যুদ্ধ
যুদ্ধ বা সমর বলতে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পক্ষগুলোর মধ্যে সুসংগঠিত এবং কখনও কখনও দীর্ঘস্থায়ী সশস্ত্র সংঘর্ষকে বোঝায়। চারিত্রিক দিক দিয়ে এটি প্রচণ্ড সহিংস এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।[1][2] যুদ্ধকে সবসময় রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে একটি বাস্তব, প্রায়োগিক ও বিস্তৃত সশস্ত্র সংঘর্ষ হিসেবে দেখা হয়। সেকারণে এটি অনেকসময় রাজনৈতিক সহিংসতা ও হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য।[1][3] এ সশস্ত্র সংঘর্ষে প্রত্যেক পক্ষের চরম ও পরম লক্ষ্য থাকে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষকে পদানত করে সম্পূর্ণ নির্মূল বা স্বীয় শর্তাধীনে শান্তি স্থাপন করতে বাধ্য করা। তাই কোন পক্ষ একতরফাভাবে সশস্ত্র আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে গেলে এবং তার প্রত্যুত্তরে অপর পক্ষ কোন পদক্ষেপ না নিলে তাকে যুদ্ধ বলা যায় না। কোন একটি পক্ষ যুদ্ধে যে পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করে, তাকে সমরকৌশল বলে। যুদ্ধহীন সময়কে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শান্তির সাথে তুলনা করা হয়।
নোবেল বিজয়ী রবার্ট ই. স্ম্যালি ২০০৩ সালে আগামী পঞ্চাশ বছরে মানবজাতি যে দশটি হুমকির সম্মুখীন হবে তার মধ্যে যুদ্ধের অবস্থান ষষ্ঠ।[4]
তথ্যসূত্র
- "American Heritage Dictionary: War"। Thefreedictionary.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২৪।
- "Merriam Webster's Dictionary: War"। Merriam-Webster। ১৩ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২৪।
- "Stanford Encyclopedia of Philosophy"।
- Smalley, Richard E. (২০০৮)। "Smalley Institute Grand Challenges"। Rice University। ৮ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।