যৌক্তিকতা

যৌক্তিকতা (Rationality) হচ্ছে সত্য ও যুক্তির ভিত্তিতে যৌক্তিক বা যুক্তিপূর্ণ হবার গুণ বা অবস্থা।[1] যৌক্তিকতা দ্বারা ব্যক্তির বিশ্বাসের সাথে তার বিশ্বাসের যুক্তির বা ব্যক্তির কার্যের সহিত তার কার্যের যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। দর্শন,[2] অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব, মনোবিজ্ঞান, বিবর্তনগত জীববিজ্ঞান এবং রাজনৈতিক বিজ্ঞানে "যৌক্তিকতার" বিভিন্ন নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে।

কোন আচরণটি সবচাইতে বেশি যৌক্তিক তা নির্ণয় করতে, একজনকে বিভিন্ন মৌলিক স্বতঃসিদ্ধ গ্রহণ করতে হয়, সেই সাথে তাকে সমস্যাটির একটি সাংখ্যিক সূত্রবদ্ধকরণেরও (quantifiable formulation) প্রয়োজন হয়। যখন উদ্দেশ্য বা সমস্যাটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত থাকে, এখানে যৌক্তিকতা দেখায় যে এক্ষেত্রে কতটুকু তথ্য রয়েছে (যেমন পূর্ণ বা অপূর্ণ জ্ঞান (complete or incomplete knowledge))। সমষ্টিগতভাবে, সূত্রবদ্ধকরণ এবং এর পেছনের স্বতঃসিদ্ধসমূহ হচ্ছে সেই মডেল যেখানে যৌক্তিকতার প্রয়োগ করা যায়।

যৌক্তিকতার আপেক্ষিকতা প্রদর্শন: যদি কেউ একটি মডেলকে স্বীকার করে নেন, যেখানে নিজের উপকার করাটাই হবে সর্বোৎকৃষ্ট (optimal), তাহলে যৌক্তিকতাকে স্বার্থপরতার সাথে সমতাকৃত করা যায়; অন্যদিকে যদি তিনি এমন কোন মডেলকে স্বীকার করে নেন, যেখানে নিজের উপকার না করে দলের উপকার করাটাই যদি সর্বোৎকৃষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে সম্পূর্ণ স্বার্থপর আচরণকে অযৌক্তিক বলে চিহ্নিত করা হবে। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড মডেল যা কিভাবে সমস্যাটিকে কাঠামোবদ্ধ বা সূত্রবদ্ধ করেছে তা নির্দিষ্ট না করেই যৌক্তিকটা দাবি করা অর্থহীন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.