetic-Prototype Approach to Hinduism in G.D. Sontheimer and H. Kulke (ed.) Hinduism Reconsidered. Delhi: Manohar. pp. 187-95
- Smart, (1993) The Formation Rather than the Origin of a Tradition,in DISKUS: A Disembodied Journal of Religious Studies, vol. 1, no. 1, p. 1
- Smith, W.C. (1962) The Meaning and End of Religion. San Francisco, Harper and Row. p. 65
- Stietencron, on, Hinduism: On the Proper Use of A Deceptive Term, pp.1-22
- Halbfass, (1991) Tradition and Reflection. Albany, SUNY Press. pp. 1-22
- "JSTOR: Philosophy East and West, Vol. 34, No. 2 (Apr., 1984 ), pp. 234-236"। www.jstor.org।
- David Kopf। "Review: Imagining India by Ronald Inden: Journal of the American Oriental Society, Vol. 112, No. 4 (Oct. - Dec., 1992 ), pp. 674-677"। www.jstor.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৪।
- Hinduism in Britain Kim Knott, (2000) The South Asian Religious Diaspora in Britain, Canada, and a United States.
- Harvey, Andrew (২০০১)। Teachings of the Hindu Mystics। Boulder: Shambhala। xiii। আইএসবিএন 1-57062-449-6।
- Feuerstein 200, পৃ. 600।
- Clarke 2006, পৃ. 209।
- J. McDaniel Hinduism, in John Corrigan, The Oxford Handbook of Religion and Emotion, (2007) Oxford University Press, 544 pages, pp. 52-53 আইএসবিএন ০-১৯-৫১৭০২১-০
- Khanna 2007, পৃ. xvii।
- Misra 2004, পৃ. 194।
- Kulke 2004, পৃ. 7।
- Flood 1996, পৃ. 21।
- Smart 2003, পৃ. 52-53।
- Michaels 2004, পৃ. 32।
- Flood 1996।
- Michaels 2004, পৃ. 31, 348।
- Muesse 2003।
- Muesse 2011।
- Muesse 2011, পৃ. 16।
- Smart 2003, পৃ. 52, 83-86।
- Smart 2003, পৃ. 52।
- Michaels 2004, পৃ. 36।
- Michaels 2004, পৃ. 38।
- Muesse 2003, পৃ. 14।
- Michaels 2004।
- Flood ও 1996 21-22।
- Michaels 2004, পৃ. 39।
- Michaels 2004, পৃ. 40।
- Michaels 2004, পৃ. 41।
- Michaels 2004, পৃ. 43।
- Michaels 2004, পৃ. 45।
- Christopher I. Beckwith (2009), Empires of the Silk Road, Oxford University Press, p.30
- Hindu culture, custom, and ceremony ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মে ২০১৪ তারিখে, p195, Brojendra Nath Banerjee, Agam, 1978, 26 May 2009
- Weightman 1998, পৃ. 262–264 "It is Hindu self-awareness and self-identity that affirm Hinduism to be one single religious universe, no matter how richly varied its contents, and make it a significant and potent force alongside the other religions of the world."
- Brodd, Jefferey (২০০৩)। World Religions। Winona, MN: Saint Mary's Press। আইএসবিএন 978-0-88489-725-5।
- "Polytheism"। Encyclopædia Britannica। Encyclopædia Britannica Online। ২০০৭। ২০১১-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০৫।
- See Michaels 2004, পৃ. xiv and Gill, N.S। ""Henotheism""। About, Inc। ২০১১-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০৫।
- Monier-Williams 1974, পৃ. 20–37
- ও Bhaskarananda 1994
- Vivekananda 1987
- Werner 1994, পৃ. p37
- Werner 1994, পৃ. 7
- Monier-Williams 2001
- Sen Gupta 1986, পৃ. viii
- For translation of deva in singular noun form as "a deity, god", and in plural form as "the gods" or "the heavenly or shining ones", see: Monier-Williams 2001, পৃ. 492. In fact, there are different ranks among the devas. The highest are the immortal Mahadevas, such as Shiva, Vishnu, etc. The second-rank devas, such as Ganesha, are described as their offspring: they are "born", and their "lifespan" is quite limited. In ISKCON the word is translated as "demigods", although it can also denote such heavenly denizens as gandharvas. See: "Vedic cosmology"। Vedic Knowledge Online। VEDA - Bhaktivedanta Book Trust। ২০০৭-০৬-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২৫।. For translation of devatā as "godhead, divinity", see: Monier-Williams 2001, পৃ. 495.
- Werner 1994, পৃ. 80
- Renou 1961, পৃ. 55
- Harman 2004, পৃ. 104–106
- Vivekananda 1987, পৃ. 6–7 Vol I
- Vivekananda 1987, পৃ. 118–120 Vol III
- Sargeant ও Chapple 1984, পৃ. 3
- Nikhilananda 1990, পৃ. 3–8
- Rinehart 2004, পৃ. 68।
- Flood 2008, পৃ. 4।
- Note: Nyaya-Vaisheshika believe that the Vedas were created by God, not eternal.
- Harshananda, Swami (১৯৮৯), A Bird's Eye View of the Vedas, in "Holy Scriptures: A Symposium on the Great Scriptures of the World" (2nd সংস্করণ), Mylapore: Sri Ramakrishna Math, আইএসবিএন 81-7120-121-0
- Vivekananda 1987, পৃ. 374 Vol II
- Rigveda is not only the oldest among the vedas, but is one of the earliest Indo-European texts.
- Werner 1994, পৃ. 166
- Monier-Williams 1974, পৃ. 25–41
- Brihadaranyaka Upanishad 1.3.28
- Sarvopaniṣado gāvo, etc. (Gītā Māhātmya 6). Gītā Dhyānam, cited in Introduction to Bhagavad-gītā As It Is ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ মার্চ ২০১৪ তারিখে.
- Thomas B. Coburn, Scripture" in India: Towards a Typology of the Word in Hindu Life, Journal of the American Academy of Religion, Vol. 52, No. 3 (September, 1984), pp. 435-459
- Sawant, Ankush (১৯৯৬), Manu-smriti and Republic of Plato: a comparative and critical study, Himalaya Pub. House
- Radhakrishnan 1993, p. 119
- The Bhagavad Gita ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে, Eknath Easwaran, Edition 2, Nilgiri Press, 2007, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৩৮-০১৯-৯
- "Vietnam"। State.gov। ২০০২-১০-২২। ২০১২-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৭।
উৎস
প্রকাশিত উত্স
- Banerji, S. C. (1992), written at Delhi, Tantra in Bengal (Second Revised and Enlarged ed.), Manohar, ISBN 81-85425-63-9
- Basham, A.L (1999), A Cultural History of India, Oxford University Press, ISBN 0-19-563921-9
- Bhaktivedanta, A. C. (1997), Bhagavad-Gita As It Is, Bhaktivedanta Book Trust, ISBN 089213285X, <http://bhagavadgitaasitis.com/>
- Bhaskarananda, Swami (1994), written at Seattle, WA, The Essentials of Hinduism: a comprehensive overview of the world's oldest religion, Viveka Press, ISBN 1-884852-02-5
- Bhattacharyya, N.N (1999), written at Delhi, History of the Tantric Religion (Second Revised ed.), Manohar Publications, ISBN 81-7304-025-7
- Chidbhavananda, Swami (1997), The Bhagavad Gita, Sri Ramakrishna Tapovanam
- Eliot, Sir Charles (2003), Hinduism and Buddhism: An Historical Sketch, vol. I (Reprint ed.), Munshiram Manoharlal, ISBN 8121510937
- Guénon, René (1921), Introduction to the Study of the Hindu Doctrines (1921 ed.), Sophia Perennis, ISBN 0-900588-74-8
- Guénon, René, Studies in Hinduism (1966 ed.), Sophia Perennis, ISBN 0-900588-69-3
- Guénon, René, Man and His Becoming According to the Vedanta (1925 ed.), Sophia Perennis, ISBN 0-900588-62-4
- Monier-Williams, Monier (2001), written at Delhi, English Sanskrit dictionary, Motilal Banarsidass, ISBN 8120615093, <http://www.ibiblio.org/sripedia/ebooks/mw/index.html>. Retrieved on 2007-07-24
- Nikhilananda, Swami (1990), written at New York, The Upanishads: Katha, Iśa, Kena, and Mundaka, vol. I (5th ed.), Ramakrishna-Vivekananda Center, ISBN 0-911206-15-9
- Nikhilananda, Swami (trans.) (1992), written at New York, Gospel of Sri Ramakrishna (8th ed.), Ramakrishna-Vivekananda Center, ISBN 0-911206-01-9
- Oberlies, T (1999), written at Vienna, Die Religion des Rgveda, Institut für Indologie der Universität Wien, ISBN 3900271321
- Osborne, E (2005), Accessing R.E. Founders & Leaders, Buddhism, Hinduism and Sikhism Teacher's Book Mainstream, Folens Limited
- Radhakrishnan, S & CA Moore (1967), A Sourcebook in Indian Philosophy, Princeton University Press, ISBN 0-691-01958-4
- Radhakrishnan, S (Trans.) (1995), Bhagvada Gita, Harper Collins, ISBN 1-855384-57-4
- Radhakrishnan, S (1996), Indian Philosophy, vol. 1, Oxford University Press, ISBN 0195638204
- Sargeant, Winthrop & Christopher Chapple (1984), written at New York, The Bhagavad Gita, State University of New York Press, ISBN 0-87395-831-4
- Sen Gupta, Anima (1986), The Evolution of the Sāṃkhya School of Thought, South Asia Books, ISBN 8121500192
- Silverberg, James (1969), "Social Mobility in the Caste System in India: An Interdisciplinary Symposium", The American Journal of Sociology 75 (3): 442–443
- Smelser, N. & S. Lipset, eds. (2005), Social Structure and Mobility in Economic Development, Aldine Transaction, ISBN 0202307999
- Smith, Huston (1991), written at San Francisco, The World's Religions: Our Great Wisdom Traditions, HarperSanFrancisco, ISBN 0062507990
- Vivekananda, Swami (1987), written at Calcutta, Complete Works of Swami Vivekananda, Advaita Ashrama, ISBN 81-85301-75-1
ওয়েব উত্স
- Jha, Preeti (২৬ ডিসেম্বর ২০০৭)। "Guinness comes to east Delhi: Akshardham world's largest Hindu temple"। ExpressIndia.com। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০০৮।
- "Swami Shivananda's mission"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০০৭।
- "CIA-The world factbook"। ১১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১০।
- "2011 Nepal Census Report" (PDF)। ১৮ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ১১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১০।
- "Resident population by religion and sex" (PDF)। Statistics Mauritius। পৃষ্ঠা 68। ১৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১২।
- "CIA - The World Factbook"। ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "Bhutan"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- "Suriname"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- Department of Census and Statistics,The Census of Population and Housing of Sri Lanka-2011 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে
- "SVRS 2012" (PDF)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ১৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- "CIA - The World Factbook"। ৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- "Reunion Island"। ২২ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "CIA - The World Factbook"। ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ২ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- Singapore Department of Statistics (১২ জানুয়ারি ২০১১)। "Census of population 2010: Statistical Release 1 on Demographic Characteristics, Education, Language and Religion" (PDF)। ৩ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১১।
- "CIA - The World Factbook"। ৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ২৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪।
- "CIA - The World Factbook"। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
আরও পড়ুন
- Bowes, Pratima (1976), The Hindu Religious Tradition: A Philosophical Approach, Allied Pub, ISBN 0710086687
- Flood, Gavin (Ed) (2003), Blackwell companion to Hinduism, Blackwell Publishing, ISBN 0-631-21535-2
- Klostermaier, K (1994), A Survey of Hinduism (3rd (2007) ed.), State University of New York Press;, ISBN 0791470822, <http://www.oneworld-publications.com/books/texts/hinduism-a-short-history-ch1.htm>
- Lipner, Julius (1998), Hindus: Their Religious Beliefs and Practices, Routledge, ISBN 0415051819, <http://www.google.co.in/books?id=HDMLYkIOoWYC&printsec=frontcover&dq=sindhu+hindu&as_brr=3>. Retrieved on 2007-07-12
- Michaels, A (2004), Hinduism: Past and Present (5th ed.), Princeton University Press, ISBN 0-691-08953-1
- Monier-Williams, Monier (1974), Brahmanism and Hinduism: Or, Religious Thought and Life in India, as Based on the Veda and Other Sacred Books of the Hindus, Adamant Media Corporation, ISBN 1421265311, <http://books.google.com/books?id=U5IBXA4UpT0C&dq=isbn:1421265311>. Retrieved on 2007-07-08
- Morgan, Kenneth W., ed. (1987), written at Delhi, The Religion of the Hindus (New Ed ed.), Motilal Banarsidas, ISBN 8120803876
- Renou, Louis (1964), The Nature of Hinduism, Walker
- Rinehart, R (Ed.) (2004), Contemporary Hinduism: Ritual, Culture, and Practice, ABC-Clio, ISBN 1-57607-905-8
- Weightman, Simon (1998), "Hinduism", in Hinnells, John (Ed.), The new Penguin handbook of living religions, Penguin books, ISBN 0-140-51480-5
- Werner, Karel (1994), "Hinduism", written at Richmond, Surrey, in Hinnells, John (Ed.), A Popular Dictionary of Hinduism, Curzon Press, ISBN 0-7007-0279-2
বহিঃসংযোগ
- কার্লি-এ হিন্দুধর্ম (ইংরেজি)
- Resources for Scholars and Students
- Encyclopædia Britannica, Hinduism
- All About Hinduism by Swami Sivananda (pdf)
- Heart of Hinduism: An overview of Hindu traditions
- Information on Hinduism or Santana dharma
- Ethical Democracy Journal - Notes on Hinduism
- Religious Tolerance page on Hinduism
অডিও
- Paper on Hinduism by Swami Vivekananda - ১৮৯৩ সালে বিশ্বধর্ম মহাসভায় উপস্থাপিত (প্রকৃত পাঠ্যাংশ + অডিও সংস্করণ)
- Oxford Centre for Hindu Studies অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিস্ দ্বারা পণ্ডিত এবং ছাত্রদের জন্যে উল্লেখ্য উপাদান হিসাবে বক্তৃতা ও সেমিনার-এর এমপিথ্রী অডিও বিন্যাস