টমাস হব্‌স

টমাস হব্‌স (ইংরেজি Thomas Hobbes টমাস্‌ হব্‌জ়্‌, এপ্রিল ৫, ১৫৮৮-ডিসেম্বর ৪, ১৬৭৯) ছিলেন ইংরেজ দার্শনিক। যিনি বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক দর্শনের বিষয়ে তার কর্মের জন্য অধিক পরিচিত। ১৬৫১ সালে প্রকাশিত লেভিয়েথন গ্রন্থে তিনি সামাজিক চুক্তি তত্ত্বের ধারণা প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তিতে পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক দর্শনের গোড়াপত্তন করে।[1]

টমাস হব্‌স
Thomas Hobbes
জন্ম(১৫৮৮-০৪-০৫)৫ এপ্রিল ১৫৮৮
ওয়েস্টপোর্ট নিকটে মাল্মেসবারি, উইল্টশায়ার , ইংল্যান্ড
মৃত্যু৪ ডিসেম্বর ১৬৭৯(1679-12-04) (বয়স ৯১)
ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড
যুগসপ্তদশ শতকের দর্শন
(আধুনিক দর্শন)
অঞ্চলপাশ্চাত্যের দার্শনিক
ধারাসামাজিক চুক্তি, বস্তুতন্ত্রবাদ, অভিজ্ঞতাবাদ, নিশ্চিন্তবাদ, বস্তুবাদ, ইথিক্যাল ইগোয়িজম
আগ্রহরাজনৈতিক দর্শন, ইতিহাস, নীতিবিদ্যা, জ্যামিতি
অবদানসামাজিক চুক্তি ধারনার আধুনিক প্রতিষ্ঠাতা; life in the state of nature is "solitary, poor, nasty, brutish and short"

জন্ম ও কর্মজীবন

থমাস হবস ১৫৮৮ সালের ৫ এপ্রিল ইংল্যান্ডের Malmesbury-এর এক ধর্মযাজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কথিত আছে, স্পেনীয় নৌবাহিনী যে সময় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে, সে সময় হবসের গর্ভধারিনী মাতা ভয়ে ভীত হয়ে জন্মের নির্ধারিত সময়ের আগেই হবসকে জন্ম দেন। এ কারণে পণ্ডিতগণের মতে, সমকালীন পরিবেশ ও পরিস্থিতি তার উপর বেশ প্রভাব ফেলেছিল।[2]

হবস খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৬০৮ সালে হবস মাত্র ২০বছর বয়সে অক্সফোর্ড হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। অতঃপর তিনি ইংল্যান্ডের অন্যতম অভিজাত ও প্রসিদ্ধ কেভেনসিস পরিবারের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। হবস ফরাসি ও ইতালিয় ভাষায় শিক্ষকতা করেন। তিনি প্রথমে কেভেনডিসের এবং আর্ল অব ডিভেনশায়ারের পুত্রের সাথে সমগ্র ইউরোপ পরিভ্রমণ করেন। ফ্রান্সে ভ্রমণকালে প্রথমে রনে দেকার্তের সাথে, পরে ফ্লোরেন্সে গ্যালিলিওর সাথে পরিচিতি ঘটে এবং তাদের চিন্তাধারায় বিশেষভাবে প্রভাবিত হন।[2]

হবস ১৬৩১ সালের দিকে পুনরায় ইউরোপ ভ্রমণে যান এবং ১৬৩৭ সালে দেশে ফিরে আসেন। এ সময় তার দেশে গৃহযুদ্ধ চলছিল। তিনি সে সময়ও খুব বলিষ্ঠ ছিলেন। কথিত আছে যে, তিনি ৭০ বছর বয়সেও দিব্যি টেনিস খেলতেন। ১৬৭৯ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি ইংল্যান্ডে ৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[2]

প্রকাশিত গ্রন্থাবলী

লেভিয়াথন

এ গ্রন্থে হবস পদার্থবিদ্যা ও মানবপ্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এছাড়া এতে নৈতিকতা ও রাজনৈতিক তত্ত্ব গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষিত হয়েছে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "Hobbes's Moral and Political Philosophy"Stanford Encyclopedia of Philosophy। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০০৯
  2. মো. আবদুল ওদুদ (দ্বিতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ২০১৪)। রাষ্ট্রদর্শন। ঢাকা: মনন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৬১। আইএসবিএন 978-98-43300-90-4। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);

বহিঃসংযোগ


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.