ইসলামের রাজনৈতিক দিক

ইসলামের রাজনৈতিক দিক মূলত পবিত্র কোরআন, সুন্নাহ ( নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর বানী ও জীবনাচরণ), ইসলামের ইতিহাস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম থেকে উদ্ভূত।

ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামে রাজনৈতিক ধারণাসমূহের মধ্যে নির্বাচিত নেতৃত্ব একটি বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর পর যারা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় নেতৃত্বদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে খলিফা বলা হয়। ইসলামী রাজনৈতিক চিন্তায় রাষ্ট্র পলিচালনার জন্য ইসলামী আইন বা শরিয়া সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ। শরিয়া আইন অনুসারে নির্বাচিত শাসকবৃন্দ জনগণের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে শুরা বা পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।[1]

১৯২৪ সালে উসমানীয় (অটোমান) সাম্রাজ্যের পতনের পর মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়।[2] উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বের রাজনীতিতে বিবেচ্য বিষয় ছিলো পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করা এবং ইসলামী রাষ্ট্রসমূহে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা। ছয় দিনের যুদ্ধে (সিক্স ডে ওয়ার) আরব বাহিনীর পরাজয়, স্নায়ু যুদ্ধের সমাপ্তি ও সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার পতন ইত্যাদি রাজনৈতিক ঘটনাবলি ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামের আবেদনকে বেগবান করেছে। সেক্যুলার রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি অনাস্থাস্বরূপ মুসলিম বিশ্বের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. [১] Abu Hamid al-Ghazali quoted in Mortimer, Edward, Faith and Power: The Politics of Islam, Vintage Books, 1982, p.37
  2. [২] Feldman, Noah, Fall and Rise of the Islamic State, Princeton University Press, 2008, p.2
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.